Categories
কোর ভিশন

২৪:১৪ দর্শন

২৪:১৪ দর্শন

– স্ট্যান পার্কস দ্বারা লিখিত-

মথি ২৪:১৪-পদে, যীশুর এই প্রতিশ্রুতি: “আর সর্বজাতির কাছে সাক্ষ্য দিবার নিমিত্ত রাজ্যের এই সুসমাচার সমুদয় জগতে প্রচার করা যাইবে; আর তখন শেষ উপস্থিত হইবে ৷”

২৪:১৪ দর্শন হলো পৃথিবীতে আমাদের প্রজন্মের প্রত্যেকটি সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে সুসমাচার প্রচার করা ৷ যীশু খ্রীষ্ট যেই কার্যটি শুরু করেছিলেন এবং আমাদের পূর্বের অন্যান্য বিশ্বাসযোগ্য কর্মীরাও যেই কার্যের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, আমরা সেই প্রজন্ম হতে চাই যারা কার্যটি সম্পূর্ণ করবে ৷ আমরা জানি যে যীশু খ্রীষ্ট ততক্ষণ তাঁর পুনরাগমণের অপেক্ষায় রয়েছেন যতক্ষণ না প্রত্যেকটি সম্প্রদায়ের মানুষেরা সুসমাচারের প্রতি সাড়া দেওয়ার সুযোগ পায় ও তাঁর নববধু হবার অংশীদার হয় ৷

প্রত্যেক সম্প্রদায়ের লোকদের মণ্ডলী আরম্ভ করার এই সুযোগটি দেওয়ার উত্তম উপায় এবং তাদের সম্প্রদায়ের বহুগুণে বৃদ্ধি পাওয়াকে আমরা স্বীকৃতি দিয়ে থাকি ৷ প্রত্যেকের সুসমাচার শোনার জন্য এটি একটি উত্তম আশা হয়ে ওঠে, যেমন শিষ্যেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ এই মণ্ডলীগুলির সম্ভাব্য সকলের সাথে সুসমাচার প্রচার করার জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছিল ৷

এই সমস্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ মণ্ডলীগুলিই হতে পারে, যাকে আমরা বলি এক মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলন বা চার্চ প্লান্টিং মুভমেন্ট বা সিপিএম ৷ একটি সিপিএম-এর সংজ্ঞা হচ্ছে শিষ্যদের শিষ্য নির্মাণ ও নেতাদের উন্নয়নশীল নেতা গড়ে তোলার সংখ্যাবৃদ্ধি, ফলস্বরূপ স্থানীয় মণ্ডলীদের মণ্ডলীস্থাপণ যা কোনো জনগোষ্ঠী বা জনসংখ্যা বিভাগের দ্বারা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে ৷

২৪:১৪-এর সন্ধি কোন প্রতিষ্ঠান নয় ৷ আমাদের সমাজটি হলো ব্যক্তিবর্গের, সমূহের, মণ্ডলীর, প্রতিষ্ঠানের, যোগাযোগের, এবং আন্দোলনের, যারা প্রত্যেক সুসমাচার অপ্রাপ্ত ব্যক্তির মধ্যে ও স্থানে মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলন দেখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে ৷ আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সালের মধ্যে প্রত্যেক সুসমাচার অপ্রাপ্ত ব্যক্তির মধ্যে ও স্থানে কার্যকারীরূপে সিপিএম-এর প্রবৃত্তি দেখা ৷

এর অর্থ হচ্ছে সেই তারিখের মধ্যে প্রত্যেক সুসমাচার অপ্রাপ্ত ব্যক্তির মধ্যে ও অবস্থানের স্থানে আন্দোলনের কৌশলে সমৃদ্ধ একটি সমূহ (স্থানীয়, বহির্মুখী বা সংমিশ্রণ) তৈরী থাকা ৷ মহান আদেশের কার্য কবে সম্পূর্ণ হবে সে বিষয়ে আমরা কোন দাবি করছি না ৷ সেটা ঈশ্বরের দায়িত্ব ৷ তিনি আন্দোলনের ফল নির্ধারণ করবেন ৷

আমরা ২৪:১৪ দর্শনকে চারটি মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে অনুসরণ করিঃ

  1. ১. সুসমাচার অপ্রাপ্রদের কাছে পৌঁছানো, মথি ২৪:১৪ পদ অনুযায়ীঃ প্রত্যেক সুসমাচার অপ্রাপ্ত ব্যক্তির মধ্যে ও স্থানে রাজ্যের সসামাচার পৌঁছে দেওয়া ৷

    ২. মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলনের দ্বারা এটি সম্পাদন করা, বহুল বৃদ্ধিপ্রাপ্ত শিষ্য, মণ্ডলী, নেতা, এবং আন্দোলনের অন্তর্ভুক্তি ৷

    ৩. ২০২৫ সালের শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক সুসমাচার অপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও স্থানকে আন্দোলনের কৌশলে যুক্ত করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কার্য করা ৷

    ৪. এই বিষয়গুলি অন্যান্যদের সঙ্গে সহযোগিতায় সম্পন্ন করা ৷

আমাদের দর্শন হলো আমাদের জীবদ্দশায় বিশ্বের সমগ্র সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে এক সাক্ষ্য হিসাবে রাজ্যের সুসমাচার ঘোষিত হতে প্রত্যক্ষ করা ৷ আমরা আপনাদের প্রত্যেক সুসমাচার অপ্রাপ্ত ব্যক্তির মধ্যে ও স্থানে রাজ্য আন্দোলনের কার্য শুরু করার জন্য প্রার্থনা ও পরিচর্যায় যোগ দিতে আহ্বান করছি ৷

 

 

স্ট্যান পার্কস, পি এইচ ডিঃ ২৪:১৪ সন্ধির (সুবিধার্থী দল), বিয়ন্ড (ভাইস প্রেসিডেন্ট গ্লোবল স্ট্রাটেজিস), এবং এথনে (নেতৃত্বদানকারী দল) এর সাথে কার্য করেছেন । তিনি বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সিপিএমের শিক্ষক ও প্রশিক্ষক এবং তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে সুসমাচার অপ্রাপ্তদের মধ্যে বসবাস ও তাদের সেবা করেছেন ৷

এই উপাদানটি ২৪:১৪ বই-এর ১৩৯-১৪৪, ১৪৭ পৃষ্ঠায় প্রথম উল্লেখিত হয় – সমস্ত লোকদের পক্ষে একটি সাক্ষ্য ২৪:১৪ থেকে বা অ্যামাজনএ উপলব্ধ ৷

Categories
কোর ভিশন

নিষ্ঠুর সত্য

নিষ্ঠুর সত্য

– জাস্টিন লঙ-

যীশু খ্রীষ্টের স্বর্গারোহনের পূর্বেই, তিনি তাঁর শিষ্যদের একটি কার্য দিয়েছিলে যাকে আমরা মহান আদেশ বলে থাকিঃ “সমুদয় জগতে যাও,” সমস্ত জাতির লোকদের শিষ্য করার জন্য ৷ তখন থেকেই, খ্রীষ্টানেরা সেই দিনটির স্বপ্ন দেখতে থাকে যখন এই কার্যটি সম্পূর্ণ হবে ৷ আমাদের মধ্যে অনেকেই এটিকে মথি ২৪:১৪-পদের সাথে যুক্ত করি, যীশু’ খ্রীষ্ট প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে “সর্ব্ব্জাতির কাছে সাক্ষ্য দিবার নিমিত্ত সুসমাচার সমুদয় জগতে প্রচার করা যাইবে; আর তখন শেষ উপস্থিত হইবে ৷” যদিও আমরা বাক্যাংশের সুনির্দিষ্ট অর্থ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করতে পারি, আমরা ভাবি যে কার্যটি “সম্পন্ন” হবে, এবং কোনভাবে “শেষের” সাথে আবদ্ধ ৷

যখন আমরা আগ্রহের সাথে যীশু খ্রীষ্টের পুনরাগমনের অপেক্ষা করছি, আমাদের “নিষ্ঠুর সত্যগুলির” সম্মুক্ষীন হতে হবেঃ যদি কার্যের সমাপ্তি ও যীশু খ্রীষ্টের পুনরাগমন কোনভাবে সম্পর্কযুক্ত হয়, তাহলে তাঁর পুনরাগমনের এখনো দেরী আছে ৷ অনেক পরিমাপের দ্বারা, “কার্যের সমাপ্তি” আমাদের থেকে দূরে হয়ে যাচ্ছে !

