আন্দোলনগুলির কোভিড-১৯-এর প্রতি প্রতিক্রিয়া – ভাগ ১
– ডেভ কোল্স দ্বারা সংকলিত –
সমগ্র বিশ্ব কোভিড-১৯ মহামারী দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে৷ বিভিন্ন দেশ, অঞ্চল, গোষ্ঠীগুলি বিভিন্নরূপে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে৷ একটি একক ভাইরাস একটি বিস্তৃত পরিসর ফলাফল ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে এসেছে৷ যেখানে বিশ্বজুড়ে ভয় ও আত্ম-সুরক্ষা অনেকের হৃদয়কে আয়ত্ত করে রেখেছে, সেখানে মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলনের ঈশ্বরের সন্তানেরা এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে নানান উপায়ে ঈশ্বরের রাজ্যকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করার জন্য প্রতিক্রিয়া জানায়৷ “আমরা সবাই একই ঝড়ের মধ্যে আছি, কিন্তু আমরা সবাই একই নৌকায় নেই৷”
“আমরা সবাই একই ঝড়ের মধ্যে আছি, কিন্তু আমরা সবাই একই নৌকায় নেই৷”
বিশ্বের বিভিন্ন অংশের আন্দোলনের নেতারা ঈশ্বরের লোকেদের মধ্যে তাদের নিজ নিজ অবস্থানের নিম্নোক্ত কিছু প্রতিক্রিয়াগুলি জানিয়েছেন৷
আফ্রিকার এক নেতা বললেনঃ “মানুষেরা তাদের প্রতিবেশীদের সম্পর্কে ইচ্ছাপূর্বক ভাবে চিন্তা করছে – শারীরিক ও আত্মীক উভয় চাহিদাগুলি সম্পর্কে৷” দক্ষিণ এশিয়ার এক নেতা এভাবে জানালেনঃ “যত বেশী জনকে সম্ভব আমরা খাওয়াচ্ছি কারণ যীশু খ্রীষ্ট খাইয়েছিলেন; তারপরে আমরা তাদের বলি যে যীশু খ্রীষ্ট আত্মীক খাদ্যও দিয়েছিলেন এবং জিজ্ঞেস করি তারাও যদি আত্মীক খাদ্য চায়৷ তারা এই লকডাউনে থাকা সত্বেও, আমি কখনো এতবেশী লোকেদের বিশ্বাসে আসতে দেখি নি৷” অন্য এক নেতা কিছু ব্যক্তিদের বলিদানের ব্যাখ্যা করেন, অন্যদের আশির্বাদ করার জন্যঃ “বর্তমানে আমাদের ৩০জন ব্যক্তি নিজেদের এক বেলার খাওয়া পরিত্যাগ করে খাদ্য বিতরণ করছেন৷”
এই হাত-খোলা আশির্বাদ করার প্রক্রিয়া প্রভু যীশুর নামে বহু স্থানে সুসমাচারের ফল উৎপাদন করছে৷
এই হাত-খোলা আশির্বাদ করার প্রক্রিয়া প্রভু যীশুর নাম বহু স্থানে সুসমাচারের ফল উৎপাদন করছে৷ এশিয়ার এক নেতা বললেনঃ “লকডাউন থেকে আমরা ৩৫টি নতুন গৃহমণ্ডলী শুরু করেছি এবং প্রায় ৩০০০ লোকেদের খাদ্য প্রদান করেছি৷ তাদের মধ্যে অনেকেই খ্রীষ্টে এসেছে এবং আমরা লকডাউনের পর অন্যান্য প্রদেশে ছত্রভঙ্গ হয়ে ছড়িয়ে থাকা লোকদের অনুসরণের পরিকল্পনা করছি৷ প্রতিবেশীদের আশির্বাদ দেওয়ার জন্য, তাদের জন্য প্রার্থনা করা, এবং স্বল্পজন গিয়ে সাক্ষাৎ করার জন্য আমরা বিশ্বাসীদের উৎসাহিত করছি৷ প্রত্যেক গৃহমণ্ডলী তাদের প্রতিবেশীদের আশির্বাদ দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে৷ প্রায় প্রতিদিনই, বিশ্বাসীরা বাইরে যাচ্ছে, এবং এখনও পর্যন্ত ৪০০০ ব্যক্তিদের প্রচার করেছে, ও ৬৩৪ জন বিশ্বাস করেছে৷”
