Categories
কেস স্টাডি

আন্দোলনগুলির কোভিড-১৯-এর প্রতি প্রতিক্রিয়া – ভাগ ২

আন্দোলনগুলির কোভিড-১৯-এর প্রতি প্রতিক্রিয়া – ভাগ ২

– ডেভ কোল্স দ্বারা সংকলিত –

মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলনের ঈশ্বরের সন্তানেরা এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ঈশ্বরের রাজ্যকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করার জন্য পথগুলি খুঁজে পেয়ে মহামারীর প্রতি প্রতিক্রিয়া জানায়৷ এগুলিতে  প্রভু যেভাবে কার্য করেছেন তার কিছু সাম্প্রতিক সাক্ষ্যগ্রহণ৷

একজন নেতার প্রতিবেদনঃ “সম্প্রতি আমাদের দল ১১টি মুসলমান পরিবারকে পায় যারা খাদ্যবিহীন জীবনযাপন করছিল৷ যখন আমাদের দল তাদের খাবারের থলি পৌঁছে দেয় তারা খুব অবাক হয়েছিল৷ খাবার নেওয়ার পর, এক ব্যক্তি বললেন, ‘আপনারা মানুষ না স্বর্গদূত যাদের আমাদের কাছে পাঠান হয়েছে? বিগত তিন দিন থেকে আমাদের কাছে কোনো খাবার ছিল না৷ আমরা ক্ষুধার্ত ছিলাম ও কেউ আমাদের সাহায্য করতে আসে নি৷’ পরে, যেমন সম্পর্ক গভীর হতে থাকে, আমরা তাদের সুসমাচার প্রচার করতে ও প্রভু যীশুর প্রেমের কথা বলতে শুরু করি৷ এখন ৬টি পরিবার শিষ্যত্বের প্রক্রিয়ায় আছে, এবং আমরা আশা করি খুব শীঘ্রই তারা প্রভুকে গ্রহন করবে৷” 

দক্ষিণপূর্ব এশিয়া থেকেঃ “বোঁচকা করা খাদ্য বিতরণের পূর্বে, আমরা প্রার্থনা করি, যাতে বোঁচকা করা খাবার গ্রহণকারী উচিৎ ব্যক্তিদের প্রভু আমাদের দেখান৷ আত্মিক ফলের [এর থেকে ঈশ্বর নিয়ে এসেছেন] নানান সাক্ষ্যগুলি আমরা গ্রহণ করি৷ উদাহরনস্বরুপ, মহাশয় ডি. একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান ছিলেন, কিন্তু যখন থেকে আমরা তাদের পরিচর্য্যা করছিলাম, তিনি সুসমাচারের বার্তা শুনার জন্য নিজের হৃদয় খুলে দেন৷ যখন আমার স্ত্রী তাদের পরিস্থিতির বর্ণনা করা একটি ওয়াট্সাপ বার্তা পড়েন, তৎক্ষনাৎ তিনি মহাশয় ডি. কে সম্পর্ক করলেন এবং তাকে আমাদের বাড়িতে ডাকলেন৷ পরের দিন তিনি আমাদের বাড়িতে আসলেন এবং তার পরিস্থিতি বলতে শুরু করলেন৷ তিন সপ্তাহ থেকে, তার কাজ থেকে তাকে কোনো ডাক আসেনি৷ ইতিমধ্যেই তিনি অর্থনৈতিক কষ্টের অভিজ্ঞতালাভ করছিলেন, এমনকি তার সন্তানের জন্য দুধ কিনতে পারছিলেন না৷ যখন আমরা বোঁচকা করা খাবার তার হাতে দেই (দুধ ও তার সন্তানের জন্য ভিটামিন), তিনি অনেক স্পর্শকাতর হয়েছিলেন, এবং আমাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে কেঁদে ফেলেছিলেন৷ সেই মিথস্ক্রিয়া চলাকালীন, আমার স্ত্রী ও আমি তাকে সুসমাচারের বার্তা শোনাই এবং তাকে বলি, যে আশির্বাদ তিনি গ্রহণ করেছেন তা ইশা-অল-মসীহ (যীশু খ্রীষ্ট) থেকে এসেছে৷ কিছু সময় পরে, মহাশয় ডি. আরো উন্মুক্ত হয়ে ওঠেন এবং প্রভু যীশুতে তার বিশ্বাস রাখতে ইচ্ছুক হন৷ আমরা তাকে প্রার্থনায় নেতৃত্ব দেই, এবং এখন তিনি আমাদের অনুপ্রেরিতদের মধ্যে একজন৷”

