Categories
আন্দোলন সম্পর্কে

রাজার সৌন্দর্য প্রত্যক্ষ করার জন্য কি মূল্য প্রদান করতে হয়?

রাজার সৌন্দর্য প্রত্যক্ষ করার জন্য কি মূল্য প্রদান করতে হয়?

ডঃ পাম আর্লান্ড এবং ডঃ মেরী হো –

ঈশ্বরের রাজ্যের যে সুসমাচার সমগ্র পৃথিবীতে প্রচারিত হচ্ছে তা সমস্ত বিশ্বাসীর আশা এবং ইচ্ছা এবং ইহাএটিই মথি ২৪ অধ্যায়ের প্রধান বিষয়বস্তু। বাস্তবিক, মথি ২৪ অধ্যায় এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর আমাদের কাছে প্রদান করে যে প্রশ্ন ঈশ্বরের লোকেরা পৃথিবীজগৎ উৎপত্তির সময় থেকে জিজ্ঞাসা করে আসছেঃ ঈশ্বরের নামকেসমগ্র জাতির মধ্যে, যেখান থেকে সূর্য্য উদয় হয় সেখান থেকে সূর্য অস্ত যাওয়ার স্থান পর্যন্তছড়িয়ে দিতে কি মূল্য প্রদান করতে হবে? (মালাখি ১:১১) কোন প্রজন্ম যা শেষ সময়ে মথি ২৪:১৪ পদকে সম্পূর্ণ করবে?

 

সত্যিই, আমরা খুবই ভাগ্যবান প্রজাতি যারা বলতে পারি যে এমন কোন সময় বলয় নেই যে সময়ে প্রভূ যীশুর আরাধনা চলছে না। যদিও, প্রত্যেক সময় বলয়ে এমন কিছু অন্ধকারময়্ স্থান আছে যেখানে কেউ ঈশ্বরকে জানে না এবং আরাধনা করে না অবাঞ্ছনীয়।

যদিও আমরা মথি ২৪:১৪ পদ পছন্দ করি, কিন্তু আমরা অনেক সময়ে আমরা অবশিষ্ট অধ্যায়টিকে এড়িয়ে যাই।এটি হল শেষ সময়ে অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং চিহ্ন দেখা দেবে যখন ঈশ্বর নিজেকে সমগ্র জগতের লোকেদের সামনে গৌরবান্বিত করবেন। উদাহরণস্বরূপঃ

  • সমগ্র পৃথিবীতে যুদ্ধ হবে (৬-৭  পদ)
  • দুর্ভিক্ষ এবং ভূমিকম্প হবে (৮ পদ)
  • ক্লেশ, নির্যাতন এবং বিশ্বাসীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে (৯ পদ)
  • সমগ্র জাতি একে অপরের প্রতি হিংসা প্রদর্শন করবে (৯ পদ)
  • অনেকে নিজের বিশ্বাসকে পরিত্যাগ করবে (১০ পদ)
  • মিথ্যা ভাববাদী উৎপন্ন হবে (১১, ২২-৬ পদ)
  • দুষ্টতা বৃদ্ধি পাবে (১২ পদ)
  • একে অপরের প্রতি প্রেম শিথিল হবে (১২ পদ)
  • আইনব্যবস্থা অরাজকতায় পরিণত হবে (১২ পদ)

যীশুপ্রভূ যীশু ইহাএটি স্পষ্টই ব্যক্ত করেছেন যে তাঁর রাজ্যের আগমন সুবিন্যস্ত, সহজ অথবা সুসজ্জিত হবে না। যদিও, এই একই অংশে, তিনি আমাদের অর্থাৎ বিশ্বাসীদের জন্য পাঁচটি “প্রকৃত চরিত্রের দৃঢ়তা” বজায় রাখতে বলেছেন যেন আমরা শেষ সময়সময়ে দৃঢ় হয়ে দাঁড়াতে পারি (১৩ পদ)।

১. যীশুপ্রভূ যীশু আমাদেরবলেছেন আমরা যেন চলমান এবং ক্ষিপ্রগতি সম্পন্ন হইহতে বলেছেন। তিনি নির্দেশ করে বলেছেন যে আমরা যেন মুহূর্তের সংবাদে পালিয়ে যাবার জন্য সামর্থ্য হই (১৬পদ)। এই রাজ্যের অগ্রগতি আমাদের সুরক্ষিত করে রাখবে। সেই কারণে, আমাদের এই ধরনের আকস্মিক সুযোগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, এবং নিজেদের জীবনের পরিকল্পনা এবং প্রধান বিষয়গুলিকে দ্রুত পরিবর্তন করতে শিখতে হবে। আমাদের এই বর্তমান যাযাবর হয়ে জীবনযাপন করার একটি সুবিধা আছে। এই শতাব্দীতে এত অধিক সংখ্যক মুসলিম খ্রীষ্টকে গ্রহণ করেছে যা আগে কখনও সম্ভব হয় নি। যারা এই যাযাবর সঙ্কটের প্রতি কার্যকারী তারা প্রত্যক্ষ করেছে যে অনেক মুসলিম মানুষ খ্রীষ্টকে গ্রহণ করেছে। কিন্তু অনেককেই এই সুযোগ ব্যবহার করার জন্য নিজেদের প্রাত্যহিক কাজ থেকে অব্যাহতি নিতে হয়েছে। ভবিষ্যতে হয়ত আরো এই ধরনের সুযোগ আসবে, এবং আমাদের প্রত্যেককে ঈশ্বরের পদক্ষেপের সাথে পরিবর্তিত হবার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বাস্তবিক, অনেক সময় ইহাএটি প্রতীয়মান হয় যে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলিও ঈশ্বরের রাজ্য বৃদ্ধি করার জন্য অভূতপূর্ব সুযোগ নিয়ে আসে, কিন্তু ইহাএটি তখনই সম্ভব যখন ঈশ্বরের লোকেরা চলমান এবং ক্ষিপ্রগতি সম্পন্ন হবে।

২. যীশুপ্রভূ যীশু আমাদের বলেছেন আমাদেরকে পলায়ন করতে হবে কিন্তু আমরা তাঁর থেকে করুণা যাচ্ঞা করতে পারি যে কোন সংকটপূর্ণ অবস্থার মধ্যেও (২০ পদ)। আমাদেরকে অনবরত প্রার্থনাকারী হতে হবে। ইহাএটি এমন প্রার্থনা নয় যা কয়েক মিনিটের মধ্যেই সমাপ্ত হয়ে যায়।অথবা এমন প্রার্থনা নয় যেখানে আমরা ঈশ্বরকে কার্যকারী হবার জন্য ভিক্ষা চাই। আমাদেরকে একজন যোদ্ধা রাজার সন্তান-সন্ততি হিসাবে ঈশ্বরকে পাশে নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত থাকতে হবে (ইফিষীয় ৬) সেই সমস্ত শত্রুদের বিরুদ্ধে যারা দৃশ্যমান নয় কিন্তু তাদের কার্যকলাপ অনুভব করা যায়। ইহাএটি এমন ধরনের প্রার্থনা যা একদিকে কঠিন এবং আনন্দে পরিপূর্ণ।

৩. যীশুপ্রভূ যীশু আমাদের সতর্ক থাকতে বলেছেন (৪২ পদ)। ইহাএর অর্থ সতর্ক থাকার কৌশল ঈশ্বর ব্যবহার করছেন। আমাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে যেন আমরা ভাক্ত ভাববাদীদের থেকে সাবধান থাকি। আমরা কিভাবে প্রকৃত ভাববাদী এবং ভাক্ত ভাববাদীদের চিহ্নিত করতে পারি? রাজার হৃদয় জানার মাধ্যমে আমরা ইহাএটি বুঝতে পারি। তিনি আমাদের হৃদয়, মন, আত্মা এবং সামর্থ্য অধিগ্রহন করেন। এবং, তিনি যখন ইহাএটি করেন, আমাদের শক্তি প্রদান করা হয়, সাহসী হোন, হন, জগত থেকে পৃথক জীবন যাপন করুন, যারা ভালোবাসা পায় না তাদের প্রেম করুন, শত্রুকে প্রেম করুন এবং ক্লেশ সহ্য করুন। এই ১ম করিন্থীয় ১৩ অধ্যায়ের প্রেম হল, “অসহনশীল নয়, কিন্তু নীরবতার বশ্যতা স্বীকার করে, একটি সক্রিয়, ধনাত্মক সহিষ্ণু প্রেম। ইহাএটি একটি যোদ্ধার সহ্য ক্ষমতা যে, প্রবল যুদ্ধের মধ্যেও অটল ও অশঙ্কিত ”

৪. যীশুপ্রভূ যীশু আমাদের উত্তম নির্ভরযোগ্য দাস হতে বলেছেন (৪৫ পদ), যেন আমরা তাদের খাদ্য সরবরাহ করতে পারি যারা খাদ্যের অভাবে আছে। এই অংশে যে খাদ্যের বিষয়ে বলা হয়েছে, সেটি আক্ষরিক অর্থে খাদ্য হলেও, ইহাএটি একটি উপমা। সাধারন দুর্ভিক্ষের থেকে পৃথক, যেখানে আমরা ত্রানত্রাণ হিসাবে খাদ্যকে অভাবগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছিয়ে দিই, আমরা অনেক সময় এইসমস্ত ক্ষেত্রে আমাদের কর্মচারীদের প্রেরণ করে থাকি যাদের উচিত আত্মিক দুর্ভিক্ষ দূর করার প্রচেষ্টা করা যেখানে আত্মিক উৎসগুলি নিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে। এই উপমা আমাদের বুঝতে সাহায্য করে কেন আমরা পৃথিবীর উপেক্ষিত মানুষদের অধিক প্রাধান্য দিই। আমাদের কার্যকারী ব্যক্তিরা প্রকৃতভাবে সেই সমস্ত স্থানে কাজ করছে কিনা যেখানে অধিক আত্মিক সাহায্যের প্রয়োজন আছে। এর জন্য আমাদের সৎ এবং নির্মম হতে হবে।

৫. যীশুপ্রভূ যীশু আমাদের বলেছেন যেন আমরা জাগতিক জিনিসের প্রতি আসক্ত না থাকি। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যেন আমরা নিজেদের দ্রব্যাদি লাভ করার জন্য ফিরে না যাই (১৭-১৮ পদ)। আমাদেরকে আমাদের প্রতিবেশীদের থেকে পৃথক জীবন যাপন করতে হবে। আমরা আমাদের নিজেদের মাংসিক অভিলাষঅভিলাষা যেমন চিত্ত বিনোদন, সমত্তিসম্পত্তি এবং সৌন্দর্য্যের জন্য জীবন যাপন না করিনা (রোমীয় ৮:৫)। পরিবর্তে, আমাদেরকে খ্রীষ্ট রাজার সৌন্দর্য্যের জন্য জীবন যাপন করতে হবে। ইহাএর অর্থ আমাদেরকে নিজেদের সুখের জন্য স্বল্পসময় ব্যয় করতে হবে, এবং অন্যদের উন্নতি কল্পে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে, নিজেদের সময় এবং অর্থ ব্যয় করতে হবে, এবং একটি অদৃশ্য গৌরবের জন্য আমাদের জীবন যাপন করতে হবে।

আমাদের রাজার সৌন্দর্য্যের জন্য জীবন যাপন করতে অনেক বলিদান করতে হবে – বৃহৎ বলিদান, বলিদান যা আমাদের ক্লেশ দেবে। যদিও, এই বলিদানের বিষয়ে, মালাখি ১:১১ পদ বলে, প্রত্যেক স্থানে তাঁহার নামের উদ্দেশে ধূপদাহ ও শুচি নৈবেদ্য উৎসৃষ্ট হইতেছে; কেননা জাতিগণের মধ্যে তাঁহার নাম মহৎ হবে, এবং সেই সমস্ত কিছুর পিছনে রয়েছে বলিদান। কোন বলিদানই বৃহৎ নয়হবে না যদি ইহাএটি জাতিগণের মধ্যে ঈশ্বরের নামকে গৌরবান্বিত করে।

মেরী হো অল্‌ নেশন্‌ ফ্যামিলি-র একজন আন্তর্জাতিক কার্যনির্বাহক নেতা, এই অল্‌ নেশন্‌ ফ্যামিলি শিষ্য তৈরি করে, নেতাদের প্রশিক্ষিত করে, এবং মণ্ডলী স্থাপনের আন্দোলনকে পৃথিবীর উপেক্ষিত এবং অবহেলিত এলাকাগুলিতে ছড়িয়ে দেবার প্রচেষ্টা করে। মেরী জন্ম গ্রহণ করেছিলেন তাইওয়ান-এ এবং প্রথম যীশুর কথা শুনেছিলেন সুইজারল্যান্ডের মিশনারীদের থেকে যেখানে তিনি বড় হয়েছেন। তাঁর স্বামী জন-এর পরিবার প্রভুকে গ্রহণ করে হাড্‌সন টেলার্‌ সেবাকাজের মধ্যে থেকে। সেকারণে জন এবং মেরী দুজনেই উত্‌সাহী ছিলেন যীশু সমগ্র মানুষদের দ্বারা আরাধ্য হন।

পাম আর্লান্ড অল্‌ নেশন্‌ ফ্যামিলি-র বিশ্বব্যাপী প্রশিক্ষণ এবং গবেষনাকারীদের একজন নেতা। পাম মধ্য এশিয়ার একটি দেশে বহু বছর কাজ করেছেন যেখানে তার আগে কখনও সুসমাচার পৌছায়নি। সেই মানুষদের শিষ্য বানানোর জন্য এবং মণ্ডলী স্থাপনের জন্য, তিনি অনেক ভাষা শিখেছেন এবং একজন বাইবেল অনুবাদক হিসাবে কাজ করেছেন। তাঁর আকাঙ্ক্ষা তিনি ঈশ্বরের একজন আরাধনাকারী যোদ্ধা হতে চান।

মিশন ফ্রন্টিয়ার্স-এর জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী ২০১৮ সালের প্রকাশনায়, মূলতঃ একটি প্রবন্ধ থেকে সংকলিত, http://www.missionfrontiers.org পৃষ্ঠা ৪২-৫৩, এই উপাদানটি ২৪:১৪ পুস্তকের পৃষ্ঠা ৩০৭-৩১০-এ সম্পাদিত হয় – সমস্ত লোকেদের পক্ষে একটি সাক্ষ্য, ২৪:১৪ থেকে বা অ্যামাজন-এ উপলব্ধ৷

লিওন মরিস্‌, ১ করিন্থীয়। লেইসেস্টারঃ ইন্টার-ভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৮, ১৮২.

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Categories
আন্দোলন সম্পর্কে

একটি মাধ্যম পরিবর্তনঃ মণ্ডলী স্থাপন থেকে শিষ্য তৈরির আন্দোলন – ভাগ ২

একটি মাধ্যম পরিবর্তনঃ মণ্ডলী স্থাপন থেকে শিষ্য তৈরির আন্দোলন – ভাগ ২

আলিয়া টাসে দ্বারা লিখিত –

ভাগ ২-এ আমরা ঈশ্বর কিভাবে আমাদের লাইফওয়ে মিশনকে একটি নতুন দৃষ্টান্ত মিশনে স্থানান্তরণে পরিচালিত করেছিলেন তা আলোচনা করেছিলাম। এখানে আমরা আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জগুলি, ফল, এবং এবং আমাদের টিকিয়ে রাখা এবং সেই ফল আনয়নকারী চাবিকাঠিগুলির বিষয়ে আলোচনা করবো।

পরিবর্তনের পথে আগত চ্যালেঞ্জসমূহ

আমাদের এই পদ্ধতি পরিবর্তনে প্রত্যেকেই যে সহমত ছিল এমন নয়। কিছু মানুষের চিন্তা ছিল যে আমরা যা করতে চলেছি তা অগভীর ছিল, কারণ এই পদ্ধতিতে মণ্ডলী-গৃহ অথবা মন্ডলীমণ্ডলীর অনুষ্ঠানের উপরে গুরুত্ব প্রদান করা হয়নি। কিছু ঐতিহাসিক মন্ডলীমণ্ডলীর লোকেরা বলেছিল যে আমরা মন্ডলীমণ্ডলীকে একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে গুরুত্ব প্রদান করি নি। কিছু বাইবেল সেমিনারির নেতারা বলেছিলেন যে আমরা বহু বছর ধরে সংরক্ষিত মন্ডলীমণ্ডলীর প্রথাগুলির বিরুদ্ধাচরণ করছি। শহরাঞ্চলে যারা কাজ করছিল, তাদের মনে হয়েছিল যে এই পদ্ধতি কখনই শহরাঞ্চলে কার্য্যকরী হওয়া সম্ভব নয়।

আমরা ইতিমধ্যেই ডেভিড ওয়াটসনের হস্তী মণ্ডলী বনাম খরগোশ মন্ডলীমণ্ডলীর ব্যাখ্যা শিখেছিলাম, যে উদাহরণকে কিছু লোক প্রথাগত মন্ডলীমণ্ডলীর ক্ষেত্রে অত্যন্ত সমালোচনামূলক হিসাবে ব্যক্ত করেছিল। কিছু লোক আমাদের দোষারোপ করে বলে যে আমরা এই পদ্ধতি আমেরিকা থেকে শিখেছি এবং ইহাএটি আফ্রিকাতে কার্যকরী করা কখনই সম্ভব নয়। এবং আমাদের কিছু সহকর্মীরাও নিজেদের পরিবর্তন করতে রাজী ছিল না; তারা ইতিমধ্যেই যা করছিল সেটাই তাদের পচ্ছন্দ ছিল। তারা বলেছিল, “লাইফওয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং আমরা স্বদেশীয়। ঈশ্বর আমাদের সাহায্য করেছেন সমস্ত রকম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হতে। আমরা কেন নিজদের দিক পরিবর্তন করব?” কিছু অন্যান্য সহকর্মীরা ভীত হয়েছিল, হয়ত তারা এর ফলে কিছু হারিয়ে ফেলবে। তারা চিন্তা করছিল যে তারা এমন একটি বিষয় শুরু করতে চলেছে যা তারা পচ্ছন্দ করে না।

সেই সময়ে আমাকে অত্যন্ত ধৈর্য্যের সাথে অপেক্ষা করতে হয়েছিল কারণ অন্যান্যরা এই বিষয়টিকে সেইভাবে উপলব্ধি করতে পারছিল না যেভাবে আমি দেখেছিলাম। আমি ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে ডেভিড ওয়াটসনের বিরুদ্ধে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করেছিলাম। আমি ডেভ হান্টের প্রতি ইতিমধ্যেই ক্রুদ্ধ হয়েছিলাম যখন তিনি আমাদের সি পি এম নীতিগুলি বাস্তবে ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছিলেন। অন্যান্যরা তখনও চিন্তা করছিল যে কেন আমি এই পরিবর্তনের সঙ্গে সহমত হয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সংস্থার একজন প্রধান নেতা এই নতুন মডেলের প্রতি নিজের দৃঢ় বিরোধীতা প্রকাশ করে। সে বুঝতে পারেনি যে কেন আমাদের এই পরিবর্তন প্রয়োজন ছিল।

২০০৫ সালে যখন আমরা সি পি এম নীতিগুলির প্রতি নিজেদের পরিবর্তন করতে শুরু করি, সেই সময়ে প্রায় ৪৮ জন মিশনারী, পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলিতে কর্মরত ছিলেন। তাদের মধ্যে প্রায় ২৪ জন পূর্ন সময়ের মণ্ডলী-স্থাপক হিসাবে কাজ করছিলেন; অন্যেরা বার্তিকভাবে মণ্ডলী স্থাপনের কাজের মাধ্যমে ঈশ্বরের সেবা করছিলেন। ২০০৭ সালে, যখন আমরা পরিবর্তন করছিলাম, একটি খ্রীষ্টীয় সম্প্রদায় আসে এবং আমাদের ১৩ জন সহকর্মীকে তাদের সঙ্গে যুক্ত করে, এমন একটি অঞ্চল থেকে তাদের নেওয়া হয় যেখানে দ্রুত গতিতে মণ্ডলী স্থাপনের কাজ চলছিল। তারা তাদেরকে উত্তম অর্থ এবং পদমর্যাদা প্রদান করে। আমরা দুজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে হারাই, যা আমার জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ছিল। ইহাএটি অত্যন্ত হতাশাজনক ছিল যে বিগত দুই বছর ধরে সেই অঞ্চলে যেভাবে ফলদায়ক কাজ চলছিল, তা স্থগিত হয়ে যায়। ২০০৮-২০১০ সাল ছিল অত্যন্ত নিরাশাজনক কারণ এই পরিবর্তনের সময়ে আমরা আমাদের বিশেষ কিছু সহকর্মীদের হারিয়ে ফেলি।

 

পরিবর্তনের পরের ফল

যখন থেকে আমরা সি পি এম (ডি এম এম)-এ পরিবর্তিত হয়েছি, সেই সময় থেকে আমরা নিজেদের কার্য্যের তুলনায় ঈশ্বরের রাজ্যের প্রতি অধিক লক্ষ্য করতে শুরু করেছি। আমরা আমাদের নাম অথবা ‘আমাদের কাজ’ (আমাদের দর্শন, আমাদের পরিচর্য্যা ইত্যাদি) হিসাবে আর চিন্তা করতাম না। ইহাএটি ঈশ্বরের রাজ্য এবং তাঁর কাজ। আমরা যখন অনুঘটক হিসাবে কাজ করতে শুরু করি, আমরা নিজেদের প্রয়োজন থেকে সরে গিয়ে ঈশ্বরের রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা শুরু করি। ঈশ্বর বিগত কয়েক বছরে আশ্চর্যজনক বৃদ্ধি প্রদান করেছেন। কেনিয়াতে আমাদের পরিচর্য্যা কাজের শুরু করে, এখন আমরা পূর্ব আফ্রিকার প্রায় ১১টি দেশে ডি এম এম শুরু করতে পেরেছি।

২০০৫ থেকে, পূর্ব আফ্রিকায় প্রায় ৯০০০ মন্ডলীমণ্ডলী স্থাপন করা হয়েছে। এই দেশগুলির মধ্যে একটিতে, এই আন্দোলন ১৬টি ধাপে উন্নীত হয়েছে যেখানে একটি মন্ডলীমণ্ডলী থেকে শুরু করে ১৬টি প্রজন্ম পর্যন্ত মন্ডলীমণ্ডলী স্থাপিত হয়েছে। আরেকটি দেশে, মন্ডলীমণ্ডলী স্থাপনের কাজ ৬, ৭ এবং ৯টি পরিচর্য্যার প্রজন্ম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। ঈশ্বর আমাদের সাহায্য করেছেন এই অঞ্চলের প্রায় ৯০টি ভিন্ন গোষ্ঠী এবং ৯টি শহরাঞ্চলের দলের কাছে পৌঁছে যেতে। আমরা ঈশ্বরের প্রতি সশ্রদ্ধায় দেখেছি কিভাবে হাজার হাজার মণ্ডলী স্থাপিত হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ যীশু খ্রীষ্টকে অনুসরণ করতে শুরু করেছিল।

আমাদের দর্শনের সমস্ত গোষ্টীগুলির কাছে আমরা সুসমাচার প্রচার করি এবং আরো অন্যান্য গোষ্ঠীদের মধ্যেও প্রচার করি। যোশুয়া প্রজেক্ট অনুযায়ী আমরা এখন প্রায় ৩০০ ভিন্ন জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানোর জন্য আলোচনা শুরু করেছি। আমরা প্রত্যেকটি দেশে, প্রত্যেক দিন কর্মরতঃ প্রার্থনা করছি এবং খুঁজছি তাদের এখনও যাদের কাছে ঈশ্বরের বাক্য পৌঁছাতে পারেনি।

ডি এম এম কেবলমাত্র আমাদের অনেকগুলি পন্থার মধ্যে একটি পন্থা নয়। আমাদের সমস্ত কাজের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ডি এম এম। সেবার কাজ, নেতৃত্বের প্রশিক্ষণ, অথবা মন্ডলীমণ্ডলীর পরিচর্য্যা কাজ, প্রত্যেকটির কেন্দ্রবিন্দু হল ডি এম এম। যদি কোন কাজ আমাদেরকে ডি এম এম-এর প্রতি পরিচালিত না করে, তাহলে আমরা সেই কাজ করা বন্ধ করে দিই।

নতুন লোকদের কাছে এবং নতুন স্থানে পৌঁছানোর সাথে সাথে আমাদের আরেকটি প্রধান লক্ষ্য হল পূর্ব-বিদ্যমান স্থানগুলিকে বাঁচিয়ে রাখাআমরা অনবরত নতুন স্থানে কাজ শুরু করছি, বৃদ্ধি করছি এবং আন্দোলনকে বাঁচিয়ে রাখার প্রচেষ্টায় রত আছি। একটি নতুন স্থানে পরিচর্য্যা কাজ শুরু করার পূর্বে, আমরা সেই স্থান সম্পর্কে গবেষনা করি এবং প্রার্থনাসহ সেই অঞ্চলে পদাচরণ করি, এবং ঈশ্বরের কাছে যাচ্ঞা করি যেন তিনি নতুন দ্বার খুলে দেন। আমাদের কাজকে বজায় রাখার জন্য, আমরা প্রত্যেক চার মাসে ডি এম এম-এর কৌশলগুলি সম্পর্কে আলোচনা করি।

যে মূল বিষয়গুলি আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে এবং ফল উৎপন্ন করেছে

১. প্রার্থনা চিরকাল আমার প্রধান শক্তির উৎস।

২. সর্বদা ঈশ্বরের বাক্যের আধারে জীবন যাপন করা। যদি ইহাএটি ঈশ্বরের বাক্যের উপরে ভিত্তি করে গড়ে ওঠে, তাহলে ইহাকেএকে বজায় রাখার জন্য আমাদের কিছুই করার নেই।

৩. নেতাদের উন্নীত করা। ঈশ্বর আমাকে এই বিষয়ে অত্যন্ত সাহায্য করেছেন এবং এই বিষয়টিকে স্পষ্ট করেছেনঃ ইহাএটি কেবলমাত্র আমার কাজ নয়।

৪. সর্বদা আমার লক্ষ্য ছিল যেন আমাদের পরিচর্য্যা কাজ স্বদেশীয় ভাবে পরিচালিত হয়। যদি তারা ইহাকেএকে নিজেদের মনে করে, তাহলে আমার খরচ কমে যাবে, কারণ ইহাএটি তাদের কাজ।

৫. নেটওয়ার্ক তৈরি করা এবং সেই সমস্ত লোকদের সহযোগী হয়ে কাজ করা যারা একই কাজ করছে। যদি ঈশ্বর আমাদের শিষ্য তৈরি করতে সাহায্য করেন, সেটাই যথেষ্ট, কার নামে বা কার পরিচর্য্যা কাজে শিষ্য হচ্ছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা সেই বিষয়ে চিন্তিত নই। আমরা যেখানেই সুযোগ পাই সেখানেই লাফিয়ে পড়ে শিষ্য তৈরির কাজে লিপ্ত হই। কারণ সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যীশু যে দায়িত্ব আমাদের প্রদান করেছেন, সেটিকে সম্পূর্ণ করা।

আমরা দেখেছি ঈশ্বর অন্যান্য লোকদের এবং দলকেও ব্যবহার করছেন, এবং আনন্দের সঙ্গে তাদের সহযোগী হয়ে একত্রে কাজ করি। খ্রীষ্টের দেহ হিসাবে আমাদের একত্রে কাজ করা উচিত, অন্যদের থেকে শেখা উচিত এবং আমরা যা শিখেছি সেগুলিকে অন্যদের শেখানো উচিত। আমরা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই যেভাবে তিনি আমাদের পরিচালনা করেছেন এবং সুসমাচার অপ্রাপ্ত লোকদের মধ্যে তাঁর রাজ্য বিস্তারের জন্য শিষ্য তৈরির আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

ডঃ আলিয়া টাসে লাইফওয়ে মিশন ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রতিষ্ঠাতা (www.lifewaymi.org), একটি সংস্থা যারা প্রায় ২৫ বছর ধরে সুসমাচার অপ্রাপ্ত লোকদের মধ্যে পরিচর্য্যা কাজ করছে। আলিয়া আফ্রিকা এবং পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে নেতাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। তিনি পূর্ব আফ্রিকার সি পি এম নেটওয়ার্ক-এর একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং মধ্য আফ্রিকার নিউ জেনারেশন-এর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী।

 এটি মূলতঃ ২৪:১৪ বই-এর ২৭৮-২৮৩পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়েছিল – সমস্ত লোকদের পক্ষে একটি সাক্ষ্য, ২৪:১৪ থেকে বা অ্যামাজন-এ উপলব্ধ৷

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Categories
আন্দোলন সম্পর্কে

An Agency Transition: From Church Planting to Disciple Making Movements – Part 1

An Agency Transition: From Church Planting to Disciple Making Movements – Part 1

By Aila Tasse –

In August 1989 I began ministering among some Muslim groups in Northern Kenya, and in 1992 I started doing outreach into a wider area. In 1994-98 I started researching unreached people groups (UPGs), and LifeWay Mission became organized as an indigenous mission agency in 1996. 

Around that time our group grew significantly. We had people joining who could speak the local languages of a large number of the tribes we wanted to reach. We also had members of unreached people groups reaching out and serving as part of our ministry. So I established a small mission school, and started teaching them. I was going to seminary so I made my own training for them out of what I was learning. We trained the young people and sent them back to their areas. They were the ones on the front lines, reaching out to people and leading the churches. 

A big turning point came in 1998, when I started implementing my larger vision. I gave assignments to the local people I was training. I said, “The best thing will be if we find people from the local community.” So they would go out for a month, start reaching out to people, and find key leaders within that month. When they came back they brought those leaders to our training center. We trained those key leaders for two months then sent them as would-be leaders for the strategy. The workers who had originally connected with them remained as coaches. I didn’t exactly learn these things; I was making things up as we went along. We were seeing things happen, but didn’t have material to learn from. So most of our ministry and programs came out of needs I saw in the field. I was teaching a lot of what later turned into CPM.

Considering a New Paradigm

Between 2002 and 2005 I started hearing about Church Planting Movements. But at that point I hadn’t come into contact with training involving other African CPM leaders. Our mission had touched all the unreached people groups in our focus region, but we didn’t have anything like a movement. I had written a dissertation on church planting and read all kinds of books on the subject, including David Garrison’s book Church Planting Movements. But a big challenge to my thinking came in 2005. 

I met a West African brother who was starting a training, and the main trainer was David Watson. That was when I started to really grapple with the idea of a movement. But I had a difficult time with what David Watson was saying.  He was telling me, “You need to do this and that,” based on what worked in India among Hindus. 

I said, “You’ve never been a Muslim. I am a Muslim background believer and I already have experience and fruit working among African Muslims. Things may not happen the same way in this context.” My big obstacle was that I wanted to defend my own work. I felt successful in planting churches among Muslims. So I pushed back. 

But the most important thing for me was, “How will I finish the task among these people groups if not through something like a CPM?” God had told me “Multiply yourself into the lives of many people.” And he expanded my vision from just the tribes in my home area, to a vision for reaching all of East Africa. I didn’t know what that would look like, but I knew God had spoken to me about it. That began my serious journey into movements. I felt the task was more important than the method. I wanted whatever would help do the task in shortest time, in a biblical way that glorified God. I felt ready for something radical – like the man who sold everything to buy the field containing hidden treasure. At all cost, I wanted to do the best thing for God’s glory among the unreached.