আমরা কিভাবে “কার্যের সমাপ্তি” পরিমাপ করবো ? এই পদগুলিতে দুটি সম্ভাবনা আবদ্ধঃ ঘোষণাত্মক পরিমাপ ও শিষ্যত্বের পরিমাপ ৷

শিষ্যত্বের পরিমাপ হিসাবে, আমরা দুটিকেই বিবেচনা করতে পারি যে বিশ্বের কত সংখ্যক খ্রীষ্টান বলে দাবি করে, ও বিশ্বের কত সংখ্যক “সক্রিয় শিষ্য” হিসেবে বিবেচিত হতে পারে ৷

দ্য সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ্ গ্লোবাল ক্রীশ্চিয়ানিটি (সি.এস.জি.সি.) সমস্ত খ্রিষ্টানদের গণনা করে ৷ তারা আমাদের বলেন যে ১৯০০ সালে,বিশ্বের ৩৩% খ্রীষ্টান ছিল; ২০০০ সালেও, বিশ্বের ৩৩% খ্রীষ্টান ছিল ৷ এবং ২০৫০ পর্যন্তও, বিষয়গুলি নাটকীয় পরিবর্তন না হলে, তখনও বিশ্বে মাত্র ৩৩% খ্রীষ্টানই থাকবে ! একটি মণ্ডলী যদি জনসংখ্যা বৃদ্ধির সমানুপাতে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় তাহলে সে “সর্ব্ব্জাতির কাছে সাক্ষ্য দিবার নিমিত্ত” সুসমাচার নিয়ে আসছে না ৷

“সক্রিয় শিষ্যত্ব”-এর সম্পর্কে কি ? এই পরিমাপটি অত্যান্ত কঠিন, যেমন আমরা “হৃদয়ের অবস্থা” সম্পূর্ণ জানতে পারি না ৷ কিন্তু দ্য ফিউচার অফ্ দ্য গ্লোবাল চার্চ –এ, প্যাট্রিক জনস্টোন অনুমান করেছিলেন যে ২০১০ সালের বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় ৬.৯% হলো “সুসমাচার প্রচারকারী বিশ্বাসী”৷ গবেষণা করে দেখা যায় অধিকাংশ অন্যান্য খ্রীষ্টীয় বিভাগের তুলনায় সুসমাচার প্রচারকারীদের সংখ্যা ক্রমাগত দ্রুত গতিতে বাড়ছে, কিন্তু বিশ্বের একটি ছোট শতাংশ হতে অবিরত রয়েছে ৷

যাইহোক, বিশ্বাসীদের সংখ্যা কার্যটি সম্পাদনের একমাত্র পরিমাপ নয় ৷ “ঘোষণাত্মক,” যেমন উপরে উল্লেখিত, সেটি পৃথক বিষয় ৷ কিছু লোক সুসমাচার শুনবে কিন্তু তা গ্রহণ করবে না ৷ তিন প্রকারের ঘোষনাত্মক যা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ঃ সুসমাচার অপ্রচারিত, সুসমাচার অপ্রাপ্ত ও অনিযুক্ত ৷ (মিশন ফ্রন্টিয়ার্স জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী ২০০৭-এর প্রকাশনায় এই তিনটি বিষয়ের উপরে গভীরভাবে আলোকপাত করা হয়েছেঃ http://www.missionfrontiers.org/issue/article/which-peoples-need-prority-attention)৷

সুসমাচার অপ্রচারিত  হলো যারা সুসমাচারের প্রতি প্রবেশগম্য নয় তা পরিমাপের একটি প্রচেষ্টাঃ যারা, বাস্তবিকভাবে, তাদের জীবদ্দশায় সুসমাচার শোনার এবং প্রত্যুত্তর দেওয়ার সুযোগ পাবে না ৷ সি.এস.জি.সি.-র অনুমান ১৯০০ সালে বিশ্বের ৫৪% অপ্রচারিত ছিল এবং আজ ২৮% প্রচারিত রয়েছে ৷ এটি ভাল সংবাদঃ যে বিশ্বে সুসমাচারের প্রবেশগম্য নয় –এর হার ক্রমশঃ হ্রাস পাচ্ছে ৷ তবে খারাপ সংবাদঃ ১৯০০ সালে, অপ্রচারিত ব্যক্তিদের সম্পূর্ণ জনসংখ্যা ছিল ৮৮ কোটি ৷ আজ, জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য,সেই সংখ্যাটি বেড়ে হয়েছে ২১০ কোটি ৷

যখন সুসমাচার অপ্রচারিত লোকের শতাংশের পরিমাণ অর্ধেক হ্রাস পেয়েছিল, তখন প্রবেশগম্য নয় এমন লোকের মোট সংখ্যা দ্বিগুণেরও অধিক হয়ে যায় ৷ অবশিষ্ট কার্যের আকার বেড়ে যায় ৷

সুসমাচার অপ্রাপ্ত-রা একটু ভিন্ন হয়ঃ এটি পরিমাপ করে যে কোন সুসমাচার অপ্রচারিত গোষ্ঠীদের কাছে কোনও স্থানীয়, দেশীয় মণ্ডলী নেই যারা কোনো মিশ্র-সাংস্কৃতিক মিশনারীদের সাহায্য ছাড়াই সম্পূর্ণ গোষ্ঠীর কাছে সুসমাচার নিয়ে আসতে পারে ৷ জোশুয়া প্রজেক্ট প্রায় ৭,০০০ সুসমাচার অপ্রাপ্ত গোষ্ঠীর একটি সূচী তৈরী করে যাদের মোট সংখ্যা ৩৫০ কোটি মানুষ যা বিশ্বের ৪২% ৷

পরিশেষে, অনিযুক্ত গোষ্ঠীগুলি যাদের মণ্ডলী স্থাপণের দলের দ্বারা সুসমাচারে কার্যে কোনো নিযুক্তির অভাব রয়েছে ৷ আজ, ১,৫১০টি এমন গোষ্ঠী আছেঃ আই.এম.বি.-র দ্বারা ১৯৯৯ সালে এর পরিচয়ের পর থেকে এই সংখ্যার পতন হচ্ছে ৷ এই পতন একটি ভালো লক্ষণ, কিন্তু এর অর্থ হলো “নব নিযুক্ত” গোষ্ঠীগুলির জন্য, কার্য সম্পন্ন হয় নি, শুধু নতুন করে শুরু হয়েছে ! স্থায়ী ফলাফল দেখার চেয়ে মণ্ডলী স্থাপণের দলের সাথে গোষ্ঠীর নিযুক্তি অনেক বেশী সহজ ৷ 

“নিষ্ঠুর সত্য”টি হলো যে, উপরোক্ত কোনো পরিমপের দ্বারা, আমাদের বিদ্যমান কোনো প্রচেষ্টাই শীঘ্রই কোনো সময়ে সমস্ত গোষ্ঠীর সমস্ত লোকের কাছে পৌঁছাতে সম্ভব হবে না ৷ আমরা এর জন্য বিভিন্ন ধরনের মূল কারণগুলি দেখতে পাই ৷

প্রথমত, অধিকতর খ্রীষ্টানদের প্রচেষ্টা যেই স্থানগুলিতে মণ্ডলী নেই সেখানে যাওয়ার পরিবর্তে, যেখানে মণ্ডলী রয়েছে সেই স্থানে যায় ৷ খ্রীষ্টীয় কারণে দেওয়া অর্থের বেশিরভাগ আমাদের নিজেদের উপরেই ব্যয় করা হয় এবং এমনকি বেশিরভাগ মিশনের অর্থও সংখ্যাগরিষ্ঠ খ্রীষ্টান অঞ্চলগুলিতেই খরচ করা হয় ৷ ব্যক্তিগত আয়ের প্রতি ১০০,০০০ ডলারের (প্রায় ৭,০০০,০০০ টাকা) মধ্যে, গড় খ্রীষ্টানেরা ১ ডলার ( প্রায় ৭০ টাকা) সুসমাচার অপ্রাপ্তদের (০.০০০০১%) কাছে পৌঁছানোর জন্য দেয় ৷

কর্মীদের মোতায়েন এই সমস্যাযুক্ত ভারসাম্যকে প্রতিফলিত করে ৷ কেবলমাত্র ৩% মিশ্র-সাংস্কৃতিক মিশনারীরা সুসমাচার অপ্রাপ্তদের মাঝে কার্যরত ৷ যদি আমরা সমস্ত পূর্ণকালীন খ্রীষ্টান কর্মীদের গণনা করি তাহলে কেবলমাত্র ০.৩৭%-ই সুসমাচার অপ্রাপ্তদের পরিচর্যা করে ৷ আমরা প্রতি ১৭৯,০০০ হিন্দু, প্রতি ২৬০,০০০ বৌদ্ধ এবং প্রতি ৪০৫,৫০০ মুসলিমদের জন্য একজন মিশনারী প্রেরণ করি ৷

দ্বিতীয়ত, অধিকতর খ্রীষ্টানেরা অ-খ্রীষ্টান জগতের সংস্পর্শের বাইরে রয়েছেঃ বিশ্বব্যাপী ৮১% অ-খ্রীষ্টান ব্যক্তিগতভাবে কোন বিশ্বাসীকে জানে না ৷ মুসলিম, হিন্দু এবং বৌদ্ধদের জন্য, এটি বেড়ে হয় ৮৬% ৷ মধ্য পূর্ব  ও উত্তর আফ্রিকাতে এর শতকরা হার ৯০% ৷ তুর্কি ও ইরানে এটি ৯৩% এবং  আফগানিস্তানে ৯৭% মানুষ ব্যক্তিগতভাবে কোন খ্রীষ্টানকে জানে না ৷ 

তৃতীয়তঃ যেই মণ্ডলীগুলিকে আমরা ধরে রেখেছি সেগুলি ধীর জনসংখ্যার বৃদ্ধিতে বিভিন্ন স্থানে মূলত বিদ্যমান ৷ বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা সেই

স্থানগুলিতে দ্রুতগতিতে বাড়ছে যেখানে আমরা নয় ৷ ১৯১০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার ৩৩% খ্রীষ্টত্ব স্থিতিশীল থাকে ৷

ইতিমধ্যে, ইসলাম ১৯১০ সালের বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার ১২.৬% থেকে বেড়ে ১৯৭০ সালে ১৫.৬%  এবং ২০২০ সালে আনুপাতিক ২৩.৯%