আফ্রিকা থেকেঃ “আমরা আগামী মাসে ২,০০০ (কেন্দ্রীভূত গোষ্ঠী) পরিবারকে (২,০০০ পরিবার = ১২,০০০ ব্যক্তি) খাদ্য বিতরণ করতে চাই৷ ইতিমধ্যেই আমরা সেই গোষ্ঠীর ৫০০টি মুসলমান পৃষ্ঠভুমির অন্তর্গত বিশ্বাসী পরিবারকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি, যারা তাদের মধ্যের ১,৫০০টি পরিবারে গিয়ে তাদের খাদ্য পৌঁছে দিতে পারে এবং তাদের সুসমাচার প্রচারও করতে পারে৷”

পশ্চিম এশিয়া থেকেঃ “খাদ্য ও সরবরাহ প্রাপ্ত পরিবারগুলি গভীর কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন৷ এমনকি একটি পরিবার এমন জিজ্ঞেস করেছিল যে তারা যা গ্রহণ করেছে তা যদি অন্যদের শোনাতে পারবে কিনা৷ তারা অন্যদেরও উল্লেখ করেন যারা সত্যিই অভাবগ্রস্থ, তাদের খাদ্য সরবরাহকারী এই বিশ্বাসীদের প্রয়োজন আছে যেন তারাও সাহায্যপ্রাপ্ত হয়৷ অন্যদের চাহিদা বিবেচনা করার জন্য তাদের যন্ত্রণার প্রতি তাদের চক্ষু বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ যেই বিশ্বাসীরা খাদ্য বিতরণ করে তাদের পরিবারগুলিকে বলতে হবে যে, জীবিত ঈশ্বর, যিনি তাদের রোদন শুনেছেন, তিনি সমস্ত প্রবন্ধের স্রোত৷ তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এমন ব্যক্তিদের সাথে সম্পর্কযুক্ত হতে শুরু করেছে যারা খাদ্য গ্রহন করেছে ও তাদের সাথে অনুপ্রেরিতের যোজনা করছেন যারা ঈশ্বরকে জানতে ইচ্ছা প্রকট করেছে৷ তাদের বিশ্বাস ও যারা এই কার্যগুলির বিষয়ে শুনেছেন তাদের বিশ্বাস ব্যাপকভাবে শক্তিশালী হয়েছে৷ তারা দরিদ্রদের প্রতি তাদের সমবেদনার বৃদ্ধি করেছে এবং শারীরিক চাহিদাপুরণের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দলের অন্যদের সাথে কার করতে শিখেছে৷”

মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, এবং পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য স্থানগুলি থেকে (যেখানের আমরা সুরক্ষার কারণে, এলাকা ও নির্দিষ্ট বর্ণনা দিতে পারি না), আমরা বিভিন্ন পরিষেবাগুলিতে ভয়ানক প্রতিক্রিয়া দেখেছি৷ কিছু স্থানগুলিতে, যেখানে পান করার বা ধোয়ার জন্য জলের প্রবেশাধিকার নেই বিশ্বাসীরা সেখানে জল দিয়েছে৷ কিছু এলাকায়, স্বাস্থ্যকর ব্যবস্থার উৎকর্ষ সাধনের যোগানের সরবরাহ (মুখোশ, সাবান, এন্টিসেপটিক, ইত্যাদি৷) করা হয়েছে সেই সমস্থ দুস্থ লোকেদের সাহায্যের জন্য যাদের খাবার কিংবা মুখোশের মধ্যে বাছাই করে নিতে হয়৷ একটি গ্রামে, ঈশ্বর একটি ছোট সমূহকে নেতৃত্ব করেছিলেন বিশেষত কোভিড-১৯-এ মৃত কিছু লোকেদের কবর দেওয়ার জন্য, যাদের পরিবার ও গ্রামবাসীরা সংক্রমণের ভয়ে তাদের কবর দিতে দিয়ে অস্বীকার করেছিল৷ সেই সমূহ জানত যে এটি একটি স্বাস্থ্যকর বিপদ, কিন্তু ঈশ্বর বিশেষরূপে এই কার্যটি করতে বলেছিলেন, প্রত্যাখ্যান ও ভয় সত্বেও৷ ফলস্বরূপ, তাদের পরিবারের অনেকেই তাদের এই কাজটি করার কারণ জানতে চেয়েছেন, যার ফলে একটি প্রচুর সংখ্যায় লোকেরা বিশ্বাসে আসে৷