Around 2005 I started speaking about CPM and organizing for reaching UPGs. I had a passion for frontier mission, and I wanted to plant more churches. I had already been doing a lot of things that could be called the DNA of CPM, and the 2005 training gave me more tools and connections.

At the beginning, I wasn’t focused. But over the next few years I started implementing CPM principles and doing trainings with Dave Hunt. He played a big role by coaching me and answering my questions. He gave me a lot of encouragement in my journey. Without knowing much, I invested my energy in applying CPM principles instead of arguing about it, and it began bearing fruit. I found most of the CPM principles in the Bible. We began experiencing CPM and training and sending people. As I continued learning about movements, the strategy became very clear to me. And the movement start taking off at the beginning of 2007.

One major shift happened when I started looking at church differently, asking: “What is a church?” I had previously wanted church to be just a certain way, which was not very reproducible. Now I became serious about applying a simpler pattern of church, which was much more reproducible.

Two other key factors revolutionized my thinking:

  1. helping people discover truth (instead of someone telling it to them) and 
  2. obedience as a normal pattern of discipleship.

I saw the radical difference these could make toward ministry that would rapidly multiply. 

Paradigm Shift in LifeWay Mission

As this shift happened in my own mind, I didn’t push anyone in LifeWay to move toward CPM. I focused on one big question: “How can we finish the remaining task? We’ve seen some churches started, but will our current methods reach our goal? Has God called us to a certain method or to finish our task – the Great Commission?” I believe God can use any method he wants. We need to pay attention and see what method(s) he is using to seriously move us toward the goal. Jesus commanded us: “Make disciples, and teach them to obey.” That’s the heart of the Great Commission. It’s what makes the Great Commission Great. Unless we really make disciples, we can’t call the Great Commission Great. So whatever method we use, it has to be very effective at making disciples who obey. 

I started casting vision to my coworkers. I started leading from the front, demonstrating things and changing things slowly. I started showing them practices and principles, rather than forcing them. I wanted them to buy into vision rather than my putting pressure on them. I gave them my example by starting groups that multiplied. I opened the Scriptures and started showing them the biblical principles. As obedience became our lifestyle, that helped my people understand. It became clear to us that this was the way to go. I didn’t apply organizational pressure or exercise authority to bring the change. It wasn’t a top-down process. Some of our workers learned very early and started applying CPM principles; others were slower. For those moving more slowly, we said “Let’s move graciously and gradually.”

That process started in 2005 and continued for a couple of years. In October 2007 we made a complete change as an organization. We clarified that our goal was not just reaching the unreached, but catalyzing Kingdom movements. Lifeway Mission had started with a vision of Kingdom growth in Northern Kenya. The key thing was engaging unreached groups and reaching them with the gospel. 

Now it became clear that our work was not just engaging the UPGs with the gospel, but facilitating and catalyzing Kingdom movements among them. Our focus is still reaching UPGs, but now we’re doing that through DMM (Disciple Making Movements – the term we now use most commonly, to stress that our focus is making disciples). October 2007 was a turning point for all our teams. We changed our mission statement, our details of partnership, our networking and collaborations. 

We now explicitly aim to make disciples who multiply and become churches that multiply. A Disciple Making Movement helps us finish the task Jesus has given us. We don’t focus on a method. But if DMM helps us reach our goal, we don’t need to argue. We’re aiming for Kingdom movements among UPGs, to finish our portion of the Great Commission in the region God has entrusted to us. In 2007 we used the term “CPM.” And the key to CPM is making disciples. So since that time we have emphasized making disciples – bringing the Muslim peoples of East Africa to become obedient disciples of Jesus.

In part 2 we will share some challenges in the transition, fruit since the transition, and keys that have sustained us and brought fruit.

Dr. Aila Tasse is the founder and director of Lifeway Mission International (www.lifewaymi.org), a ministry that has worked among the unreached for more than 25 years. Aila trains and coaches DMM in Africa and around the world. He is part of the East Africa CPM Network and New Generations Regional Coordinator for East Africa.

This was originally published in 24:14 – A Testimony to All Peoples, available from 24:14 or Amazon, pages 278-283.

Categories
আন্দোলন সম্পর্কে

২৪:১৪ – অবশেষে যুদ্ধের সমাপ্তি

২৪:১৪ – অবশেষে যুদ্ধের সমাপ্তি

স্ট্যান পার্কস্ এবং স্টিভ স্মিথ

একটি নবায়িত যুদ্ধ গত ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে শান্তভাবে চলতে থাকে। প্রথমে, এটি সম্পূর্ণভাবে কয়েকজন “স্বাধীনতা সংগ্রামী”-দের দ্বারা শান্ত বিদ্রোহের আকারে আরম্ভ হয়েছিল যারা কোটি কোটি মানুষ সুসমাচারের বাক্য শ্রবণ না করে জীবিত থাকে এবং মৃত্যু বরণ করে তা দেখতে অনিচ্ছুক। এরা মৌলবাদী, কখনই মেনে নিতে পারে না যে লোকেরা “এই জগতের অধিপতির” বন্ধনে থেকে মৃত্যুবরণ করে, এবং এদের অনেকেই প্রভূ যীশুর দ্বারা বন্দীদেরকে মুক্ত করার জন্য নিজেদের জীবন বলিদান করেছেন।

 

এটি কোন জাগতিক যুদ্ধের মহাসম্মেলনের পুনরাগমন নয় যা প্রভূ যীশুর নামে আসছে। এই রাজ্য প্রত্যক্ষ করা যাবে, যেমন  প্রভূ যীশু ঘোষনা করেছেনঃ 

“আমার রাজ্য এ জগতের নয়। যদি আমার রাজ্য এই জগতের হত, তবে

আমার অনুচরেরা প্রাণপন করিত, যেন আমি যিহূদীদের হস্তে সমর্পিত না হই।

কিন্তু আমার রাজ্য ত এখানকার নয়।” (যোহন ১৮:৩৬)

 

এটি এক মানুষের আত্মার যুদ্ধ। এই সেনারা বিশ্বাস করে যে আত্মার আন্দোলনের বৃদ্ধির ন্যায় শিষ্যত্ব, মণ্ডলী, নেতৃবৃন্দ এবং আন্দোলন আত্মীক আন্দোলনে বহুগুণে বৃদ্ধি পেতে সক্ষম, যেভাবে তারা প্রারম্ভিক মণ্ডলীতে করেছিল। তারা এটি বিশ্বাস করে যে খ্রীষ্টের আদেশ এখনও সম-পরিমাণ ক্ষমতা এবং আত্মার শক্তি বহন করে যা ২০০০ বছর পূর্বে ছিল।

 

আজকের যুগেও পুনরায় মণ্ডলী স্থাপনের আন্দোলনগুলি (CPMs) ছড়িয়ে পড়ছে যেভাবে প্রেরিতদের কার্যবিবরণীর সময়ে এবং ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে ঘটেছে। এটি কোন নূতন ঘটনা নয় কিন্তু পুরাতন। তারা বাইবেলের প্রাথমিক শিষ্যত্বকে পোষন করে যে প্রভূ যীশুর সমস্ত প্রকারের শিষ্যেরা অনুকরণ করতে পারে, ১) প্রভূ যীশুর অনুসারীগণ ২) মনুষ্যধারীগণ (মার্ক ১:১৭)। প্রত্যেক মহাদেশে, যেখানে এক সময় বলা হত যে, “মণ্ডলী স্থাপনের আন্দোলন এখানে কার্যকারী করা সম্ভব নয়,” সেখানেই এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে।

 

বাইবেলের নীতিগুলি সমস্ত ব্যবহারিক, পুনরুৎপাদনকারী আদর্শগুলি আন্দোলনগুলিতে এবং ভিন্ন সংস্কৃতির অঞ্চলগুলিতে ব্যবহৃত হয়েছে। ঈশ্বরের দাসেরা এমন উপায়ে হারিয়ে যাওয়া লোকদের উদ্ধার করছেন, শিষ্যদের তৈরি করছেন, স্বাস্থ্যবান মণ্ডলী স্থাপন করছেন এবং ঈশ্বরীয়  নেতাদের বিকাশ করছেন, যেন তারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম নিজেদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সার্বিকভাবে নিজেদের সম্প্রদায়কে পরিবর্তন করতে পারেন।

 

ঐতিহাসিক ভাবে কেবলমাত্র এই আন্দোলনগুলিকেই আমরা একমাত্র উপায় হিসাবে দেখতে পাই যেখানে ঈশ্বরের রাজ্য লোকসংখ্যা বৃদ্ধির অনুপাতের অধিক বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের ছাড়া, কোন উত্তম সেবাকাজের প্রচেষ্টাও নিজেদের জমি হারায়।

 

এই নবায়িত প্রচেষ্টার স্রোত অগ্রে এগিয়ে চলেছে এবং এটি একটি অদম্য শক্তি। এই বিদ্রোহ কোন খামখেয়ালী নয়। প্রায় ২০ বছরের অধিক সময় ধরে এই পুনরুৎপাদনকারী মণ্ডলীগুলির সাথে, ১৯৯০ সাল থেকে শুরু করে ২০২০ সালের মে মাস পর্যন্ত প্রায় ১৩৬০ টির-ও অধিক আন্দোলনগুলির সংখ্যাবৃদ্ধি হয়েছে, যার প্রতিবেদন আমরা প্রত্যেক মাসে পাই। প্রত্যেকটি আন্দোলনের বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে মহান সহিষ্ণুতা এবং ত্যাগ।

 

এই মিশন — প্রত্যেকটি সুসমাচার অপ্রাপ্ত মানুষ এবং প্রত্যেকটি স্থানে ঈশ্বরের বাক্য নিয়ে যাবার জন্য — বহু ধরনের বাস্তবিক নির্যাতনের সম্মুখীন হয়েছে। এটি প্রভূ যীশুর নাম অন্ত পর্যন্ত প্রত্যেকটি স্থানে প্রভাব বিস্তার করছে তা দেখতে পাওয়ার একটি সংগ্রাম, যেন সমস্ত লোকেরা তাঁর আরাধনা করে। এই মিশন সমস্ত ধরনের মূল্য প্রদান করতে সক্ষম, এবং এটি মূল্য প্রদানের  যোগ্যও! তিনি এটির যোগ্য।

 

বর্তমান যুগের প্রায় ৩০ বছরের আন্দোলনের পুনরুত্থানের দ্বারা, একটি বিশ্বব্যাপী জোট গঠিত হয়েছে, এটি কোন প্রেক্ষাগৃহে আলোচনা সভা থেকে উদ্ভব হয়নি, কিন্তু এটি সেই সমস্ত নেতাদের দ্বারা সংগঠিত হয়েছে যারা এই আন্দোলনের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সর্বদা সচেষ্ট আছেনঃ

আর সর্বজাতির কাছে নিকটে সাক্ষ্য দিবার নিমিত্ত রাজ্যের এই সুসমাচার সমুদয় জগতে

প্রচার করা যাইবে; আর তখন শেষ উপস্থিত হইবে। – (মথি ২৪:১৪) 

 

যখন ঈশ্বর প্রত্যেক ভাষা, জাতি, উপজাতি এবং দেশের লোকদের অগণিত সংখ্যায় নিজের রাজ্যে নিয়ে আসছেন, তখন আমরা বলিঃ “প্রভু যীশু, এস!” (প্রকাশিত বাক্য ২২:২০)। আমরা ক্রন্দন করিঃ

 

তোমার রাজ্য আসুক! (আন্দোলন)

 

কোন স্থান পরিত্যক্ত নেই! (সবাই সুসমাচার প্রাপ্ত)

 

যা পূর্বে শুরু হয়েছিল তা শেষ হয়েছে! (আমাদের পূর্বের দাসদের সম্মান প্রদান)

 

প্রার্থনার মাধ্যমে, আমরা এক জোট হিসেবে অনুভব করেছি যে ঈশ্বর আমাদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করতে আদেশ করেছেনঃ আমাদের লক্ষ্য এই যে ২০২৫ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রত্যেক সুসমাচার অপ্রাপ্ত স্থানে এবং লোকদের মাঝে একটি প্রভাবশালী রাজ্যের আন্দোলনের (মণ্ডলী স্থাপনের আন্দোলন) মাধ্যমে সুসমাচার প্রদান করা।

 

আমরা এই মহান মিশনকে সম্পাদন করার জন্য বৃহত্তর রাজ্যের সহযোগীতায় সমস্ত ধরনের সংস্থাগত এবং সম্প্রদায়গত ব্র্যান্ডগুলিকে গৌন রূপে বিবেচনা করেছি। আমাদের উন্মুক্তভাবে যেকোন মানুষকে সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবক সৈন্যবাহিনী বানানোর জন্য যে পদটি অনুপ্রাণিত করে তা হলঃ ২৪:১৪।

 

আমরা পাশ্চাত্য-কেন্দ্রিক কর্মোদ্যোগ নই। আমরা দক্ষিণ এশিয়ার গৃহমণ্ডলীর আন্দোলন, ১০/৪০ জানালার মুসলিম লোকদের আন্দোলন, মিশনারী প্রেরক সংস্থা, আধুনিক অঞ্চলে মণ্ডলী স্থাপনের নেটওয়ার্ক, প্রতিষ্ঠিত মণ্ডলী এবং আরো অনেকের সমন্বয়ে গঠিত একটি উদ্যোগ (এই সংস্করণে বিবিধ সাক্ষ্যসমূহগুলি দেখুন)। 

 

আমরা সেই অনুঘটনকারী, সংখ্যাবৃদ্ধিকারী এবং মণ্ডলী স্থাপণ আন্দোলনগুলির সমর্থনকারীদের বিশ্বব্যাপী সুসমাচার অপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং স্থানকে জরুরীভাবে সংযুক্ত করার জন্য একটি সহযোগী সম্প্রদায়৷

 

খ্রীষ্টেতে ভ্রাতা বোনদের সাথে ত্যাগ স্বীকার করতে, সমস্ত লোকের প্রতি সাক্ষী হিসেবে গোটা বিশ্বজুড়ে সুসমাচার ঘোষিত হতে দেখার জন্য আমরা এক যুদ্ধকালীন মানসিকতার জন্য আহ্বানের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছি (এই articleটি দেখুন)।

 

এই বিপ্লব কি অন্যান্য শত শত পরিকল্পনা থেকে ভিন্ন যা বিগত শতাব্দীগুলিতে উদ্ভূত হয়েছে?  আমরা বিশ্বাস করি হ্যাঁ (এই articleটি দেখুন)৷ আমরা এমন একটি সম্পর্কের সম্প্রদায় যা স্বয়ং আন্দোলনের তৃণমূল থেকে এসেছিল, একই দর্শনের দ্বারা বিমুগ্ধ হয় এবং এটি সংঘটিত করতে একত্রে কাজ করতে ইচ্ছুক৷ এই ২৪:১৪-এর দর্শন ঐতিহাসিক এবং বর্তমান প্রচেষ্টার চরম কার্যকারিতা সম্পূর্ণভাবে এর সংযুক্তিকরণের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে।

 

একটি অন্তিম প্রজন্ম থাকবে। এটি সমগ্র বিশ্বে ঈশ্বরের রাজ্যের বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিচিত হবে, এবং বিশ্বব্যাপী সমস্ত বিরোধীতার মুখোমুখী হয়েও এগিয়ে যাবে। মথি ২৪ অধ্যায়ে প্রভূ যীশু যে বিষয়ে বর্ণনা দিয়েছেন তা দেখে আমাদের প্রজন্ম অদ্ভুত মনোভাব পোষন করে।

 

আমরা ২,০০০ বছরের একটি এক আত্মীক যুদ্ধের সমাপ্তি দেখতে পারি। শত্রুর পরাজয় দৃষ্টিগোচর হয়। দিগন্তেএমন কোন স্থান পরিত্যক্ত নেই যেখানে যীশুর নাম উচ্চারিত হচ্ছে না হয় (রোমীয় ১৫:২৩)। ঈশ্বর আমাদের মথি ২৪:১৪-কে পূর্ণকারী সেই প্রজন্ম হওয়ার জন্য মূল্য প্রদান এবং গভীর ত্যাগ স্বীকার করতে বলছেন৷ আপনি কি প্রস্তুত?

মিশন ফ্রন্টিয়ার্স-এর জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী ২০১৮ সালের প্রকাশনায়, মূলতঃ একটি প্রবন্ধ থেকে সংকলিত, http://www.missionfrontiers.org পৃষ্ঠা ৭-১২, এই উপাদানটি ২৪:১৪ – সমস্ত লোকেদের পক্ষে একটি সাক্ষ্য বই-এর পৃষ্ঠা ১৭৪-১৮১-তে বিস্তারিত এবং সম্পাদিত হয়, ২৪:১৪ থেকে বা অ্যামাজন-এ উপলব্ধ৷

মিশন ফ্রন্টিয়ারসএর জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সংখ্যায় প্রকাশিত একটি নিবন্ধ থেকে সম্পাদিত এবং ঘনীভূত, www.missionfrontiers.org,

পৃষ্ঠা ৭-১২, সম্প্রসারিত এবং প্রকাশিত হয়েছে ২৪:১৪ বইয়ের ১৭৪-১৮১ পৃষ্ঠায় – সমস্ত মানুষের কাছে সাক্ষ্য, ২৪:১৪

বা আমাজন

থেকে উপলব্ধ।

Categories
আন্দোলন সম্পর্কে

প্রভূ যীশুর আবৃত নীতি এবং কৌশলসমূহঃ স্থানান্তরযোগ্যতা এবং পুনরুৎপাদনযোগ্যতা

প্রভূ যীশুর আবৃত নীতি এবং কৌশলসমূহঃ স্থানান্তরযোগ্যতা এবং পুনরুৎপাদনযোগ্যতা

– সোডানকে জনসন দ্বারা লিখিত 

আমি পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরা লিওনে ভিত্তিক, নিউ হারভেস্ট গ্লোবল মিনিস্ট্রিজ-এর দলনেতা। আমি নতুন প্রজন্মগুলির সাথেও যুক্ত, এবং আমি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত, নতুন প্রজন্মগুলির জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। আমি পুরো প্রাপ্তবয়স্ক জীবন ডি এম এম কর্মের এবং মণ্ডলী স্থাপণে জড়িত ছিলাম, আমি এই সুযোগ এবং অভিজ্ঞতার জন্য প্রভূর প্রতি কৃতজ্ঞ।

আমি আপনাদের সাথে প্রভূ যীশুর আবৃত নীতি এবং কৌশলসমূহঃ স্থানান্তরযোগ্যতা এবং পুনরুৎপাদনযোগ্যতা সম্পর্কে বলতে চাই। প্রভূ যীশুর স্থানান্তরযোগ্য এবং পুনরুৎপাদনযোগ্য আবৃত কৌশলসমূহ অনুসরণের মাধ্যমে, স্বদেশী মণ্ডলীগুলি অসংখ্য আন্দোলনগুলির পূনরুৎপাদন করতে পারে। প্রভূ যীশু তাঁর সমগ্র পরিচর্য্যায় কয়েকটি মৌলিক কৌশল এবং নীতিগুলি প্রয়োগ করেছিলেন। এই বিষয়গুলি জানা আমাদেরকে মহান আদেশ পালন করতে এবং বিশ্বজুড়ে ইউইউপিজি-দের কাছে পৌঁছাতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে।

যেমন প্রভূ যীশু তাঁর মিশনে আড়ম্বরপূর্ণ প্রবেশ করেছিলেন, তাঁর পিতার কাছ থেকে তিনি একটি আদেশ পেয়েছিলেন। এমনকি শুরু হওয়ার আগেই তাঁর কাছে শেষ ছিল। তিনি অত্যন্ত কৌশলগতভাবে সহজে পুনরুৎপাদনযোগ্য আবৃত নীতি এবং কৌশলসমূহ সম্পর্কে চিন্তা করেছিলেন। তাদের মধ্যে রাজ্যের এবং ফসলের দর্শন ছিল। রাজ্যটির মধ্যে, তিনি বলেছিলেন, “মন পরিবর্তন করো, কারণ স্বর্গরাজ্য সন্নিকট” (মথি ৪:১৭)। প্রভূ যীশুর পরিচর্য্যার মধ্যে স্বর্গরাজ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি চেয়েছিলেন তাঁর শিষ্যরা যেন রাজ্য কি তা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে, তাই তিনি প্রায়শই রাজ্যের বিষয়ে কথা বলতেন। 

এটি কোন ধর্মীয় সম্প্রদায়গত মিশন ছিল না। এটি কোন মণ্ডলীর মিশন ছিল না। এটি ছিল রাজ্যের মিশন। সুতরাং প্রভূ যীশু স্পষ্টভাবেই রাজ্যের নীতিগুলির প্রবর্তন করেছিলেন। যদি আমরা ইউইউপিজি-গুলির মধ্যে অসংখ্য আন্দোলনগুলি হতে দেখতে চাই, তবে আমাদের স্পষ্টভাবে রাজ্য সম্পর্কে শিক্ষাদান, প্রশিক্ষণ এবং প্রচার করতে হবে। রাজ্য কি তা যেন লোকেরা বুঝতে পারে। রাজ্যের দর্শনকে বোঝা কার্যটিকে সহজতর করে তোলে। লোকেদের জানতে হবে যে কার্যটি করার জন্য তাদের অনুপ্রেরণা অর্থ মূল্য প্রদান নয়। এটি শিরোনামের জন্যও নয়। এটি সমস্তই ঈশ্বরের রাজ্যের সম্পর্কে। তাই আমাদের রাজ্যের বিষয়ে খুবই স্পষ্টভাবে শেখানো প্রয়োজন।

প্রভূ যীশু ফসল সম্পর্কেও বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ফসল প্রচুর, কিন্তু কর্মী সংখ্যা অল্প। তোমরা ফসলের মালিকের কাছে প্রার্থনা করো, যেন তিনি তাঁর শস্যক্ষেত্রে কর্মচারীদের পাঠান” (মথি ৯:৭-৩৮)। যদি আমরা ইউইউপিজি-দের পৌঁছাতে দেখতে চাই, তাহলে আমাদের রাজ্যকে এবং ফসলকে স্পষ্টভাবে বুঝতে এবং উপস্থাপণ করতে হবে। আমরা যেই ব্যক্তিদের শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি তাদের হৃদয়ে রাজ্য এবং ফসলের দর্শনকে প্রভাবিত করা প্রয়োজন। এটি সেই প্রলোভন এবং জালকে এড়াতে সাহায্য করবে যার মধ্যে বহু লোকেরা পড়ছে। যেমন, “এটি সমস্তই আমার ধর্মীয়-সম্প্রদায় সম্পর্কে।” “এটি সমস্তই আমার মণ্ডলীর সম্পর্কে।” “এটি সমস্তই আমার নিজস্ব সাম্রাজ্য সম্পর্কে।” এটি সমস্তই রাজ্য এবং ফসল সম্পর্কে!

পরবর্তী নীতি যা প্রভূ যীশু প্রতিপাদিত করেছিলেন তা ছিল অধিকমাত্রায় প্রার্থনা। প্রভূ যীশুর পরিচর্য্যায় প্রার্থনা খুবই মহত্বপূর্ণ ছিল; তিনি জানতেন যে প্রার্থনা হলো এমন একটি ইঞ্জিন যার মধ্যে আন্দোলনগুলি চলে। অধিকমাত্রায় প্রার্থনা ছাড়া, প্রার্থনার সংস্কৃতিটি, মণ্ডলীর কেবলই এক হাঁটা-চলা। প্রভূ যীশু নিজেও, এমনকি তাঁর পরিচর্য্যা শুরু করার আগে, অনেক প্রার্থনা করেছিলেন (লুক ৪:১-২)। তিনি তাঁর ১২জন শিষ্যদের মনোনীত করার আগেও প্রার্থনা করেছিলেন (লুক ৬:১২-১৩)। তিনি তাঁর প্রতিটি দিন শুরু করার আগেও প্রার্থনা করতেন (মার্ক ১:৩৫)। এবং তিনি প্রায়শই প্রার্থনা করতেন (লুক ৫:১৬)। প্রভূ যীশু একজন প্রার্থনার ব্যক্তি ছিলেন। তিনি লাসারকে জীবিত করার আগেও প্রার্থনা করেছিলেন। তিনি যোহন ১৭:১-২৫ পদে তাঁর শিষ্যদের জন্যও প্রার্থনা করেছিলেন। তিনি আশ্চর্য্যকর্ম করার আগেও প্রার্থনা করেছিলেন। তিনি তাঁর শিষ্যদেরকে তাদের শত্রুদের জন্যও প্রার্থনা করতে বলেছিলেন (মথি ৫:৪৪)। তিনি যখন মৃত্যুর সম্মুখীন ছিলেন তখনও তিনি তিনবার প্রার্থনা করেছিলেন। ক্রুশে তাঁর প্রথম বাক্যটি ছিল প্রার্থনা এবং ক্রুশে তাঁর শেষ বাক্যটিও ছিল প্রার্থনা।

তিনি একজন প্রার্থনার ব্যক্তি ছিলেন; প্রার্থনা প্রভূ যীশুর নীতির মধ্যে এক শক্তিশালী আবর্ত ছিল। এটি যেকোন সংস্কৃতির মধ্যে সহজেই স্থানান্তরিত এবং পুনরুৎপাদনযোগ্য হয়; এটি যেকোন সম্প্রদায়ের মধ্যে অসংখ্য মণ্ডলীগুলির নেতৃত্ব করতে পারে। ঈশ্বরের লোকেদের প্রার্থনা এবং উপবাসে সময় কাটানো প্রয়োজন। আমাদের শিষ্যদেরকে আমাদের প্রার্থনার জন্য প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা দেওয়া দরকার। আমাদেরকে এই বার্তাটি আমাদের শিষ্যদের মধ্যে দেওয়া দরকারঃ প্রার্থনা এবং উপবাস যেমন প্রভূ যীশু করেছিলেন। যদিও তিনি শারীরিকভাবে ঈশ্বর ছিলেন, তিনি তাঁর পরিচর্য্যা আরম্ভ করার আগে প্রার্থনা করেছিলেন। যদি ঈশ্বর এত বেশী প্রার্থনা করেছিলেন, তবে আমাদেরও ততবেশী প্রার্থনা করতে হবে। আমরা যদি ইউইউপিজি-দের মধ্যে উন্নতি দেখতে প্রত্যাশা করে থাকি, তাহলে আমাদের একটি প্রার্থনার পরিচর্য্যার প্রয়োজন। আমাদের প্রার্থনাশীল শিষ্যদের প্রয়োজন। যখন আমরা প্রার্থনা করি এবং শিষ্যদের উপবাস এবং প্রার্থনার জন্য তৈরী করি,  আমরা অসংখ্য আন্দোলনগুলি দেখতে পারার প্রত্যাশা করতে পারি। মনে রাখবেন প্রার্থনা হলো আন্দোলনের ইঞ্জিন। কেবলমাত্র যেমন প্রভূ যীশুর কাছে রাজ্য এবং ফসলের এক স্পষ্ট দর্শন ছিল, তাঁর কাছে অধিকমাত্রায় প্রার্থনার দর্শন ছিল।

প্রভূ যীশুর আবর্ত নীতিগুলির অপরটি হলো সাধারণ ব্যক্তিদের নীতি। প্রভূ যীশু লোকেদের ক্ষমতায়ণ করেন, প্রত্যেক বিশ্বাসীদের ক্ষমতায়ণ করেন। সেইভাবেই পরিচর্য্যা পরিমাপযোগ্য এবং পুনরুৎপাদনযোগ্য হয়ে ওঠেঃ সাধারণ ব্যক্তিদের মাধ্যমে। যখন আমরা মথি ৪:১৮, মথি ১০:২-৪, এবং প্রেরিত ৪:১৩ পড়ি, আমরা দেখতে পারি প্রভূ যীশু কিভাবে সাধারণ ব্যক্তিদের প্রতি জোর দিয়েছিলেন। সাধারণ ব্যক্তিরাই ছিল প্রভূ যীশুর পরিকল্পনা “ক” এবং একমাত্র পরিকল্পনা। এখনও পর্যন্ত তারা প্রভূ যীশুর পরিকল্পনা “ক” এবং একমাত্র পরিকল্পনা। সাধারণ লোকেরা কার্যটি সম্পাদন করতে চলেছেন। যখন আমরা লোকেদের প্রশিক্ষিত এবং শিষ্য করি, আমাদেরও সাধারণ ব্যক্তিদের প্রতি নজর রাখতে জোর দেওয়া প্রয়োজন। সারা বিশ্বে আপনি যেখানেও যান, আপনি সাধারণ ব্যক্তিদের খুঁজে পাবেন। আমাদের কাছে বিশাল সংখ্যায় সাধারণ ব্যক্তিরা বসে রয়েছে।

প্রভূ যীশু জানতেন তিনি পেশাগতদের খুঁজছিলেন না। তিনি সাধারণ ব্যক্তিদের খুঁজছিলেন। আমরা যখন প্রভূ যীশুর চারপাশের লোকেদের দেখি, তাদের মধ্যে প্রত্যেকেই সাধারণ ব্যক্তি ছিল। তিনি সাধারণ ব্যক্তিদের প্রতিই তাঁর জোর দিয়েছিলেন। তাদের প্রশিক্ষিত করে এবং তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং তাদের সক্ষম করে তুলেছিলেন যেমন তিনি তাদের করতে চেয়েছিলেন। সুতরাং যদি আমরা বিশ্বজুড়ে আন্দোলনগুলি হতে দেখতে চাই, যদি ইউইউপিজি-দের কাছে পৌঁছোতে মনস্থ করে নিয়েছি, তাহলে আসুন সাধারণ ব্যক্তিদের সাথে করি। যেখানেও আমরা যাই – প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মধ্যে, প্রত্যেক সংস্কৃতির মধ্যে – প্রভূ যীশুর মতো, কেবল সাধারণ ব্যক্তিদের খোঁজ করুন। সাধারণ ব্যক্তিদের আবর্ত নীতি এবং কৌশলসমূহ প্রভূ যীশুর পরিচর্য্যার মূল ছিল, এবং এটি বিশ্বজুড়ে অসংখ্য আন্দোলনগুলিকে নেতৃত্ব প্রদান করতে পারে। 