দাঁড়িয়েছিল ৷ এটি মূলত মুসলিম সমাজের জনসংখ্যার বৃদ্ধির জন্য, বার্তালাপের জন্য নয় ৷ কিন্তু সত্যটি অব্যাহত রয়েছে যে বিগত শতাব্দিতে ইসলাম বিশ্বের শতকরা হার হিসাবে দ্বিগুণ হয়ে গেছে এবং খ্রীষ্টানেরা একই থেকে যায় ৷ 

চতুর্থতঃ খ্রীষ্টীয় জগতে ভাঙ্গন ধরেছে ও মহান আদেশ একসাথে সম্পন্ন করার জন্য একতার অভাব আছে ৷ বিশ্বব্যাপী, আনুপাতিক ৪১,০০০ খ্রীষ্টীয় গোষ্ঠী আছে ৷ মিশনারী প্রতিনিধি সংস্থাগুলির সংখ্যা ১৯০০ সালে ৬০০ থেকে আজ আকাশচুম্বী ৫,৪০০টি ৷ সার্বজনীন যোগাযোগের অভাব, অনেক কম সমন্বয়, সমগ্র জাতিকে (এথনী) শিষ্য তৈরী করার প্রচেষ্টাকে পঙ্গু করে ৷

পঞ্চমতঃ অনেক মণ্ডলীগুলির প্রায়ই শিষ্যত্ব, খ্রীষ্টের আজ্ঞা পালনের অপর্যাপ্ত জোর এবং তাঁকে অনুসরণ করার আন্তরিক ইচ্ছা থাকে ৷ কম প্রতিশ্রুতিতে সামান্য পুনরুৎপাদনের ফলন এবং হ্রাস বা পতনশীল ঝুঁকি চালায় ৷ এটি মণ্ডলীর ক্ষতিতে দেখা যায় যারা মণ্ডলী ছেড়ে দেয় ৷ গড়ে বছরে ৫০ লক্ষ জন খ্রীষ্টান হয় কিন্তু ১ কোটি ৩০ লক্ষ জন খ্রীষ্টত্ব ছেড়ে চলে যায় ৷ যদি এই বর্তমান প্রবণতা চলতে থাকে, তবে ২০১০ থেকে ২০৫০ পর্যন্ত ৪ কোটি জন ব্যক্তি খ্রীষ্টান হবে যেখানে ১০ কোটি ৬ লক্ষ জন ছেড়ে চলে যাবে ৷

ষষ্ঠতঃ আমরা বিশ্বব্যাপী মণ্ডলীর বাস্তবতায় কোন কৌশলগতভাবে অভিযোজিত হই নি ৷ বিশ্বব্যাপী দক্ষিণ খ্রীষ্টানরা ১৯১০ সালে বিশ্বের ২০% খ্রীষ্টান থেকে বেড়ে ২০২০ সালে আনুপাতিক ৬৪.৭% হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷  তবুও বিশ্বব্যাপী উত্তর মণ্ডলীর কাছে খ্রীষ্টীয় ধনের বৃহৎ অংশ রয়েছে ৷ নৃতাত্ত্বিক ও সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে, আমরা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির লোকদেরই মিশনারী হিসাবে পাঠানোকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি ৷ আমরা নিজেদের নিকটবর্তী-সংস্কৃতির দলগুলিকে, প্রতিবেশী সুসমাচার অপ্রাপ্ত গোষ্ঠীগুলির কাছে পৌঁছানোর জন্য অগ্রাধিকার ও পর্যাপ্তরূপে সম্পদ দেওয়ার চেয়ে দূরবর্তী-সংস্কৃতির দলগুলিকে সুসমাচার অপ্রাপ্ত গোষ্ঠীগুলির সাথে সংযুক্ত করার সহযোগিতার জন্য আমাদের বেশির ভাগ সম্পদ দিতে থাকি ৷ 

সপ্তমতঃ আমরা ভূমি হারাতে চলেছি ৷ পুর্ববর্তী ছয়টি বিষয় ও কারণগুলির ফলস্বরূপ, নিত্যনৈমিত্তিক হারানো ব্যক্তি এবং নির্দিষ্টভাবে সুসমাচার অপ্রাপ্ত ব্যক্তি দুজনেরই বৃদ্ধিগত একটি সংখ্যা আছে ৷ ২০১৫ সালে বিশ্বে হারানো ব্যক্তিদের সংখ্যা ৩ কোটি ২০ লক্ষ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০০ কোটি জন যেখানে সুসমাচারে প্রবেশগম্য নয়-এর সংখ্যা ১৯৮৫ সালে ১ কোটি ১০ লক্ষ থেকে বেরে ২০১৮ সালে ২ কোটি ২০ লক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷

মহান আদেশ পরিপূর্ণ করার জন্য আমাদের আন্তরিক ইচ্ছা থাকলেও, যতক্ষণ না আমরা “দৌড়ে দৌড়াবো” তার পরিবর্তন না করি, বর্তমান 

 

 

(1) [1]ওয়ার্ল্ড খ্রিস্টান ডাটাবেস, 2015, *ব্যারেট এবং জনসন। 2001. বিশ্ব খ্রিস্টান প্রবণতা, পৃ ৬৫৬, এবং ২ অ্যাটলাস অফ গ্লোবাল খ্রিস্টান২০০৯। আরও দেখুন:মিশনারিদের নিয়োগ, বৈশ্বিক অবস্থা ২০১৮
(২) ইবিড।
(৩) http://www.gordonconwell.edu/ockenga/research/documents/ChristianityinitsGlobalContext.pdf
(৪) http://www.ijfm.org/PDFs_IJFM/29_1_PDFs/IJFM_29_1-Johnson&Hickman.pdf
http://www.gordonconwell.edu/ockenga/research/documents/ChristianityinitsGlobalContext.pdf
৫ http://www.ijfm.org/PDFs_IJFM/29_1_PDFs/IJFM_29_1-Johnson&Hickman.pdf
http://www.pewforum.org/2017/04/05/the-changing-global-religious-landscape/

জাস্টিন লং ২৫ বছর ধরে বৈশ্বিক মিশন গবেষণায় জড়িত, এবং বর্তমানে বিয়ন্ডের জন্য গ্লোবাল রিসার্চডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, যেখানে তিনি আন্দোলন সূচক এবং গ্লোবাল ডিস্ট্রিক্ট সার্ভে সম্পাদনা করেন।

এই উপাদানটি ২৪:১৪ বইয়ের ১৪৯-১৫৫ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়েছে- সকল মানুষের জন্য একটি সাক্ষ্য, যা ২৪:১৪ থেকে অথবা আমাজন থেকে পাওয়া যায়, যা মূলত মিশন ফ্রন্টিয়ার্স, www.missionfrontiers.org ২০১৮ সংখ্যায় প্রকাশিত একটি প্রবন্ধ থেকে প্রসারিত করাহয়েছে।

Categories
কোর ভিশন

কেন সহযোগিকেতা দেবেন?

কেন সহযোগিকেতা দেবেন?

– ক্রিস্ ম্যাকব্রাইড দ্বারা লিখিত –

জগত পরিবর্তন হচ্ছে, এবং যোগাযোগের শক্তি পরিপক্কতায় আসছে৷ যখন অনেকেই একসাথে একটি দর্শনের পরিপূরণে যুক্ত হয় তখন কি ঘটে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলি তার অসংখ্যা উদাহরণগুলি আমাদের দেখিয়েছে৷

মহান আদেশ একত্রে সম্পাদন করার জন্য, ২৪:১৪ খ্রীষ্টীয় দেহের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে দানকারীদের জন্য একটি পথের প্রস্তুতি করে৷ আমাদের সাধারনভাবেঃ “চলো একসাথে করি” বলার চেয়ে আরও বেশী কিছুর প্রয়োজন৷ সহযোগিতায় সাফল্যতাপ্রাপ্ত সাম্প্রতিক উদাহরণগুলি আমাদের কিছু প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি দেখায়৷

সহযোগিতার জন্য স্পষ্ট দর্শন

২৪:১৪-এর দর্শন হলো প্রত্যেক গোষ্ঠীর লোকেদের জন্য বিশ্বব্যাপী সমস্ত স্থানে এক বিশ্বাসী সম্প্রদায় যা একটি মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলনে শিষ্যের সংখ্যা বৃদ্ধিতে ধ্যান কেন্দ্রীভূত করে৷ এই স্তরের স্পষ্টতাই সমগ্র বিশ্বের বিশ্বাসীদের এই শক্তিশালী দর্শনে নিজের অবদান রাখতে অনুমতি দেয়৷ 

সহযোগিতার জন্য স্পষ্ট গঠনতন্ত্র

আমাদের ২৪:১৪ সমাজ তথ্য, সম্পদ, প্রশিক্ষন, প্রশিক্ষা, শিক্ষা এবং উৎসাহ প্রদান করে একে অপরকে সমর্থন করে৷ সংস্থা ও সমর্থনকারী সহযোগী আঞ্চলিক এবং উপ-আঞ্চলিক দলগুলি স্থানীয় স্তরে পদক্ষেপ গ্রহণ করে৷ আমরা কোন অগ্রিম সাংগঠনিক বিষয়সূচি বা প্রণালীবিদ্যার লক্ষ্য রাখছি না৷ আমরা আমাদের সম্প্রদায়ের প্রতিটি সংস্থান, মণ্ডলী, দল, আন্দোলন ও যোগাযোগের সাফল্যতা প্রচার করি৷ 