যখন আমরা এই স্থানগুলিতে ঈশ্বরের কার্যের জন্য তাঁর প্রশংসা করছি, আমরা লক্ষ্য করি যে অনেক স্থানগুলিতে ভয়ানক সমস্যা রয়ে গেছে৷ প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলির মধ্যে রয়েছে সম্পদের অভাব, ভয় (কিছু এলাকায় লোকেদের সাথে কথা বলাও প্রায় দুঃসাধ্য করেছে), সরকারী বাধা, এবং বাহ্যিক সাহায্যগ্রহনের অসুবিধা৷

যাইহোক, উপরুক্ত গল্পগুলিতে যেমন দেখা যায়, ঈশ্বর আন্দোলনগুলিতে তাঁর সন্তানদের মধ্যে ও দ্বারা কাজ করছেন, যাদের অনেক প্রয়োজন আছে তাদের যোগানের এবং আশীর্বাদের জন্য৷ অনেকসময়, তাদের নিজস্ব বস্তুগত দারিদ্রতা ও আত্মীক ধনসম্পদের উর্দ্ধে, তারা অন্যদের দান করে, যীশু খ্রীষ্টের গৌরব এবং তাঁর রাজ্যের অগ্রগতির জন্য৷ এইভাবে তারা ২য় করিন্থীয় ৮:১-৫ পদে বর্ণিত মাকিদনিয়া দেশস্থ বিশ্বাসীর সক্রিয় বিশ্বাসের নকল করেন৷ ঈশ্বরের গৌরবে অন্যদের স্পর্শের জন্য, তাদের দারিদ্রতা উদারতায় পরিণত হয়৷ 

Categories
কেস স্টাডি

আন্দোলনগুলির কোভিড-১৯-এর প্রতি প্রতিক্রিয়া – ভাগ ১

আন্দোলনগুলির কোভিড-১৯-এর প্রতি প্রতিক্রিয়া – ভাগ ১

– ডেভ কোল্স দ্বারা সংকলিত –

সমগ্র বিশ্ব কোভিড-১৯ মহামারী দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে৷ বিভিন্ন দেশ, অঞ্চল, গোষ্ঠীগুলি বিভিন্নরূপে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে৷ একটি একক ভাইরাস একটি বিস্তৃত পরিসর ফলাফল ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে এসেছে৷ যেখানে বিশ্বজুড়ে ভয় ও আত্ম-সুরক্ষা অনেকের হৃদয়কে আয়ত্ত করে রেখেছে, সেখানে মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলনের ঈশ্বরের সন্তানেরা এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে নানান উপায়ে ঈশ্বরের রাজ্যকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করার জন্য প্রতিক্রিয়া জানায়৷ “আমরা সবাই একই ঝড়ের মধ্যে আছি, কিন্তু আমরা সবাই একই নৌকায় নেই৷”

“আমরা সবাই একই ঝড়ের মধ্যে আছি, কিন্তু আমরা সবাই একই নৌকায় নেই৷”

বিশ্বের বিভিন্ন অংশের আন্দোলনের নেতারা ঈশ্বরের লোকেদের মধ্যে তাদের নিজ নিজ অবস্থানের নিম্নোক্ত কিছু প্রতিক্রিয়াগুলি জানিয়েছেন৷