প্রভূ যীশুর বলা পরবর্তী আবর্ত নীতিটি ছিল এমন শিষ্য তৈরী করা যারা শিষ্য তৈরী করে। প্রভূ যীশু বলেছিলেন, তোমরা যাও ও সমস্ত জাতি থেকে শিষ্য তৈরি করো, …তাদের বাপ্তিষ্ম দাও। আর আমি তোমাদের যে সমস্ত আদেশ দিয়েছি, সেগুলি পালন করার জন্য তাদের শিক্ষা দাও” (মথি ২৮:১৯-২০)। প্রভূ যীশু তাঁর শিষ্যদের খুবই স্পষ্টভাবে বলেছিলেনঃ তাদেরকে জগতে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। তিনি তাদের যাওয়া চেয়েছিলেন! কিন্তু যখন আপনি যান, মূল বিষয়টি কি? মূল কৌশলটি কি? যখন আপনি যান, শিষ্য তৈরী করুন। শিষ্য তৈরী হলো প্রভূ যীশুর আবর্ত কৌশল এবং নীতিগুলির অত্যন্ত মূল বিষয়। তিনি সান্ত্বনায় আগ্রহী ছিলেন না; তিনি শিষ্যে আগ্রহী ছিলেন। কারণ তিনি জানতেন শিষ্য তৈরী হলো স্থানান্তরযোগ্য এবং পুনরুৎপাদনযোগ্য। শিষ্যেরা যারা শিষ্যদের তৈরী করে তারা বাধ্য হলে অসংখ্য আন্দোলনগুলির নেতৃত্ব করবে। তিনি শুধুমাত্র জ্ঞান-ভিত্তিক শিষ্যদের চান না। তিনি বাধ্যতা-ভিত্তিক শিষ্যত্ব চেয়েছিলেন। সেই কারণেই পৌল তিমথীকে লিখেছিলেনঃ “আর বহু সাক্ষীর উপস্থিতিতে তুমি আমাকে যেসব বিষয় বলতে শুনেছ, সেগুলি এমন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিদের হাতে অর্পণ করো, যারা আরও অন্যদের কাছে সেগুলি শিক্ষা দিতে সমর্থ হবে” (২তিমথী ২:২)। পৌল তিমথীকে যা লিখেছিলেন আমি তার প্রতি দৃষ্টিপাত করতে চাইঃ তোমার কাছে যেই শিক্ষা ছিল, যেই শিক্ষা আমি তোমাকে দিচ্ছি, যেই প্রশিক্ষণ আমি তোমাকে দিচ্ছি — এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ যে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তুমি আমাকে এইসব বিষয় বলতে শুনেছ। এখন আপনাকে শিষ্য নির্মাণকারী শিষ্যে নিবেশ করা প্রয়োজন। আপনিও চারিদিকে ঘুরে বিশ্বাসযোগ্য শিষ্যদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন যারা তারপরে অন্যদের সজ্জিত করবে। এটি সেই বহু-প্রজন্মগত শিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ যা পৌল তিমথীকে স্থানান্তরিত করেছিলেন, যিনি অন্যান্য বিশ্বাসযোগ্য শিষ্যদের প্রতিও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। প্রভূ যীশু বাধ্যতা-ভিত্তিক শিষ্য তৈরী করেছিলেন। যদি আমরা অসংখ্য আন্দোলনগুলি দেখতে কোনও সুযোগ চাই, তবে আমাদের শিক্ষা, প্রচার, প্রশিক্ষণ, এবং আদর্শ আনুগত্যের প্রয়োজন – ঠিক যেমন প্রভূ যীশু এটি করেছিলেন এবং তাঁর শিষ্যদের শিখিয়ে ছিলেন।

পরবর্তী নীতিটি ছিল শান্তির ব্যক্তি, যেমন আমরা মথি ১০:১১-১৪ পদে দেখি। যখন প্রভূ যীশু তাঁর শিষ্যদের প্রেরণ করেছিলেন, তিনি তাদের বলেছিলেনঃ “আর তোমরা যে নগরে বা গ্রামে প্রবেশ করবে, সেখানকার কোনো উপযুক্ত লোকের সন্ধান করে সেই স্থান ত্যাগ না করা পর্যন্ত তার গৃহেই থেকো। সেই গৃহে প্রবেশ করার সময়, তোমরা তাদের শুভেচ্ছা জানিয়ো। যদি সেই গৃহ যোগ্য হয়, তোমাদের শান্তি তার উপরে বিরাজ করুক; যদি যোগ্য না হয়, তাহলে তোমাদের শান্তি তোমাদেরই কাছে ফিরে আসুক। কেউ যদি তোমাদের স্বাগত না জানায়, বা তোমাদের কথা না শোনে, সেই গৃহ বা নগর ত্যাগ করার সময় তোমাদের পায়ের ধুলো ঝেড়ে ফেলো।” তিনি তাদের বলেছিলেনঃ “তোমরা যাও এবং উপযুক্ত লোকের সন্ধান করো।” আমরা এটিকে এক শান্তির ব্যক্তি বলে থাকিঃ সম্প্রদায়ের মধ্যে ঈশ্বর কাউকে আপনার আগে তৈরী করেছেন। শান্তির ব্যক্তি সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি পুল স্বরূপ। একজন শান্তির ব্যক্তি হলেন একজন প্রভাবকারী ব্যক্তি যিনি স্বেচ্ছায় আপনাকে গ্রহণ করবেন এবং আপনার বার্তা শুনবেন, ও বেশীরভাগ সময় প্রভূ যীশুর এক অনুসারী হবেন। প্রভূ যীশু খুব ভালোভাবে জানতেন যে তাঁর আন্দোলন ইতিমধ্যেই প্রতিটি সংস্কৃতির মধ্যে এক ব্যক্তির আন্দোলন হয়ে উঠবে। শান্তির ব্যক্তি নীতিটি সেইসব বাধা এবং সংস্কৃতি এবং ধার্মিক লালফিতাধারী যা আজ আমাদের কাছে রয়েছে সংক্ষিপ্ত করে দেয়। যদি আমরা ইউইউপিজি-দের মধ্যে আন্দোলনগুলি হতে দেখতে চাই, তবে আমাদের এই শান্তির ব্যক্তি নীতিটি প্রয়োগ করতে হবে। এটি কমদামী। এটি খুবই সহজও। কারণ যখন আপনার কাছে কোন সাংস্কৃতিক অভ্যন্তর থাকে, তাদের গিয়ে সমস্ত ভাষাগুলি শেখার প্রয়োজন হয় না। তারা ইতিমধ্যেই ভাষাগুলি জানেন। আপনাদের অভ্যন্তরীণদের জন্য বেশী খরচ করার প্রয়োজন হয় না। কারণ সেটি তাদেরই সংস্কৃতি, তাদের কাছে এক আবেগ রয়েছে। তারা এলাকা সম্পর্কে জানেন এবং তারা সংস্কৃতি এবং বিশ্বদর্শনকে বুঝতে পারেন ও সহজেই তাদের সাথে সম্পর্কিত হতে পারেন। অভ্যন্তরীণদের আগের থেকেই সংস্কৃতির মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে। সেইজন্যই প্রভূ যীশু শান্তির ব্যক্তির নীতি এবং কৌশল সম্পর্কে ঘোষণাটিকে প্রেরণ করেছিলেন। এটি যেকোন সংস্কৃতির মধ্যে স্থানান্তরযোগ্য এবং পুনরুৎপাদনযোগ্য।

প্রভূ যীশুর আবর্ত নীতিগুলির মধ্যে অপরটি হলো পবিত্র আত্মার নীতি, যেমন আমরা যোহন ১৪:২৬; ২০:২২ এবং প্রেরিত ১:৮ পদে দেখি। পবিত্র আত্মা সারা বিশ্বজুড়ে হওয়া স্থায়ী আন্দোলনগুলির মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। পবিত্র আত্মা শিষ্যদের এবং শিষ্য নির্মাণকারীদের জীবনে এক জীবন্ত জলস্রোত, যেমন যোহন ৭:৩৭-৩৮ পদে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে। ডি এম এম প্রক্রিয়ার মধ্যে পবিত্র আত্মা হলেন সহায়ক এবং শিক্ষক। আমরা যোহন ১৪:২৬; ১৬:১৪-১৫, ৩২ পদে পড়ি যে পবিত্র আত্মা হলেন অন্তর্নিহিত শক্তি যা আমাদের রাজ্যের সাক্ষী হওয়ার জন্য যোগ্য করে তোলে। প্রেরিত ১:৮ পদে প্রভূ যীশু তাঁর শিষ্যদের বলেছিলেনঃ  “তোমরা যেরুশালেম ছেড়ে যেয়ো না, যতক্ষণ না পবিত্র আত্মার শক্তি পাও, এবং তখন তোমরা আমার সাক্ষী হবে।” পবিত্র আত্মা অসাধারণ আশ্চর্যকর্ম করেছিলেন এবং সবচেয়ে সাহসী শিষ্যদেরও উৎসাহিত করেছিলেন, যেমন আমরা প্রেরিত ৪:১৮-২০; ৯:১৭ পদে দেখি। পবিত্র আত্মা এমনকি অতি সম্ভাবনাময় ব্যক্তিদেরও দ্রুত সংখ্যাবৃদ্ধির জন্য দ্বার উন্মুক্ত করতে ব্যবহার করতে পারেন। প্রেরিত ১০:৪৪-৪৮ পদে আমরা দেখি যে পবিত্র আত্মা কেবলমাত্র অতীতের ব্যক্তিদের নিমিত্তেই নন; কিন্তু তিনি আজকের আমাদের জন্য কার্য করেন। পবিত্র আত্মার স্থায়ী শক্তি ছাড়া আমরা কখনই এক স্থায়ী শিষ্য নির্মাণকারী আন্দোলনকে দেখতে পারব না। প্রভূ যীশু এই নীতির প্রতি জোর দিয়েছিলেন কারণ তিনি জানতেন বিশ্বজুড়ে আপনার অবস্থা বাস্তবিকভাবেই কিছু যায় আসে না। আপনি যেখানেও থাকুন না কেন পবিত্র আত্মা আপনার কাছে পৌঁছে যেতে পারেন। এই নীতিটি স্থানান্তরযোগ্য; আপনি এটিকে যেখানেও নিয়ে যেতে পারেন। আপনি এটিকে যেখানেও পুনরুৎপাদন করতে পারেন। যদি আমরা এই কার্য হতে দেখতে চাই, তাহলে আমাদের এটিকে প্রভূ যীশুর উপায়ে করতে হবে। এই কার্যের জন্য পবিত্র আত্মা অপরিহার্য। তিনি প্রত্যেকটি স্বদেশী মণ্ডলী, প্রত্যেকটি শিষ্য এবং প্রত্যেকটি শিষ্য নির্মাণকারীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

পরবর্তী নীতিটি হলো বাক্যের সরলতা। মথি ১১:২৮-৩০ এবং লুক ৪:৩২ পদে আমরা দেখি যে প্রভূ যীশু কেবলমাত্র তাঁর চরিত্রকে স্বাগতই করছেন না; তিনি তাঁর শিক্ষার মধ্যেও সরল। ভিড় সরলতার জন্যই তাঁর শিক্ষাকে ভালোবাসতো। প্রভূ যীশু জটিল বিষয়গুলিকে সরল করে তুলতেন এবং সরল বিষয়গুলিকে আরও সহজতর করতেন। যদি আমরা ইউইউপিজি-দের মধ্যে অগ্রগতি দেখতে চাই, তাহলে আমাদের প্রভূ যীশুর স্থানান্তরযোগ্য এই আবর্ত নীতিটিকে অনুসরণ করা প্রয়োজনঃ বিষয়গুলি অত্যন্ত সরল করে তোলা।

প্রভূ যীশুর ব্যবহৃত অপর আবর্ত নীতিটি ছিল প্রবেশাধিকার পরিচর্য্যা, বা অনেকে যা বলে থাকে আবেগপূর্ণ পরিচর্য্যা। আমরা তা মথি ৯:৩৫; ১৪:১৭; লুক ৯:১১; ১১:১; মার্ক ৬:৩৯-৪৪ পদে দেখতে পাই। প্রভূ যীশু আরোগ্যতাকে প্রবেশাধিকার স্বরূপ মথি ৯:৩৫ পদে ব্যবহার করেছিলেন। লুক ৯:১১ পদে প্রভূ যীশু পুনরায় আরোগ্যতাকে প্রবেশাধিকার পরিচর্য্যা স্বরূপ ব্যবহার করেছিলেন। তিনি খাবারকেও প্রবেশাধিকার পরিচর্য্যা (আবেগপূর্ণ পরিচর্য্যা) স্বরূপ ব্যবহার করেছিলেন। আমাদের রাজ্যের অগ্রগতির জন্য, প্রভূ যীশুর কাছ থেকে শেখা এবং ঈশ্বর যা কিছুর সাথে আমাদের আশীর্বাদ করেছেন তা উন্মুক্ত হাতে ধরে রাখা প্রয়োজন। 

প্রভূ যীশুর ব্যবহৃত পরবর্তী নীতিটি ছিল তাঁর শিষ্যদেরকে সংস্থানের জন্য ঈশ্বরের উপর নির্ভরশীলতা রাখতে বলা (মথি ১০:৯-১০; গীত সংহিতা ৫০:১০-১২)। আমাদের প্রত্যেককে এই আবর্ত নীতি গ্রহণ করা উচিত। এটি স্থানান্তরযোগ্য এবং পুনরুৎপাদনযোগ্য। যদি আমরা এটি গ্রহণ করি, এটি আন্দোলনকে নেতৃত্ব দান করবে। প্রভূ যীশুর বার্তা খুবই স্পষ্ট ছিলঃ “কিছুই না নিয়ে যাও এবং সংস্থানের জন্য ঈশ্বরের উপর নির্ভরশীল হও।” আমরা জানি যে ঈশ্বর বিগত দিনেও এই কার্যকে সমর্থন করেছেন, এবং ভবিষ্যত্বেও যদি এই কার্য তাঁর উপায়ে করা হয় তাহলে তিনি সর্বদা আমাদের সমর্থন করবেন। বিশ্বব্যাপী মণ্ডলী এক বিশ্বব্যাপী ঈশ্বরকে কোনো ভাবেই নিঃস্ব করতে পারে না। তাঁর সংস্থানগুলি সীমাহীন। আমরা ঈশ্বরের উপর তাঁর সংস্থানের জন্য নির্ভরশীল হতে পারি। যখন আমরা মুখ খুলে তাঁর কাছে যাচনা করি, তিমি সংস্থান সরবরাহ করবেন। প্রভূ যীশু জানতেন যদি তিনি এই নীতিটি প্রয়োগ করেন, তাহলে আমরা একটি বিস্ফোরণ দেখতে পাবো। আমরা সংখ্যাবৃদ্ধি এবং পুনরুৎপাদনযোগ্যতাকে দেখবো। যেকোন স্বদেশী মণ্ডলীর মধ্যে, যেকোন সংস্কৃতিতে – এটি অনেকটাই স্থানান্তরযোগ্য। যদি আমরা এটি প্রভূ যীশুর কৃত উপায়ে করে থাকি, তবে প্রেরিতদের কার্যবিবরণীতে যা দেখেছিলাম সেখানে ফিরে আসি। যা প্রারম্ভিক দিনের মণ্ডলীতে হতো তা পুনরায় আমাদের মণ্ডলীগুলিতেও শুরু হতে পারে। এটি ইউইউপিজি-দের মধ্যে নিশ্চয়ই শুরু হতে পারে। কিন্তু যদি আমরা এটি প্রভূ যীশুর উপায়ে না করি, তাহলে আমরা আমাদের সময় নষ্ট করছি। এটি ঈশ্বরের ব্যবসা, সুতরাং যদি আমরা সফল হতে চাই, তবে আমাদের অবশ্যই প্রভূ যীশুর উপায়ে এটি করতে হবে। এটি তাঁর আবর্ত নীতি। এটি তাঁর পরিকল্পনা এবং এটি তিনি কারও জন্য পরিবর্তন করবেন না।

সংক্ষিপ্তসার হিসাবে, আমি আপনাদের পুনরায় প্রভূ যীশুর ফসল এবং রাজ্যের দর্শনকে স্মরণ করাতে চাই। অধিকমাত্রায় প্রার্থনা সম্পর্কে। সাধারণ ব্যক্তি সম্পর্কে। আমি আপনাদের এই আবর্ত নীতিগুলি সম্পর্কে স্মরণ করাতে চাইঃ শিষ্য নির্মাণকারী শিষ্যদের যারা শিষ্যদের নির্মাণ করে, এবং শান্তির ব্যক্তি। আমি আপনাদের পবিত্র আত্মা এবং বাক্যের সরলতার আবর্ত নীতি সম্পর্কেও স্মরণ করাতে চাই। এবং প্রবেশাধিকার পরিচর্য্যা (আবেগপূর্ণ পরিচর্য্যা) ও সংস্থানের জন্য ঈশ্বরের উপর নির্ভরশীলতা-কে ভুলবেন না। এগুলি আমাদেরকে মনে রাখা দরকার।

আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি যে যদি আমরা বিষয়গুলি ঈশ্বরের উপায়ে করি, তিনি সর্বদা বিশ্বাসযোগ্য, যেমন তিনি অতীতে সর্বদা বিশ্বাসযোগ্য ছিলেন। জগৎ পরিবর্তন হচ্ছে এবং এটি পরিবর্তন হতে থাকবে, কিন্তু আমাদের ঈশ্বর কখনও পরিবর্তন হবেন না। আপনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনায় কোনকিছু চেয়ে তাঁকে নিঃস্ব করতে পারবেন না। আমি বিশ্বাস করি কোন আন্দোলনের মধ্যে দেখার জন্য ঈশ্বর আপনাকে মহানভাবে ব্যবহার করতে পারেন। আসুন ফসলের প্রভূর কাছে প্রার্থনা করি যাতে তিনি শস্যক্ষেত্রে শ্রমিকদের প্রেরণ করবেন। আসুন এও প্রার্থনা করি যেখানেও লোকেরা সুসমাচারের জন্য যাক না কেন তাদের জন্য দ্বার উন্মুক্ত থাকবে। যেন তারা হারিয়ে যাওয়া এবং মৃতপ্রায় লোকেদের কাছে সুসমাচার নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আসুন আমরা সেই কার্যের সংস্থানে জন্যও ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি। আসুন আমরা শান্তির ব্যক্তির জন্য প্রার্থনা করি — যেন ঈশ্বর দ্বার উন্মুক্ত করে শান্তির ব্যক্তিকে সনাক্ত করেন।

এই আবর্ত কৌশলসমূহ যেকোন সংস্কৃতির মধ্যে স্থানান্তরযোগ্য এবং পুনরুৎপাদনযোগ্য। স্বদেশী মণ্ডলীগুলি তাদের অসংখ্য আবর্ত আন্দোলনগুলিকে নেতৃত্ব প্রদান করতে ব্যবহার করতে পারে। এটি তত্ত্ব নয়। এটিই, যার জন্য আমি জীবন যাপন করি, যার জন্য আমি কার্য করছি এবং যার জন্য (যদি প্রয়োজন হয়) আমি মারা যাব। আমি আমাদের সকলকে উৎসাহিত করতে চাই যে এটি করা যেতে পারে। এই বিষয়গুলি আপনার হৃদয়ে রেখে তার জন্য প্রার্থনা করুন। শুরুতে এটি কঠিন হতে পারে। কিন্তু বিশ্বাস রাখুন ঈশ্বর আপনাকে প্রগতি দিবেন। এটি তিনি আমাদের জন্যও করেছেন যেমন আমরা সর্বত্র অসংখ্য মণ্ডলীগুলিকে দেখেছি। আপনার জন্যেও এটি ঘটতে পারে। সুতরাং আমি আপনাকে দৃঢ় হতে উৎসাহিত করি। আমেন।

Categories
আন্দোলন সম্পর্কে

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে আন্দোলনগুলির উদ্বোধনঃ সেরা পন্থাগুলির বিষয়গত অধ্যয়ন

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে আন্দোলনগুলির উদ্বোধনঃ সেরা পন্থাগুলির বিষয়গত অধ্যয়ন

– স্টিভ পার্লাটো  দ্বারা লিখিত – 

গ্লোবাল অ্যাসেম্বলি অফ পাষ্টার্স ফর ফিনিশিং দ্য টাস্ক এর জন্য একটি ভিডিও থেকে গৃহিত

ভাগ ২: ফলপ্রসূ উপকরণ এবং পদ্ধতিগুলি

বৌদ্ধ বিশ্বদর্শনে কথা বলার জন্য, বাস্তবিকতার এই বিরাট ভিন্ন বোঝাপড়ায়, আমি এবং অন্যরা কিছু উপকরণগুলির বিকাশ করেছিলাম। এই উপকরণগুলি এমনভাবে সুসমাচারে যোগাযোগ করে, বার্তাকে প্রাসঙ্গিক করে তোলে, যা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে অনেক অধিক কর্ষণ কেড়ে নেয়। সেই উপকরণগুলির মধ্যে একটি হলো “নির্ণয়ের জন্য সৃষ্টি।” এক দ্বিতীয় উপকরণ যাকে আমি “প্রভূ যীশুর চারটি মহৎ সত্য” বলে থাকি। এই উপকরণটি মায়ানমারে এক বৌদ্ধ-পটভূমিগত বিশ্বাসী এবং এক প্রবাসী সুসমাচারের অর্থ এবং স্থানীয় বামার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী লোকেদের কাছে যোগাযোগের প্রয়োজনীয় অর্থ নিয়ে লড়াই করার জন্য একত্র হয়ে কাজ করেছিলেন, দ্বারা বিকাশপ্রাপ্ত হয়। “প্রভূ যীশুর চারটি মহৎ সত্য” বহু কর্ষণকে দেখেছেঃ প্রচুর বৌদ্ধ-পটভূমিগত বিশ্বাসীরা বিশ্বাসে আসেন। তারপর উপকরণটিকে থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া-তে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা কম্বোডিয়া-তে কিছু কর্ষণ দেখেছি, কিন্তু থাইল্যান্ডে ততটা নয়, (আংশিকভাবে কারণ বহু লোকে এর ব্যবহার করে নি)। থাইল্যান্ডে এর নিজস্ব প্রভাবকে বাস্তবে দেখতে এটি ব্যাপকভাবে পর্যাপ্তরূপে প্রয়োগ করা হয় নি। কিন্তু থাই প্রসঙ্গে আমার নিজস্ব অনুভবে, বহু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সাথে আমি কথা বলেছি যারা শর্তগুলি জানত না। তারা উপকরণটির ব্যবহার করে তৈরী হওয়া বৈপরীত্যগুলির সাথে পরিচিত ছিল না। আমি বার্তাবাহকরূপে তাদের বৌদ্ধিক ধারণাগুলি যার সঙ্গে তারা মোটেই পরিচিত ছিল না বোঝাতে শুরু করি।

মায়ানমার প্রসঙ্গের মধ্যে, মনে হয় যে গড়পড়তার ব্যক্তি এই শর্তাবলীর সাথে খুবই পরিচিত এবং অবিলম্বে বোঝাপড়ার জালিয়াতি করা যেতে পারে। বুদ্ধের চারটি মহৎ সত্যের মধ্যে, খ্রীষ্টানরা সম্পূর্ণরূপে একমত যে জীবন দুঃখভোগে পূর্ণ। এটি শুধুমাত্র দুঃখে পূর্ণ নয়, আমরা জানি এটি ঠিক কোথায় থেকে এসেছে। আপনি আদিপুস্তকের প্রথম তিনটি অধ্যায়্গুলি থেকে বিষয়গুলি উদ্ধৃত করতে পারেন। আপনি সম্পূর্ণরূপে একমত হতে পারেন যে থুনহা (ইচ্ছা) রয়েছে। আমরা মাংস দেখি — মানুষের বাহ্যিক মন্দ চরিত্র — একত্রে এসে এবং এমন সমাজ সৃষ্টি করছে যেগুলি ভগ্নঃ দুঃখে পূর্ণ এবং দুঃখের সৃষ্টি করে। সুতরাং দুঃখ পাপ এবং অবাধ্যতা, এবং আমাদের সৃষ্টিকর্তার সাথে এক ভগ্ন সম্পর্ক থেকে আসে। আমরা একই পর্যবেক্ষণ করতে পারি যে জীবন পাপে পূর্ণ এবং এর উৎসগুলি আকাঙ্খায় অধিক রয়েছে। অবশেষে, দুঃখবিহীন একটি স্থান আছে। তারা একে নির্বাণ বলেন, আমরা একে বলি ঈশ্বরের রাজ্য।

আপনি যদি স্বর্গ শব্দটি ব্যবহার করেন, তৎক্ষনাত আপনার যোগাযোগের সমস্যা হবে। বৌদ্ধদের কাছে আগের থেকেই স্বর্গের সাতটি স্তর রয়েছে, সুতরাং তাদের কোন খ্রীষ্টান স্বর্গের প্রয়োজন নেই; ইতিমধ্যেই তারা স্বর্গ পেয়ে গেছে। স্বর্গ হলো বৌদ্ধ বিশ্বদর্শনের সম্পূর্ণ বাহ্যিক কিছু বলতে আমরা যা বুঝি। এটি কর্ম থেকে মুক্ত হওয়াঃ আপনার পাপ, কর্ম এবং এর প্রভাব। প্রভূ যীশুর মধ্যে সু-খবরটি হলো যে আপনার পাপ এবং আপনার কর্ম থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন এবং তাঁর সাথে অনন্ত জীবনের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। চারটি মহৎ সত্যের চতুর্থ বিষয়টি হলো যে আপনি অষ্টাঙ্গিক মার্গের পূর্ণ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিত্রাণ লাভ করেছেন। খ্রীষ্টত্বের মধ্যে, আমাদের কাছে কেবলমাত্র একটি পথ রয়েছেঃ প্রভূ যীশুর অনুসরণ করুন, প্রভূ যীশুই পথ, সত্য, এবং জীবন; তাঁর মাধ্যমে না এলে কেউই পিতার কাছে আসতে পারে না। জীবনে প্রবেশ করার দ্বার সংকীর্ণ ও পথ দুর্গম; সেই দ্বার এবং সেই দুর্গম পথটি হলেন প্রভূ যীশু। সুতরাং আমাদের কাছে একটিই পথ আছে আটটি নয়। অন্য উপকরণটি, “নির্ণয়ের জন্য সৃষ্টি,” আমি ব্যক্তিগতভাবে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সাথে যোগাযোগ সাধনকারী অর্থে খুবই কার্যকর হতে দেখেছি। আমি এই উপকরণটি ব্যবহার করতে কয়েকশত অন্যান্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি এবং পরিবর্তে তারাও অন্যদের প্রশিক্ষিত করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই নির্ণয়ের জন্য সৃষ্টি বিশ্লেষণটি প্রয়োগ করে উত্তম সাফল্যাতার প্রতিবেদন প্রদান করছেন। থাইল্যান্ডে, আমাদের নির্ণয়ের জন্য সৃষ্টি উপকরণ বলতে প্রায় সাড়ে তিন মিনিট সময় লাগে এবং এটি এমন হয়ঃ

শুরুতে ঈশ্বর স্বর্গগুলি সৃষ্টি করলেন ও তিনি পৃথিবী সৃষ্টি করলেন। স্বর্গে তিনি স্বর্গদূতদের সৃষ্টি করলেনঃ বহু, বহু স্বর্গদূতেরা যারা ঈশ্বরের সেবা এবং উপাসনা করার জন্য সেখানে ছিল। তিনি একজন পুরুষ এবং একজন স্ত্রীকে তাঁর সাদৃশ্যে তাঁর সাথে থাকার জন্য বানিয়েছিলেন। এবং একটি ভালো পরিবারের মতো ঈশ্বর এবং মানুষের মধ্যে এক ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। ঈশ্বরের বানানো সমস্তকিছুই সত্যিই ভালো ছিল। কিন্তু একটি সমস্যা হয়েছিল। স্বর্গে, একটি দূত এবং তার দল ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। তারা ঈশ্বরের মতো হতে চেয়েছিল, তাই ঈশ্বর তাদের স্বর্গ থেকে বের করে নীচে পৃথিবীতে ফেলে দেন, যা অন্য সমস্যার সৃষ্টি করেছিল। ঈশ্বরের তৈরী লোকেরা ঈশ্বরের বাধ্য হয় নি, তাই ঈশ্বর এবং মনুষ্যত্বের মধ্যেকার ঘনিষ্ট পারিবারিক সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়। সেই মুহুর্তেই, মৃত্যু জগতে এসেছিল; দুঃখ জগতে এসেছিল এবং আজকের এই সময় পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। সবকিছুই ছিল এক ভয়াবহ গণ্ডগোল। কিন্তু ঈশ্বর, যিনি মানুষদের প্রেম করেন, বিষয়গুলিকে এই পরিস্থিতিতেই ছেড়ে দেন নি। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে একজন মুক্তিদাতা, একজন সহায়ক আসবেন এবং মানুষ ও ঈশ্বরের মধ্যেকার সম্পর্ককে পুনর্স্থাপন করবেন৷ সেই সহায়ক, সেই মুক্তিদাতা, হলেন প্রভূ যীশু। প্রভূ যীশু একটি নিখুঁত জীবন যাপন করেছিলেন; তিনি কখনই পাপ করেন নি। তাঁর কাছে অসুস্থতা নিরাময়ের, অন্ধ লোকেদের দেখতে, এবং বধিরদের শুনতে সাহায্য করার ক্ষমতা ছিল। যদি লোকেদের মধ্যে মন্দ আত্মা থাকতো, তবে তিনি তাদের তাড়িয়ে দিতে সক্ষম ছিলেন। এমনকি তিনি মৃত ব্যক্তিদেরও জীবিত করেছিলেন। কিন্তু এত ভালো জীবন যাপনের সত্বেও, প্রভূ যীশুর সময়কার ধর্মীয় নেতারা প্রভূ যীশুকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিলেন, একটি ক্রুশে বিদ্ধ করে মেরে ফেলার পরিকল্পনা। তারা প্রভূ যীশুকে বন্দী করে এবং তাঁকে ক্রুশে বিদ্ধ করে। তিনি মারা যাওয়ার পর তারা তাঁর দেহটি নীচে নামিয়ে একটি গুহার মধ্যে, কবরে রেখে দেয়। ঈশ্বর নীচে তাকিয়ে প্রভূ যীশুর ত্যাগকে দেখেন এবং তিনি প্রসন্ন হন। তাঁর প্রসন্নতা প্রকাশ করার জন্য, তিনি প্রভূ যীশুকে তৃতীয় দিনে মৃতদের মধ্যে থেকে পুনরুত্থিত করেছিলেন। বাইবেলে এমন বলে যে কেউ তাদের পাপ থেকে ফিরে এবং তাদের বিশ্বাস এবং ভরসাকে এই সহায়ক প্রভূ যীশুর উপর রাখে, তারা তাদের পাপ — কর্মফল থেকে মুক্ত হতে সক্ষম হবে। তাদের ঈশ্বরের সন্তান হবার এবং সর্বদা জীবিত থাকার অধিকার প্রদান করা হবে। এবং তারা পবিত্র আত্মা গ্রহণ করবে যাতে তারা এক ঈশ্বরকে সন্তুষ্টকারী জীবন যাপন করার ক্ষমতা অর্জন করে। প্রভূ যীশু মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত হবার পর, তিনি প্রায় ৪০ দিন তাঁর শিষ্যদের সাথে কাটিয়েছিলেন। তারপর তিনি আরোহণ করে স্বর্গে গেলেন। কিন্তু প্রভূ যীশু বলেছিলেন তিনি ফিরে আসবেন। যখন তিনি ফিরে আসবেন, সমস্ত স্থানের, সমস্ত প্রজন্মের, সমস্ত লোকেরা যারা কখনও বেঁচে ছিলেন, ঈশ্বরের ন্যায় সিংহাসনের সম্মুখে উপস্থিত হবে। প্রত্যেক ব্যক্তি একে একে করে, তাদের কৃতকর্মের, তাদের ভাল এবং মন্দ কাজের জন্য দায়বদ্ধ হতে এগিয়ে যাবে। যারা প্রভূ যীশুর উপর তাদের বিশ্বাস এবং ভরসা রেখেছে তারা তাঁর রাজ্যে তাঁর সাথে সদা জীবিত থাকবে। যারা এখনও প্রভূ যীশুর উপর বিশ্বাস এবং ভরসা রাখেনি তারা সদাকালের জন্য তাঁর থেকে আলাদা হয়ে যাবে। [ব্যক্তির নাম], আমি ঈশ্বরের পরিবারের একজন সদস্য এবং ঈশ্বর আপনাকে প্রেম করেন এবং তিনি চান আপনিও তাঁর পরিবারের সদস্য হন। আপনি কি আজ তেমন কিছু করতে চান?”