সহযোগিতার জন্য সমর্থনের কাঠামো নির্মাণ

সহযোগিতার প্রচেষ্টার মধ্যে সেরা অনুশীলনগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠের প্রকাশ করেছিলঃ সহযোগিতার জন্য কঠিন পরিশ্রমের প্রয়োজন৷ বেশীর ভাগ মণ্ডলী, যোগাযোগ, সংস্থা, ও আন্দোলনগুলি মধ্যে তাদের আলোচ্যসূচিগুলিতে একটি বিশাল চুক্তি থাকে৷ অগ্রণী সহযোগিতা প্রায়শই তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে নিবেদিত কার্য গ্রহণ করে থাকেঃ যেই ধারণাকে আমরা “সহযোগী মেরুদণ্ড” বলে থাকি৷

প্রথম সাক্ষাতে আমরা কোন ব্যক্তির মেরুদণ্ড দেখতে পাই না, কিন্তু তাদের যদি এটি না থাকে তাহলে আমরা লক্ষ্য করতে পারি ! একটি মেরুদণ্ড সমর্থনের কাঠামো প্রস্তুত করে যা শরীররের বাকি অংশগুলিকে একসাথে পরিচালিত হতে সক্ষম করে৷ একটি সহযোগী মেরুদণ্ড মণ্ডলী, যোগাযোগ, সংস্থা, ও আন্দোলনগুলিকে অনুমতি প্রদানের দ্বারা এমন প্রচেষ্ঠা সংগঠন করে, যার মাধ্যমে এক সাধারণ লক্ষ্যের অভিমুখে একসাথে কার্য পরিচালনা করা যায়৷

সহযোগিতার লক্ষ্যকে সংজ্ঞাবদ্ধ করা

২৪:১৪’র নেতৃত্বকারী দল আমাদের মেরুদণ্ডকে নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যগুলিসহ কর্মভার প্রদান করেছেঃ

  • শিষ্যবৃদ্ধিকারী আন্দোলনগুলির জন্য প্রার্থনা ও উপবাসের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার বিস্তৃতি৷
  • একদল গবেষকদের গভীর বিকাশ ও উপাত্ত ভাগ করা যা নির্ভরযোগ্যভাবে প্রাদেশিক স্তরে ফাঁকগুলিকে সনাক্ত করে৷
  • ৩২টি প্রান্তের নথিভুক্তকরণ, মূল্যায়ণ, এবং কর্ম পরিকল্পনা উদযাপনের জন্য সংগঠিত একটি বিশ্বব্যাপী কৌশলকে উন্নত করা ৷
  • নিয়মিত প্রজ্ঞপ্তির সাথে ব্লগ বিষয়ক, পুস্তক, জার্নাল প্রবন্ধ, ও সোসাল মিডিয়া পোস্টগুলির প্রকাশনা করা৷
  • অভিজ্ঞত আন্দোলনের পরামর্শদাতাদের দ্বারা সমর্থনের পর্যায়ক্রমে সুগম সম্প্রদায়্গুলিকে সজ্জিত করা৷
  • আন্দোলনের অনুশীলনকারীদের জন্য আরও সুগম মিশ্র পরাগায়ন৷
  • মহান আদেশের ব্যবধান প্রকল্পগুলিতে মণ্ডলী, ভিত্তি এবং দাতাদের একটি জোটকে পরামর্শের দ্বারা সংস্থানগুলিকে একত্রিত করা৷

আমরা বিশ্বাস করি মহান আদেশের চারপাশে সহযোগিতা এক বিশ্বাসীর দ্বারা কৃত একটি সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যয়৷ রাজ্যের দানের জন্য কোথায় ব্যয় করবেন বলে যখন আপনি বিবেচনা করেন, দয়া করে একটি মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলনের সাথে প্রত্যেকটি ব্যক্তি ও স্থানকে যুক্ত করার সমর্থনের সহযোগিতার লক্ষ্যে প্রার্থনাপূর্বক বিবেচনা করবেন৷

Categories
কোর ভিশন

আঞ্চলিক দলগুলির ক্ষমতা

আঞ্চলিক দলগুলির ক্ষমতা

– ক্রিস্ ম্যাকব্রাইড দ্বারা লিখিত –

যদি আমি বিদ্যালয়ে গুনাত্বকের ক্ষমতা বিষয়ে না শিখে থাকি, তবে কোভিড-১৯ থেকে সম্ভবত এটি শিখে গেছি৷ 

২০২০ সালের প্রথমার্ধ একটি শিক্ষা দিয়েছে যা মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলনগুলি বছরের পর দেখিয়ে আসছেঃ একটি ভাইরাসের সংখ্যাবৃদ্ধি দ্বারা একটি এলাকাকে ভরাট করেছে… কিংবা রাজ্যের শিষ্যেরা সেটা কোনো উপায়ে করতে পারত না ! যোগাযোগের সম্প্রদায়গুলি প্রভাবের বৃদ্ধি করে, কারণ তারা বহুসংখ্যাক নেতাদের ব্যক্তিগত ভাবে যীশু খ্রীষ্টের বাধ্য হওয়ার জন্য ক্ষমতাশীল করে৷ যখন আত্মা দ্বারা চালিত আঞ্চলিক নেতারা যারা তাদের সম্প্রদায়ের সাথে পরিচিত তাদের নেতৃত্বের নমুণা প্রদান করতে শুরু করে, তখন সংক্রমণের প্রভাব শীঘ্রই অনুসরণ করে৷ 

২৪:১৪ হলো একটি সহযোগী সম্প্রদায়৷ আমরা এক সাধারণ দর্শনের জন্য একত্রে কার্য করিঃ সংখ্যাবর্ধক শিষ্য তৈরী এবং মণ্ডলী স্থাপণের সাথে বিশ্বব্যাপী সমগ্র গোষ্ঠীর ব্যক্তি ও বিশ্বব্যাপী সমস্ত স্থানকে যুক্ত করছি৷ বিচিত্র ব্যক্তি ও সংস্কৃতির এক জগতে আমরা কিভাবে সর্বোত্তম কার্য করতে  পারি?

অতীতের সহযোগী প্রচেষ্টাগুলি প্রায়ই বিফল হয়েছে কারণ সহযোগিতার জন্য তারা এক “সর্বনিম্ন সাধারণ হর” পদ্ধতির প্রয়োগ করেছিল৷ অনেক লোকেরা তাদের সহযোগিতায় বিচিত্র আলোচ্যসূচির অনুধাবন করেছিল, প্রশস্ত দর্শনের চারপাশে অন্তর্ভুক্তির অর্থ ছিল যে লক্ষ্যগুলিকে প্রশস্ত থাকতে হয়েছিল৷ কারণ লক্ষ্যগুলিকে প্রায়ই বিশ্বব্যাপী ও সাধারণীকরণ করা হতো, অংশগ্রহনকারীদের উপায় খুঁজতে অসুবিধে হয়েছিল তারা অর্থপূর্ণভাবে বৃহত্তর লক্ষ্যে অবদান দিতে পারে৷ 

২৪:১৪ আঞ্চলিক দলগুলি তাদের বিগত অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে চেষ্টা করে৷ অঞ্চলগুলিতে অনুরূপ ভাষাগত, সাংস্কৃতিক, সুরক্ষা, ও প্রভাবশালী ধর্মীয় পৃষ্ঠভূমিগত দলগুলি গঠন করে, দলগুলিতে ভিন্নতার চেয়ে বেশী কারণগুলি রয়েছে৷ যখন কোনো ধার্মিক দল মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলনগুলি শুরু করার জন্য শিষ্য তৈরীর নেতার দ্বারা গঠিত হয়, তখন সাফল্যতার জন্য তাদের কাছে একটি স্পষ্ট পথ থাকে৷ আঞ্চলিক দল মণ্ডলীর সংখ্যাবৃদ্ধি, কৌশলগত পরিকল্পনা, প্রার্থনা, ও সম্পদের বন্টনের ফাঁকগুলি পূরণ করতে সহযোগিতা করতে পারে৷ এইভাবে অন্যান্য অনেকেই এই পথে হাঁটার জন্য উৎসাহ ও সমর্থণ খুঁজে পায়৷

আঞ্চলিক দলগুলি এক বিশ্বব্যাপী দর্শনকে অনেকগুলি অঞ্চলে বহুগুনে পরিণত হতে অনুমতি প্রদান করে৷ যেমন এই দলগুলি সফলভাবে পরিচালিত করে, তারা একটি দেশীয় স্তরে, তারপরে একটি প্রদেশ স্তরে, তারপর এক জেলা স্তরে সহযোগী সম্প্রদায় গঠনের জন্য উৎসাহ দেয়৷ যেমন সম্পর্ক গঠিত হয় ও বিশ্বাস গড়ে ওঠে, শক্তি বাড়তে শুরু করে, হারানোদের কাছে পৌঁছানো হয় এবং ফাঁকগুলি পূরণ হয়৷

প্রত্যেক অঞ্চলের আন্দোলনের নেতাদের দ্বারা সম্পর্কের মাধ্যমে প্রত্যেক অঞ্চলের জন্য নেতৃত্বকারী দলগুলি গঠিত হয়৷ বেশির ভাগ অঞ্চলের নেতারা বৃহত্তর আন্দোলনগুলি চালিয়েছেন যা অন্যান্য এলাকায় নতুন কার্যগুলি শুরু করেছিল এবং বহু বছর ধরে বিশ্বব্যাপী অন্যান্য নেতাদের সাথে চলেছিল৷ আঞ্চলিক নেতাদের যোগাযোগের মধ্যে মজবুত সম্পর্ক ও পারস্পরিক বিশ্বাস, বছরের পর বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ 