আবার, দক্ষিণ এশিয়া থেকেঃ আমাদের জাতীয় অংশীদাররা চাহিদাপূরণ ও খাদ্য সরবরাহের জন্য সুযোগের সনাক্তকরণ করে একটি দুর্দান্ত কাজ করেছেন৷ তারা সুসমাচার প্রচারের প্রত্যেকটি সুযোগ গ্রহন করেছে ও ক্ষেত্র জুড়ে অসংখ্য পরিত্রাণ দেখেছে৷ এমনকি লকডাউন থাকা সত্বেও কয়েকটি বাপ্তিস্মও হয়েছে ! খাদ্য বিতরণ সুসমাচার প্রচার ও অনুসরণের জন্য একটি প্রাকৃতিক সুযোগের দ্বার খুলে দিচ্ছে৷ আমাদের নেতারা সামাজিক প্রতিবন্ধকতার উপর স্থানীয় বিধিনিষেধগুলির প্রতি অত্যন্ত সতর্ক ও সচেতন এবং অনেক ক্ষেত্রে খাদ্য সবরাহের জন্য আধিকারিকদের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি সংগ্রহ করতে হয়েছে৷”
অন্য এশীয় নেতাদের প্রতিবেদনগুলিঃ “আমাদের অনেক নেতারা আমাদের না জানিয়ে, তাদের প্রতিবেশীদের পরিচর্যা করেন ও খাবার বানিয়ে দেন; তারা ইচ্ছাকৃতভাবে দিয়েছেন ও তাদের প্রয়োজনকে দেখেছেন৷” তিনি যোগ করেনঃ “আমাদের শিষ্য তৈরী করার প্রতি কেন্দ্রীভূত হতে হবে; এখন এটি [ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া] পাওয়া অনেক সহজ কিন্তু আমাদের তাদেরকে ঈশ্বরের বাক্য থেকে খাওয়াতে হবে৷”
আন্দোলনের নেতারা সুযোগের জন্য ঈশ্বরের বুদ্ধির খোঁজ করছে – শুধুমাত্র বর্তমান সঙ্কটের জন্য নয়, কিন্তু ভবিষ্যতের জন্যেও৷ একজন আফ্রিকান নেতা বলেনঃ “আমরা অগ্রসর হওয়ার জন্য সৃজনশীল হতে এবং আমাদের এলাকার সেই স্থানগুলিতে পৌঁছানোর জন্য সমস্ত সুযোগগুলিকে প্রয়োগ করে সঙ্কটের প্রতি সাড়া দিতে শিখেছি৷ আমরা প্রার্থনা করছি যখন সঙ্কট শেষ হবে ফসল কাটার জন্য আমরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নেব৷” অন্যজন যোগ করেনঃ “বড় প্রতিদ্বন্দিতা বড় আশ্চর্যকর্ম উৎপন্ন করে ৷ আমরা পরিযোজনা করছি সঙ্কট শেষের পর ঈশ্বর কি করতে চান যে আমরা করি৷ একটি বিশাল সুযোগ রয়েছে৷”
অনেক স্থানে, লোকেরা নতুন উপায়ে ঈশ্বরের দিকে ফিরছেনঃ “লোকেরা প্রভুর কাছ থেকে শোনার জন্য উন্মত্ত হয়ে গেছে৷ লোকেরা জরুরি অবস্থাকে চিনতে পেরেছেন – বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা দেখে৷ অনেকগুলি প্রার্থনার উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে৷”
ঈশ্বর আন্দোলনের সাথে এই সঙ্কটকেও নানান ভাবে অন্যদের যুক্ত করেছেন৷ এক নেতার প্রতিবেদনগুলিঃ “অতীতে, অট্টালিকা মণ্ডলীগুলি ডি.এম.এম.-কে পছন্দ করতো না৷ এখন এই মণ্ডলীগুলিই গৃহমণ্ডলীর নমুণাতে জোর দিচ্ছে এবং আমাদের কাছে সাহায্য চাইছে৷ এই নেতাদের তাদের লোকেদের সঙ্গে যুক্ত রাখতে আমরা প্রতিদিনই বাইরে যাচ্ছি৷ কিভাবে গৃহমণ্ডলী চালাতে হবে তার জন্য আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি৷” অন্যজন বলেনঃ “সরকরের মাধ্যমে মিডিয়াতে বিরাট প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে৷ অনেক স্থানে আমাদের কাছে ইন্টারনেট নেই, কিন্তু আমরা ৭জনের সাথে দূরভাষ-সম্মেলন করতে পারি৷ আমরা তাদের সকলের সাথে প্রতি দু’সপ্তাহে বৈঠক করি, এবং প্রতি সপ্তাহে তারা একে অপরের সাথে বৈঠক করে৷ আমাদের একটি বাইবেল অধ্যয়ন হয় যেখানে ফোনের মাধ্যমে প্রচার করা হয়৷”
এই কয়েকটি উপায়ে আন্দোলনগুলি কোভিড-১৯-এর প্রতি প্রতিক্রিয়া জানায়৷ আমরা ঈশ্বরকে প্রশংসা দিই যে এই মহামারীর সময়েও তাঁর গৌরব প্রকটের জন্য এই লোকেদের দ্বারা কাজ করছেন৷ [লিঙ্ক ভাগ ২ এ]