বাস্তবিক ক্ষেত্র অনুশীলনে আমরা এই উপকরণটি বহু, বহু লোকেদের সাথে ভাগ করে নিয়েছি। আমরা সম্ভবত সমস্ত পথ পাড়ি দিতে পারি না। লোকেরা আমাদের থামিয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে। তারা স্পষ্টিকরণ চানঃ এর দ্বারা আমরা কি বোঝাতে চাই? এইটি কি তেমনই? এইটি কি অন্য কিছুর মতো? সব সময় বিরতি নিয়ে তাদের প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়া প্রয়োজন। যদি আপনাকে সম্পূর্ণ বিষয়টি বুঝতে আধ ঘন্টা বা দু’ঘন্টা সময় লাগে, সেটি একটি ভালো চিহ্ন।

এই দুটি উপকরণ – “প্রভূ যীশুর চারটি মহৎ সত্য” এবং “নির্ণয়ের জন্য সৃষ্টি” – এগুলি প্রসঙ্গযুক্ত উপকরণ যা পুরো বার্তাটি গ্রহণ করতে সাহায্য করে। বৌদ্ধিক জগতের মণ্ডলী প্রাথমিকভাবে পাশ্চাত্য অনুশীলনগুলি অনুসরণ করে এবং এমন মণ্ডলীর পরিকাঠামোগুলি সৃষ্টি করেছে যার গঠন অত্যন্ত পশ্চিমী। বৌদ্ধিক জগতের যেখানেও মণ্ডলী স্থাপণ ফলপ্রসূ হয়েছে, আপনি সেখানে এক প্রাসঙ্গিকরণের স্তর দেখতে পাবেন। আমরা হয়তো সাধারণ বিষয় ব্যবহার করে থাকি, মায়ানমারের এক গিজি ঘন্টার মতো আমাদের প্রার্থনাগুলি স্বর্গে পাঠানোর জন্য, বা আমেনের জন্য কিছু স্থানীয় শর্তাদি। এই বিষয়গুলি সাহায্য করে। স্থানীয় দেশীয় সঙ্গীত ব্যবহার করে এবং পছন্দের মৌখিক শিক্ষার্থীদের জন্য মৌখিক বাইবেলের কাহিনীগুলি ব্যবহার করাঃ এইগুলি বাস্তবিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যে আমরা কিভাবে একসাথে মণ্ডলী করি, যাতে মণ্ডলীটি সেই সাস্কৃতিক পরিবেশের মতো পরিচিত এবং স্বাভাবিক দেখায়। স্থানীয় পরিবেশের জন্য উপযুক্ত মণ্ডলীর পরিকাঠামোগুলির সাথে আসা এক কথোপকথন যার সেই সংস্কৃতির বৌদ্ধিক-পটভুমির বিশ্বাসীদের সাথে থাকা প্রয়োজন। তারা, বাক্যের সাথে কুস্তি লড়ে, সম্ভবত একজন বহিরাগত বা বাহ্যিক ধর্ম প্রচারকের সহায়তায়, সেই গঠনের সাথে আসে।

আমাদের জগৎ, আমাদের সংস্কৃতিগুলি, বিশাল পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে। কোন সংস্কৃতি স্থির নয়, তাই দেশীয় মণ্ডলীর পরিকাঠামোগুলি সৃষ্টির অর্থ ইতিহাসের কিছু ছবি বা কিছু আদর্শ প্রাচীন সঙ্গীতের ধরণ সংরক্ষিত রাখা নয়। এই সকল বৌদ্ধ দেশগুলিতে, তারা বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীতের দিকে যায়, তাই আপনি সেই গঠনগুলিতে স্বদেশীকরণ করেন যা আজ বোধগম্য হয়। এই ভাবে মণ্ডলীর গঠন তাদের জাতি বা তাদের জাতীয়তায় লোকেদের পরিচয় ধ্বংস করেনি। তারা তাদের জাতীয় প্রসঙ্গে সম্পূর্ণরূপে খ্রীষ্টান হতে পারে। স্থানীয় বৌদ্ধ-পটভূমির বিশ্বাসীদের ব্যবহার করা প্রকৃত গঠন এবং শর্তাদি সম্পর্কে সমালোচনামূলকভাবে ভেবে দেখা প্রয়োজন। তাদের সাবধানে ভেবে দেখা দরকার, যাতে তারা কেবলমাত্র বিদ্যমান মণ্ডলীগুলি না দেখে এবং বলে, “ওহ, তারা এটি সেইভাবে করেছে; আমাদের এটি সেইভাবে করা প্রয়োজন।” অথবা “আমি এটি ইউটুবে দেখেছিলাম; আমাদেরও এটি সেইভাবেই করতে হবে।”

বাহ্যিক কর্মীদের এক মহান এবং সহায়ক ভূমিকা স্থানীয় বৌদ্ধ-পটভূমির বিশ্বাসীদের ধ্যানপূর্বক চিন্তা করতে সাহায্য করে যে তারা কেমন যোগাযোগ সাধন করছেন এবং যে তারা অজান্তে কোন পাশ্চাত্য রূপের নির্মাণ করছেন না। এডোনিরাম জুডসন মায়ানমারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রতি এক ফলপ্রসূ ধর্ম প্রচারক ছিলেন। তার স্মৃতিকথায় আমরা কিছু বিষয়গুলি দেখতে পাই যা তার এবং তার পরিচর্য্যার বৈশিষ্ট্য এবং এর ফলস্বরূপ। প্রথমত, তার কাছে হারিয়ে যাওয়াদের জন্য আবেগ ছিল। তিনি বাইবেলকে বর্মী ভাষায় অনুবাদ করার জন্য পরিচিত ছিলেন, এবং সেটিই ছিল তার পরিচর্য্যা জীবনের অন্যতম মূল পরিণতি। কিন্তু এটি তার জন্য বিশাল সংঘর্ষ ছিল যে হারানোদের খ্রীষ্টের বার্তার সাথে সংযুক্ত না করে, এবং কেবল বাইবেলের অনুবাদ করা। তবে তিনি সেটিকে তার আহ্বান স্বরূপ গ্রহণ করেন এবং তিনি বাইবেলের অনুবাদ করেন। তথাপি তাকে হারিয়ে যাওয়াদের প্রতি আবেগপূর্ণ রূপেই চিত্রিত করা হয়েছিল। তিনি চেয়েছিলেন সবাই যাতে শুনতে পায়; তার দর্শন ছিল গোটা দেশের সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা যেন খ্রীষ্টকে জানতে পারে। এই “কোন স্থান অবশিষ্ট নেই” দর্শনটি তার হৃদয় এবং প্রাণে অনেক বেশী ছিল। 

তিনি স্থানীয় লোকেদেরও খুব শীঘ্রই নেতৃত্ব দিতে মুক্ত করেছেন। তিনি মণ্ডলীর নেতাদের, উদীয়মান মণ্ডলীর নেতাদের, বাপ্তিস্ম প্রদান এবং তারপর তাদের মণ্ডলীর পরিষেবাগুলি পরিচালনার জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন। তার কাছে স্থানীয় লোকেদের তাদের মণ্ডলীগুলিতে নেতৃত্ব দিতে মুক্তির জন্য কার্যকর ব্যবস্থা ছিল। তার কাছে পুরো পরিবারকে শিষ্য করারও দর্শন ছিল। আপনি তার স্মৃতিচারনগুলিতে দেখতে পারেনঃ সম্পূর্ণ পরিবারকে একত্রিত করা, যেখানে তিনি পারিবারিক একতায় একজনকে প্রধান নেতাকে চিহ্নিত করেন। সেই ব্যক্তির মাধ্যমে, তারা তাদের বর্ধিত পরিবারকে একত্রিত করে এবং সুসমাচার উপস্থাপনের জন্য দীর্ঘ কথোপকথন করতো। 

পরিশেষে, আমি বিশ্বাস করি কিছু আত্মীক যুদ্ধের বিষয়গুলি বৌদ্ধিক জগতের মধ্যে অনন্য। প্রথমটি যার সাথে আমি স্বয়ং এবং অন্যরা মুখোমুখি হয়েছিলাম তা হলো ভুল যোগাযোগ সাধন। প্রায়শই যখন কোনও দলের সদস্য অন্য দলের সদস্যকে কিছু ব্যাখ্যা করে, শ্রোতা দলের সদস্য যা বলা হয়েছিল বা বোঝানো হয়েছিল, তার চেয়ে বিপরীত কিছু শুনে থাকে। যখন আমরা কোন বৌদ্ধ পরিস্থিতিতে যাই আমি পারিবারিক দ্বন্দ্বকে দেখেছি, যেমন আমরা দেখেছিলাম যখন সর্বপ্রাণবাদী বা বিশ্বের অন্যান্য অংশে কর্মরত ছিলাম তেমন নয়। এমন মনে হয় যেন সম্ভবত এক মন্দাত্মা থেকে অনুপ্রেণিত বাধা যা সূ-যোগাযোগকে বাধা দেয়। আমরা বার্তাটি প্রাসঙ্গিক করে তুলতে ব্যর্থতার সাথে সেই বিষয়ে কিছু কথা বলেছিলাম, কিন্তু যদিও বার্তাটি স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল, সেখানে এক ধরনের প্রাচীর রয়েছে – প্রায় যা বলা হচ্ছে তা শোনার পথে সাধা স্বরূপ। এক দ্বিতীয় বিষয় যা আমরা দেখে ছিলাম তা হলো প্রচুর মিশ্র-সাংস্কৃতিক কর্মীরা ভয়াভহ দুঃস্বপ্ন দেখছেনঃ মৃত্যুর হিংসাত্মক দুঃস্বপ্ন। এমন মনে হয় যেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে পৌঁছনোদের সাথে মৃত্যুর আত্মা জড়িত রয়েছে।

আমি প্রার্থনা করি যে যা কিছু বলেছি তা আপনাদের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে এক শিষ্য-নির্মাণকারী আন্দোলনকে উত্তমরূপে শুরু করতে তৈরী করবে, আপনি এই জগতের যেখানেই থাকুন না কেন। আপনি যেই ধরনের লোকেদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন, তাদের মাঝে যাই সংস্করণ, যাই বৌদ্ধ দর্শনের মিশ্রণ বর্তমান থাকুক না কেন, তারা যেমন ঠিক তেমনই গ্রহণ করুন। তাদের প্রভূ যীশুতে নিহিত সত্য মুক্তি এবং চূড়ান্ত সত্যকে সম্পূর্ণ বুঝতে প্রেমের সার্বভৌমিক ভাষাকে ব্যবহার করুন। নিজেকে কখনই কোনও ধর্মের বার্তাবাহক হিসেবে উপস্থাপন করবেন না। আমাদের বিশ্বাসই হলো চূড়ান্ত সত্য, আমাদের সকলের ভবিষ্যতের সমস্ত বাস্তবিকতাকে ব্যাখ্যা করে। এটিই সর্বত্র সমস্ত মানুষের চূড়ান্ত আশা। এটি কখনই পিছপা হওয়া বা বিব্রত হওয়ার বিষয় নয়।

আমি বুঝতে পারি যে বিভিন্ন কারণে বৌদ্ধ জগতে ন্যূনতম প্রগতি হয়েছেঃ বোধগম্যতার বিশাল উপসাগর, বৌদ্ধিক এবং খ্রীষ্টান শিক্ষার মধ্যে বিরাট পার্থক্য, বার্তাকে প্রাসঙ্গিক করতে ব্যর্থতা, আমাদের পদ্ধতি এবং মণ্ডলীর রূপগুলিকে প্রাসঙ্গিক রূপ দিতে ব্যর্থতা, বাইবেল-ভিত্তিক সংখ্যাবৃদ্ধির নীতিকে অনুসরণ করতে ব্যর্থতা, এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে পৌঁছানোর মধ্যে জড়িত কিছু আত্মীক যুদ্ধের সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতার অভাব। যখন আপনি আপনার যাত্রায় যাবেন, আপনি সেই বার্তা যোগ করতে সক্ষম হতে পারেন। আমি বিশ্বাস করি আপনি যাবেন, এবং আপনি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে পৌঁছানোর এই ছোট নম্র ভিত্তিটি গড়ে তুলবেন এবং একে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আরও উত্তম করে তুলবেন। ঈশ্বর আপনার সমস্ত কর্মে আশির্বাদ করুক।

Buddhist missionaries went to Central Asia: places like Pakistan and Iran where they started a version of Mahayana Buddhism. Nowadays, Buddhism only remains in this region in archaeological digs. When Buddhism entered China it overlaid onto Taoist philosophy and ancestor worship. Buddhist missionaries who went to Sri Lanka started the Theravada school of Buddhism. The Theravada school were the first to write down the teachings of Buddha, about 30 AD. The first Theravada school temple was started in Myanmar in 228 BC. The Theravada school spread from Sri Lanka to Thailand, Cambodia and then to Laos. Lastly, Ashoka sent Buddhist missionaries into Nepal, who then went on to Bhutan, Tibet, Mongolia and up into the Buryat peoples in Siberia. Buddhism in these regions overlaid itself onto the animistic Bon religion. This resulted in the Vajrayana or Tibetan school of Buddhism.

As Buddhism spread historically, it acted as an overlay on the pre-existing culture, philosophy and religion of various area. Like a cloth, it took on the landscape of philosophies that existed when it came. As in this picture, you know there’s a chair underneath the cloth. Because Buddhism readily incorporates all beliefs into its system, it is difficult for Buddhists to accept any fixed exclusive claims of Christianity.

Here is a personal example. I shared Christ over a two-year period with a Thai policeman who was a good friend of mine. One day he came to me and said, “Hey Steve, I’m a Christian like you now.” 

Being a little more than skeptical I asked, “What do you mean by that?” 

He pulled out his necklace, filled with amulets and talismans, and said, “See, here I’ve tied on the cross and now it’s one of my protective spiritual amulets.” 

So you can see how easily a Buddhist can say: “Oh, I believe that,” but really all they’ve done is syncretized some of what you’ve said into what they already believe.

PROBLEM OF APOLEGETICS

When Christian missionaries first witnessed to Buddhists, they took an apologetic approach. They attacked logical inconsistencies in the Buddhist system, hoping to win Buddhists over to a more cohesive and (as some would argue) logical set of truth. For example, a missionary might argue: “You Buddhists believe in reincarnation but then you also say that people are nothingness (anata). So if my ultimate reality is nothingness, then what’s being reincarnated into the next life?” Missionaries would try to find what seemed to be logical fallacies in the system, then present Christ as the better system. This has been a massive failure throughout history, and almost always led to conflicts.

WORLDVIEW GULF

Cristianity and Buddhism. Sinclaire Thompson Memorial Lectures, fifth series. Chiang Mai Thailand.

In the 1960s, a number of interfaith dialogues took place between Buddhists and Christians in Chiang Mai, Thailand. Much of those dialogues were apologetic presentations. After those Buddhist-Christian dialogues, a very famous Thai monk of the time wrote a book to explain Christianity to Buddhists. In it he said that God is ignorance (avijjā)

and that God is the source of the broken world of suffering that we are caught in. Very clearly, even after dialogue between Christian and Buddhist scholars, massive misunderstanding remained concerning the most basic concept: Who is God? and What is the source of suffering?

So let’s take a look at the worldview of Buddhists to further understand the vast difference between Buddhist and Christian thinking. The Thervada Buddhist worldview has seven levels of heaven and different levels of hell. Here on earth, Gautama was born as a prince in the 6th century BC and at age 29 he left his protected palace life to go on a journey to seek spiritual truth. Gautama noticed that we live in a world of suffering. Specifically he noticed that people are born, then as their life proceeds they get old. He next observed that people get sick. They face various kinds of illnesses, then as their life goes on they die. He didn’t stop there; he also said that people, after they die, are born into another life. That is, they are reincarnated. This whole system is called samsara. Samsara simply means wandering. People are caught in this cycle of being born, getting old, getting sick, and dying. Reincarnated, around and around, wandering, like lost souls caught in an endless cycle. So you may have a life here on this earth and maybe it doesn’t go so well. It’s discovered that you’re an adulterer so you have to go down to hell, a hell specifically set up for adulterers. Maybe things go well for you as you live out a lifetime in hell, then you’re born back as a person on this earth again. You get old, you get sick, you die. Maybe things go well and you make it up to one of the levels of heaven, then back down to earth, then up to a higher level of heaven, then maybe back down to earth, then back down to hell. This cycle could carry on for potentially thousands of lifetimes. 

So we can see that Buddhists have their own concept of eternal life. It is sadly an eternal life of suffering. The goal in Buddhism is to break out of this cycle of suffering, to somehow escape out of it to a place where there is no suffering. Given the many traditions of Buddhism in the world, you might get very different explanations what nirvana means. Some will explain it’s like a drop of water that flows back into the sea, losing its identity. Others will say it’s the golden celestial city and a place of great joy. But one thing is similar in all the traditions of Buddhism: nirvana is a place with no suffering.

The Buddhist worldview can be summarized in the Four Noble Truths and the Eightfold Path. The first noble truth is that all of life is suffering (tuk). From birth, to getting old, the process of dying, and everything in the middle: it’s all suffering. The source of suffering, the second noble truth, is desire – like internal lust from inside (thunha). The third noble truth is that there is a way out of suffering (nirot). The fourth noble truth is that if people want to break out of this cycle of suffering, they need to perfectly live out the Eightfold Path (mak).

Buddha discovered the Eightfold Path. Each of these eight paths are described with the word “right,” like “right understanding.” But the word “right” could also be translated “perfect” or “complete.” So if you have the perfect or right understanding, then you have the perfectly correct view of reality. The second pathway is having right intent: That is you have a complete or perfect commitment to the path. Third, you have right or perfect speech: you have total care with all your words all the time. Fourth, you have right or perfect actions: you live a completely moral life. Christians and Buddhists find many similarities in right speech and right action. Fifth, you have the right livelihood. The profession you choose needs to respect all life. For example, a good Buddhist cannot be a butcher, nor could they manufacture and sell weapons. Sixth is right effort: being steady and cheerful in all things. Seventh, you have right or perfect mindfulness: perfect awareness, able to live in the moment perfectly. The final pathway is right concentration: you have a perfect and focused life of meditation. If somehow you could do all eight pathways perfectly, you may experience enlightenment. 

The Mahayana school holds a belief in reincarnated Buddhas. Buddhas are people who have reached enlightenment and then are reborn on this earth for the specific task of helping certain people along, to succeed in their journey. In the Theravada school, there are no reincarnated Buddhas; each individual is entirely on their own to do this. These are some of the huge differences in the teaching of Christians and Buddhists. 

Now in comes the Christian messenger and things are exceedingly ripe for misunderstanding. Let’s take the most simple, seemingly safe explanation of the gospel: John 3:16, “For God so loved the world that he gave his only Son, that whosoever should believe in Him would not perish but have everlasting life.” Virtually every word in that sentence will need additional explanation if your Buddhist friend is going to understand its meaning. You may get the words right, but you still need to get the meaning across. 

First of all, they believe there is no God. So if you say “God so loved the world,” your Buddhist friend is already suspicious of you; you’re deluded because there is no god. And if God loves the world (all the people in the world), he must have desire. Therefore this god is caught in the samsara cycle; he’s caught in the cycle of death and birth and rebirth. “Whosoever believes,” so you’re saying that through faith one can be saved. But for the Buddhists, it’s all about what you do; religion is all about the practices and things you do. So there’s already a disagreement: it is not through faith; only self-effort can save. “Will have everlasting life”: in their mind that means samsara. They think: “I don’t want that. As a Buddhist, I’m trying to get out of the eternal cycle (samsara) of suffering. So why would I follow Jesus, to just be caught in the cycle of birth, aging and dying?”

None of them will tell you all that analysis out loud. All you’ll hear is, “It’s irrelevant.” Or something like, “All religions teach people to be good,” which means “I’ve got my religion; you’ve got yours. Yours is irrelevant; I don’t need that. End of discussion.” Buddhists are very tolerant, so they may politely say, “Yes, Jesus is good and we’re all exactly the same,” but they can’t see any unique claim there. The whole conversation is dismissed as irrelevant.

This gulf between Buddhist and Christian teachings and worldview has been one of the major contributing factors to little response to the gospel among Buddhists. But in our day, the Lord has allowed his children to discover some tools that can help bridge the gulf. We will look at those in Part 2 of this case study.

Categories
আন্দোলন সম্পর্কে

ঈশ্বর কিভাবে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে সুদূরপ্রসারী হয়েছেন – ভাগ ২

ঈশ্বর কিভাবে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে সুদূরপ্রসারী হয়েছেন – ভাগ ২

– “ওয়াকার” পরিবার দ্বারা লিখিত –

ভাগ ১-এ আমরা প্রবাসী হিসাবে আমাদের অনুকূল অবস্থান, এবং আমাদের মূখ্য অংশীদার সঞ্জয়ের অনুকূল অবস্থান থেকে, দক্ষিণ এশিয়ার একটি সি পি এম-এর উদ্ঘাটন আলোচনা করেছি। এখানে রইল প্রক্রিয়ার মধ্যে আমাদের শেখা আরো বেশ কয়েকটি পাঠঃ

এই সময়ে আমরা বেশকিছু শিক্ষা লাভ করিঃ 

১) হারিয়ে যাওয়া লোকদের সঙ্গে যুক্ত হবার জন্য মথি ১০, লূক ৯ এবং ১০ অধ্যায় থেকে আমরা অত্যন্ত কার্যকারীকার্যকারী কৌশল লাভ করি।

২) অলৌকিক ঘটনাগুলি (সুস্থতা এবং / অথবা মন্দশক্তি থেকে উদ্ধার) ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশকারী লোকদের মধ্যে একটি ধারাবাহিক উপাদান হিসাবে দেখা যায়।

৩)  ডিসকভারি প্রক্রিয়া যত সহজ হবে, তত এটি কার্যকারীকার্যকারী হবে। সেই কারণে, আমরা এই বিষয়টিকে বিভিন্ন সময়ে আরো সহজতর করার প্রচেষ্টা করেছি।

৪) মানুষের বানানো পুস্তক এবং পদ্ধতির তুলনায় ঈশ্বরের বাক্য থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া অধিক শক্তিশালী, কার্যকারী এবং অনুকৃতিযোগ্য।

৫) অনেক সংখ্যক প্রশিক্ষণ চালু না করে, সেই সমস্ত লোকদের গভীরভাবে সামর্থ্যযুক্ত করা অধিক জরুরী যারা নিজেদের জীবনে সি পি এম নীতিগুলি পালন করে চলেছেন।

৬) প্রত্যেককে প্রেমের সাথে যীশুর আজ্ঞাবহ হতে হবে, এবং প্রত্যেককে এই প্রশিক্ষণ অন্যদের ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।

৭) এটি খুঁজে বের করা অত্যন্ত জরুরী যে কেউ ঈশ্বরের বাক্যের তুলনায় স্থানীয় প্রথাকে অধিক অনুসরণ করছে কিনা, কেবলমাত্র সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতা এবং ক্রমবর্ধমান বিশ্বাসের বৃদ্ধি হচ্ছে, কিন্তু তাদের কাজ আক্রমনাত্বক নয়।

৮) কেবলমাত্র ব্যক্তিগতভাবে নয়, সম্পূর্ণ পরিবারের কাছে ঈশ্বরের বাক্য পৌঁছানো প্রয়োজন।

৯) মণ্ডলীর পূর্বের আলোচনা এবং মণ্ডলীতেও ডিসকভারি বাইবেল স্টাডি ব্যবহার করুন।

১০) অধিক ফল উৎপাদন করার জন্য অশিক্ষিত এবং স্বল্প-শিক্ষিত শিষ্যদেরও শক্তিপ্রদান করতে হবে। সেকারণে, যারা পাঠ করতে পারে না তাদের জন্য আমরা রিচার্জযোগ্য এবং, স্বল্প দামের স্পীকার দিয়ে থাকি, যেগুলির মধ্যে বিভিন্ন কাহিনী রেকর্ড করা থাকে। মোট মণ্ডলীর প্রায় অর্ধেক আরম্ভ করা সম্ভব হয়েছে কেবলমাত্র এই স্পীকারগুলির মাধ্যমে। শিষ্যেরা একত্রে বসে, কাহিনী শ্রবণ করে এবং নিজেদের জীবনে সেগুলি ব্যবহার করে।

১১) নেতৃত্বের বৃত্তগুলি নেতাদের টেকসই এবং পুনরুৎপাদনযোগ্য পারস্পরিক পরামর্শ প্রদান করে।

১২) মধ্যস্থতাকারী প্রার্থনা এবং প্রার্থনা শ্রবণ করা অত্যন্ত জরুরী।

এই আন্দোলন বিভিন্ন স্থানে ৪র্থ প্রজন্ম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। কিছু কিছু অঞ্চলে এটি ২৯ প্রজন্ম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। বাস্তবে, এটি কেবলমাত্র একটি আন্দোলন নয়, কিন্তু একাধিক আন্দোলন, ৬টির অধিক ভৌগলিক অঞ্চলে, বিভিন্ন ভাষায় এবং বিভিন্ন ধর্মের লোকদের মধ্যে এটি বিস্তৃত হতে থাকে। কেবলমাত্র হাতেগোনা কয়েকটি মণ্ডলী বিশেষ বিল্ডিং অথবা কোন স্থান ভাড়া নিয়ে উপাসনা করছিল; কিন্তু প্রায় সমস্তই ছিল গৃহ-মণ্ডলী, যারা বাড়ীর উঠানে বা গাছের নীচে জমায়েত করত।

বহিরাগত অনুঘটক হিসাবে আমাদের ভূমিকা (পূর্বসূরী)

  • আমরা সহজ, পুনরুৎপানকারী, বাইবেল ভিত্তিক পরিকাঠামোর পরিবর্তন প্রদান করেছিলাম।
  • আমরা দল হিসাবে শক্তিশালী প্রার্থনার দ্বারা তাদের সমর্থন করতাম, এবং বিদেশ থেকে কৌশলপূর্ণ প্রার্থনার দলকে সচল রাখতাম।
  • আমরা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতাম।
  • আমরা স্থানীয় লোকদের প্রশিক্ষণ দিতাম যেন তারা অন্যদের প্রশিক্ষণ দিতে পারে।
  • যদি পরবর্তী পদক্ষেপ স্পষ্ট না থাকে, তাহলে আমরা তাদের পথ প্রদর্শন করতাম।
  • আমরা সেই সমস্ত বিষয়গুলি সম্পর্কে অত্যন্ত সতর্ক থাকতাম যে বিষয়গুলিতে আমরা হয়ত সঞ্জয় এবং জনের সঙ্গে একমত হতামনা। আমরা তাদেরকে নিজেদের থেকেও অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করতাম। তারা আমাদের কর্মী ছিলেন না, কিন্তু সহকর্মী ছিলেন এবং আমরা একত্রে ঈশ্বরের আজ্ঞাবহ হবার চেষ্টা করছিলাম। সেই কারণে, আমরা তাদেরকে উৎসাহিত করতাম যেন তারা আমাদের কোন কথাকে মান্য করতেই হবে এমন চিন্তা না করে কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে ঈশ্বর কি বলছেন সেই বিষয়ে সচেষ্ট থাকেন।
  • আমরা কোন কোন সময়ে আমাদের ডি এম এম প্রশিক্ষক সঞ্জয় এবং জনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাতাম যেন তারা তার কাছ থেকে শিখতে পারে যিনি আমাদের থেকেও অনেক বেশী অভিজ্ঞ এবং এই অনেক বেশী কাজ করেছেন। 
  • আমরা আমাদের উপর তাদের নির্ভরতার অনুভূতি হ্রাস করার চেষ্টা করতাম। আমরা সক্রিয়ভাবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের পথ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতাম।
  • নেতাদের শৃংখলাপূর্ণ করার জন্য (বাইবেল প্রশিক্ষণ এবং নেতৃত্বের প্রশিক্ষণ) এবং মণ্ডলীকে শিষ্য করার জন্য (ডিসকভারি স্টাডি) প্রয়োজনীয় পাঠ্য সরবরাহ করতাম। 

এই আন্দোলনে স্ত্রীলোকদের ভূমিকা

মহিলা নেতৃবৃন্দ পুরুষ নেতাদের দ্বারা সহজতর শিষ্য নির্মাণের প্রবাহে আত্মপ্রকাশ করেছেন। মহিলা নেতারা আরো মহিলা নেতাদের বৃদ্ধি করেছেন । বাস্তবে, মহিলা নেতারা সমস্ত কাজের একটি বিশেষ স্থান দখল করে রেখেছে, সম্ভবত মূখ্য নেতাদের মধ্যে প্রায় ৩০-৪০% মহিলা নেতা, এমন কি যুবতীরাও আছেন, যারা গৃহ-মণ্ডলী পরিচালনা করেন, নতুন মণ্ডলী স্থাপন করেন এবং অন্যান্য স্ত্রীলোকদের বাপ্তিষ্ম দেন।

মূখ্য আভ্যন্তরীন নেতাদের ভূমিকা

স্থানীয় লোকেরাই “আসল” কাজটি সম্পূর্ণ করে থাকেন। তারা ধূলাপূর্ণ রাস্তায় ঘুরে বেড়ান, বিভিন্ন গৃহেতে প্রবেশ করেন, এবং উদ্ধার ও অলৌকিক কাজের জন্য প্রার্থনা করেন। তারাই সাধারণ কৃষক, এবং কৃষকের পরিবারের সাথে সহজ উপায়ে বাইবেল স্টাডি শুরু করেন, তাদের বাড়িতে থাকেন, তাদের সঙ্গে খাদ্য গ্রহণ করেন, এমন কি তখনও যখন গরম ১০০ ডিগ্রী (ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে যায় এবং সেখানেই লেক্ট্রিকও থাকেনা। তারা কাজ করেন এবং তারা যে ফল উৎপন্ন করেন সেই বিষয়ে রোমাঞ্চিত থাকেন! তাদের কাহিনীগুলিই আমাদের এই কাজে এগিয়ে যেতে সাহস যোগায়।

অগ্রগতির মূল কারণগুলি

১. প্রার্থনা শ্রবণ করা। প্রার্থনা করা আমাদের দায়িত্ব। ঈশ্বর বিভিন্ন সময়ে প্রার্থনার মাধ্যমে আমাদের পদ্ধতিগুলিকে পরিবর্তন করেছেন। প্রার্থনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল শ্রবন করা। আমাদের যাত্রাপথে বিভিন্ন পরিবর্তন এসেছে। বিভিন্ন প্রশ্ন এসেছেঃ এরপরে কি হবে? আমরা কি এই ব্যক্তির সঙ্গে একত্রে কাজ করব? আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে “বন্ধ রাস্তা” দেখেছি; পরের প্রশিক্ষণের জন্য আমরা কোন বাক্যটি ব্যবহার করব? আমাদের অর্থ খরচ করার জন্য এই কারণটি কি যোগ্য? এই ভ্রাতাকে পরিত্যাগ করার সময় কি এসে গেছে যে এই মডেলকে আর ব্যবহার করছে না, অথবা আমাদের উচিত তাকে আরেকটি বার সুযোগ দেওয়া? আমরা কি এই শহরে প্রশিক্ষণ অনবরত রাখব না এখানেই শেষ করব? প্রশ্ন যাই হোক না কেন, আমরা, সমস্ত দল, শিখেছি প্রার্থনায় বসতে এবং ঈশ্বরের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে।

২. অলৌকিক কাজ। আন্দোলগুলি মূলত অলৌকিক চিহ্নগুলির সাহায্যে প্রাথমিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। আমরা দেখেছি অনেকে সুস্থতা লাভ করেছে এবং মন্দশক্তি থেকে উদ্ধার পেয়েছে। অলৌকিক কাজ কেবলমাত্র ডি বি এস-এর জন্য একটি উন্মুক্ত দ্বার নয় কিন্তু, এই অলৌকিক ঘটনা একটি গৃহ থেকে অন্য গৃহে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং এটি অন্যান্য গৃহগুলির দ্বারও আমাদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, একজন শিষ্য হয়ত একজন মন্দ শক্তিগ্রস্ত মানুষের জন্য প্রার্থনা করার সুযোগ পান। যখন সেই ব্যক্তি উদ্ধার লাভ করে, এই বিষয়টি তার সমস্ত পরিবারের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, এমন কি তাদের আত্মীয় যারা অন্য গ্রামেতে থাকে তাদের মধ্যেও। সেই দূরের আত্মীয়রাও সেই শিষ্যকে তাদের গৃহেতে প্রার্থনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানায়। যখন এই শিষ্য এবং উদ্ধারপ্রাপ্ত ব্যক্তি সেখানে যায় এবং প্রার্থনা করে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেখানেও অলৌকিক কাজ হয় এবং সেখানেও একটি ডি বি এস শুরু হয়। এইভাবে, খুব সহজেই, স্বল্প শিক্ষিত লোকেরাও – যারা ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয়ে জানতই না – তারা ঈশ্বরের রাজ্যের বৃদ্ধিতে কাজ করতে থাকে।

৩. মূল্যায়ণ। আমরা বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে থাকিঃ “আমরা কেমন কাজ করছি? আমাদের বর্তমান কাজ কি আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে আমাদের নিয়ে যেতে পারবে? আমরা যদি এটি ________ করি, স্থানীয় লোকেরা কি এটি আমাদের সঙ্গে করতে একমত হবে? তারা কি এর পুনরুৎপাদন করতে পারবে?”