আমাদের ২৪:১৪ সম্প্রদায় একে অপরের সমর্থনের জন্য বিশ্বব্যাপী একসাথে কার্য করে৷ জ্ঞানের বন্টন, সরঞ্জামের বন্টন, সম্পদের বন্টন, ও অভিজ্ঞতাগুলির বন্টন যোগাযোগকে দ্রুত ছড়াতে সাহায্য করে৷ আমাদের সম্প্রদায়ের ক্ষমতা আমাদের অঞ্চলগুলির দ্বারা বিতরণ করা হয়…. এবং শেষ পর্যন্ত আপনার কাছে৷

Categories
কোর ভিশন

২৪:১৪ – এক কাহিনী

২৪:১৪ – এক কাহিনী

– ক্রিস্ ম্যাকব্রাইড দ্বারা লিখিত –

পুরানো কোষাগারের পাশাপাশি নতুনও

১৯৯০ সালের প্রথম দিকে বিশ্বব্যাপী মণ্ডলীর একটি ভালো মরসুম ছিল৷ আমরা কঠিন পরিশ্রম করেছিলাম এবং উৎসাহজনক  বিষয়গুলি ঘটেছিল৷ লোহার পর্দাটি খোলা হয়েছিল ও লোকেরা খ্রীষ্টের কাছে আসতে শুরু করেছিল৷

কিন্তু আমরা স্থানগুলিতে পৌঁছেও কঠিনতম স্থানে পৌঁছোতে পারছিলাম না৷ খ্রীষ্ট ব্যতীত সমগ্র গোষ্ঠীর লোকদের প্রাণ বংশানুক্রমে চিরন্তনে প্রবেশ করছিল৷ বিশ্ব জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল, কিন্তু মণ্ডলীর নয়৷ 

তখন কিছু অপ্রত্যাশিত বিষয় ঘটেছিল৷ সুসমাচারের বার্তাবাহকেরা খ্রীষ্টের মূল আজ্ঞাগুলির প্রতি নতুন করে দেখতে শুরু করাতে বিরাট সাফল্যতাগুলি প্রকট হতে থাকে৷ ভারত থেকে আশ্চর্যজনক সংবাদ এসেছিল৷ চীন থেকে৷ দক্ষিণপূর্ব এশিয়া থেকে৷ তারপর আফ্রিকাতেঃ সাধারণ, শিষ্যদের সংখ্যাবৃদ্ধির সুবিধার্থে পুনরুৎপাদনকারী নমুণা৷ ক্ষমতাপ্রাপ্ত শিষ্যরা প্রভু যীশুর আজ্ঞা পালন, শিষ্য তৈরী, এবং নতুন মণ্ডলীগুলিতে জমায়েত হয়৷ হারানোদের মাঝে এই সংখ্যাবৃদ্ধিকারী মণ্ডলীগুলি ব্যাখ্যামূলক ছিল৷ প্রারম্ভিক মণ্ডলীগুলিতে যেমন এই ধরনের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটেছিল (যেমন প্রেরিতের পুস্তকে লিখিত আছে) এবং কেবলমাত্র মণ্ডলীর ইতিহাসের মাঝেমধ্যেই (যেমন আয়ারল্যান্ডের প্যাট্রিক’এর পরিচর্য্যার ওয়েস্লিয়ান আন্দোলনের প্রথম দিকে)৷

পুরাতন প্রজ্ঞা থেকে নতুন ধনের উদয় হয়েছিল৷

আত্মা বাহিত হয় 

২০০০ সালের উদ্বোধনী দশকের অগ্রগতির সাথে, আরো প্রচুর এই ধননের মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলনগুলি (সি.পি.এম. গুলি) উত্থিত হতে শুরু করে৷ (সি.পি.এম. হলো এক ছত্র শব্দ যা আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ মণ্ডলীগুলি দ্বারা শিষ্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার আন্দোলনগুলিকে ব্যাখ্যা করতে ব্যবহার করি৷) ২০০৭ সালের মধ্যে, মিশিওলজিস্ট’রা  ৩০ টিরও বেশী সি.পি.এম.গুলির গতিবিধির প্রতি লক্ষ্য রেখেছে৷ ২০১০ সালে, তারা ৬০টিরও বেশী গণনা করতে পেরেছিল, যার মধ্যে বেশির ভাগ একে অপর থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্রভাবে শুরু করেছিল৷ তারপরে সংখ্যাটি ১০০ ছাড়িয়ে যায়৷ যেখানে বেশীর ভাগ আন্দোলনগুলি ধৈর্য্য ধরেছিল ও কিছুটা শেষ হয়ে গেলেও, অবিরত হারানোদের কাছে পৌঁছানোর জন্য শিক্ষা ও সংখ্যায় বৃদ্ধি করার জন্য কর্মীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতার আন্দোলনকে চালু রাখে৷ 

আন্দোলনগুলি যেমন অবিরত সংখ্যায় বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং প্রভাবে ছড়িয়ে পড়ে, অনেক নেতারা বুঝতে পেরেছিল যে এটি হলো মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলনের উপর আত্মার হাওয়া বাহিত হচ্ছে৷ লক্ষ লক্ষ নতুন বিশ্বাসীরা রাজ্যে প্রবেশ করছিল৷ এটি সময় ছিল পাল তুলে ধরার৷

একটি সম্প্রদায়ের জন্ম 

২০১৭ সালে, ২৪:১৪ এর জন্মগ্রহণ দু’টি আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলনের পর হয়েছিল যেখানে মিশন সংগঠন, মণ্ডলী, যোগাযোগ ও আন্দোলনগুলির বিশ্বব্যাপী নেতারা জমায়েত হয়েছিলেন যারা ইতিমধ্যেই সি.পি.এম.এর দ্বারা সুসমাচার অপ্রাপ্তদের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলেন৷ আমরা একটি সাধারণ প্রশ্নে জড়িয়ে পড়িঃ

আমাদের প্রজন্মের প্রতিটি সুসমাচার অপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও স্থানের মধ্যে একত্রে প্রার্থনা ও কার্যের দ্বারা রাজ্যের আন্দোলনগুলি শুরু করতে আমাদের কি করতে হবে ?”

পবিত্র আত্মা ২৪:১৪ এর শীর্ষ সম্মেলনে অংশকারীদের সুসমাচার অপ্রাপ্তদের নিযুক্ত করার জন্য নম্রভাবে এক সমন্বিত প্রচেষ্টায় অনুধাবন করতে চালিত করেন – বিশেষত ২০২৫ সালের মধ্যে ত্যাগী তৎপরতার সাথে মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলনগুলির দ্বারা৷ ফলাফলস্বরূপ, আমরা একই মনোবৃত্তির সংগঠন, মণ্ডলী ও বিশ্বাসীদের একটি বিশ্বব্যাপী জোট শুরু করি – ঈশ্বরের-আকারবিশিষ্ট এই দর্শনকে পরিপূর্ণ হতে দেখতে – যা ২৪:১৪ হিসাবে পরিচিত৷

একত্রে গড়ে তোলা 

২০১৭ সাল থেকে, আমরা সেই দর্শনকে একত্রে তীক্ষ্ণ করে চলেছিঃ প্রত্যেক স্থানের প্রত্যেক ব্যক্তি এক বিশ্বাসীদের সম্প্রদায়ের সাথে একটি মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলনে যীশু খ্রীষ্টের শিষ্যদের সংখ্যাবৃদ্ধির প্রতি মনোনিবেশ করে৷ আমরা ভালো ভূমিতে এই বীজ পড়তে দেখি ও রাজার জন্য উপযুক্ত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত একটি ফসলে পরিণত হওয়ার প্রতি নজর রাখি এবং কার্য করি৷

২৪:১৪ হলো একটি সহযোগী সম্প্রদায় যারা মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলনগুলির অনুঘটন ও সমর্থন করতে সাহায্য করে৷ আমরা কোনো সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলন করি না; আমরা একমাত্র যীশু খ্রীষ্টের সেবার জন্য সহযোগী ঐক্যের মধ্যে কার্য করি৷

Categories
কোর ভিশন

মহান আদেশ পূর্ণ করার জন্য আমাদের কি মূল্য প্রদান করতে হবে?

মহান আদেশ পূর্ণ করার জন্য আমাদের কি মূল্য প্রদান করতে হবে?