আফ্রিকার এক নেতা বললেনঃ “মানুষেরা তাদের প্রতিবেশীদের সম্পর্কে ইচ্ছাপূর্বক ভাবে চিন্তা করছে – শারীরিক ও আত্মীক উভয় চাহিদাগুলি সম্পর্কে৷” দক্ষিণ এশিয়ার এক নেতা এভাবে জানালেনঃ “যত বেশী জনকে সম্ভব আমরা খাওয়াচ্ছি কারণ যীশু খ্রীষ্ট খাইয়েছিলেন; তারপরে আমরা তাদের বলি যে যীশু খ্রীষ্ট আত্মীক খাদ্যও দিয়েছিলেন এবং জিজ্ঞেস করি তারাও যদি আত্মীক খাদ্য চায়৷ তারা এই লকডাউনে থাকা সত্বেও, আমি কখনো এতবেশী লোকেদের বিশ্বাসে আসতে দেখি নি৷” অন্য এক নেতা কিছু ব্যক্তিদের বলিদানের ব্যাখ্যা করেন, অন্যদের আশির্বাদ করার জন্যঃ “বর্তমানে আমাদের ৩০জন ব্যক্তি নিজেদের এক বেলার খাওয়া পরিত্যাগ করে খাদ্য বিতরণ করছেন৷”

এই হাত-খোলা আশির্বাদ করার প্রক্রিয়া প্রভু যীশুর নামে বহু স্থানে সুসমাচারের ফল উৎপাদন করছে৷

এই হাত-খোলা আশির্বাদ করার প্রক্রিয়া প্রভু যীশুর নাম বহু স্থানে সুসমাচারের ফল উৎপাদন করছে৷ এশিয়ার এক নেতা বললেনঃ “লকডাউন থেকে আমরা ৩৫টি নতুন গৃহমণ্ডলী শুরু করেছি এবং প্রায় ৩০০০ লোকেদের খাদ্য প্রদান করেছি৷ তাদের মধ্যে অনেকেই খ্রীষ্টে এসেছে এবং আমরা লকডাউনের পর অন্যান্য প্রদেশে ছত্রভঙ্গ হয়ে ছড়িয়ে থাকা লোকদের অনুসরণের পরিকল্পনা করছি৷ প্রতিবেশীদের আশির্বাদ দেওয়ার জন্য, তাদের জন্য প্রার্থনা করা, এবং স্বল্পজন গিয়ে সাক্ষাৎ করার জন্য আমরা বিশ্বাসীদের উৎসাহিত করছি৷ প্রত্যেক গৃহমণ্ডলী তাদের প্রতিবেশীদের আশির্বাদ দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে৷ প্রায় প্রতিদিনই, বিশ্বাসীরা বাইরে যাচ্ছে, এবং এখনও পর্যন্ত ৪০০০ ব্যক্তিদের প্রচার করেছে, ও ৬৩৪ জন বিশ্বাস করেছে৷”

আবার, দক্ষিণ এশিয়া থেকেঃ আমাদের জাতীয় অংশীদাররা চাহিদাপূরণ ও খাদ্য সরবরাহের জন্য সুযোগের সনাক্তকরণ করে একটি দুর্দান্ত কাজ করেছেন৷ তারা সুসমাচার প্রচারের প্রত্যেকটি সুযোগ গ্রহন করেছে ও ক্ষেত্র জুড়ে অসংখ্য পরিত্রাণ দেখেছে৷ এমনকি লকডাউন থাকা সত্বেও কয়েকটি বাপ্তিস্মও হয়েছে ! খাদ্য বিতরণ সুসমাচার প্রচার ও অনুসরণের জন্য একটি প্রাকৃতিক সুযোগের দ্বার খুলে দিচ্ছে৷ আমাদের নেতারা সামাজিক প্রতিবন্ধকতার উপর স্থানীয় বিধিনিষেধগুলির প্রতি অত্যন্ত সতর্ক ও সচেতন এবং অনেক ক্ষেত্রে খাদ্য সবরাহের জন্য আধিকারিকদের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি সংগ্রহ করতে হয়েছে৷”