৪. আমরা অর্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক থাকতাম।

৫. আমরা আমাদের পাঠ্য বিষয়গুলি অভিযোজন করতাম। আমরা খুবই নির্বাচিত পাঠ্যপুস্তক ব্যবহার করতাম। যদি কোন নতুন বিষয় আমাদের দেওয়া হত, যা আমাদের জন্য প্রযোজ্য নয়, আমরা সেটির সঙ্গে সমন্বয় করতাম। এমন কোন সূত্র ছিল না যা প্রত্যেকের জন্য কার্যকারী হবে।

৬. আমরা ঈশ্বরের বাক্যের প্রতি কেন্দ্রভূত ছিলাম। কোন ‘উত্তমশিক্ষা’ই এতটা প্রভাব ফেলতে পারে না যে ভাবে পবিত্র আত্মা কার্যকারীভাবে একজন মানুষের হৃদয়কে প্রভাবিত করতে পারে। সেই কারণে আমাদের প্রত্যেকটি প্রশিক্ষণ দৃঢ়ভাবে ঈশ্বরের বাক্যের উপরে নির্ভরশীল থাকত। প্রশিক্ষণের সময়ে, প্রত্যেকে পর্যবেক্ষণ করত, প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করত, এবং গভীরভাবে অধ্যয়ন করত।

৭. প্রত্যেকে সেই বিষয়গুলি অন্যদের সাথে ভাগ করে নেয় যা তারা ব্যক্তিগতভাবে শিখেছে। এখানে কেউ পুকুর নয়; আমরা প্রত্যেকেই নদী। প্রত্যাশা করা হত যেন প্রত্যেক শিষ্য তাদের প্রত্যেকটি প্রশিক্ষণ নিজেদের শিষ্যদের কাছে পাস করে দেয়।

আমরা যখন থেকে সমস্ত দলকে সমস্ত জাতির শিষ্য নির্মাণ করার কাজে পুরোপুরি মনোনিবেশ করতে প্রচেষ্টা করি, তখন থেকে ঈশ্বর যে মহান কাজ করে চলেছেন তার জন্য আমরা ঈশ্বরের প্রশংসা করি।

“ওয়াকার” পরিবার ২০০১ সালে ভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে কাজ করতে শুরু করে। ২০০৬ সালে, তারা বেয়ন্ড-এর (www.beyond.org) সাথে যোগদান করেন এবং ২০১১ সালে তারা সি পি এম-এর নীতিগুলি ব্যবহার করতে শুরু করেন। “ফোয়েব” ২০১৩ সালে তাদের সঙ্গে যোগদান করেন। ফোয়েব এবং ওয়াকার ২০১৬ সালে অন্য দেশে যাত্রা করেন এবং দূর থেকে সেই আন্দোলনকে চালিয়ে যাবার জন্য সমর্থন করতে থাকেন।

এটি  মিশন ফ্রন্টীয়ার্স –এর ২০১৮ সালের জানুয়ারী – ফেব্রুয়ারী সংস্করণ থেকে সংকলন করা হয়েছে, www.missionfrontiers.org, এবং অবশিষ্ট তথ্য নেওয়া হয়েছে ডিয়ার মম অ্যান্ড ড্যাডঃ অ্যান অ্যাডভেঞ্চার ইন ওবিডিয়েন্স, আর. রেকেডাল স্মিথের রচনা। ২৪:১৪ পুস্তকের পৃষ্ঠা ১২১-১২৯-এ সম্পূর্ণ সম্পাদিত হয় – সমস্ত লোকেদের পক্ষে একটি সাক্ষ্য, ২৪:১৪ থেকে বা অ্যামাজন-এ উপলব্ধ৷

Categories
আন্দোলন সম্পর্কে

ঈশ্বর কিভাবে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে সুদূরপ্রসারী হয়েছেন

ঈশ্বর কিভাবে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে সুদূরপ্রসারী হয়েছেন

– “ওয়াকার” পরিবার দ্বারা লিখিত –

আমাদের দলের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত ছিল একটি বিবাহিত দম্পত্তি, একজন প্রবাসী ব্যক্তি, এবং দুইজন জাতীয় সহকর্মী, সঞ্জয়* এবং জন* (সঞ্জয়ের ছোটভাই)। আমরা ছিলাম সহকর্মী। সেখানে কোন “আমাদের” বা “তোমাদের” ধারণা ছিল না। আমরা প্রত্যেকেই কেবলমাত্র প্রভূ যীশুর শিষ্য ছিলাম, যারা ঈশ্বরকে শোনার এবং তা পালন করার চেষ্টা করছিলাম। যখনই আমাদের মধ্যে কেউ কাজের মধ্যে কোন নতুন পরিবর্তনের প্রয়োজন অনুভব করত, আমরা এটি অন্যান্য সহকর্মীদের সামনে নম্রভাবে পেশ করতাম, এবং ঈশ্বরের কাছে যাচ্ঞা করতাম যেন তিনি আমাদের সিদ্ধান্তকে তাঁর বাক্য দ্বারা নিশ্চিত করেন।

 আমরা প্রবাসীরা এই ধরনের কোন চিন্তা নিয়ে পরিচর্য্যার ক্ষেত্রে আসিনি। আমরা বহু বছর সেখানে সময় কাটিয়েছি। আমরা কাজে ব্যস্ত ছিলাম কিন্তু আমাদের কাজের কোন ফল ছিল না। ২০১১ সালে, আমরা একটি শিষ্য নির্মাণের প্রশিক্ষণে যোগদান করি যার উদ্যোক্তা ছিল আমাদের এজেন্সী। এই প্রশিক্ষণ আমাদের জীবনে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসে। দুই সপ্তাহ ধরে, আমরা ঈশ্বরের বাক্য অধ্যয়ন করি। আমরা কোন মিশন বিষয়ক পুস্তক অথবা আধুনিক মিশনের ধরন জানার পুস্তক পাঠ করিনি। আমরা কেবলমাত্র আমাদের বাইবেল খুলে কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবার চেষ্টা করেছি, যেমন, “হারিয়ে যাওয়া লোকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রভূ যীশু কি কোন কৌশল ব্যবহার করতেন?”

ঈশ্বর এই প্রশিক্ষণকে ব্যবহার করলেন যেন আমাদের চিন্তাধারাকে পরিবর্তন করতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আমরা যে প্রশ্নের মুখোমুখী হয়েছিলামঃ “কেমন হয় যদি আমরা কি করতে পারি (ইঞ্জিনিয়ারিং, শিক্ষা, পরিচালনা, কথোপকথন) সেই বিষয়ের উপরে গুরুত্ব না দিয়ে, আমাদের কি করা উচিত সেই বিষয়ের উপরে গুরুত্ব দিই?” বিগত বছর ধরে আমরা ক্ষেত্রে কাজ করছি, আমরা কেবলমাত্র নিজেদের তালন্ত এবং কৌশলের উপরে গুরুত্ব দিয়েছি। কি হবে যদি এমন হয়, আমাদের কাজ কখনই আমাদের কৌশলের উপরে নির্ভরশীল ছিল না, কিন্তু, আমাদের প্রশ্ন হওয়া উচিত ছিল “হারিয়ে যাওয়া লোকদের উদ্ধার করার জন্য কি করা উচিত?” এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা এমন কিছু বিষয় খুঁজে পাব যার কৌশল আমাদের জানা নেই (যেমন অপরিচিত লোকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা, অবিশ্বাসীদের সঙ্গে প্রার্থনা করা, এবং লূক ১০ অধ্যায়ে প্রদত্ত নির্দেশগুলি পালন করা)। এটি উপলব্ধি করে কতটা স্বস্তি লাভ করা যায় যে প্রভূ যীশুর শিষ্য তৈরি করার (মথি ২৮:১৯) আদেশের প্রতি বাধ্য থাকা আমাদের পদ্ধতি, ব্যক্তিত্ব অথবা বুদ্ধিমত্বার উপর নির্ভর করে না। প্রভূ যীশু তাঁর প্রথম শিষ্যদেরকে এই জন্য নির্বাচন করেন নি যে তারা সর্বশ্রেষ্ঠ ছিল বা প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন ছিল। তারা ছিলেন অশিক্ষিত জেলে, নীচ করগ্রাহী এবং নিপীড়িত লোকেরা। কিন্তু তারা প্রভূ যীশুর বাধ্য হয়েছিলেন।

আমরা অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ ছিলাম। পরিচর্য্যা ক্ষেত্রে প্রথম বার আসার পরে, আমরা নিজেদের তালন্তের উপরে নির্ভর না করে কোন মানুষ যেন ধ্বংস না হয়, ঈশ্বরের সেই ইচ্ছাকে পূর্ণ করার জন্য কাজ করতে চেয়েছিলাম। আমরা নতুন নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করতে শুরু করি, যার মধ্যে অন্তর্গত ছিলঃ

(ক) ব্যক্তিগত আনুগত্য (সেই সমস্ত লোকদের খুঁজে বের করা যারা সুসমাচারের জন্য নিজেদের গৃহ খুলে দেবে),

(খ) প্রার্থনার বৃদ্ধি (কেবলমাত্র ব্যক্তিগত, আরাধনার একটি বিশেষ সময় নয়; প্রার্থনা আমাদের কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে),

(গ) পূর্ব বিদ্যমান বিশ্বাসীদের কাছে নিজেদের দর্শনকে তুলে ধরা,

(ঘ) আগ্রহী খ্রীষ্টীয়ানদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা, এবং

(ঙ) তাদের থেকে শিক্ষালাভ করা যারা ইতিমধ্যেই আমাদের থেকে এগিয়ে আছে।

প্রশিক্ষণ লাভ করার কিছু মাস পরে, আমরা সঞ্জয় নামে একজন পরিচিত ব্যক্তির কাছে দৌড়ে গেলাম, যার সঙ্গে বহু বছর

ধরে আমাদের কোন সাক্ষাৎ হয়নি। পরবর্তী অংশে সঞ্জয়ের সঙ্গে সেই সাক্ষাৎকারের বিষয়গুলি উল্লেখ করা হল।

——————————

 আমি একটি খ্রীষ্টিয়ান পরিবারে জন্মগ্রহন করেছিলাম। আমরা সমস্ত খ্রীষ্টধর্মের প্রথাগুলি পালন করতাম। যখন আমি প্রাপ্তবয়স্ক হই, আমরা চার বছরের বাইবেল প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি, এবং তারপরে আমি বাইবেলের শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হই। পরবর্তী সময়ে, আমার দেশের বিস্তীর্ণ ভৌগলিক অঞ্চল জুড়ে আমি ১৭টি মণ্ডলী শুরু করি।

২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে, দিল্লীর পথে ভাই ওয়াকারের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন আমি মণ্ডলী স্থাপনের প্রশিক্ষণ লাভের জন্য তার গৃহেতে যেতে আগ্রহী কি না। আমার জীবনের সেই সময়ে, আমি অত্যন্ত দাম্ভিক মানুষ ছিলাম। আমার ইতিমধ্যেই বড় একটা পরিচর্য্যা কাজ চলছিল। আমি বিদ্যালয় এবং বাইবেল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শুরু করেছি। আমি ভাবলাম, “এই লোকটা আমাকে আর কি শেখাবে?” আমি সেখানে না যাবার সিদ্ধান্ত নিই।

যদিও, প্রায় এক মাস পরে আমি তাকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য টেলিফোনে সংযোগ করি। যখন আমি তাকে ফোন করেছিলাম, তিনি বললেন, “আমি তোমাকে পূর্বে মণ্ডলী স্থাপনের প্রশিক্ষণের বিষয়ে বলেছিলাম। তুমি কেন আসলে না?”

এই সময়ে, আমি আত্ম-সমর্পন করি। আমি বলেছিলাম আমি আসব এবং আমার কয়েকজন বন্ধুকেও নিয়ে আসব।

আমরা সেখানে পৌঁছালে, তিনি আমাদের জল পান করতে দিলেন এবং সেখানে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন। এরপরে তিনি আমাদের কাগজ ও কলম দিলেন এবং বললেন, “আজকে, আমরা ঈশ্বরের বাক্য ধ্যান করব। আমি সবার জন্য চা বানাতে যাচ্ছি। যখন আমি চা বানাচ্ছি, আপনারা প্রত্যেকে মথি ২৮:১৬-২০ বাইবেল থেকে এই কাগজে লিখে নিন। পরের পৃষ্ঠায় লিখুন আপনি কিভাবে এটি নিজের জীবনে ব্যবহার করবেন”।

আমি ভাবলাম, “এটা কি ধরনের প্রশিক্ষণ? তিনি কেবলমাত্র একটি কাগজ কলম দিয়ে চলে গেলেন!” আমি ইতিমধ্যেই বাইবেল কলেজ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমি ১২ বছর ধরে অত্যন্ত সফলভাবে পরিচর্য্যা কাজ করে চলেছি। কিন্তু, ১০ মিনিটের মধ্যে, আমি সম্পূর্ণভাবে পালটে গেলাম।

মথি ২৮ অধ্যায়ে আমি পাঠ করলাম আমাদেরকে যেতে হবে এবং শিষ্য তৈরি করতে হবে। আমি সেটা লিখলামআমার কাগজে লেখা বিষয়টি পাঠ করার পরে, সেই ভাই আমাকে জিজ্ঞাসা করল “সঞ্জয়, তোমার তো অনেক বড় পরিচর্য্যা কাজ আছে, কিন্তু তোমার কি কোন শিষ্য আছে?”

আমি ভাবলাম, “আমার তো একটাও শিষ্য নেই। ১০ বছরে, আমি প্রভূ যীশুর জন্য কিছুই করিনি। তিনি আমাকে শিষ্য তৈরি করতে বলেছেন, কিন্তু আজ পর্যন্ত, আমার একটিও শিষ্য নেই”

পরের মাসে, আমি আবার ভাই ওয়াকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাই। আমরা একত্রে বসে ঈশ্বরের বাক্য অধ্যয়ন করি। সেই সময় থেকে আমি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি, আমি অন্যান্য সমস্ত কাজ সরিয়ে রাখব। আমি কেবলমাত্র একটি সঙ্কল্প নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসি, আর কিছু নয়, কেবলমাত্র শিষ্য তৈরি করা। আমি যে বিদ্যালয় শুরু করেছিলাম সেখান থেকে আমি পদত্যাগ করি, আন্তর্জাতিক পরিচর্য্যা কাজে আমার পদ ছেড়ে দিই, যেখান থেকে আমি যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করতাম, বাইবেল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সভাপতি পদ থেকেও আমি পদত্যাগ করি। আমি সমস্ত কিছু পরিত্যাগ করি, সেই সময় থেকে, কেবলমাত্র প্রভূ যীশুর আদেশ পালনের লক্ষ্যে এগোতে শুরু করি। এবং ঈশ্বর বিশ্বস্তভাবে আমাদের সমস্ত প্রয়োজন মেটাতে থাকেন।

———————-

আমরা মাসে প্রায় একবার করে সঞ্জয় এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা সঞ্জয়ের আরো ১৫ জন বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শুরু করি। তাদের মধ্যে অধিকাংশই খ্রীষ্টীয় পরিবারে জন্মেছিলেন, খুব কম সংখ্যক মানুষ যারা হিন্দু পরিবার থেকে খ্রীষ্টকে জেনেছিলেন। যারা সি পি এম-এর নীতিগুলি ব্যবহার করছিলেন তারা প্রত্যেকেই দ্রুত ফল লাভ করতে শুরু করলেন। সঞ্জয় ছিল এই দলের প্রধান কোচ এবং দলের উৎসাহদাতা।

  • ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে, সেখানে ৫৫টি ডিসকভারি বাইবেল স্টাডি দল শুরু হয়, যেখানে প্রত্যেকেই ছিলেন হারিয়ে যাওয়া মানুষ।
  • ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে, সেখানে ২৫০টি দল শুরু হয়, (মণ্ডলী এবং ডিসকভারি দল)।
  • ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে, সেখানে ৭০০টি মণ্ডলী শুরু হয়, এবং প্রায় ২৫০০ জন বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করে।
  • ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে, সেখানে ২০০০টি মণ্ডলী শুরু হয়, এবং প্রায় ৯০০০ জন বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করে।
  • ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে, সেখানে ৬৫০০টি মণ্ডলী শুরু হয়, এবং প্রায় ২৫০০০ জন বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করে।
  • ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে, সেখানে ২১,০০০টি মণ্ডলী শুরু হয় এবং বাপ্তিষ্মের সঠিক সংখ্যা গননা করা অসম্ভব হয়ে যায়।

২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে, সেখানে ৩০,০০০টি মণ্ডলী শুরু হয়।

ভাগ ২-এ আমরা এই প্রক্রিয়া চলাকালীন যা শিখেছি তার বেশ কিছু পাঠগুলির আলোচনা করবো, বিভিন্ন ধরনের জড়িত লোকের ভূমিকা, এবং অগ্রগতির মূল কারণগুলি

“ওয়াকার” পরিবার ২০০১ সালে ভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে কাজ করতে শুরু করে ২০০৬ সালে, তারা বেয়ন্ড-এর (www.beyond.org) সাথে যোগদান করেন এবং ২০১১ সালে তারা সি পি এম-এর নীতিগুলি ব্যবহার করতে শুরু করেন “ফোয়েব” ২০১৩ সালে তাদের সঙ্গে যোগদান করেন ফোয়েব এবং ওয়াকার ২০১৬ সালে অন্য দেশে যাত্রা করেন এবং দূর থেকে সেই আন্দোলনকে চালিয়ে যাবার জন্য সমর্থন করতে থাকেন


এটি  মিশন ফ্রন্টীয়ার্স –এর ২০১৮ সালের জানুয়ারী – ফেব্রুয়ারী সংস্করণ থেকে সংকলন করা হয়েছে, www.missionfrontiers.org, এবং অবশিষ্ট তথ্য নেওয়া হয়েছে ডিয়ার মম অ্যান্ড ড্যাডঃ অ্যান অ্যাডভেঞ্চার ইন ওবিডিয়েন্স, আর. রেকেডাল স্মিথের রচনা।

Categories
আন্দোলন সম্পর্কে আন্দোলন সম্পর্কে

ঈশ্বর কিভাবে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে সুদূরপ্রসারী হয়েছেন

ঈশ্বর কিভাবে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে সুদূরপ্রসারী হয়েছেন

– “ওয়াকার” পরিবার দ্বারা লিখিত –

এটি  মিশন ফ্রন্টীয়ার্স –এর ২০১৮ সালের জানুয়ারী – ফেব্রুয়ারী সংস্করণ থেকে সংকলন করা হয়েছে, www.missionfrontiers.org, এবং অবশিষ্ট তথ্য নেওয়া হয়েছে ডিয়ার মম অ্যান্ড ড্যাডঃ অ্যান অ্যাডভেঞ্চার ইন ওবিডিয়েন্স, আর. রেকেডাল স্মিথের রচনা।

আমাদের দলের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত ছিল একটি বিবাহিত দম্পত্তি, একজন প্রবাসী ব্যক্তি, এবং দুইজন জাতীয় সহকর্মী, সঞ্জয়* এবং জন* (সঞ্জয়ের ছোটভাই)। আমরা ছিলাম সহকর্মী। সেখানে কোন “আমাদের” বা “তোমাদের” ধারণা ছিল না। আমরা প্রত্যেকেই কেবলমাত্র প্রভূ যীশুর শিষ্য ছিলাম, যারা ঈশ্বরকে শোনার এবং তা পালন করার চেষ্টা করছিলাম। যখনই আমাদের মধ্যে কেউ কাজের মধ্যে কোন নতুন পরিবর্তনের প্রয়োজন অনুভব করত, আমরা এটি অন্যান্য সহকর্মীদের সামনে নম্রভাবে পেশ করতাম, এবং ঈশ্বরের কাছে যাচ্ঞা করতাম যেন তিনি আমাদের সিদ্ধান্তকে তাঁর বাক্য দ্বারা নিশ্চিত করেন।

 আমরা প্রবাসীরা এই ধরনের কোন চিন্তা নিয়ে পরিচর্য্যার ক্ষেত্রে আসিনি। আমরা বহু বছর সেখানে সময় কাটিয়েছি। আমরা কাজে ব্যস্ত ছিলাম কিন্তু আমাদের কাজের কোন ফল ছিল না। ২০১১ সালে, আমরা একটি শিষ্য নির্মাণের প্রশিক্ষণে যোগদান করি যার উদ্যোক্তা ছিল আমাদের এজেন্সী। এই প্রশিক্ষণ আমাদের জীবনে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসে। দুই সপ্তাহ ধরে, আমরা ঈশ্বরের বাক্য অধ্যয়ন করি। আমরা কোন মিশন বিষয়ক পুস্তক অথবা আধুনিক মিশনের ধরন জানার পুস্তক পাঠ করিনি। আমরা কেবলমাত্র আমাদের বাইবেল খুলে কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবার চেষ্টা করেছি, যেমন, “হারিয়ে যাওয়া লোকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রভূ যীশু কি কোন কৌশল ব্যবহার করতেন?”

ঈশ্বর এই প্রশিক্ষণকে ব্যবহার করলেন যেন আমাদের চিন্তাধারাকে পরিবর্তন করতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আমরা যে প্রশ্নের মুখোমুখী হয়েছিলামঃ “কেমন হয় যদি আমরা কি করতে পারি (ইঞ্জিনিয়ারিং, শিক্ষা, পরিচালনা, কথোপকথন) সেই বিষয়ের উপরে গুরুত্ব না দিয়ে, আমাদের কি করা উচিত সেই বিষয়ের উপরে গুরুত্ব দিই?” বিগত বছর ধরে আমরা ক্ষেত্রে কাজ করছি, আমরা কেবলমাত্র নিজেদের তালন্ত এবং কৌশলের উপরে গুরুত্ব দিয়েছি। কি হবে যদি এমন হয়, আমাদের কাজ কখনই আমাদের কৌশলের উপরে নির্ভরশীল ছিল না, কিন্তু, আমাদের প্রশ্ন হওয়া উচিত ছিল “হারিয়ে যাওয়া লোকদের উদ্ধার করার জন্য কি করা উচিত?” এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা এমন কিছু বিষয় খুঁজে পাব যার কৌশল আমাদের জানা নেই (যেমন অপরিচিত লোকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা, অবিশ্বাসীদের সঙ্গে প্রার্থনা করা, এবং লূক ১০ অধ্যায়ে প্রদত্ত নির্দেশগুলি পালন করা)। এটি উপলব্ধি করে কতটা স্বস্তি লাভ করা যায় যে প্রভূ যীশুর শিষ্য তৈরি করার (মথি ২৮:১৯) আদেশের প্রতি বাধ্য থাকা আমাদের পদ্ধতি, ব্যক্তিত্ব অথবা বুদ্ধিমত্বার উপর নির্ভর করে না। প্রভূ যীশু তাঁর প্রথম শিষ্যদেরকে এই জন্য নির্বাচন করেন নি যে তারা সর্বশ্রেষ্ঠ ছিল বা প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন ছিল। তারা ছিলেন অশিক্ষিত জেলে, নীচ করগ্রাহী এবং নিপীড়িত লোকেরা। কিন্তু তারা প্রভূ যীশুর বাধ্য হয়েছিলেন।

আমরা অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ ছিলাম। পরিচর্য্যা ক্ষেত্রে প্রথম বার আসার পরে, আমরা নিজেদের তালন্তের উপরে নির্ভর না করে কোন মানুষ যেন ধ্বংস না হয়, ঈশ্বরের সেই ইচ্ছাকে পূর্ণ করার জন্য কাজ করতে চেয়েছিলাম। আমরা নতুন নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করতে শুরু করি, যার মধ্যে অন্তর্গত ছিলঃ

(ক) ব্যক্তিগত আনুগত্য (সেই সমস্ত লোকদের খুঁজে বের করা যারা সুসমাচারের জন্য নিজেদের গৃহ খুলে দেবে),

(খ) প্রার্থনার বৃদ্ধি (কেবলমাত্র ব্যক্তিগত, আরাধনার একটি বিশেষ সময় নয়; প্রার্থনা আমাদের কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে),

(গ) পূর্ব বিদ্যমান বিশ্বাসীদের কাছে নিজেদের দর্শনকে তুলে ধরা,

(ঘ) আগ্রহী খ্রীষ্টীয়ানদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা, এবং

(ঙ) তাদের থেকে শিক্ষালাভ করা যারা ইতিমধ্যেই আমাদের থেকে এগিয়ে আছে।

প্রশিক্ষণ লাভ করার কিছু মাস পরে, আমরা সঞ্জয় নামে একজন পরিচিত ব্যক্তির কাছে দৌড়ে গেলাম, যার সঙ্গে বহু বছর

ধরে আমাদের কোন সাক্ষাৎ হয়নি। পরবর্তী অংশে সঞ্জয়ের সঙ্গে সেই সাক্ষাৎকারের বিষয়গুলি উল্লেখ করা হল।

——————————

 আমি একটি খ্রীষ্টিয়ান পরিবারে জন্মগ্রহন করেছিলাম। আমরা সমস্ত খ্রীষ্টধর্মের প্রথাগুলি পালন করতাম। যখন আমি প্রাপ্তবয়স্ক হই, আমরা চার বছরের বাইবেল প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি, এবং তারপরে আমি বাইবেলের শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হই। পরবর্তী সময়ে, আমার দেশের বিস্তীর্ণ ভৌগলিক অঞ্চল জুড়ে আমি ১৭টি মণ্ডলী শুরু করি।

২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে, দিল্লীর পথে ভাই ওয়াকারের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন আমি মণ্ডলী স্থাপনের প্রশিক্ষণ লাভের জন্য তার গৃহেতে যেতে আগ্রহী কি না। আমার জীবনের সেই সময়ে, আমি অত্যন্ত দাম্ভিক মানুষ ছিলাম। আমার ইতিমধ্যেই বড় একটা পরিচর্য্যা কাজ চলছিল। আমি বিদ্যালয় এবং বাইবেল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শুরু করেছি। আমি ভাবলাম, “এই লোকটা আমাকে আর কি শেখাবে?” আমি সেখানে না যাবার সিদ্ধান্ত নিই।

যদিও, প্রায় এক মাস পরে আমি তাকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য টেলিফোনে সংযোগ করি। যখন আমি তাকে ফোন করেছিলাম, তিনি বললেন, “আমি তোমাকে পূর্বে মণ্ডলী স্থাপনের প্রশিক্ষণের বিষয়ে বলেছিলাম। তুমি কেন আসলে না?”

এই সময়ে, আমি আত্ম-সমর্পন করি। আমি বলেছিলাম আমি আসব এবং আমার কয়েকজন বন্ধুকেও নিয়ে আসব।

আমরা সেখানে পৌঁছালে, তিনি আমাদের জল পান করতে দিলেন এবং সেখানে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন। এরপরে তিনি আমাদের কাগজ ও কলম দিলেন এবং বললেন, “আজকে, আমরা ঈশ্বরের বাক্য ধ্যান করব। আমি সবার জন্য চা বানাতে যাচ্ছি। যখন আমি চা বানাচ্ছি, আপনারা প্রত্যেকে মথি ২৮:১৬-২০ বাইবেল থেকে এই কাগজে লিখে নিন। পরের পৃষ্ঠায় লিখুন আপনি কিভাবে এটি নিজের জীবনে ব্যবহার করবেন”।

আমি ভাবলাম, “এটা কি ধরনের প্রশিক্ষণ? তিনি কেবলমাত্র একটি কাগজ কলম দিয়ে চলে গেলেন!” আমি ইতিমধ্যেই বাইবেল কলেজ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমি ১২ বছর ধরে অত্যন্ত সফলভাবে পরিচর্য্যা কাজ করে চলেছি। কিন্তু, ১০ মিনিটের মধ্যে, আমি সম্পূর্ণভাবে পালটে গেলাম।

মথি ২৮ অধ্যায়ে আমি পাঠ করলাম আমাদেরকে যেতে হবে এবং শিষ্য তৈরি করতে হবে। আমি সেটা লিখলামআমার কাগজে লেখা বিষয়টি পাঠ করার পরে, সেই ভাই আমাকে জিজ্ঞাসা করল “সঞ্জয়, তোমার তো অনেক বড় পরিচর্য্যা কাজ আছে, কিন্তু তোমার কি কোন শিষ্য আছে?”