– স্ট্যান পার্কস দ্বারা লিখিত –

যীশু তাঁর শিষ্যদের প্রতি শেষ আজ্ঞায় (মথি ২৮:১৮-২০), সেই সময়কালীন এবং বর্তমান সময়ের – সমস্ত শিষ্যদের জন্য একটি আশ্চর্য পরিকল্পনা স্থাপন করেছিলেন ।

আমরা সেই নামেতে যাই যে নামে স্বর্গে এবং পৃথিবীতে সমস্ত  কর্তৃত্ব প্রদান করা হয়েছে আমরা পবিত্র আত্মার শক্তি গ্রহণ করি, যখন আমরাআমাদের যিরূশালেম, যিহুদীয়া, শমরিয়া (নিকটবর্তী “শত্রু”) এবং পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত লোকদের কাছে যাই যীশু আমাদেরকে সমস্ত জাতির (এথনে) লোকদের শিষ্য করতে, পিতা – পুত্র – পবিত্র আত্মার নামে তাদের বাপ্তিষ্ম দিতে এবং তিনি যা আদেশ করেছেন সেই সমস্তকিছুর তাদের আজ্ঞা পালন করার জন্য শিক্ষা দিতে আহ্বান করেছেন এবং তিনি সর্বদা আমাদের সহবর্তী আছেন

মহান আদেশ পরিপূর্ণ করার জন্য আমাদের কি মূল্য প্রদান করতে হবে ? “অবশিষ্ট কাজ” উপলব্ধি করার জন্য, আমরা “অগম্য,” “সুসমাচার অপ্রাপ্ত,” “অনিযুক্ত,” এবং “স্বল্প-গম্য” -এর মতো শব্দগুলি ব্যবহার করে থাকি

আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই শব্দগুলি একটির পরিবর্তে আরেকটি ব্যবহার করে থাকি এটি অত্যন্ত বিপদজ্জনক হতে পারে, কারণ এইগুলির অর্থ এক নয়, এবং আমরা যখন এগুলি ব্যবহার করি তখন একই অর্থের জন্য ব্যবহার নাও করতে পারি

“অগম্য” শব্দটি চিকাগো শহরে মিশিওলজিস্টদের একটি আলোচনা সভায় প্রথম সংজ্ঞায়িত করা হয় ক্ষণিক বাদেই অগম্য লোকদের ধারনাটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এর সংজ্ঞা এইরূপ হয়, “একটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে যেখানে কোন মণ্ডলী নেই যারা সেই অঞ্চলে সীমান্ত পর্যন্ত বহিরাগত কোন ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষদের সাহায্য ছাড়া সুসমাচার প্রচার করা যেতে পারে

“সুসমাচার অপ্রাপ্ত,” শব্দটি সাধারণত বহুক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, যার সংজ্ঞা ওয়ার্ল্ড ক্রিশ্চিয়ান এনসাইক্লোপিডিয়া-তে প্রকাশ করা হয়, কোন জনগোষ্ঠীর মধ্যে এমন লোকদের সংখ্যা নির্ধারণ করার জন্য গাণিতিক সমীকরণ যা তাদের জীবদ্দশায় অন্ততঃ একবার সুসমাচার শোনার সুযোগ করে দেবে এটি সেই সমস্ত লোকদের সংখ্যার একটি মাপদন্ড যাদের সুসমাচার শোনার সুযোগ হয়েছে একটি জনগোষ্ঠী, উদাহরণস্বরূপ, ৩০% সুসমাচারপ্রাপ্ত, যার অর্থ হল গবেষকরা হিসাব করেছেন যে ৩০% মানুষ সুসমাচার শুনেছেন এবং ৭০% মানুষ এখনও সুসমাচার শুনেনি এটি স্থানীয় মণ্ডলীর গুণমান বা তাদের নিজস্ব কাজটি শেষ করার দক্ষতার বিবৃতি নয়

“অনিযুক্ত” শব্দটি তৈরি হয়েছিল সম্পূর্ণকৃত কাজ দ্বারা এবং সংজ্ঞায়িত হয়েছিল এক দলগোষ্ঠী যার মণ্ডলী স্থাপনের কৌশল প্রস্তুতকারী কোন দলের অভাব রয়েছে প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষের মধ্যে যদি দুটি বা তিনটি দল রয়েছে যারা মণ্ডলী স্থাপনের কৌশল ব্যবহারের জন্য “নিযুক্ত,” তাহলে এটি “নিযুক্ত” (তবে এটি অবশ্যই যথেষ্ট নয়)সম্পূর্ণকৃত কাজ অন্যান্য তালিকা থেকে অনিযুক্ত লোকদের তালিকা প্রস্তুত করে

“স্বল্প-গম্য” এটি একটি সাধারণ শব্দ যা অবশিষ্ট কাজের মূল বিষয়টিকে প্রকাশ করে এর কোন নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই, এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়, যখন কোন নির্দিষ্ট সংজ্ঞার প্রয়োজন হয় না

কাজটি কি?

২৪:১৪-এর লক্ষ্যটি হল সেই প্রজন্মের অংশীদার হওয়া যারা মহান আদেশ পরিপূর্ণ করবে এবং আমরা মনে করি এই মহান আদেশ (সমস্ত জাতির মধ্যে শিষ্য তৈরি করা) সম্পূর্ণ করার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় হল সমস্ত জাতি এবং স্থানে ঈশ্বরের রাজ্যের আন্দোলন শুরু করা

অগম্য, সুসমাচার অপ্রাপ্ত, অনিযুক্ত এবং স্বল্প-গম্য – এই সমস্ত শব্দগুলি – বিভিন্ন উপায়ে সাহায্যকারী তথাপি এগুলি বিভ্রান্তিকর এবং এমনকি প্রতিকূল হতে পারে, যা নির্ভর করছে কিভাবে এই শব্দগুলি ব্যবহৃত হচ্ছে

আমরা চাই প্রত্যেকে সুসমাচার প্রাপ্ত হোক, কিন্তু শুধু সুসমাচারপ্রাপ্ত নয় অন্য অর্থে, প্রত্যেকের শুধুমাত্র সুসমাচার শোনাই যথেষ্ট নয় আমরা জানি যে “প্রত্যেক দেশ, গোষ্ঠী, বংশ  ও ভাষার” লোকদের মধ্যে শিষ্য তৈরী হবে (প্রকাশিত বাক্য ৭:৯)

আমরা দেখতে চাই যে, প্রত্যেক গোষ্ঠীর লোকের কাছে পৌঁছানো গেছে – এমন একটি মণ্ডলী যারা নিজেদের আশেপাশের লোকদের মধ্যে সুসমাচার প্রচার করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী কিন্তু আমরা যে এই সবই চাই তা নয় যোশুয়া প্রজেক্ট বলে যে একটি সুসমাচার প্রাপ্ত লোকদের মধ্যে ২% খ্রীষ্টানরা সুসমাচার প্রচারের কাজ করে থাকে এর অর্থ হল তাদের হিসাবে সেই ২% লোকেরা ৯৮% অবশিষ্ট লোকদের সুসমাচার প্রচার করতে পারে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কিন্তু আমরা কখনই সন্তুষ্ট হতে পারি না যদি একটি জনগোষ্টীর কেবলমাত্র ২% লোক যীশুর অনুসারী হয়

আমরা প্রত্যেক জনগোষ্ঠীকে নিযুক্ত দেখতে চাই কিন্তু কেবলমাত্র নিযুক্ত নয় আপনি কি চান আপনার শহরের ৫০ লক্ষ বা ১ কোটি মানুষের মধ্যে কেবলমাত্র দুইজন লোক সুসমাচার প্রচারের কাজ করুক ?

মহান আদেশের প্রকৃত ভাষায় এই পদগুলির মধ্যে একটি মূল আদেশ স্পষ্টরূপে ব্যক্ত আছেঃ শিষ্য তৈরি করা (ম্যাথেতিউসাতে)কেবলমাত্র ব্যক্তিগত ভাবে শিষ্য নয়, কিন্তু একটি জাতিকে শিষ্য করা (এথনে) – একটি সম্পূর্ণ জাতিগত গোষ্ঠী অন্যান্য ক্রিয়াগুলি (“যাও,” “বাপ্তিষ্ম দেও,” “শিক্ষা প্রদান কর”) যা মূল আদেশকে সমর্থন করে – সমস্ত জাতির লোকদের শিষ্য করা

 

গ্রীক শব্দ এথনোস্ (এথনে শব্দটির একবচন)-এর সংজ্ঞা হল “একটি জাতির লোকসমূহ যারা আত্মীয়তা, সংস্কৃতি এবং সাধারণ ঐতিহ্য, বংশ ও লোকদের দ্বারা একজোট থাকে” প্রকাশিত বাক্য ৭:৯ পদ, “এথনে” (“জাতি”) শব্দটির একটি চিত্র প্রকাশ করে যে কাদের কাছে পৌঁছাতে হবে, এই পদে আরো তিনটি ব্যাখ্যামূলক শব্দের ব্যবহার করা হয়েছেঃ জাতি, বংশ এবং ভাষা – সাধারণ পরিচয়-সহ বিভিন্ন গোষ্ঠী

১৯৮২ সালে লসেন-এর আলোচনায় সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছিলঃ “সুসমাচার প্রচারের উদ্দেশ্যে, একটি জনগোষ্ঠী হল বৃহত্তম দল যার মধ্যে সুসমাচার উপলব্ধি করার বা গ্রহণ যোগ্যতার কোন বাধার সম্মুখীন না হয়েও মণ্ডলী স্থাপনের আন্দোলন হিসাবে ছড়িয়ে পড়ে

আমরা কিভাবে একটি সম্পূর্ণ দেশ, জাতি, বংশ বা ভাষাকে শিষ্য হিসাবে প্রস্তুত করতে পারি ?