অন্য এশীয় নেতাদের প্রতিবেদনগুলিঃ “আমাদের অনেক নেতারা আমাদের না জানিয়ে, তাদের প্রতিবেশীদের পরিচর্যা করেন ও খাবার বানিয়ে দেন; তারা ইচ্ছাকৃতভাবে দিয়েছেন ও তাদের প্রয়োজনকে দেখেছেন৷” তিনি যোগ করেনঃ “আমাদের শিষ্য তৈরী করার প্রতি কেন্দ্রীভূত হতে হবে; এখন এটি [ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া] পাওয়া অনেক সহজ কিন্তু আমাদের তাদেরকে ঈশ্বরের বাক্য থেকে খাওয়াতে হবে৷” 

আন্দোলনের নেতারা সুযোগের জন্য ঈশ্বরের বুদ্ধির খোঁজ করছে – শুধুমাত্র বর্তমান সঙ্কটের জন্য নয়, কিন্তু ভবিষ্যতের জন্যেও৷ একজন আফ্রিকান নেতা বলেনঃ “আমরা অগ্রসর হওয়ার জন্য সৃজনশীল হতে এবং আমাদের এলাকার সেই স্থানগুলিতে পৌঁছানোর জন্য সমস্ত সুযোগগুলিকে প্রয়োগ করে সঙ্কটের প্রতি সাড়া দিতে শিখেছি৷ আমরা প্রার্থনা করছি যখন সঙ্কট শেষ হবে ফসল কাটার জন্য আমরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নেব৷” অন্যজন যোগ করেনঃ “বড় প্রতিদ্বন্দিতা বড় আশ্চর্যকর্ম উৎপন্ন করে ৷ আমরা পরিযোজনা করছি সঙ্কট শেষের পর ঈশ্বর কি করতে চান যে আমরা করি৷ একটি বিশাল সুযোগ রয়েছে৷”

অনেক স্থানে, লোকেরা নতুন উপায়ে ঈশ্বরের দিকে ফিরছেনঃ “লোকেরা প্রভুর কাছ থেকে শোনার জন্য উন্মত্ত হয়ে গেছে৷ লোকেরা জরুরি অবস্থাকে চিনতে পেরেছেন – বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা দেখে৷ অনেকগুলি প্রার্থনার উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে৷”

ঈশ্বর আন্দোলনের সাথে এই সঙ্কটকেও নানান ভাবে অন্যদের যুক্ত করেছেন৷ এক নেতার প্রতিবেদনগুলিঃ “অতীতে, অট্টালিকা মণ্ডলীগুলি ডি.এম.এম.-কে পছন্দ করতো না৷ এখন এই মণ্ডলীগুলিই গৃহমণ্ডলীর নমুণাতে জোর দিচ্ছে এবং আমাদের কাছে সাহায্য চাইছে৷ এই নেতাদের তাদের লোকেদের সঙ্গে যুক্ত রাখতে আমরা প্রতিদিনই বাইরে যাচ্ছি৷ কিভাবে গৃহমণ্ডলী চালাতে হবে তার জন্য আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি৷” অন্যজন বলেনঃ “সরকরের মাধ্যমে মিডিয়াতে বিরাট প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে৷ অনেক স্থানে আমাদের কাছে ইন্টারনেট নেই, কিন্তু আমরা ৭জনের সাথে দূরভাষ-সম্মেলন করতে পারি৷ আমরা তাদের সকলের সাথে প্রতি দু’সপ্তাহে বৈঠক করি, এবং প্রতি সপ্তাহে তারা একে অপরের সাথে বৈঠক করে৷ আমাদের একটি বাইবেল অধ্যয়ন হয় যেখানে ফোনের মাধ্যমে প্রচার করা হয়৷” 

এই কয়েকটি উপায়ে আন্দোলনগুলি কোভিড-১৯-এর প্রতি প্রতিক্রিয়া জানায়৷ আমরা ঈশ্বরকে প্রশংসা দিই যে এই মহামারীর সময়েও তাঁর গৌরব প্রকটের জন্য এই লোকেদের দ্বারা কাজ করছেন৷ [লিঙ্ক ভাগ ২ এ]