আমি ভাবলাম, “আমার তো একটাও শিষ্য নেই। ১০ বছরে, আমি প্রভূ যীশুর জন্য কিছুই করিনি। তিনি আমাকে শিষ্য তৈরি করতে বলেছেন, কিন্তু আজ পর্যন্ত, আমার একটিও শিষ্য নেই”

পরের মাসে, আমি আবার ভাই ওয়াকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাই। আমরা একত্রে বসে ঈশ্বরের বাক্য অধ্যয়ন করি। সেই সময় থেকে আমি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি, আমি অন্যান্য সমস্ত কাজ সরিয়ে রাখব। আমি কেবলমাত্র একটি সঙ্কল্প নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসি, আর কিছু নয়, কেবলমাত্র শিষ্য তৈরি করা। আমি যে বিদ্যালয় শুরু করেছিলাম সেখান থেকে আমি পদত্যাগ করি, আন্তর্জাতিক পরিচর্য্যা কাজে আমার পদ ছেড়ে দিই, যেখান থেকে আমি যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করতাম, বাইবেল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সভাপতি পদ থেকেও আমি পদত্যাগ করি। আমি সমস্ত কিছু পরিত্যাগ করি, সেই সময় থেকে, কেবলমাত্র প্রভূ যীশুর আদেশ পালনের লক্ষ্যে এগোতে শুরু করি। এবং ঈশ্বর বিশ্বস্তভাবে আমাদের সমস্ত প্রয়োজন মেটাতে থাকেন।

———————-

আমরা মাসে প্রায় একবার করে সঞ্জয় এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা সঞ্জয়ের আরো ১৫ জন বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শুরু করি। তাদের মধ্যে অধিকাংশই খ্রীষ্টীয় পরিবারে জন্মেছিলেন, খুব কম সংখ্যক মানুষ যারা হিন্দু পরিবার থেকে খ্রীষ্টকে জেনেছিলেন। যারা সি পি এম-এর নীতিগুলি ব্যবহার করছিলেন তারা প্রত্যেকেই দ্রুত ফল লাভ করতে শুরু করলেন। সঞ্জয় ছিল এই দলের প্রধান কোচ এবং দলের উৎসাহদাতা।

  • ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে, সেখানে ৫৫টি ডিসকভারি বাইবেল স্টাডি দল শুরু হয়, যেখানে প্রত্যেকেই ছিলেন হারিয়ে যাওয়া মানুষ।
  • ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে, সেখানে ২৫০টি দল শুরু হয়, (মণ্ডলী এবং ডিসকভারি দল)।
  • ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে, সেখানে ৭০০টি মণ্ডলী শুরু হয়, এবং প্রায় ২৫০০ জন বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করে।
  • ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে, সেখানে ২০০০টি মণ্ডলী শুরু হয়, এবং প্রায় ৯০০০ জন বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করে।
  • ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে, সেখানে ৬৫০০টি মণ্ডলী শুরু হয়, এবং প্রায় ২৫০০০ জন বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করে।
  • ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে, সেখানে ২১,০০০টি মণ্ডলী শুরু হয় এবং বাপ্তিষ্মের সঠিক সংখ্যা গননা করা অসম্ভব হয়ে যায়।

২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে, সেখানে ৩০,০০০টি মণ্ডলী শুরু হয়।

ভাগ ২-এ আমরা এই প্রক্রিয়া চলাকালীন যা শিখেছি তার বেশ কিছু পাঠগুলির আলোচনা করবো, বিভিন্ন ধরনের জড়িত লোকের ভূমিকা, এবং অগ্রগতির মূল কারণগুলি

“ওয়াকার” পরিবার ২০০১ সালে ভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে কাজ করতে শুরু করে ২০০৬ সালে, তারা বেয়ন্ড-এর (www.beyond.org) সাথে যোগদান করেন এবং ২০১১ সালে তারা সি পি এম-এর নীতিগুলি ব্যবহার করতে শুরু করেন “ফোয়েব” ২০১৩ সালে তাদের সঙ্গে যোগদান করেন ফোয়েব এবং ওয়াকার ২০১৬ সালে অন্য দেশে যাত্রা করেন এবং দূর থেকে সেই আন্দোলনকে চালিয়ে যাবার জন্য সমর্থন করতে থাকেন

Categories
আন্দোলন সম্পর্কে

ঈশ্বরের জন্য আসক্তি, মানুষের জন্য সমবেদনা

ঈশ্বরের জন্য আসক্তি, মানুষের জন্য সমবেদনা

– শোডানকে জনসন দ্বারা লিখিত –

ঈশ্বরের প্রেমের বাস্তব প্রদর্শনগুলি মণ্ডলী স্থাপনের আন্দোলনগুলির ক্ষেত্রে এক অখণ্ড ভূমিকা পালন করে। তারা শুভ বার্তার প্রবেশদ্বার এবং মানুষের জীবনে ও সম্প্রদায়সমূহে রাজ্যের ফলস্বরূপ, এই উভয় ক্ষেত্রেই পরিচর্য্যা করে।

 

প্রবেশাধিকারের পরিচর্য্যার কাজগুলি নিউ হারভেস্ট মিনিস্ট্রিস (এন এইচ এম)-এর স্তম্ভগুলির মধ্যে একটি। যখন থেকে নিউ হারভেস্ট শুরু হয়েছিল, ৪,০০০-এরও বেশী সম্প্রদায়ে এবং ১২টি দেশে শিষ্যনির্মাণ, এবং মণ্ডলী স্থাপন করতে তারা ঈশ্বরের সমবেদনা প্রকাশ করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলমণ্ডলী। এই সমবেদনাপূর্ণ ব্যস্ততা শত সহস্র নতুন শিষ্যদের, এবং দশ সহস্রেরও বেশী খ্রীষ্টিয় নেতাদের গঠন করতেমূল অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে।

সমবেদনা হচ্ছে প্রত্যেকটি শিষ্য নির্মাণের আন্দোলনের ডি এন এ-তে পাওয়া একটি অপরিহার্য রাজ্যের মূল্যবোধশিষ্য নির্মাণেরশিষ্য নির্মাণের। আমাদের বিভিন্ন ধরনের ডজন ডজন প্রবেশাধিকারের পরিচর্য্যার কর্মগুলি রয়েছে। প্রত্যেকটিই আফ্রিকায় ঈশ্বরের রাজ্যের বিস্তারের জন্য আমাদের সাহায্য করতে অনুপম ভুমিকা পালন করছে। বেশিরভাগই ব্যয়বহুল নয়, কিন্তু ঈশ্বরের সাহায্যে, তারা দারুন প্রভাব সৃষ্টি করে। আমরা প্রত্যেকটি পরিচর্য্যা কাজের স্থানীয় মানুষের সাথে অংশীদার হই। তারা প্রায়ই নেতৃত্ব, শ্রম এবং জিনিসপত্রগুলি সরবরাহ করে – সমাজে বিদ্যমান জিনিসপত্রগুলি সেই প্রয়োজনগুলি মেটাতে সাহায্য করে।

বীরোচিত সমবেদনা

নিউ হারভেস্ট সিয়েরা লিওন-এ স্থিত আমাদের কেন্দ্রীয় দফতর থেকে অনেক দেশে পরিচর্য্যা করেছে। যখন ২০১৪ সালে ইবোলা আঘাত হেনেছিল, আমরা  নিরাপদ স্থানে থাকতে পারিনি এবং আমাদের চতুর্দিকের বিপর্যয়ে জড়াতেও পারিনি। এই সঙ্কট অনেক মুসলমান গ্রামগুলিকে অত্যন্ত শোচনীয়ভাবে আঘাত করল, যেন সমাধির আচার-অনুষ্ঠান মহামারীর বিস্ফোরিত হওয়ার কারণ হয়েছিল। হঠাৎ করেই ইবোলার কারণে, লোকেরা মৃতপ্রায় বাবা, মা বা সন্তানদের স্পর্শও পর্যন্ত্য করত না। সেই প্রসঙ্গে, নিউ হারভেস্টের অনেক নেতারা স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে অধিকাংশ বিপজ্জনক এলাকায় কাজ করেছিলেন। কয়েকজন বেঁচে গিয়েছিলেন, কিন্তু অনেকেই অন্যদের সেবা করতে গিয়ে তাদের প্রাণ হারিয়েছিলেন – বেশিরভাগ মুসলমানেরা।

কোন একটি সম্প্রদায়ের মুসলমান প্রধান তার পরিত্যক্ত গ্রাম থেকে পালাতে গিয়ে লোকেদের দ্বারা নিরুৎসাহিত হয়েছিলেন। খ্রীষ্টানরা সেবা করতে আসতে দেখে তিনি অভিভূত হয়েছিলেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই প্রার্থনা করেছিলেনঃ “হে ঈশ্বর, তুমি যদি এর থেকে আমাকে রক্ষা কর, তুমি যদি আমার পরিবারকে রক্ষা কর, আমি চাই আমরা সকলেই এই লোকগুলির মত হই, যারা আমাদের প্রেম প্রদর্শন করছে এবং খাদ্য জুগিয়েছে।” প্রধান ও তার পরিবার বেঁচে গিয়েছিলেন এবং নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছিলেন। বাইবেলের ঘটনাগুলি মুখস্থ করে, তিনি মসজিদে তা প্রচার করতে শুরু করে দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি একজন প্রবীন ব্যক্তি ছিলেন। সেই গ্রামে একটি মণ্ডলীর জন্ম হয়েছিল, এবং সেই প্রধান গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে গিয়ে ঈশ্বরের প্রেমের শুভ বার্তা প্রচার করতে থাকেন।

দরদি অপরিহার্যতার আবিষ্কার, হারানোদের সংযুক্তি

এন এইচ এম-এর জন্য, প্রবেশাধিকারের পরিচর্য্যা শুরু হয় একটি সম্প্রদায়ের দরদি অপরিহার্যতা মূল্যায়ন-এর দ্বারা। যখন আমরা চাহিদার মূল্যায়ন সম্পন্ন করি, সম্প্রদায়ের সাথে অংশীদারত্ব অবশ্যই পারস্পরিক সম্মান ও বিশ্বাসেরউন্নয়ন ঘটাবে। কিছু সময় পরে, এই সম্পর্ক গল্প কথন এবং ডিসকভারি বাইবেল স্টাডিতে (ডি বি এস) পরিচলনা করে। প্রবেশাধিকারের পরিচর্য্যা তাদের খ্রীষ্টের প্রেমকে দেখতে এবং পরাক্রমের সাথে তাদের হৃদয়গুলি স্পর্শ করতে দেয়।

রাজ্য আন্দোলনগুলিতে আরোহণ

আমরা যা কিছুই করি, প্রার্থনাই হচ্ছে তার ভিত্তি। সুতরাং যখন কোন কিছু মূল্যায়ন করা হয়ে যায়, আমাদের মধ্যস্থকারীরা প্রার্থনা করতে শুরু করেনঃ

  • উন্মুক্ত দ্বার ও উন্মুক্ত হৃদয়ের জন্য
  • প্রকল্পের নেতৃবৃন্দের মনোনয়নের জন্য
  • স্থানীয়দের দ্বারা হস্ত উন্মুক্তির জন্য
  • ঈশ্বরের এক অলৌকিক শক্তির চালনার জন্য
  • আত্মার নেতৃত্বের জন্য
  • ঈশ্বর প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহ করবেন তার জন্য

আমাদের প্রার্থনার কেন্দ্রগুলি যে সম্প্রদায়গুলির মধ্যে কাজ করছে, তাদের সম্বন্ধে তারা অবগত থাকে। তারা তাদের প্রত্যেকটির জন্য উপবাস ও প্রার্থনা করে, এবং ঈশ্বর সব সময় সঠিক প্রবন্ধের সাথে, সঠিক সময়ে, সঠিক দ্বার খুলে দেন।

প্রবেশাধিকারের পরিচর্য্যার মহা-শক্তিশালী এবং কার্যকারী উপায় হচ্ছে প্রার্থনা। সমস্ত উদ্যোগের মধ্যে এটি এক জলপ্রপাতের কার্যকারিতা ঘটায়। কোন প্রকার সন্দেহের উর্দ্ধে আমরা দৃঢ় প্রত্যয় প্রাপ্ত হই যে কৌশলী উপবাস ও প্রার্থনা অন্ধকারের শক্তিগুলিকে পরাভূত করতে ধারাবাহিকভাবে নেতৃত্ব দেবে। কখনও কখনও পীড়িতদের জন্য প্রার্থনা প্রবেশের প্রশস্ত দ্বারউন্মুক্ত করে দেয়। আমরা ধারাবাহিক প্রার্থনার দ্বারা, খুব হিংস্র সম্প্রদায়্গুলিকে উন্মুক্ত হতে, শান্তির অনুপোযুক্ত লোকেদের চিহ্নিত হতে, এবং সমস্ত পরিবারগুলিকে উদ্ধার পেতে দেখেছি। সমস্ত গৌরব ঈশ্বরের প্রাপ্য, যিনি প্রার্থনা শোনেন এবং উত্তর দেন।

আমাদের সকল কাজকে প্রার্থনা তা পরিবেষ্টন করে রাখে। আমি লোকেদের বলি যে প্রবেশাধিকারের পরিচর্য্যার তিনটি গুরুত্বপূর্ন উপাদানগুলি হচ্ছেঃ প্রথম – প্রার্থনা, দ্বিতীয় – প্রার্থনা এবং তৃতীয় – প্রার্থনা।

প্রত্যেকটি প্রকল্প আমাদের রাজাকে বিখ্যাত করেছে

আমরা মানুষের কাছে সুসমাচার নিয়ে যাওয়ার জন্য যা কিছু করি তাতে খ্রীষ্ট মহিমান্বিত হন। আমাদের কাজ কখনও আমাদের বিষয়ে নয়। এটা তাঁর বিষয়ে। আমরা একটি কৌশলী মনোযোগের সাথে সুসমাচার অপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীগুলির উপর তাঁকে পরিচিত করি।

শিক্ষাদানের কর্মীদল

শিক্ষা যখন একটি সুস্পষ্ট আবশ্যিক বিষয়, আমাদের মধ্যস্থতাকারীরা প্রার্থনার মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছে সেই আবশ্যিক বিষয়টি নিয়ে যান৷ আমরা যখন প্রার্থনা করি, আমরা সম্প্রদায়কে তাদের কাছে কোন রসদগুলি আছে তার খোঁজ করতে যুক্ত করি। কেই  যোগান তাদের নিজেদের চাহিদা মেটানোর জন্য তারা কি সরবরাহ করতে পারবে আমরা তা খুঁজে বের করি। প্রায়ই সম্প্রদায়টি একটি অস্থায়ী পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য জমি, সাম্প্রদায়িক ভবন বা নির্মাণ সামগ্রীর যোগান দেয়।

আমরা সাধারণত সম্প্রদায়কে শিক্ষকের বেতনের  অংশটি দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করি। শিক্ষক হচ্ছেন একজন শংসাপত্র প্রাপ্ত ব্যক্তি এবং তিনি (পুরুষ এবং মহিলা) হচ্ছেন একজন প্রবীণ শিষ্য নির্মাণকারী বা মণ্ডলীস্থাপক। বিদ্যালয়গুলি শুরু হয় কয়েকটি বেঞ্চ, পেন্সিল বা পেন, এক বাক্স চক, এবং একটি ব্ল্যাকবোর্ড নিয়ে। বিদ্যালয় গাছের নীচে, একটি সমাজগৃহে বা একটি পুরানো বাড়িতে শুরু হতে পারে। আমরা ধীর গতিতে শুরু করি, এবং বিদ্যালয়কে শিক্ষাগতভাবে এবং আত্মিকআত্মিক ভাবে উন্নত করি।

যখন একজন শান্তির ব্যক্তি তার (পুরুষ বা নারী) ঘর উন্মুক্ত করে দেয়, তখন তা ডি বি এস মিটিং এবং পরে মণ্ডলী চালু করার কেন্দ্র হিসাবে পরিগণিত হয়। আমরা ১০০ টিরও বেশী প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু করেছি, তাদের বেশীরভাগই এখন সম্প্রদায়ের মালিকাধীন।

এই সাধারণ কর্মসূচী থেকে ঈশ্বর খাড়া করেছেন ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি কারিগরি যন্ত্রবিদ্যা সংক্রান্ত বিদ্যালয় এবং প্রত্যেকটি দেশে কলেজ। এই কলেজের একটি স্বীকৃত ব্যবসায়িক বিদ্যালয় এবং আত্মিক বিদ্যালয় আছে। এছাড়াও যা প্রত্যাশা করা যেতে পারে, তা হল শিষ্য নির্মাণেরশিষ্য নির্মাণেরনির্মাণের আন্দোলনগুলির জন্য মজবুত শিক্ষাস্থান।

চিকিৎসা, দন্তচিকিৎসা, স্বাস্থ্যবিধি

যখন আমরা কোন স্বাস্থ্যগত প্রয়োজন সনাক্ত করি, আমরা ঔষুধপত্র, যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম সমেত সুশিক্ষিত চিকিৎসকদের দল পাঠাই, ঔষুধপত্র। আমাদের দলের সব সদস্যই নিপুণ শিষ্য প্রস্তুতকারক এবং ডি বি এস-এর অগ্রগমণের প্রণালী সহজতর করার বিষয়ে নিপুণ। অনেকেই দক্ষ মণ্ডলীস্থাপক। যখন কর্মীদল পীড়িতদের চিকিৎসা করে, তারা একজন শান্তির ব্যক্তিরও অন্বেষণ করে। যদি তারা তাদের প্রথম পরিদর্শনে কাউকে খুঁজে না পায়, তারা দ্বিতীয়বার পরিদর্শন করে। যখন তারা একজন শান্তির ব্যক্তিকে খুঁজে পায়, তখন সে (পুরুষ বা নারী) সেতুবন্ধন এবং ডি বি এস-এর জন্য ভাবী তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে কাজ করে। যদি তারা কোন শান্তির ব্যক্তিকে খুঁজে না পায়, তখন কর্মীদল পূর্ববর্তী স্থানে উন্মুক্ত প্রবেশদ্বারের জন্য প্রার্থনা করতে করতে অন্য সম্প্রদায়ের কাছে যাবে।

দশজন মণ্ডলীস্থাপকদের দন্তচিকিৎকদের মত সুসজ্জিত হতে ভালো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তারা ঘুরে ঘুরে দাঁত তোলা এবং ভরাট করবার স্বীকৃতি পায় স্বাস্থ্য অধিকার্ত্তাদের কাছ থেকে। তাদের মধ্যে একজন চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের জুড়ি হিসাবে কাজ করেন। তিনি চক্ষু পরীক্ষা করেন এবং উপযুক্ত চশমার পরামর্শ দেন। স্বাস্থ্য কর্মীদলের অন্য সদস্যরা স্বাস্থ্যবিধি, মাতৃদুগ্ধ ভোজন, পুষ্টিবিধান, শিশু টীকাকরণ এবং গর্ভবতী মহিলাদের শিশুর জন্মের পূর্ববর্তী যত্নের উপরে প্রশিক্ষন প্রদান করেন।

একটি অতি অস্বাভাবিক প্রবেশাধিকারের পরিচর্য্যা

এটার সমস্ত কিছুই আমরা খ্রীষ্ট-সদৃশ আচরণে, ঈশ্বরের রাজ্য প্রতিষ্ঠাপ্রতিষ্ঠা দর্শনসাধ্য করবার সন্ধানে করি। ঈশ্বর গমনাগমন করেন এবং তাঁর উপস্থিতি জানান। এটা প্রায়ই একটি পরিবারকে বা একজন অনুপযোগী সমাজপতিকে নিয়ে শুরু হয়। এইভাবে আমরা ধারাবাহিকভাবে শিষ্যদের, ডিসকভারি বাইবেল গোষ্ঠীগুলির এবং মণ্ডলীগুলির চলমান সংখ্যাবৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করি।

সিয়েরা লিওনের দক্ষিণপ্রান্তের এবং বৃহৎ সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রবেশ করা আমাদের পক্ষে খুব কঠিন ব্যাপার ছিল। তারা খ্রীষ্টানদের প্রতি অত্যন্ত নির্দয়ী ছিল। খ্রীষ্টান বলে চিহ্নিত লোকদের সেই স্থানে প্রবেশ করা পর্যন্ত্যও কঠিন ছিল। সুতরাং আমরা সেই শহরের জন্য প্রার্থনা করলাম। কিন্তু সময় চলে গেল এবং আমাদের কোন কৌশল কার্যকারী হল না।

তারপর হঠাৎ করে কিছু একটা ঘটল! জাতীয় সংবাদের বিবরণে পেশ করা হল সেই শহরের স্বাস্থ্য সমস্যা সম্বন্ধে। যুবকেরা অসুস্থ হয়ে পড়ছিল এবং মারা যাচ্ছিল। এটা খুঁজে পাওয়া গেল যে সেই বিষয়ের সাথে সংক্রমণ জড়িত, যেটা হচ্ছে সেই গ্রাম তাদের বালকদের কখনও লিঙ্গাগ্রের ত্বকচ্ছেদ করে নি। যখন আমি এই সমস্যার বিষয়ে প্রার্থনা করলাম, আমি অনুভব করলাম যে প্রভু আমাকে দায়ী করছেন যে শেষ পর্যন্ত্য এই শহরকে সেবা করার জন্য এটাই ছিল আমাদের উন্মুক্ত দ্বার।

আমরা স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসামূলক কর্মীদল সংগ্রহ করলাম এবং যথাযথ যন্ত্রপাতি এবং ঔষুধপত্র নিয়ে সম্প্রদায়ের কাছে গেলাম। আমরা জিজ্ঞাসা করলাম যদি তারা আমাদেরকে তাদের সাহায্য করতে সুযোগ দেয়। যখন শহরের নেতারা সম্মতি দিলেন আমরা আনন্দিত হলাম। প্রথম দিন তারা ৩০০জনেরও বেশী যুবকের ত্বকচ্ছেদ করালেন।

তার কয়েকদিন পরেই সেই পুরুষেরা সুস্থ হতে শুরু করল। সেটাই সুস্থতার দিনগুলির মধ্যে আমাদের ডিসকভারি বাইবেল গোষ্ঠীগোষ্ঠীগুলি শুরু করে দেওয়ার জন্য সুযোগ করে দিল। আমরা দূর্দান্ত প্রতিক্রিয়া পেলাম, এবং শীঘ্রই মণ্ডলী স্থাপন সহযোগে রাজ্যের সংখ্যাবৃদ্ধির কাজ শুরু হয়ে গেল । মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে যে স্থানে খ্রীষ্টানরা প্রবেশ করতে পারত না, তা রূপান্তরিত হল এমন এক স্থানে যেখানে ঈশ্বরের মহিমা ঊজ্জ্বলভাবে প্রদর্শিত হল। ঈশ্বরের লোকদের সমবেদনা, আরো বেশী প্রার্থনার শক্তি এবং ঈশ্বরের রূপান্তরকারী বাক্য সব কিছুকে বদলে দিল।

কৃষি সংক্রান্ত কর্মীদল

আমাদের প্রথম প্রবেশাধিকারের পরিচর্য্যা ছিল কৃষিকাজ। সেই সমস্ত জায়গায়, যেখানে কৃষিকাজ সঙ্কটপূর্ণ,  সেখানে লোকদের পরিচর্য্যা করবার ব্যাপারে কৃষিবিদ্যাই প্রধান প্রবেশপথ হয়ে উঠেছে। বেশিরভাগ কৃষিকাজই হচ্ছে জীবিকার কৃষিকাজ, মূলত পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর জন্য। পরবর্তী চাষ করবার জন্য প্রায়ই কোন বীজ সঞ্চয় করে রাখা হয় না।

এই সমস্ত পরিস্থিতিগুলি আমাদের কৃষকদের জন্য বীজ সঞ্চয় স্থান গড়ে তুলতে প্রেরণা দিল। যেমন আমাদের অন্য কর্মীদলগুলির সঙ্গে, আমরা নয় জন কৃষিবিদদের প্রশিক্ষণ দিলাম, যারা আবার মণ্ডলী স্থাপক রূপেও প্রশিক্ষিত। এই সমস্ত কৃষিবিদরা / শিষ্য নির্মাণকারীরা চাষীদের শিক্ষিত করল। তাদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ আত্মীয়তায় পর্য্যবশিত হল, যা ডি বি এস গোষ্ঠীগুলিতে, বাপ্তিষ্মে এবং পরিণামস্বরূপ মণ্ডলীতে ফলপ্রসূ হল। আজকে অনেক চাষীরা খ্রীষ্টের অনুসরণকারী হয়েছে……

শিষ্য নির্মাণেরশিষ্য নির্মাণেরপ্রতিষ্ঠা

মণ্ডলীগুলি স্থাপন

আমাদের প্রবেশাধিকারের পরিচর্য্যা কাজের প্রচেষ্টার প্রায় ৯০% একটি মণ্ডলীতে পরিণত হয়েছে। প্রায় একটি কর্মযুদ্ধের পরিণতি স্বরূপ অনেকগুলি মণ্ডলীর প্রতিষ্ঠা হয়েছে। যখন আমরা পুনর্বার সম্প্রদায়গুলির পরিদর্শন করি, অনেক ব্যক্তির, পরিবারের এবং সমাজের রূপান্তরের সাক্ষী শুনতে পাই। লোকদের জন্য সমবেদনা ঈশ্বরকে সুপরিচিত করে।

শোডানকে জনসন, সান্টা’র স্বামী এবং ৭ সন্তানের পিতা, হচ্ছেন সিয়েরা লিওন-স্থিত নিউ হারভেস্ট মিনিস্ট্রীস (এন এইচ এম)-এর নেতা। ঈশ্বরের করুণায় ও শিষ্য নির্মাণের উদ্যোগের প্রতি দায়বদ্ধতার জন্য, এন এইচ এম জাঁক জমকহীন শত শত মন্ডলীর প্রতিষ্ঠা, ৭০টিরও বেশী বিদ্যালয়ের স্থাপন, এবং অন্যান্য অনেক প্রবেশাধিকারের পরিচর্য্যা, যা সিয়েরা লিওনে বিগত ১৫ বছরে শুরু হতে দেখেছে। এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত ১৫টি মুসলমান জনগোষ্ঠীর মন্ডলী। তারা আফ্রিকার ১৪টি দেশে দীর্ঘমেয়াদী কর্মীদের পাঠিয়েছে, যার অন্তর্ভূক্ত সাহেল ও মাঘরেবের ৮টি দেশ। শোডানকে সম্পাদন করেছেন প্রশিক্ষণ, আফ্রিকা, এশিয়া, ইউরোপ এবং আমেরিকায় প্রার্থনা এবং শিষ্য নির্মাণের অনুঘটন, তিনি সিয়েরা লিওনে ইভানজেলিকাল এশোশিয়েশান-এর প্রেসিডেন্ট ও নিউ জেনারেশনস-এর আফ্রিকান ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি বর্তমানে নিউ জেনারেশনস এর বিশ্বব্যাপী প্রশিক্ষন ও প্রার্থনা সচল করবার দায়িত্বে আছেন। আফ্রিকা এবং সারা বিশ্বে ২৪:১৪ জোটের একজন প্রধান নেতা।


মিশন ফ্রন্টিয়ার্স-এর নভেম্বর-ডিসেম্বর ২০১৭ সালের প্রকাশনায়, একটি প্রবন্ধ থেকে সংকলিত, http://www.missionfrontiers.org, পৃষ্ঠা ৩২-৩৫, এবং ২৪:১৪ পুস্তকের পৃষ্ঠা ২৬-৩৩-এ সম্পাদিত – সমস্ত লোকেদের পক্ষে একটি সাক্ষ্য ২৪:১৪ থেকে বা অ্যামাজন-এ উপলব্ধ৷

Categories
আন্দোলন সম্পর্কে

সুসমাচার অপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছানোর জন্য পূর্ব-বিদ্যমান মণ্ডলীর জন্য দ্বি-রেলগাড়ীর নমুনা – ভাগ ২

সুসমাচার অপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছানোর জন্য পূর্ব-বিদ্যমান মণ্ডলীর জন্য দ্বি-রেলগাড়ীর নমুনা – ভাগ ২

– ট্রেভর লারসেন এবং একটি ফলবন্ত ভ্রাতাদের দল দ্বারা লিখিত –

এই পোস্টের ভাগ ১-এ আমরা দ্বি-রেলগাড়ী মডেলের উন্নয়ন এবং চালক প্রকল্পটি আলোচনা করেছি। এখানে ঈশ্বর কিভাবে এই পদ্ধতি প্রয়োগের মধ্যে কার্য করেছিলেন, তা দেখবো।

৩. প্রথম বর্ষঃ অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ এবং বাছাইকরণ

প্রথম বর্ষে, আমরা প্রায় ১৬টি ভিন্ন বিষয়ের প্রশিক্ষণ শুরু করি। মাসে দুটি করে পূর্ণদিন-ব্যপী প্রশিক্ষণ চলতে থাকে। আমি সম্মত হই যে প্রশিক্ষণের অর্ধেক শিরোনামগুলি ১ম রেলগাড়ীবৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এটি তাদের বুঝতে সাহায্য করে যে আমরা দৃশ্যমান মণ্ডলীও বৃদ্ধি হতে দেখতে চাই। কিন্তু আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল অবশিষ্ট অর্ধেক বিষয়গুলি, যা প্রস্তুত করা হয়েছিল ২য় রেলগাড়ীপ্রস্তুত করার জন্য। এই রেলগাড়ীর মূল লক্ষ্য ছিল মণ্ডলীর বাইরের মুসলিমদের মধ্যে পরিচর্য্যা করা এবং শান্তভাবে তাদের ক্ষুদ্র দলের মাধ্যমে শিষ্য হিসাবে প্রস্তুত করা।

প্রশিক্ষণের প্রথম বছরের মূল লক্ষ্য ছিল তাদের চরিত্র গঠন করা এবং নেতৃত্ব সম্পর্কে আটটি প্রাথমিক কৌশল শিক্ষা দেওয়া। এই কৌশলগুলির মধ্যে একটি ছিল এগ ম্যানেজমেন্ট (Egg Management)। এই নাম ছিল আমাদের রিপোর্টের যেখানে ডিম্বাকার উপবৃত্তাকারের সাহায্যে ক্ষুদ্র দলগুলিকে বৃদ্ধির হিসাব রাখা হত। আমরা ফলাফলের উপরে ভিত্তি করে সমস্তকিছু পরিচালনা করতাম, ক্রিয়াকর্মের উপরে ভিত্তি করে নয়। পরিচর্য্যা ক্ষেত্রে, আমরা এমন ধরনের কর্মী অন্বেষণ করতাম যারা বিভিন্ন ধরনের কৌশল এবং পন্থা ব্যবহার করত। তবে আমরা মূলত তাদের উৎপাদিত ফলের মূল্যায়ণ করতাম যা তারা নিজেদের কার্যকলাপ দ্বারা উৎপন্ন করেছে। সেই কারনে আমরা কর্মীদেরকে অগ্রগতির চিহ্নিতকারীগুলিকে ব্যাখ্যা করতাম। তারা যখন এই চিহ্নিতকারী বিষয়গুলির সঙ্গে সম্মত হয়, তখন আমরা নিয়মিত তাদের সাথে মূল্যায়ন করি।

"ডিম ব্যবস্থাপনা"

মুসলিমদের কাছে পৌঁছানোর জন্য এই আটটি প্রাথমিক কৌশল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রত্যেকটি মূল্যায়নের সময়, আমরা যাচাই করতে ইচ্ছুক থাকতাম যে কোন প্রশিক্ষণার্থী এই আটটি কৌশলকে ব্যবহার করেছে। যারা এই কৌশলগুলি ব্যবহার করছে, তারা এক একজন সক্রিয় প্রশিক্ষণার্থী হিসাবে উত্থাপিত হচ্ছে। যদি তারা সেগুলি ব্যবহার করছে না, তাহলে কেন করছে না? এই আটটি কৌশলের উপরে বিচার করে আমরা তাদেরকে পরিচালনা করি, উৎসাহিত করি এবং তাদের কাজের মূল্যায়ন করি।