আমরা প্রেরিত ১৯:১০ পদে একটি উদাহরণ দেখতে পাই, যেখানে বলা হয়েছে এশিয়াস্থ সমস্ত অঞ্চলের (১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ!) যিহুদী এবং গ্রীকেরা দু’বছরের মধ্যে “ঈশ্বরের বাক্য শুনেছিল”রোমীয় ১৫:১৯-২৩ পদে পৌল বলেছেন যে যিরুশালেম থেকে শুরু করে ইল্লুরিকা পর্যন্ত এমন কোন স্থান ছিল না যেখানে তাঁর সুসমাচার প্রচারের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি

তাহলে মহান আদেশ পূর্ণ করার জন্য আমাদের কি করতে হবে ? নিশ্চিতভাবে কেবলমাত্র ঈশ্বরই বিচার করতে পারেন যে পরিশেষে কখন মহান আদেশ “পরিপূর্ণ হবে”তথাপি আমাদের লক্ষ্য হল প্রত্যেক জাতির (এথনোস্) লোকদের শিষ্য তৈরি করা, যার ফলাফল হল মণ্ডলী শিষ্যেরা নিজের জীবন দিয়ে ঈশ্বরের রাজ্যকে প্রকাশ করবে – মণ্ডলীর ভিতরে এবং বাইরে – তাদের সমাজকে পরিবর্তন করবে এবং নিয়মিতভাবে নতুন লোকদের ঈশ্বরের রাজ্যে নিয়ে আসবে

রাজ্যের আন্দোলনে নিযুক্তিকরণ

এই কারণেই যারা ২৪:১৪ দর্শনে অঙ্গীকার করেছেন তাদের মূল লক্ষ্য হল রাজ্যের আন্দোলনে নিযুক্তিকরণ আমরা উপলব্ধি করেছি যে কেবলমাত্র একটি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত শিষ্য, মণ্ডলী এবং নেতাদের আন্দোলনই সমগ্র সম্প্রদায়, ভাষাগোষ্ঠী, শহর এবং জাতিকে শিষ্য করতে পারে

অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিশনের বিষয়ে আমরা কেবলমাত্র জিজ্ঞাসা করেছিঃ “আমি কি করতে পারি ?” কিন্তু আমাদের জিজ্ঞাসা করতে হবেঃ মহান আদেশ পরিপূর্ণ করার ক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব পালন করার জন্য আমাদের “কি করা উচিত ?”

আমরা শুধু বলতে পারি না, “আমি যাব এবং কিছু মানুষের আত্মা জয় করার প্রচেষ্টা করবো এবং মণ্ডলী স্থাপন করতে শুরু করবো ” আমাদের জিজ্ঞাসা করতে হবেঃ “কি করলে কোন একটি নির্দিষ্ট এথনোস্ (জাতিকে) অথবা বিভিন্ন এথনে গুলিকে শিষ্য করা যায় ?”

প্রতিকূলতামূলক একাধিক দেশের একটি অঞ্চলে, একটি মিশন দল বিভিন্ন স্থানে সেবা করতে শুরু করে এবং তারা দেখতে পায় যে তিন বছরের মধ্যে ২২০টি মণ্ডলী স্থাপিত হয়েছে এটি অত্যন্ত উত্তম ফলাফল, বিশেষতঃ তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কঠিন এবং প্রতিকূলতামূলক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে কিন্তু এই দলের একটি দর্শন ছিল, যেন তারা নিজেদের সমস্ত অঞ্চলকে শিষ্য হতে দেখতে পারে

তাদের প্রশ্ন ছিলঃ “আমাদের প্রজন্মের এই অঞ্চলের সমস্ত লোকদের শিষ্য করার জন্য আমাদের কি মুল্য প্রদান করতে হবে ?” উত্তর ছিল যে একটি দৃঢ় সূচনার (একটি আরম্ভ – সমাপ্তি নয়) জন্য প্রায় ১০,০০০ মণ্ডলী স্থাপন করা প্রয়োজন সেকারণে, তিন বছরে ২২০টি মণ্ডলী স্থাপন করা যথেষ্ট নয়!

ঈশ্বর তাদের দেখিয়েছেন যে তাদের অঞ্চলের সর্বত্র পৌঁছানোর জন্য তাদের এমন মণ্ডলী স্থাপন করতে হবে যারা দ্রুত গতিতে নিজেদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে তারা সমস্তকিছু পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত ছিল যখন ঈশ্বর সেখানে সিপিএম প্রশিক্ষকদের প্রেরণ করেছিলেন, তারা ঈশ্বরের বাক্য থেকে যাচাই করেন ও প্রার্থনা করেন এবং কিছু মৌলিক পরিবর্তন করেন ফলস্বরূপ আজ পর্যন্ত, ঈশ্বর সেই অঞ্চলে  ৭,০০০টির ও এর বেশি মণ্ডলী স্থাপন করেছেন

একজন এশিয়া নিবাসী পালক ১৪ বছরে ১২টি মণ্ডলী স্থাপন করেছিলেন এটি উত্তম ফলাফল ছিল, কিন্তু এটি সেই অঞ্চলের হারিয়ে যাওয়া মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করতে পারছিল না ঈশ্বর তাকে এবং তার সহকর্মীদের দর্শন দিলেন যে সমগ্র উত্তর ভারতের কাছে ঈশ্বরের বাক্য পৌঁছানোর কাজে তারাও অংশীদার হবে তারা প্রথাগত পদ্ধতিগুলি নিজেদের মধ্যে থেকে অপসারণ করার কঠিন প্রচেষ্টা করতে এবং আরো বেশী করে বাইবেল-ভিত্তিক কৌশলগুলি শিখতে শুরু করলেন আজকে প্রায় ৩৬,০০০ মণ্ডলী সেখানে স্থাপিত হয়েছে এবং এটি কেবলমাত্র সেই কাজের সূচনা যার জন্য ঈশ্বর তাদের আহ্বান করেছেন

পৃথিবীর আরেকটি সুসমাচার অপ্রাপ্ত স্থানে ঈশ্বর ব্যাপকভাবে আন্দোলনের কাজ শুরু করেছেন যেখানে একটি ভাষাগোষ্ঠী থেকে সাতটি ভিন্ন ভাষাগোষ্ঠী এবং পাঁচটি বড় শহরে আন্দোলনের কাজ প্রসারিত হয়েছে তারা প্রায় ১ কোটি থেকে ১.৩ কোটি মানুষকে ২৫ বছরের মধ্যে বাপ্তিষ্ম প্রদান করেছেন কিন্তু এটি তাদের মূল লক্ষ্য নয় যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে বহুল পরিমাণ মানুষকে ঈশ্বরের রাজ্যে নিয়ে আসার পরে তাদের অনুভূতিটি কেমন ছিল, তাঁদের নেতাদের মধ্যে একজন মন্তব্য করেন, “যারা পরিত্রাণ-প্রাপ্ত হয়েছে, তারা আমার লক্ষ্য নয় আমি তাদের উপরে লক্ষ্য রাখি যাদের কাছে পৌঁছতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি – কোটি কোটি মানুষ এখনও অন্ধকারে আছে কারণ আমাদের যা করা উচিত ছিল আমরা তা এখনও করতে পারিনি”

এই আন্দোলনের একটি চিহ্ন হল একজন ব্যক্তি অথবা একটি দল ঈশ্বরের-আকারযুক্ত দর্শন গ্রহণ করে যেন একটি অঞ্চলের বিভিন্ন দেশগুলি ঈশ্বরের রাজ্য দ্বারা পরিপূর্ণ হতে পারে সমগ্র সুসমাচার অপ্রাপ্ত গোষ্ঠীর – ৮০ লক্ষ, অথবা ১ কোটি ৪০ লক্ষ অথবা ত্রিশ লক্ষ সংখ্যা যুক্ত – লোকদের সুসমাচারপ্রাপ্ত হতে দেখা – যার জন্য প্রত্যেকে যেন সুসমাচারের প্রতি নিজেদের প্রতিক্রিয়া দেবার সুযোগ পায় তারা জিজ্ঞাসা করেঃ “আমরা কি করতে পারি ?” তা নয়, কিন্তু “কি ঘটতে পারে ?” যার ফলাফল অনুযায়ী তারা ঈশ্বরীয় পদ্ধতির উপযুক্ত এবং তাঁর শক্তিতে পরিপূর্ণ হয় তারা স্বয়ং-বৃদ্ধিপ্রাপ্ত মণ্ডলী স্থাপনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যার ফলে নতুন শিষ্য তৈরি হয় এবং সমগ্র গোষ্ঠীর পরিবর্তন হয়

প্রতিটি অগম্য লোকদের মাঝে এবং স্থানে পৌঁছানো ২৪:১৪ আন্দোলনের প্রাথমিক লক্ষ্য নয় এটি প্রত্যেক ব্যক্তি ও স্থানের কেবলমাত্র সূচনা (উদাহরণ, সেইস্থানের জনগোষ্ঠীগুলি) আমরা কখনও সমস্ত জনগোষ্ঠীর মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব না, যতক্ষণ না সমস্ত জনগোষ্ঠীর মধ্যে সেইকাজ শুরু হচ্ছে

মহান আদেশ পূর্ণ করার জন্য কি মুল্য প্রদান করতে হবে ?

প্রত্যেকটি মানুষ এবং স্থানে রাজ্যের আন্দোলনের সূচনা দেখতে হলে, আমরা কেবলমাত্র কৌশল এবং পদ্ধতি নির্ধারনের উপরে নির্ভরশীল হয়ে থাকতে পারি না ঈশ্বর প্রারম্ভিক মণ্ডলীকে যে গতিশীলতা দিয়েছিলেন তা অনুসরণ করার জন্য আমাদের প্রস্তুত এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে সেই সময়ে সেই অঞ্চলে এমন কোন স্থান বাকী ছিল না যেখানে যীশু খ্রীষ্টের সুসমাচার প্রচার করা হয়নি

সেই পরিস্থিতিতে ফেরার জন্য আমাদের মণ্ডলীগুলিকে কি মূল্য প্রদান করতে হবে ?

