Categories
কোর ভিশন

২৪:১৪ – এক কাহিনী

২৪:১৪ – এক কাহিনী

– ক্রিস্ ম্যাকব্রাইড দ্বারা লিখিত –

পুরানো কোষাগারের পাশাপাশি নতুনও

১৯৯০ সালের প্রথম দিকে বিশ্বব্যাপী মণ্ডলীর একটি ভালো মরসুম ছিল৷ আমরা কঠিন পরিশ্রম করেছিলাম এবং উৎসাহজনক  বিষয়গুলি ঘটেছিল৷ লোহার পর্দাটি খোলা হয়েছিল ও লোকেরা খ্রীষ্টের কাছে আসতে শুরু করেছিল৷

কিন্তু আমরা স্থানগুলিতে পৌঁছেও কঠিনতম স্থানে পৌঁছোতে পারছিলাম না৷ খ্রীষ্ট ব্যতীত সমগ্র গোষ্ঠীর লোকদের প্রাণ বংশানুক্রমে চিরন্তনে প্রবেশ করছিল৷ বিশ্ব জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল, কিন্তু মণ্ডলীর নয়৷ 

তখন কিছু অপ্রত্যাশিত বিষয় ঘটেছিল৷ সুসমাচারের বার্তাবাহকেরা খ্রীষ্টের মূল আজ্ঞাগুলির প্রতি নতুন করে দেখতে শুরু করাতে বিরাট সাফল্যতাগুলি প্রকট হতে থাকে৷ ভারত থেকে আশ্চর্যজনক সংবাদ এসেছিল৷ চীন থেকে৷ দক্ষিণপূর্ব এশিয়া থেকে৷ তারপর আফ্রিকাতেঃ সাধারণ, শিষ্যদের সংখ্যাবৃদ্ধির সুবিধার্থে পুনরুৎপাদনকারী নমুণা৷ ক্ষমতাপ্রাপ্ত শিষ্যরা প্রভু যীশুর আজ্ঞা পালন, শিষ্য তৈরী, এবং নতুন মণ্ডলীগুলিতে জমায়েত হয়৷ হারানোদের মাঝে এই সংখ্যাবৃদ্ধিকারী মণ্ডলীগুলি ব্যাখ্যামূলক ছিল৷ প্রারম্ভিক মণ্ডলীগুলিতে যেমন এই ধরনের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটেছিল (যেমন প্রেরিতের পুস্তকে লিখিত আছে) এবং কেবলমাত্র মণ্ডলীর ইতিহাসের মাঝেমধ্যেই (যেমন আয়ারল্যান্ডের প্যাট্রিক’এর পরিচর্য্যার ওয়েস্লিয়ান আন্দোলনের প্রথম দিকে)৷

পুরাতন প্রজ্ঞা থেকে নতুন ধনের উদয় হয়েছিল৷

আত্মা বাহিত হয় 

২০০০ সালের উদ্বোধনী দশকের অগ্রগতির সাথে, আরো প্রচুর এই ধননের মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলনগুলি (সি.পি.এম. গুলি) উত্থিত হতে শুরু করে৷ (সি.পি.এম. হলো এক ছত্র শব্দ যা আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ মণ্ডলীগুলি দ্বারা শিষ্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার আন্দোলনগুলিকে ব্যাখ্যা করতে ব্যবহার করি৷) ২০০৭ সালের মধ্যে, মিশিওলজিস্ট’রা  ৩০ টিরও বেশী সি.পি.এম.গুলির গতিবিধির প্রতি লক্ষ্য রেখেছে৷ ২০১০ সালে, তারা ৬০টিরও বেশী গণনা করতে পেরেছিল, যার মধ্যে বেশির ভাগ একে অপর থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্রভাবে শুরু করেছিল৷ তারপরে সংখ্যাটি ১০০ ছাড়িয়ে যায়৷ যেখানে বেশীর ভাগ আন্দোলনগুলি ধৈর্য্য ধরেছিল ও কিছুটা শেষ হয়ে গেলেও, অবিরত হারানোদের কাছে পৌঁছানোর জন্য শিক্ষা ও সংখ্যায় বৃদ্ধি করার জন্য কর্মীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতার আন্দোলনকে চালু রাখে৷ 

আন্দোলনগুলি যেমন অবিরত সংখ্যায় বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং প্রভাবে ছড়িয়ে পড়ে, অনেক নেতারা বুঝতে পেরেছিল যে এটি হলো মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলনের উপর আত্মার হাওয়া বাহিত হচ্ছে৷ লক্ষ লক্ষ নতুন বিশ্বাসীরা রাজ্যে প্রবেশ করছিল৷ এটি সময় ছিল পাল তুলে ধরার৷

একটি সম্প্রদায়ের জন্ম 

২০১৭ সালে, ২৪:১৪ এর জন্মগ্রহণ দু’টি আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলনের পর হয়েছিল যেখানে মিশন সংগঠন, মণ্ডলী, যোগাযোগ ও আন্দোলনগুলির বিশ্বব্যাপী নেতারা জমায়েত হয়েছিলেন যারা ইতিমধ্যেই সি.পি.এম.এর দ্বারা সুসমাচার অপ্রাপ্তদের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলেন৷ আমরা একটি সাধারণ প্রশ্নে জড়িয়ে পড়িঃ

আমাদের প্রজন্মের প্রতিটি সুসমাচার অপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও স্থানের মধ্যে একত্রে প্রার্থনা ও কার্যের দ্বারা রাজ্যের আন্দোলনগুলি শুরু করতে আমাদের কি করতে হবে ?”

পবিত্র আত্মা ২৪:১৪ এর শীর্ষ সম্মেলনে অংশকারীদের সুসমাচার অপ্রাপ্তদের নিযুক্ত করার জন্য নম্রভাবে এক সমন্বিত প্রচেষ্টায় অনুধাবন করতে চালিত করেন – বিশেষত ২০২৫ সালের মধ্যে ত্যাগী তৎপরতার সাথে মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলনগুলির দ্বারা৷ ফলাফলস্বরূপ, আমরা একই মনোবৃত্তির সংগঠন, মণ্ডলী ও বিশ্বাসীদের একটি বিশ্বব্যাপী জোট শুরু করি – ঈশ্বরের-আকারবিশিষ্ট এই দর্শনকে পরিপূর্ণ হতে দেখতে – যা ২৪:১৪ হিসাবে পরিচিত৷

একত্রে গড়ে তোলা 

২০১৭ সাল থেকে, আমরা সেই দর্শনকে একত্রে তীক্ষ্ণ করে চলেছিঃ প্রত্যেক স্থানের প্রত্যেক ব্যক্তি এক বিশ্বাসীদের সম্প্রদায়ের সাথে একটি মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলনে যীশু খ্রীষ্টের শিষ্যদের সংখ্যাবৃদ্ধির প্রতি মনোনিবেশ করে৷ আমরা ভালো ভূমিতে এই বীজ পড়তে দেখি ও রাজার জন্য উপযুক্ত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত একটি ফসলে পরিণত হওয়ার প্রতি নজর রাখি এবং কার্য করি৷

২৪:১৪ হলো একটি সহযোগী সম্প্রদায় যারা মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলনগুলির অনুঘটন ও সমর্থন করতে সাহায্য করে৷ আমরা কোনো সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলন করি না; আমরা একমাত্র যীশু খ্রীষ্টের সেবার জন্য সহযোগী ঐক্যের মধ্যে কার্য করি৷

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।