মণ্ডলীতে ৫০জন প্রাপ্তবয়স্ক বিশ্বাসীদের মধ্যে, ২৬ জন রেলগাড়ী পদ্ধতি এবং ষোলোটি বিশেষ বিষয়ে প্রশিক্ষণ লাভ করেছিল। এর কয়েক মাস পরে, এদের মধ্যে কেবলমাত্র ১০ জন অনুভব করেছিল যে ঈশ্বর তাদেরকে মণ্ডলীর বাইরের মুসলিমদের কাছে সুসমাচার প্রচার করার এবং তাদেরকে শিষ্য বানানোর জন্য আহূত হয়েছে। এই ১০ জন (এটি মণ্ডলীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০%) নিজেদেরকে নির্বাচন করে মুসলিমদের মধ্যে কাজ করার জন্য।

আমাদের ত্রৈমাসিক মূল্যায়নের সময়ে, আমরা দেখেছিলাম যে এই ১০ জনের মধ্যে ৬ জন মণ্ডলীর ভিতরে ঈশ্বরের সেবা করাকে বেছে নেয় (১ম রেলগাড়ী)। তারা মূল লক্ষ্য হয় মণ্ডলীর পরিচর্য্যা কাজ, বিশ্বাসীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, এবং অন্যান্য মণ্ডলীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা। মাত্র ৪ জন লোক সক্রিয় থাকে সেই বিশাল সংখ্যক  সুসমাচার অপ্রাপ্ত মানুষদের মধ্যে কাজ করার জন্য। কিছু প্রশিক্ষকেরা এই পরিস্থিতি দেখে হতাশ হয়ে যেতেপারে, কিন্তু এই ৪ জন ছিল মণ্ডলীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮ শতাংশ, যা অনেক মণ্ডলীর সুসমাচার প্রচারকের সংখ্যা থেকে অনেক বেশী। এই ৪ জন ব্যক্তি, মুসলিমদের বৃহৎ জনসংখ্যার মধ্যে কাজ করার জন্য নিজেদের জীবনের একটি বিশেষ আহ্বান প্রদর্শন করেছিল।

৪. দ্বিতীয় বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষঃ উদীয়মান কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা

 

আমরা কেবলমাত্র ৪ জনকেই পরামর্শ দিতে থাকি যারা পরিচর্য্যা কাজে সক্রিয়ভাবে কাজ করছিল। এদেরকে পরামর্শ দেবার কাজ করছিল আমাদের মিশন দলের অন্তর্গত একটি ক্ষুদ্র দলের তৃতীয় প্রজন্মের বিশ্বাসীরা। এরা ছিলেন মুসলিম সম্প্রদায় থেকে আসা বিশ্বাসী এবং যারা পার্শবর্তী অঞ্চলেই বাস করতেন।

কাছাকাছি একটি অঞ্চলে মুসলিমদের মধ্যে পরিচর্য্যা কাজ শুরু করার জন্য এই ৪ জনকে প্রেরণ করা হয়। তারা প্রত্যেকেই নিজেদের জন্য একটি করে স্থান চয়ন করে, যেখানে তারা নিজেদের কাজ শুরু করবে, প্রত্যেকটি স্থান মণ্ডলী থেকে ২৫-৩০ কিলোমিটারের মধ্যে। মণ্ডলীর ২৫ টি পরিবার এই ৪টি পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে শুরু করে যারা মুসলিমদের মধ্যে কাজ করার জন্য নিজেদের সমর্পণ করেছিল। নিজেদের দান ছাড়াও, মণ্ডলীর লোকেরা মণ্ডলীর বাইরে থেকেও অর্থ সংগ্রহ করতে থাকে, এই পরিবারগুলিকে সাহায্য করার জন্য। তারা প্রাক্তন বিশ্বাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, যাদের আর্থিক আয় যথেষ্ট আছে এবং কোন কারণে অন্য শহরে বসবাস করতে শুরু করেছে। আমরা মূল লক্ষ্য ছিল এই চারজনকেই প্রশিক্ষণ দেওয়া। এই পরিচর্য্যার কাজের মূল বিষয় প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নয়, কারণ অধিকাংশ লোকেরাই প্রশিক্ষণে প্রাপ্ত শিক্ষা ব্যবহার করার আগেই ভুলে যান। প্রাথমিক প্রশিক্ষণটি একটি ফিল্টার হিসাবে কাজ করে সেই সমস্ত লোকদের বাছাই করার জন্য যারা মুসলিমদের মধ্যে সক্রিয়ভাবে কাজ করার জন্য আহ্বান-প্রাপ্ত। প্রশিক্ষণে উত্তম ফল লাভের চাবিকাঠি হল পরামর্শদাতা এবং সক্রিয় কর্মীদের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা। কর্মীরা পরিচর্য্যা ক্ষেত্রে কি কি বিষয়ের সম্মুখীন হচ্ছে তা সেগুলি নিয়ে আলোচনা করা পরামর্শদাতার কাজ। তারা সেই সমস্ত “ফলপ্রসূ অভ্যাসগুলি”ও আলোচনা করেন যেগুলি প্রশিক্ষণের সময়ে শেখানো হয়েছিল, এবং এটি কর্মীদের সাহায্য করত যে তারা সেই বিষয়গুলি নিজেদের পরিচর্য্যা ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে। প্রশিক্ষণগুলি আরো ভালোভাবে ব্যবহার করার জন্য অনেকের নিয়মিত সহায়তার প্রয়োজন হয়।

এই চারজন ব্যক্তির অঙ্গীকারের দ্বারা উৎসাহিত হয়ে, মণ্ডলী এই “দ্বি-রেলগাড়ী” প্রকল্পের জন্য নিজেদের অঙ্গীকার বৃদ্ধি করে। পরে তারা সম্মত হয় যে এই চারজনকে সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের জন্যে ও অর্থ সংগ্রহ করা হবে। সামাজিক উন্নয়নের কাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম যার দ্বারা সেই সমস্ত মুসলিমদের সাহায্য করা যায়, যাদের আর্থিক উপার্জন অত্যন্ত সামান্য। এর ফলে সুসমাচার প্রচারকের কাছে ক্ষুদ্র দল শুরু করার জন্য একটি দরজা খুলে যায়। মণ্ডলী এবং চারজন সক্রিয় কর্মীর সাথে সুরক্ষা সম্পর্কিত সমস্যাগুলি নিয়ে আমরা অনেক সময় ব্যয় করতে থাকি। এটি সকলকে আরো বিচক্ষণ হতে সাহায্য করেছিল।

৫. চার বছরের পর্যাপ্ত ফল

 

এখন, চার বছরের পর, এই ৪ জন বিশ্বাসীর পরিচর্য্যা কাজের ফলে প্রায় ৫০০ জন্য নতুন বিশ্বাসীদের তৈরি করা সম্ভব হয়। এখন লুক্কায়িত ২য় রেলগাড়ীমণ্ডলীর (ক্ষুদ্র দলগুলিতে) আয়তন দৃশ্যমান ১ম রেলগাড়ীমণ্ডলীর (একটি গীর্জাঘরে) ৫০ জন প্রাপ্ত বয়স্ক বিশ্বাসী থেকে অনেক অধিক ছিল।

তারা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিষ্য-প্রস্তুতকারী দল শুরু করেছিল যেখানে মুসলিম লোকেরা খ্রীষ্টকে গ্রহণ করতে শুরু করেছিল। পরবর্তীকালে এই ক্ষুদ্র দলগুলির লোকেরা নতুন দল শুরু করে এবং নতুন মুসলিমদের খ্রীষ্টের পথে পরিচালনা করতে থাকে। পালক এই আনন্দময় ফলাফলের সংবাদটি খুব শান্তভাবে নিজের কাছে গুপ্ত রেখেছিল।

৬. প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখী হওয়া এবং দর্শন পুনঃনিশ্চিত করা

 

এই ৪ জন কর্মী এখন ৪টি অঞ্চলের বেশিরভাগ ফলের অধ্যক্ষ হয়েছিলেন। আমি সম্প্রতি সেই চারজন ব্যক্তি এবং পালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। আই এস আই এস দ্বারা অনুপ্রাণিত ক্রমবর্ধমান মৌলবাদীদের সাথে যদি এই বিষয়ে কোন দ্বন্দ্ব হয়, তাহলে সেই জরুরী অবস্থায় আমরা কি করতে পারি, সে নিয়ে আমরা আলোচনা করেছিলাম। আমরা একমত হই যে ক্ষুদ্র দলের সমস্ত বিশ্বাসীরা অন্য কোন দলের সাথে নিজেদের সংযোগ উল্লেখ না করেই সমস্যাগুলির সমাধান করার চেষ্টা করবে। তবে যদি সমস্যাটি খুব কঠিন হয় এবং অন্য কাউকে বলিদান করতেই হয়, তবে পালক নিজেদের দৃশ্যমান মণ্ডলীর সাথে যোগাযোগের বিষয়ে উল্লেখ করে বলিদানকরতেও প্রস্তুত ছিলেন। সেই দেশের মধ্যে এটি একটি অনন্য বলিদান ছিল যেখানে মণ্ডলীগুলি সমস্যা এড়িয়ে চলার জন্য মুসলিমদের মধ্যে কাজ করার কোন প্রয়াস গ্রহণ করেনি। দৃশ্যমান মণ্ডলীর বলিদান দেবার অঙ্গীকার করার ফলে, সমস্ত ঝুঁকি চলে আসবে মণ্ডলীর উপরে এবং এটি২য় রেলগাড়ীমণ্ডলীর বিশ্বাসীদের উপরে কোনরকম প্রভাব ফেলবে না। একটি নিবন্ধিত মণ্ডলী স্থানীয় আইনের সুরক্ষা লাভ করতে পারে, কিন্তু লুক্কায়িত মণ্ডলীগুলি তা  নাও পেতে পারে।

সেই কারণে যতটা সম্ভব, ক্ষুদ্র দলগুলি স্বনির্ভর দলহয়ে নিজেদের সমস্যাগুলির সমাধান করার প্রচেষ্টা করবে, এবং অন্য কোন বিশ্বাসীকে বিপদের মধ্যে নিয়ে আসবে না। তৃণমূল স্তরের বিশ্বাসীদের এই বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করতে সেই চারজন কর্মী যে কি পদ্ধতিতে এই সমস্ত বিপদগুলির মোকাবিলা করা যায়। তারা কখনই (১ম রেলগাড়ী) মণ্ডলীর সদস্য হিসাবে চিহ্নিত হবে না। এর ফলে তারা বিপদের বাইরে থাকবে। প্রবীন পালকদের পরিবর্তে যে সমস্ত নবীন পালকেরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন, তারা এই ঝুঁকি বহন করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন, যেন লুক্কায়িত মণ্ডলীগুলিকে সুরক্ষা প্রদান করা যায়।

দ্বি-রেলগাড়ীপদ্ধতির প্রশিক্ষণ প্রদান করার সময়ে আমরা প্রত্যেকটি বিষয়ে মণ্ডলীগুলির প্রতি সৎ ছিলাম। শুধুমাত্র সুবিধাগুলি নয়, মুসলিমদের মধ্যে ঈশ্বরের কাজ করার ঝুঁকিও তাদের অবগত থাকার প্রয়োজন ছিল। যে সমস্ত মণ্ডলীকে আমরা প্রশিক্ষণ প্রদান করি, তাদেরকে এই বিষয়ে সম্মত হতেই হবে যে তারা কখনও নিজেদের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনবে না। এটি কখনই মণ্ডলীর বিশ্বাসী অথবা অন্যান্য খ্রীষ্টীয়ানদের সমক্ষে আনা যাবে না। এর কারণে, এই বিষয়ে আমরা অত্যন্ত যত্নবান ছিলাম যে কোন মণ্ডলীকে এবং কোন বিশ্বাসীদের আমরা প্রশিক্ষণ প্রদান করব।

 

এই দ্বি-রেলগাড়ীপদ্ধতিতে আমাদের সুরক্ষা প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে, কিন্তু কিন্তু আমাদের জন্য প্রধান প্রতিকূলতা ছিল কিছু মণ্ডলীর নেতাদের আক্রমণ। তারা আমাদের ব্যঙ্গ করে, এটি ভেবে যে আমরা সেই সমস্ত মেষদের যত্ন নিতে সক্ষম হব না যদি না নতুন বিশ্বাসীরা মণ্ডলী-গৃহে উপস্থিত হয়। তবে আমরা প্রত্যেকটি ক্ষুদ্র দলের মেষদের যত্ন নেবার জন্য বহু বয়স্কদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম যে ক্ষুদ্র দলগুলি এমন একটি পরিবেশে বেড়ে উঠবে যেখানে তারা পরস্পর পরস্পরের যত্ন নিতে সক্ষ হবে, সেকারণে তারা একে অপরের যত্ন নিতে শুরু করে। কিছু মণ্ডলীর নেতারা এই বিষয়েও ব্যঙ্গ করে কারণ আমরা আমাদের ফলগুলি সম্পর্কে কোন তথ্য পুলিশকে প্রদান করি নি, কারণ এটি আমাদের মণ্ডলীকে আনুষ্ঠানিক হিসাবে প্রকাশ করবে। কারণ আমরা কখনই একটি আনুষ্ঠানিক মণ্ডলী হিসাবে আত্ম-প্রকাশ করতে চাইনি। কিন্তু আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল বিশ্বাসীদের দেহকে এমনভাবে বৃদ্ধি করা যেন এটি নতুন নিয়মের মণ্ডলীগুলির ন্যায় কার্যকরী হয়। নতুন নিয়মের মণ্ডলীগুলির কোন আনুষ্ঠানিক পরিচয় ছিল না, কিন্তু এটি বাইবেল-ভিত্তিক ভাবে এবং সংগঠিত উপায়ে বৃদ্ধি লাভ করেছিল। এটিই আমাদের দর্শন।

দ্বি-রেলগাড়ী মণ্ডলীতে তিনটি মূল বিষয় বর্তমান থাকেঃ

১) প্রশিক্ষণকে একটি বাছাইকরণ পদ্ধতি হিসাবে ব্যবহার করা যেন সু-নির্বাচিত একটি কার্যকারী দল প্রস্তত করা যায়;

২) সেই দলকে উন্নত করার জন্য সময়ের পূর্বেই প্রয়োজনীয় শর্তাবলী সম্পর্কে মণ্ডলীর সঙ্গে আলোচনা করা, যেন মণ্ডলী নতুন পরিচর্য্যা কাজের পদ্ধতি ব্যবহারের সময়ে কোনরূপ হস্তক্ষেপ না করে;

৩) যারা মুসলিমদের মধ্যে প্রবেশ করে পরিচর্য্যা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে অনবরত পরামর্শ প্রদান করা।

ট্রেভর লারসেন একজন শিক্ষক, কোচ, এবং গবেষক। তিনি ঈশ্বরের মনোনীত এবং প্রেরিত প্রতিনিধিদের খুঁজে বের করতে এবং ভ্রাতৃ-নেতৃত্ববর্গের দলগুলিকে ফলপ্রসূ অভ্যাস স্থাপনের মাধ্যমে তাদের কার্য্যের ফলকে সর্বাধিক করে তুলতে সহায়তা করে আনন্দ পান। তিনি এশিয়ান এপোস্টোলিক এজেন্সির সাথে ২০ বছর ধরে অংশীদার হিসাবে কাজ করেছেন এবং যার ফলে অগম্য মানুষদের মধ্যে বিভিন্ন আন্দোলন শুরু হয়েছে।

 

ফোকাস অন ফ্রুট! মুভমেন্ট কেস স্টাডিস অ্যান্ড ফ্রুটফুল প্র্যাকটিসেস পুস্তক থেকে উদ্ধৃত এবং সংক্ষিপ্ত করে এখানে লেখা হয়েছে। এই লিঙ্ক থেকে ক্রয় করতে পারেনঃ www.focusonfruit.org.




Categories
আন্দোলন সম্পর্কে

প্রার্থনার উপর দুটি মহত্বপূর্ণ পাঠ

প্রার্থনার উপর দুটি মহত্বপূর্ণ পাঠ

– অত্যন্ত প্রস্তাবিতপুস্তকের অনুমতির সাথে উদ্ধৃত 

রাজ্যের অবমুক্তিঃ কিভাবে প্রভূ যীশুর ১ম-শতকের রাজ্যের মূল্যবোধ হাজার হাজার সংস্কৃতির রূপান্তর করছে এবং জেরি ট্রসডেল ও গ্লেন সনশাইন দ্বারা তাঁর মণ্ডলীকে জাগ্রত করছে৷

(উদ্দীপ্ত অবস্থানগুলি ৭০১-৭৬১, অধ্যায় ৩ থেকে “পরাক্রমী ঈশ্বরের কাছে ছোট প্রার্থনাগুলির প্রার্থনা করা”)

গ্লোবল সাউথের আমাদের সহবিশ্বাসীদের থেকে আমরা দুটি পাঠ শিখেছিলাম৷ প্রথমত, গ্লোবল নর্থের মণ্ডলী যথেষ্ট প্রার্থনা করে না৷ দ্বিতীয়ত, আমরা যখন প্রার্থনা করি, আমাদের প্রাথমিকতাগুলি ঈশ্বরের প্রাথমিকতাগুলির সমান হয় না৷ আসুন এই অধ্যায়ের সেই দুটি পাঠগুলিকে বিবেচনা করা যাক৷ প্রভূ যীশুর জীবন এবং পরিচর্য্যার কেন্দ্রবিদু ছিল প্রার্থনা৷ একজন রব্বী হিসেবে, প্রভূ যীশু মানসম্মত বিদ্যাগত প্রার্থনা ব্যবহার করে কমপক্ষে দিনে তিনবার প্রার্থনা করতেন৷ কিন্তু সুসমাচারগুলি প্রায়শই তাঁর সম্বন্ধে প্রার্থনার জন্য প্রান্তরে ফিরে যাওয়ার কথাও বলে, কখনো সারা রাত প্রার্থনায় ব্যয় করতেন, যেমন যখন তাঁকে তাঁর পরিচর্য্যার জন্য নির্দেশের বিষয়ে নির্ণয় নেওয়ার প্রয়োজন হতো (উদাঃ, মার্ক ১:৩৫-৩৯) অথবা বারো জনকে নিযুক্ত করার আগে৷ এটি তাৎক্ষণিক পর্যবেক্ষনকে উত্থাপণ করে যে, যদি প্রভূ যীশুকে প্রার্থনার ব্যয়িত সময় বিস্তারিত করার প্রয়োজন ছিল—যিনি পিতার সাথে পূর্ণ এবং নিরর্থক আলাপচারিতায় ছিলেন—তাহলে যদি আমরা আত্মার নির্দেশনা এবং শক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের আরও কতবেশী এমনটি করা প্রয়োজন?

অমিদাহ

প্রভূ যীশুর সময়ে পর্যবেক্ষক যিহুদীরা প্রতিদিন তিনবার অমিদাহ (আঠার আশীর্বচন নামেও পরিচিত) প্রার্থনা করতেন৷ তারা এটিকে এক পবিত্র বাধ্যবাধকতারূপে বুঝেছিল, এবং তা করতে বিফল হওয়া ছিল একটি পাপ৷ যাই হোক, এই প্রার্থনা খানিকটা অধিক সময় নিয়েছিল৷ রাব্বিস এবং অন্যান্য “পেশাগতরা” তাদের নিয়মিত আবৃত্তি করার জন্য গণনা করে থাকতে পারেন, কিন্তু একটি চাকরি এবং পরিবারের গড়পড়তা ব্যক্তির পক্ষে দিনে তিনবার সম্পূর্ণ অমিদাহ প্রার্থনা করা বোঝা হতে পারে৷ এইভাবে বিদ্যার্থীরা রাব্বিসদের প্রার্থনার আরও সংক্ষিপ্ত সংস্করণ চেয়েছিল যা তাদের ধর্মীয় বাধ্যবাধকতাগুলি পালন করার জন্য বলা আরো স্বাভাবিক হবে৷

এই প্রসঙ্গ লুক ১১ অধ্যায়ে যা ঘটেছিল তা বুঝতে সাহায্য করে যখন প্রভূ যীশুর শিষ্যরা তাঁর কাছে এসেছিল এবং তাঁকে তাদেরকে প্রার্থনা শেখাতে বলেছিল, যেইভাবে যোহন বাপ্তাইজক তার শিষ্যদের প্রার্থনা করতে শিখিয়েছিলঃ শিষ্যরা অমিদাহ’র অন্তঃসার সন্ধান করতে চেয়েছিল যাতে তারা প্রতিদিন তিনবার করে আবৃত্তি করতে  পারে৷ প্রভূ যীশুর উত্তরটি ছিল তাদের প্রভূর প্রার্থনা দেওয়া, যা লক্ষনীয়ভাবে অমিদাহ’র কিছু সংক্ষিপ্ত সংস্করণগুলির সামঞ্জস্যপূর্ণ যা একই সময়ে বেঁচে থাকে৷

প্রভূ যীশুর জন্য, তখন, প্রভূর প্রার্থনাটি, প্রার্থনা কেমন হওয়া উচিৎ তার পাতিত সারাংশ ছিল৷ তিনি এটিকে আবৃত্তি করার জন্য অভিপ্রেত ছিলেন, কিন্তু এটি প্রার্থনার প্রতি তাঁর প্রাথমিকতাকে প্রতিফলিত করে, সবসময় আমাদের কিভাবে প্রার্থনা করা উচিৎ তার একটি নমুণা তৈরী করছিলেন৷ এছাড়াও এটি তাঁর সম্পূর্ণ পরিচর্য্যা এবং বার্তার সংক্ষিপ্তসার৷

বহু খ্রীষ্টানরা প্রায়শই প্রভূর প্রার্থনার শব্দগুলি পুনরাবৃত্তি করে এবং তা সত্ত্বেও, যখন আমরা নিজেদের কথায় প্রার্থনা করি, আমরা সাধারণতঃ প্রার্থনার মূল বিষয়গুলিকে কোথাও হারিয়ে ফেলি৷ এটি লক্ষনীয় এবং বিলাপযোগ্য উভয়ই— তবুও প্রভূ যীশু যা বলেছিলেন, তার প্রতি একটি নিবিড় দৃষ্টিপাত আমাদের তিনি কোন বিষয়ে মনোনিবেশ করেছিলেন তা দেখতে সাহায্য করবে৷ আসুন আমরা প্রভূ যীশুর প্রার্থনা বিষয়ক তিনটি মুখ্য প্রাথমিকতাগুলিকে আবিষ্কার করার জন্য প্রভূর প্রার্থনাকে আরো কাছ থেকে দেখিঃ

  • যেন আমাদের চারপাশের বিশ্বে পিতার নামের গৌরব হয়
  • যেন তাঁর রাজত্ব শক্তির সাথে প্রতিষ্ঠিত হয়
  • যেন পৃথিবীস্থ লোকেরা—এবং বিশেষত তাঁর অনুসারীগণ—বাক্য এবং পিতার ইচ্ছা পালন করবে

হে আমাদের স্বর্গস্থ পিতা! তোমরা নাম পবিত্র বলে মান্য হোক

প্রভূ যীশুর প্রথম প্রাথমিকতা ছিল ঈশ্বরের গৌরবএই আবেদনে তাঁর অভিপ্রায়টি কিছুটাঃ স্বর্গীয় ঈশ্বরের পবিত্রতা এবং গৌরব আমার অবস্থিত স্থানে যেন প্রকট হয়!

তোমরা রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হোক

প্রভূ যীশু দ্বিতীয় যেই বিষয়ের জন্য আমাদের প্রার্থনা করতে বলেছিলেন তা হলো ঈশ্বরের রাজ্য পৃথিবীতে অগ্রসর হবে৷ আমার অবস্থিত স্থানে যেন ঈশ্বরের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়!

তোমরা ইচ্ছা স্বর্গে যেমন এই পৃথিবীতেও তেমনি পালিত হোক

এটি সম্ভবত “স্বর্গে যেমন” বাক্যাংশটি আসলে ব্যবহৃত হয়েছে, কেবলমাত্র “তোমার ইচ্ছা পালিত হোক” এর জন্য নয়, বরং পূরবর্তী তিনটি আবেদনের জন্যও প্রযোজ্যঃ “তোমার নাম পবিত্র বলে মান্য হোক, স্বর্গে যেমন পৃথিবীতেও তেমনি পবিত্র বলে মান্য হোক৷ তোমরা রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হোক স্বর্গে যেমন পৃথিবীতেও তেমনি৷ এবং ঈশ্বরের সিদ্ধ ইচ্ছা যেমন স্বর্গে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সম্পূর্ণভাবে আমার মধ্যেও তেমনি প্রতিষ্ঠিত হোক—এবং বিশ্বের সমস্ত লোকেদের মধ্যে!” আপনি কি প্রথম তিনটি আবেদনের মধ্যে কোন সামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয় দেখেছেন? কৃতজ্ঞ হৃদয় প্রকাশের মধ্য দিয়ে তাদের একটি অনুরোধ যেঃ

  • আমার অবস্থিত স্থানের লোকেদের প্রতি যেন ঈশ্বরের গৌরব প্রকাশিত হতে পারে
  • আমার অবস্থিত স্থানে ঈশ্বরের রাজত্ব এবং কর্তৃত্ব যেন অগ্রসর হতে পারে
  • আমার অবস্থিত স্থানে সিদ্ধ আনুগত্যে ঈশ্বরের ইচ্ছা যেন  প্রতিষ্ঠিত হতে পারে

পরবর্তী আবেদনগুলিতে যাওয়ার আগে, এটি জিজ্ঞাস যোগ্য যে আমাদের মুখ্য তিনটি প্রার্থনার প্রাথমিকতাগুলি প্রভূ যীশুর সাথে কতটা ঘনিষ্টভাবে জড়িত৷ সেগুলি কি ঈশ্বরের গৌরব, ঈশ্বরের রাজত্ব, এবং ঈশ্বরের ইচ্ছা, নাকি সেগুলি ঈশ্বরের চেয়ে আমাদের বিষয়েই অতিরিক্ত?

আমাদের দৈনিক আহার আজ আমাদের দাও৷

ঈশ্বরের রাজ্যের সংস্থানগুলি যেন দিনে দিনে আমাদের চাহিদাগুলি বহন করে৷

আমরা যেমন অপরের অপরাধ ক্ষমা করি, তেমনি তুমিও আমাদের সকল অপরাধ ক্ষমা কর

প্রভূ যেন আমার, একজন পাপীর প্রতি দয়াময় থাকেন, এবং আমিও যেন উদারতার সাথে অপরের জন্য সেই একই ক্ষমাপ্রেরণা দিতে পারি৷

আমাদের প্রলোভনে পড়তে দিও না,

ঈশ্বরের আত্মা যেন আমার হৃদয়, আমার পা, আমার চোখ, এবং আমার কানকে প্রলোভনের স্থানগুলি থেকে বাঁচিয়ে রাখে৷

কিন্তু অশুভ শক্তির প্রভাব থেকে রক্ষা কর।

পবিত্র আত্মা যেন আমাকে শয়তানের প্রলোভনগুলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে, এবং লোকেদের অন্ধকারের রাজ্য থেকে ঈশ্বরে মুক্তি দেওয়ার জন্য কার্যকারী হতে ক্ষমতায়ণ করেন৷ আমার অবস্থিত স্থানে অশুভ শক্তি যেন বিমুক্ত হয়৷ 

কারণ রাজ্য এবং পরাক্রম এবং গৌরব সদা তোমারই৷ আমেন৷

এই অংশটি অবশ্যই প্রভূ যীশুর মূল প্রার্থনার অংশ নয়, কিন্তু এটি প্রার্থনার আত্মার সাথে মিল রাখে৷ এটি এই প্রার্থনার সম্পূর্ণ কারণকে সরবরাহ করে, এবং অবশ্যই সমস্ত প্রার্থনাগুলিকে৷ প্রার্থনা ঈশ্বরকে গৌরব দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়ে থাকে৷ আধুনিক বাংলাতে, এই সমাপ্তি বাক্যটির অর্থ খানিকটা এমন হতে পারেঃ “আমরা এই বিষয়গুলি চাইছি কারণ যখন আপনি এই প্রার্থনাগুলির উত্তর দেন তখন আপনার রাজ্য নির্মাণ হয়, এবং এটি আপনার শক্তি—এবং কেবল আপনারই শক্তি—যা এই বিষয়গুলিকে সম্পাদন করবে, এবং আমাদের প্রার্থনার প্রতি আপনার উত্তর সদাকালের জন্য আপনার গৌরব বয়ে আনবে৷”

অবশ্যই প্রভূ যীশুর কাছে প্রার্থনার বিষয়ে বলার জন্য অনেক কিছু ছিল৷ প্রকৃতপক্ষে, ঈশ্বরের রাজ্য ছাড়া তিনি অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে প্রার্থনা সম্পর্কে অধিক শিক্ষা দিয়েছিলেন৷ আমরা এও জানি যে তিনি এবং প্রারম্ভিক মণ্ডলী উভয়ই গীত সংহিতাগুলি প্রার্থনা করেছিলেন, এবং আমরা বহু শতক ধরে যেই মহান লিপিবদ্ধ প্রার্থনাগুলির সন্ধান পেয়েছিলাম সেগুলি সল্টার শব্দগুলির দ্বারা সম্পৃক্ত৷ আমরা বাক্যের মধ্যে অন্যত্র গভীর এবং শক্তিশালী লিপিবদ্ধ প্রার্থনাগুলির সন্ধান পাই, যেমন পৌলের পত্রগুলিতে, কিন্তু সমস্ত ক্ষেত্রেই সেগুলি প্রভূর প্রার্থনার আবেদন এবং প্রাথমিকতাগুলিকেই প্রতিফলিত করে৷

Categories
আন্দোলন সম্পর্কে

শিক্ষানবিশদের বিকাশ – স্থানান্তরযোগ্যতা এবং প্রজনন

শিক্ষানবিশদের বিকাশ – স্থানান্তরযোগ্যতা এবং প্রজনন

– লিখেছেন এলা টাসি – (ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রিস্টসটু ফিনিশ দ্য জব-এর একটি ভিডিও থেকে সম্পাদিত) –

আমি লাইভওয়ে মিশনের প্রধান, নাইরোবিতে অবস্থিত। কেনিয়া। আমি নতুন প্রজন্মের জন্য পূর্ব আফ্রিকান অঞ্চলের পরিচালকও। আমি শিক্ষানবিশ বিকাশের গুরুত্ব ভাগ করে নিতে চাই। ছাত্র তৈরি করার সময়, আপনার কাছে এমন সামগ্রী থাকা দরকার যা সেই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে। অনেক গির্জা এবং মিশনারি সংগঠন যীশুর আদেশ মেনে চলার চেষ্টা করেছে যাতে তারা “গিয়ে শিষ্য দের তৈরি করে।” কিন্তু এই মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে কিছু ছাত্র তৈরি করতে অকার্যকর কারণ তাদের কাছে যীশুর শিষ্যদের মধ্যে অন্যদের তৈরি করার জন্য সঠিক উপকরণের অভাব রয়েছে। আমি চাই যে আমরা একসাথে ছাত্র উপকরণ বিকাশের প্রক্রিয়াটি অন্বেষণ করি যা আমাদের অন্যদের যীশুর শিষ্যে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করতে পারে।