আর তাহারা প্রেরতিদের শিক্ষায় ও সহভাগিতায়, রুটি ভাঙ্গায় ও প্রার্থনায় নিবিষ্ট থাকিল তখন সকলের ভয় উপস্থিত হইল, এবং প্রেরিতগণ কর্তৃক অনেক অদ্ভুত লক্ষণ ও চিহ্ন-কার্য্য সাধিত হইত আর যাহারা বিশ্বাস করিল, তাহারা সকলে একসঙ্গে সমস্তই সাধারণে রাখিত; আর স্থাবর অস্থাবর সমস্ত বিক্রয় করিয়া, যাহার যেমন প্রয়োজন, তদনুসারে সকলকে অংশ করিয়া দিত আর তাহারা প্রতিদিন একচিত্তে ধর্ম্মধামে নিবিষ্ট থাকিয়া এবং বাটীতে রুটি ভাঙ্গিয়া উল্লাসে ও হৃদয়ের সরলতায় খাদ্য গ্রহণ করিত; তাহারা ঈশ্বরের প্রশংসা করিত, এবং সমস্ত লোকের প্রীতির পাত্র হইল আর যাহারা পরিত্রাণ পাইতেছিল, প্রভু দিন দিন তাহাদিগকে তাহাদের সহিত সংযুক্ত করিতেন (প্রেরিত ২:৪২-৪৭)

কর্তৃপক্ষের সম্মুখে পিতর এবং যোহনের মত প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে আমাদের কি মুল্য প্রদান করতে হবে ?

ঈশ্বরের কথা অপেক্ষা আপনাদের কথা শোনা ঈশ্বরের সাক্ষাতে বিহিত কিনা, আপনারা বিচার করুন; কারণ আমরা যাহা দেখিয়াছি ও শুনিয়াছি, তাহা না বলিয়া থাকিতে পারি না (প্রেরিত ৪:১৯-২০)

আমাদের কি করতে হবে যেন প্রভু সেই সাহসিকতা এবং মহান অলৌকিক কাজ ও চিহ্ন কার্য্য প্রদান করেন, যা সমগ্র প্রেরিত পুস্তকে লিপিবদ্ধ আছে ?

আর এখন হে প্রভু উহাদের ভয় প্রদর্শনের প্রতি দৃষ্টিপাত কর; এবং তোমার এই দাসদিগকে সম্পূর্ণ সাহসের সহিত তোমার বাক্য বলিবার ক্ষমতা দেও, আরোগ্য – দানার্থে তোমার হস্ত বিস্তার কর; আর তোমার পবিত্র দাস যীশুর নামে চিহ্ন – কার্য্য ও অদ্ভুত লক্ষণ সাধিত হয় তাঁহারা প্রার্থনা করিলে, যে স্থানে তাঁহারা সমবেত হইয়াছিলেন, সেই স্থান কাঁপিয়া উঠিল; এবং তাঁহারা সকলেই পবিত্রআত্মায় পরিপূর্ণ হইলেন ও সাহস পূর্ব্বক ঈশ্বরের বাক্য বলিতে থাকিলেন (প্রেরিত ৪:২৯-৩১)

প্রেরিত ৭ অধ্যায়ে স্তিফানের মত আমরাও মৃত্যুবরণ করতে প্রস্তুত হবার জন্য আমাদের কি করতে হবে ?

সুসমাচার ছড়িয়ে পড়ার কারণে প্রেরিত ৮:১-৩ পদে লিপিবদ্ধ অত্যাচারের মতো মহান তাড়না সহ্য করার জন্য প্রস্তুত হতে আমাদের কি মুল্য প্রদান করতে হবে ?

আমাদের “শত্রুদের” কাছে সুসমাচার পৌঁছানোর জন্য আমাদের কি করতে হবে, যে ভাবে ফিলিপ শমরিয়াতে সুসমাচার প্রচার করেছিলেন যা প্রেরিত ৮:৫-৮ পদে লেখা আছে ?

আমাদের কি মূল্য প্রদান করতে হবে সেই সমস্ত লোকদের জন্য প্রার্থনা করতে এবং সুসমাচার প্রচার করে তাদের জীবন পরিবর্তন করতে যারা খ্রীষ্টানদের উপর এই সময় অত্যাচার করে চলেছে ? আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে যে তারাও পৌলের মত মহান মিশনারীতে পরিবর্তিত হতে পারে ?

নিজেদের স্বার্থপরতা থেকে মুক্ত হতে আমাদের কি মুল্য প্রদান করতে হবে, যেন আমরা অন্যদেরকেও সমানভাবে গুরুত্ব দিতে পারি, এবং উপলব্ধি করতে পারি পিতর যেমন বলেছিলেনঃ

“আমি সত্যি বুঝিলাম, ঈশ্বর মুখাপেক্ষা করেন না; কিন্তু প্রত্যেক জাতির মধ্যে যে কেহ তাঁহাকে ভয় করে এবং ধর্ম্মাচরণ করে, সে তাঁহার গ্রাহ্য হয়” (প্রেরিত ১০:৩৪-৩৫)

পৌলের মত কাজ করতে ও ক্লেশ ভোগ করতে আমাদের কি মুল্য প্রদান করতে হবে, যেমন পৌল বলেছেনঃ

আমি অধিকতররূপে; আমি পরিশ্রমে অতিমাত্ররূপে, কারাবন্ধনে অতিমাত্ররূপে, প্রহারে অতিরিক্তরূপে, প্রাণসংশয়ে অনেক বার৷ যিহূদীদের হইতে পাঁচবার ঊনচল্লিশ আঘাত প্রাপ্ত হইয়াছি তিন বার বেত্রাঘাত, এক বার প্রস্তরাঘাত, তিন বার নৌকাভঙ্গ সহ্য করিয়াছি, অগাধ জলে এক দিবারাত্র যাপন করিয়াছি; যাত্রায় অনেক বার, নদীসঙ্কটে, স্বজাতি-ঘটিত সঙ্কটে, পরজাতি-ঘটিত সঙ্কটে, নগরসঙ্কটে, মরুসঙ্কটে, সমুদ্রসঙ্কটে, ভাক্ত- ভ্রাতৃগণের মধ্যে ঘটিত সঙ্কটে, পরিশ্রমে ও আয়াসে, অনেক বার নিদ্রার অভাবে, ক্ষুধায় ও তৃষ্ণায়, অনেক বার অনাহারে, শীতে ও উলঙ্গতায় আর সকল বিষয়ের কথা থাকুক, একটি বিষয় প্রতিদিন আমার উপরে চাপিয়া রহিয়াছে  – সমস্ত মণ্ডলীর চিন্তা (২য় করিন্থীয় ১১:২৩খ-২৮)

নতুন নিয়মের সময়ে যেরূপ মণ্ডলী স্থাপিত হয়েছিল সেইরূপ মণ্ডলী স্থাপনের জন্য আমাদের কি মূল্য প্রদান করতে হবে ?

প্রত্যেক জাতির কাছে সাক্ষ্যরূপে সুসমাচার প্রচার করার জন্য আমাদের কি মুল্য প্রদান করতে হবে (মথি ২৪:১৪) ?

 

 

স্ট্যান পার্কস, পি এইচ ডিঃ ২৪:১৪ সন্ধির (সুবিধার্থী দল), বিয়ন্ড (ভাইস প্রেসিডেন্ট গ্লোবল স্ট্রাটেজিস), এবং এথনে (নেতৃত্বদানকারী দল) এর সাথে কাজ করেছেন তিনি বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সিপিএমের শিক্ষক ও প্রশিক্ষক এবং তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে সুসমাচার অপ্রাপ্তদের মধ্যে বসবাস ও তাদের সেবা করেছেন৷

এই উপাদানটি ২৪:১৪ বই-এর ১৩৯-১৪৪, ১৪৭ পৃষ্ঠায় প্রথম উল্লেখিত হয় – সমস্ত লোকেদের পক্ষে সাক্ষ্য ২৪:১৪ থেকে বা অ্যামাজন-এ উপলব্ধ৷

 

  1. পরবর্তী ৭টি অনুচ্ছেদ https://justinlong.org/2015/01/unreached-is-not-unevangelized-is-not-unengaged/ এই লিঙ্কটি থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে এবং সম্পাদনা করা হয়েছে এই শব্দগুলি সম্পর্কে আরো জানতে এই প্রবন্ধটি পাঠ করুন
  2.  যেভাবে “২৪:১৪ দর্শন”: ২৪:১৪ এ ব্যাখ্যা করা হয়েছে –  সমস্ত লোকেদের প্রতি একটি সাক্ষ্য, পৃষ্ঠা. ২-৩৷
  3.  এ গ্রীক-ইংলিশ লেক্সিকন অফ দ্য নিউ টেস্টামেন্ট অ্যান্ড আদার আরলি ক্রিস্টিয়ান লিটারেচার, তৃতীয় সংস্করণ, ২০০০ ফ্রেডরিক উইলিয়াম ড্যাঙ্কার-এর দ্বারা সংস্করণ এবং সম্পাদন করা হয়েছে, যা পূর্ববর্তী ইংরাজী সংস্করণের উপরে আধারিত, যা লিখেছিলেন ডব্লুই. এফ আর্ন্ড, এফ. ডব্লুই. গিঙরিচ, এবং এফ. ডব্লুই ড্যাঙ্কার শিকাগো এবং লণ্ডনঃ ইউনিভার্সিটি অফ চিকাগো প্রেস, পৃষ্ঠা ২৭৬
  4. এই বৃহৎ সংখ্যক মানুষদের গণনা করা বা তথ্য সংগ্রহ করা সহজ কাজ নয়, সে কারণে এটি একটি আনুমানিক সংখ্যা ।