আমি শিক্ষানবিশদের বিকাশের তিনটি পর্যায় দেখতে পাচ্ছি। প্রথম পর্যায়টি হল প্রস্তুতি। এই মুহুর্তে, এটি আমাদের জানা দরকার এমন জিনিসগুলি নিয়ে কাজ করে। সামনে আমরা শিক্ষানবিশ বিকাশ শুরু করি। দ্বিতীয় পর্যায়টি হ’ল নতুন শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণকারী সেশন এবং বিষয়গুলিতে আমাদের উপকরণগুলি সংগঠিত করা। তৃতীয় পর্যায়ে বিষয়বস্তু বিকাশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আমরা শিক্ষানবিশদের বিকাশের নীতিগুলি বিবেচনা করব, সেটআপের উপর ফোকাস সহ।

সেটিংটিতে যে কেউ শিক্ষানবিশ প্রস্তুত করতে চায় তার প্রয়োজনীয় চারটি ক্রিয়াকলাপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রথমটি হল প্রার্থনা। ছাত্রনতুন ছাত্রদের জন্য উপযুক্ত উপকরণ উন্নয়নে ঈশ্বরের নেতৃত্বের জন্য প্রার্থনা করতে হবে। আমাদের ঈশ্বরের মন জানা দরকার, তার আত্মাকে চালিত করছে। আত্মা আমাদের সর্বোত্তম বিষয়বস্তুর দিকে নিয়ে যাবে – সেরা খাবার যা আমরা একটি নবজাতক শিশুকে দিতে পারি। কারণ নতুন শিক্ষার্থীর নতুন জিনিস শেখা দরকার। যদি আমরা কার্যকরভাবে প্রার্থনা করতে না পারি, আমরা ঈশ্বরের মন এবং এই অঞ্চলে পবিত্র আত্মার নেতৃত্ব জানতে পারব না। তাই প্রথম পদক্ষেপ হল ঈশ্বরের সঙ্গে প্রার্থনায় লিপ্ত হওয়া।

দ্বিতীয়ত আপনার শ্রোতা বা লক্ষ্য ব্যক্তিদের গ্রুপ জানতে পান। যে সমস্ত লোক প্রবেশ করা হয়নি তাদের গোষ্ঠীগুলিতে অ্যাক্সেস করা, আমরা কেবল তাদের শক্ত খাবারের বাটি খাওয়াতে পারি না যখন তারা যীশুর উপর বিশ্বাস বাঁচাতে নতুন আসে। আমাদের জানতে হবে যে তারা তাদের আধ্যাত্মিক যাত্রায় কোথায় আছে। তারা কি জানে? তারা কি জানে না? তাদের শিক্ষার স্তর কত? তাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কি? তারা কোন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়? তারা কি ইসলামিক বা হিন্দু পটভূমির? তাদের বয়স কত? শিক্ষানবিশ বিকাশের বিষয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করার আগে আমাদের এই সমস্ত জিনিসগুলি জানা দরকার। এই কারণেই যে কোনও ছাত্র-নির্মাতা যিনি শিক্ষানবিশ বিকাশ করতে চান তাদের শ্রোতাদের বোঝা দরকার। আমি দেখেছি অনেক লোক এক জায়গা বা একটি গ্রুপ থেকে উপকরণ নিয়ে যায় এবং মনে করে যে তারা একইভাবে সরাসরি একটি ভিন্ন গ্রুপে আবেদন করতে পারে। এটি কার্যকরভাবে কাজ করবে না। উদাহরণস্বরূপ আমাদের মৌখিক শিক্ষিত মানুষ এবং অন্যরা আছে যাদের দুর্দান্ত শিক্ষা রয়েছে। আপনি যদি সত্যিই আপনার শ্রোতাদের বুঝতে না পারেন, কার্যকর ছাত্র উপকরণ বিকাশ করা খুব কঠিন হবে। এই কারণেই প্রস্তুতির দ্বিতীয় পদক্ষেপটি এত গুরুত্বপূর্ণ: আমরা যে শ্রোতাদের সাথে যোগ দিচ্ছি তা জানুন, ব্যক্তি হিসাবে এবং একটি দল হিসাবে। আমাদের তাদের ভালভাবে জানা দরকার।

তৃতীয় ক্রিয়াকলাপটি হ’ল শিক্ষানবিশ উপকরণ বিকাশকারী একটি দলের বিকাশ। এই দলটি অবশ্যই লক্ষ্য গোষ্ঠী বা লক্ষ্য সম্প্রদায়ের মধ্যে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত: আপনি যে ধরণের লোকদের ছাত্র হতে চান। এই দলটি ধারণা বিনিময় করতে পারে, একসাথে চিন্তা করতে পারে এবং একসাথে প্রার্থনা করতে পারে। তারা ফোকাস গ্রুপের বিশদ সম্পর্কে জানতে পারে। দলটি এই প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ একা বসে থাকা একজন ব্যক্তি এই ফোকাস গ্রুপের লোকদের শিক্ষানবিশে আপনাকে যে সমস্ত সমস্যা গুলি সমাধান করতে হবে তা নিয়ে আসতে পারে না।

আমি সারা বিশ্বের মানুষকে অনলাইনে এমন উপাদান ডাউনলোড করতে দেখেছি যা কখনও কখনও একদল লোকের সমস্যাগুলি সমাধান করে না বা এমনকি খাপ খায় না। কখনও কখনও আমরা অন্যান্য উপজাতি বা অন্যান্য গোষ্ঠীর লোকদের কাছ থেকে ধারণা ধার করতে পারি, কিন্তু তার মানে এই নয় যে, সেই গোত্রের বিষয়গুলি এই উপজাতির মতো। এই কারণেই এটি এত গুরুত্বপূর্ণ যে এই দলের নির্দিষ্ট লোকদের এই দলটি সম্পর্কে জ্ঞান এবং বোঝাপড়া রয়েছে।

চতুর্থ ক্রিয়াকলাপটি বিশ্লেষণ। এই দলটি সমস্যাগুলি দেখতে এবং এই দলের লোকদের জন্য শিক্ষানবিশ প্রক্রিয়ায় তাদের যে সমস্যাগুলি সমাধান করতে হবে তা বিশ্লেষণ করা শুরু করতে মিলিত হয়। দলটি তথ্য সংগ্রহ করবে এবং ফোকাস গ্রুপের মুখোমুখি সমস্ত সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জবিবেচনা করবে। শাস্ত্রের যে জগৎসম্বন্ধে বলা দরকার, সেগুলোকে তারা কোন্ বিষয়গুলো দেখে? তাদের কোন বিশ্বাস রয়েছে যে শিক্ষানবিশের কাজ করা দরকার?

এইভাবে আপনি শিক্ষানবিশ বিষয়গুলিতে আপনার বিষয় এবং সেশনগুলি বেছে নিতে পারেন। আপনি যদি মানুষের গোষ্ঠী বিশ্বাস এবং অনুশীলন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করতে সক্ষম না হন, আপনি এমন কিছু নিয়ে আসবেন যা আপনি মনে করেন তাদের পক্ষে উপযুক্ত, কিন্তু এটা তাদের পক্ষে উপযুক্ত নাও হতে পারে। আজ ব্যবহৃত শিক্ষানবিশ উপকরণগুলির অনেকগুলি জনপ্রিয় গোষ্ঠীগুলির আধ্যাত্মিক বা বস্তুগত চাহিদা পূরণ করে না। এই কারণেই আমাদের এমন একদল লোক দরকার যারা প্রতিটি উপজাতি বা মানুষের দলের জন্য যে বিষয়গুলি সম্বোধন করা দরকার তা বিশ্লেষণ এবং বিকাশ করতে পারে। শিক্ষানবিশ বিষয়গুলির বিকাশের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার এই প্রথম পদক্ষেপে এই ক্রিয়াকলাপগুলি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার এতে তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই। যত বেশি সময় লাগবে, আপনি যত বেশি এই দলের মানুষের চাহিদা বুঝতে পারবেন। এর ফলে যীশুর শিষ্যদের কে তাদের নিজস্ব প্রেক্ষাপটে নিয়ে আসার জন্য কার্যকর উপকরণের বিকাশ সম্ভব হবে।

Categories
আন্দোলন সম্পর্কে

শিষ্যত্বের উপকরণের উন্নয়ন – স্থানান্তরযোগ্যতা এবং পুনরুৎপাদনযোগ্যতা

শিষ্যত্বের উপকরণের উন্নয়ন – স্থানান্তরযোগ্যতা এবং পুনরুৎপাদনযোগ্যতা

– আইলা তাসে দ্বারা লিখিত – (সম্পুর্ণকৃত কার্যের জন্য পালকদের বিশ্বব্যাপী সমাবেশ –এর একটি ভিডিও থেকে গৃহীত) – 

আমি নাইরোবি ভিত্তিক, লাইফওয়ে মিশনের সভাপতি৷ কেনিয়া৷ আমি পূর্ব আফ্রিকাণ অঞ্চলের নতুন প্রজন্মের পরিচালক হিসাবেও কাজ করি৷ আমি শিষ্যত্বের উপকরণগুলির উন্নয়নের গুরুত্বপুর্ণতা সম্পর্কে শেয়ার করতে চাই৷ যখন আপনি শিষ্য নির্মাণ করেন, তখন আপনার কাছে এমন সামগ্রী থাকতে হবে যা আপনাকে সেই প্রক্রিকাটিকে সম্পূর্ণ করতে সাহায্য করবে৷ বহু মণ্ডলী এবং মিশন প্রতিষ্ঠানগুলি প্রভূ যীশুর “যাও শিষ্য নির্মাণ করো” আদেশকে পালন করার চেষ্টা করেছে৷ কিন্তু এই সমস্ত কিছু মণ্ডলীগুলি শিষ্যনির্মাণে অকার্যকর কারণ তাদের কাছে অন্যদেরকে প্রভূ যীশুর শিষ্য করার জন্য উপযুক্ত উপকরণগুলির অভাব রয়েছে৷ আমি শিষ্যত্বের উপকরণের উন্নয়নের প্রক্রিয়াকে একসাথে অন্বেষণ করতে চাই যা আমাদের অন্যদেরকে প্রভূ যীশুর শিষ্য করতে সাহায্য করতে পারে৷

শিষ্যত্বের উপকরণের উন্নয়নের মধ্যে আমি তিনটি পর্যায় দেখতে পাচ্ছি৷ প্রথম পর্যায়টি হল প্রস্তুতি৷ এই পর্যায়টি শিষ্যত্বের উপকরণের উন্নয়ন শুরু করারআগে আমাদের যেই বিষয়গুলি জানার প্রয়োজন তাকে সম্বোধিত করে৷ দ্বিতীয় পর্যায়টি হল আমাদের উপকরণগুলিকে সেশন এবং বিষয়গুলিতে সংগঠিত করা যা নতুন শিষ্যদের প্রয়োজনীয়তাকে সম্বোধন করে৷ তৃতীয় পর্যায়টি বিষয়বস্তুর উন্নতির সাথে জড়িত৷ প্রস্তুতির ওপর মনোনিবেশ করে, আমরা শিষ্যত্বের উপকরণের উন্নয়নের প্রতি দৃষ্টিপাত করবো৷ 

প্রস্তুতির মধ্যে চারটি ক্রিয়াকলাপ রয়েছে যাকে যে কেউ শিষ্যত্বের উপকরণ প্রস্তুত করতে চায় তাকে করতে হবে৷ প্রথমটি হল প্রার্থনা৷ একজন শিষ্য নির্মাণকারীকে নতুন শিষ্যদের উপযুক্ত উন্নত উপকরণগুলিতে ঈশ্বরের নেতৃত্বের জন্য প্রার্থনা করতে হবে৷ আমাদের ঈশ্বরের মনকে, তাঁর আত্মার পরিচালনাকে জানতে হবে৷ আত্মা আমাদের উত্তম বিষয়বস্তুর প্রতি পরিচালিত করেন — সেরা খাবার যা আমরা একজন নবজাতক শিশুকে দিতে পারি৷ কারণ একজন নতুন শিষ্যকে নতুন বিষয়গুলি জানা প্রয়োজন৷ যদি আমরা কার্যকারীরূপে প্রার্থনা না করি, তাহলে আমরা ঈশ্বরের মনকে ও এই এলাকায় আত্মার পরিচালনাকে জানতে পারবো না৷ সুতরাং প্রথম পর্যায়টি হল প্রার্থনায় ঈশ্বরের সাথে সংযুক্ত হওয়া৷ 

দ্বিতীয়টি হল আপনার শ্রোতা বা আপনার লক্ষ্যযুক্ত জনগোষ্ঠীকে জেনে নেওয়া৷ সুসমাচার অপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীগুলিতে পৌঁছনো মধ্যে, যখন তারা নতুনভাবে প্রভূ যীশুতে বিশ্বাস বাঁচিয়ে রাখতে আসে তখন আমরা কেবলমাত্র তাদের বাটিভর্তি পরিপক্ক খাবারের খাওয়াতে পারি না৷ তাদের আত্মীক যাত্রায় তারা কোথায় রয়েছে তা আমাদের জানতে হবে৷ তারা কি জানে? তারা কি জানে না? তাদের শিক্ষাগত স্তর কি? তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন? তাদের চ্যালেঞ্জগুলি কি কি? তারা কি মুসলমান পৃষ্ঠভূমি না হিন্দু পৃষ্ঠভূমি থেকে? তাদের বয়স কেমন? শিষ্যত্বের উপকরণ উন্নয়নের বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করার আগে আমাদের এই সমস্ত বিষয়গুলি জানা প্রয়োজন৷ সেই জন্য কোন শিষ্য নির্মাণকারী যে শিষ্যত্বের উপকরণের উন্নয়ন করতে চায় তাকে তার শ্রোতাদের বুঝতে হবে৷ আমি প্রচুর ব্যক্তিদের এক স্থান বা গোষ্ঠী থেকে উপকরণকে গ্রহণ করতে এবং এটি ঠিক একই উপায়ে সরাসরী কোন ভিন্ন গোষ্ঠীতে করতে প্রয়োগ করতে পারে ভাবতে দেখেছি৷ এটি প্রভাবশালীরূপে কাজ করবে না৷ উদাহরণস্বরূপ, আমাদের কাছে এমন ব্যক্তিরা আছেন যারা মৌখিকভাবে শিক্ষিত এবং অন্যরা যারা উল্লেখ্যযোগ্য শিক্ষা বিশিষ্ট্য৷ আপনি যদি আপনার শ্রোতাদের বুঝতে না পারেন, তাহলে প্রভাবশালী শিষ্যত্বের উপকরণের উন্নয়ন কঠিন হবে৷ সেই কারণেই প্রস্তুতির এই দ্বিতীয় পর্যায়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণঃ ব্যাক্তিগতভাবে এবং এক গোষ্ঠীরূপে, যেই  শ্রোতাদের আমরা শিষ্য করছিলাম তাদের জেনে নেওয়া৷ তাদেরকে খুব ভালোভাবে আমাদের জানা প্রয়োজন৷ 

তৃতীয় ক্রিয়াকলাপটি হল এমন একটি দলকে উন্নত করা যা শিষ্যত্বের উপকরণ উন্নয়নের উপর কাজ করবে৷ এই দলে এমন সমন্বিত ব্যক্তিরা থাকবে যাদের লক্ষ্যযুক্ত জনগোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের মধ্যে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছেঃ আপনি যে ধরনের ব্যক্তিদের শিষ্য করতে চান৷ এই দলটি মস্তিষ্কে ঝড় তুলতে পারে, একসাথে চিন্তা করতে, এবং একসাথে প্রার্থনা করতে পারে৷ তারা মনোযোগী গোষ্ঠীর বিষয়ে বিশদ জানতে পারে৷ একটি দল প্রক্রিয়াটির জন্য সংকটপূর্ণ কারণ একজন একা বসে থাকা ব্যক্তি সমস্ত সমস্যাগুলি নিয়ে আসতে পারে না যেগুলির এই মনোযোগী জনগোষ্ঠীর শিষ্যত্বের মধ্যে সম্বোধনের জন্য প্রয়োজন হবে৷ 

আমি বিশ্বজুড়ে লোকেদের অনলাইনে যেতে এবং উপকরণ ডাউনলোড করতে দেখেছি যা কখনও কখনও কোন জনগোষ্ঠীর সমস্যাগুলিকে সম্বোধন করে না বা এমনকি মানানসই হয় না৷ আমরা কখনও কখনও অন্যান্য উপজাতি বা অন্যান্য জনগোষ্ঠীর ধারণাগুলি ধার নিতে পারি, কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে সেই উপজাতির সমস্যাগুলি এই উপজাতির সমস্যাগুলির সমান হবে৷ সেই কারণেই এটি সংকটপূর্ণ যে এই দলটি এই নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী সম্পর্কে জ্ঞান ও বোধগম্যতা রেখেছে৷

চতুর্থ ক্রিয়াকলাপটি হল বিশ্লেষণ৷ এই দলটি একত্রিত হয়ে এই জনগোষ্ঠীর শিষ্যত্বের প্রক্রিয়ার মধ্যে তাদের সম্বোধিত করার প্রয়োজনীয় সমস্যাগুলিকে দেখতে এবং সমস্যাগুলি বিশ্লেষণ করতে শুরু করে৷ দলটি তথ্য সংগ্রহ করবে এবং মনযোগী গোষ্ঠীর সমস্ত সমস্যা ও  চ্যালেঞ্জগুলিকে দেখবে৷ তাদের বিশ্বমত সমস্যাগুলি কি কি যা বাক্যে সম্বোধিত হওয়া প্রয়োজন? তাদের কেমন বিশ্বাস আছে যেখানে শিষ্যত্বের প্রক্রিয়াকে কাজ করা প্রয়োজন?

এইভাবেই আপনি শিষ্যত্বের উপকরণের মধ্যে আপনার বিষয় এবং সেশনগুলিকে বেছে নিতে পারেন৷ আপনি যদি জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস এবং অনুশীলনগুলির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করতে সক্ষম না হন, তবে আপনি এমন কিছুর সাথে আসবেন যা আপনার মতে মানানসই হবে, কিন্তু এটি নাও হতে পারে৷ বহু শিষ্যত্বের উপকরণগুলি বর্তমানে ব্যবহার করা হচ্ছে যা জনগোষ্ঠীগুলির আত্মীক চাহিদা কিংবা দৈহিক চাহিদা কোনটিকেই সম্বোধিত করে না৷ সেই কারণেই আমাদের এমন ব্যক্তিদের একটি দল চাই যারা প্রত্যেক উপজাতি এবং জনগোষ্ঠীর জন্য সম্বোধিত করার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলির বিশ্লেষণ এবং উন্নয়ন করতে পারে৷ শিষ্যত্বের উপকরণের উন্নয়নের জন্য স্বয়ংকে প্রস্তুত করার প্রথম পর্যায়ে এই ক্রিয়াকলাপগুলি গুরুত্বপূর্ণ৷ আপনাকে এর জন্য তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন নেই৷ আপনি যতবেশী সময় নেবেন, ততবেশী আপনি এই জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনীয়তাকে বুঝতে পারবেন৷ এটি তাদের নিজস্ব প্রেক্ষাপটে প্রভূ যীশুর শিষ্যনির্মানের জন্য কার্যকর উপকরণের উন্নতি করবে৷

(আমাদের এক সম্প্রদায়ের আশা শরণার্থী শিবিরের একজন নেতার কাছ থেকে।

অনেক ইয়াজিদি পরিবার যীশু খ্রীষ্টকে গ্রহণ করেছে এবং আমাদের নেতাদের সাথে কাজ করতে এবং তাদের নিজেদের জনগণের সেবা করতে বলেছে। এটা খুব ভাল কারণ তারা তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক উপায়ে তাদের সাথে ভাগ াভাগি করতে পারে। আজ যীশু-অনুসারী হিসেবে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রার্থনা করছি যে ঈশ্বর তাদের চাহিদা পূরণ করবেন এবং ইসলামী যোদ্ধাদের হাত থেকে তাদের রক্ষা করবেন। দয়া করে আমাদের সাথে প্রার্থনায় যোগ দিন।

একটা অলৌকিক ঘটনা শুরু হয়েছিল। নিকটবর্তী জাতি থেকে আত্মসমর্পণকারী যীশু-অনুসারীদের একটি আন্দোলন- যারা পূর্বে ইসলাম দ্বারা আটকে ছিল- তাদের নিজেদের থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল তাদের রক্ষাকর্তা হিসেবে যীশুর জন্য বেঁচে থাকার জন্য। তারা অন্যদের বাঁচানোর জন্য তাদের জীবন দিচ্ছিল। এখন, ইয়াজিদিদের মধ্যে যীশুর অনুসারীদের দ্বিতীয় আন্দোলন শুরু হয়েছে।

এটা কিভাবে হতে পারে? ডি এল মুডি যেমন লিখেছেন: “জগৎ এখনও দেখিতে পায় নাই যে, ঈশ্বর তাঁহাকে সম্পূর্ণরূপে সম্মানিত করিয়া কি করিতে পারেন। ঈশ্বরের সাহায্যে আমি সেই মানুষ হতে চাই।


“হ্যারল্ড” একটি ইসলামী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, বেড়ে ওঠেন এবং একজন চরমপন্থী জিহাদি এবং ইমাম হতে পড়াশোনা করেন।  যীশুর আমূল রূপান্তরের পর, হ্যারল্ড তার শিক্ষা, প্রভাব এবং নেতৃত্ব ক্ষমতা ব্যবহার করে যীশু অনুসারীদের একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে।   এখন, 20+ বছর পরে, হ্যারল্ড অপ্রাপ্ত মানুষের মধ্যে হাউস চার্চ আন্দোলনের একটি নেটওয়ার্ক মেন্টর এবং নেতৃত্ব দিতে সাহায্য করে। 

“উইলিয়াম জে ডুবোইস” অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকায় কাজ করে যেখানে সুসমাচার শক্তিশালীভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি এবং তার স্ত্রী গত ২৫ বছর ধরে ফসল থেকে নতুন বিশ্বাসীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তাদের নেতৃত্ব ের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অপ্রাপ্ত মানুষের মধ্যে হাউস চার্চ গুণ করার জন্য।

এটি একটি প্রবন্ধ থেকে যা জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। মিশন ফ্রন্টিয়ার্স, www.missionfrontiers.org, পৃষ্ঠা 36-37, এবং বইয়ের 192-195 পৃষ্ঠায় প্রকাশিত 24:14 – সকল মানুষের সাক্ষ্য, থেকে উপলব্ধ 24:14 বা আমাজন..

Categories
আন্দোলন সম্পর্কে

মুসলমানদের মধ্যে আন্দোলনগুলির উদ্বোধনঃ সেরা অনুশীলনগুলির বিষয়ের অধ্যয়ন – মণ্ডলীগুলির এন্টিয়ক পরিবার

মুসলমানদের মধ্যে আন্দোলনগুলির উদ্বোধনঃ সেরা অনুশীলনগুলির বিষয়ের অধ্যয়ন – মণ্ডলীগুলির এন্টিয়ক পরিবার

– উইলিয়াম জে. ডবৈস দ্বারা লিখিত 

আমি উইলিয়াম জে. ডবৈস, আদিবাসী মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলনগুলির এক বিশ্বব্যাপী জোট, মণ্ডলীগুলির এন্টিয়ক পরিবারের সহ-নেতা৷ গত ৩০ বছর ধরে, আমরা বদ্ধ দেশে বসবাসকারী প্রথম প্রজন্মের খ্রীষ্টানদের নেতৃত্বের ক্ষমতার গঠন এবং গৃহ মণ্ডলীগুলির সংখ্যাবৃদ্ধির কার্য শেখার জন্য তাদের সাহায্য করতে মনোযোগ প্রদান করেছি৷ আজকে আমি মুসলমান জনগনের মধ্যে আন্দোলনগুলির উদ্বোধনে মনোযোগ প্রদান করবো৷

আমাদের কার্যের প্রথম ২০টি বছর ধরে, আমাদের বহু প্রচেষ্টাগুলি ভ্রান্তি, ভুল এবং ব্যর্থতায় পূর্ণ ছিল৷ তবে, এটি আমার নিজস্ব জীবনের এক ব্যক্তিগত সঙ্কটের মধ্য দিয়েই আমরা এমন সামঞ্জস্য তৈরী করতে শিখেছিলাম যা যুগান্তকারী হতে পারে৷ ২০০৪ সালে আমি ইরানের ভূতল স্থিত গৃহ মণ্ডলীগুলির নেতাদের ২য় তীমথিয় শিখতে ও বুঝতে সাহায্য করছিলাম৷ এই প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হওয়ার পর, আমাকে আল-কায়েদার এক কর্মী দ্বারা বিষাক্ত করা হয়েছিল এবং আমি প্রায় মারা গিয়েছিলাম৷ প্রচুর লোক আমার জন্য প্রার্থনা করছিল, এবং আড়াই মাসের ডাক্তার ও হাসপাতাল পরিদর্শনের পরে যা ঘটেছিল তা নির্ধারণের চেষ্টা করছিলাম, আমি আশ্চর্যজনকভাবে সুস্থ হয়ে উঠেছিলাম৷ আমি তার জন্য খুবই কৃতজ্ঞ৷

কিন্তু কাহিনীর মধ্যে শক্তি পরে এসেছিল — বছর পরের এক সত্য ঘটনা হিসাবে৷ আমি আফগানিস্তান, ইরাক এবং পাকিস্তানের নেতাদের জন্য একটি মণ্ডলী স্থাপণ আন্দোলনের প্রশিক্ষণের সহ-সঞ্চালনা করছিলাম এবং আমাদের সময়ের শুরুতে আমরা একসাথে নিজেদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলাম৷ আমি জানতে পেরেছিলাম যে আমাদের মণ্ডলী স্থাপকদের মধ্যে একজন সেই ব্যক্তি ছিলেন যিনি আমার বিষক্রিয়া ঘটিয়েছিলেন!

সেই মুহুর্তে আমি বুঝতে শুরু করেছিলাম যে সংখ্যাবর্দ্ধক আন্দোলনগুলির জন্য মিশ্র-সাংস্কৃতিক ভাষা এবং সংস্কৃতির যোগ্যতার চেয়ে আরও অনেক কিছুর প্রয়োজন৷ লোকেদের আত্মার বিষয়ে শেখার সাথেই আবির্ভাব শক্তির আরম্ভ হয়৷ এবং এই ক্ষেত্রে, যারা মন্দের প্রতি চরমপন্থীবাদী ছিলেন তাদের এক গভীর বোঝার বিকাশ করা৷ মুসলমানদের মধ্যে আন্দোলনের কাজ শুরু করতে এটি কি মূল্য গ্রহণ করবে তার হৃদয় বুঝতে শুরু করার জন্য প্রভূ আমাকে এক যাত্রায় রেখেছেন৷ 

বর্তমানে সেই একই মণ্ডলীগুলির এন্টিয়ক পরিবারের কাছে ১৫৭টি দেশে ৭৪৮টি ভাষায় ১,২২৫টি আন্দোলনের প্রবৃত্তিগুলি রয়েছে৷ সেখানে ৪২০ লক্ষ প্রাপ্ত বয়স্কদের সাথে ২৩ লক্ষ গৃহ মণ্ডলীগুলি রয়েছে৷ ঈশ্বর আমাদের ভেতরে এবং আমাদের মধ্যে, যা শুরু করেছিলেন, তা আমাদের ভগ্নতা, আমাদের ভ্রান্তি, এবং আমাদের ভুল বোঝাবুঝিগুলির সাথে শুরু করেছিলেন৷ কিন্তু প্রভূ দয়ায় আমাদের কিছু শক্তিশালী সরঞ্জাম এবং কার্যকর নীতিগুলি শেখার অনুমতি প্রদান করার পরে, ব্যাখ্যামূলক অগ্রগতি ঘটেছিল৷

আমরা তিনটি প্রাথমিকতার প্রতি মনোযোগ প্রদান করি৷ প্রথমটি হ’ল লোকেদের দাসত্ব থেকে পুত্রত্বের দিকে উদ্ধার করা৷ সেই দাসত্ব হতে পারে মানব পাচারের, কিন্তু এটি সর্বদা পাপের দাসত্ব৷ এবং এটি বৈষম্য, ব্যাথা, এবং বেদনায় ভরা একটি জীবন৷ কিন্তু যখন প্রভূ যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বরের সাথে তারা একটি ব্যক্তিগত সম্পর্কে প্রবেশ করে, তারা জীবিত ঈশ্বরের সন্তান, এবং সহ-উত্তরাধিকারী হয়৷ সুতরাং আমাদের সম্পর্ক, এমনকি নতুন বিশ্বাসীদের সাথেও, শ্রেণীবদ্ধ নয়৷ এটি একটি পরিবারের মতো কারণ আমরা তাদের প্রভূ যীশুতে, তারপর মণ্ডলীতে, এবং পরে বিশ্বে বাপ্তাইজিত হতে বলছিলাম৷ আমরা কখনোই কাউকে আমাদের ত্রাণকর্তার সন্ধানের পূর্বে আমাদের সংস্কৃতির সাথে জড়িত হতে বলি না৷ আমরা নিশ্চিত করি যে তারা যাতে প্রথমে আমাদের ত্রাণকর্তার সাথে সাক্ষাৎ করে৷ তারপর আমরা একসাথে আবিষ্কার করি যে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিতে মণ্ডলী দেখতে কেমন হবে৷ সুতরাং, প্রথম প্রাথমিকতাটি হ’ল দাসত্ব থেকে পুত্রত্বের দিকে উদ্ধার করা৷

দ্বিতীয়টি হ’ল অন্যদের খ্রীষ্টে নিয়ে আসার জন্য লোকেদের ক্ষমতায়িত করা৷ আপনারা এই কথাটি শুনে থাকতে পারেন “একটি শান্তির ব্যক্তির সন্ধান৷” আমাদের আদর্শে, আমরা এক প্রভাবশালী স্ত্রী বা পুরুষের সন্ধান করে থাকি৷ প্রেরিত ১০ অধ্যায় থেকে, আমরা এটিকে কর্ণেলীয় আদর্শ বলি৷ আমরা প্রভূকে এমন ব্যক্তিদের দেখানোর জন্য অনুরোধ করি যাদের তাদের গ্রাম বা তাদের সম্প্রদায়, বা তাদের দেশের মধ্যে অবিশ্বাস্য প্রভাব রয়েছে৷ তাদের কাছে সুসমাচার নিয়ে আসার দ্বারা, তারা তাদের সামাজিক মাধ্যমের সমস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সুসমাচার ছড়িয়ে দেবার ক্ষমতা রাখে৷ তারপর, প্রেরিত পৌল যেমন তীত-কে প্রত্যেকটি মণ্ডলীতে প্রাচীনদের স্থাপন করতে বলেছিলেন, তেমনি আমরা এই কর্ণেলীয়দের প্রত্যেকটি গৃহ মণ্ডলীতে নেতৃবৃন্দ এবং প্রাচীনদের স্থাপন করতে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করি৷ আমাদের পরিচর্যা, তখন, মণ্ডলী থেকে মণ্ডলী হয়৷ কোন সংস্থা থেকে মণ্ডলী নয় কিন্তু কি করতে হবে এবং তারপর একসাথে তাতে কার্য করার জন্য একটি স্থানীয় মণ্ডলী অন্য একটি আদিবাসী গৃহ মন্ডলীর সাথে অংশীদার হয়৷

তারপরে আসে আমাদের তৃতীয় প্রাথমিকতা যা হ’ল সংখ্যাবৃদ্ধি৷ দ্বিতীয় তীমথিয় ২:২ পদ বলে যে আমরা নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে যা শুনেছি, আমাদের তাদের কাছে পাঠিয়ে দিতে হবে যারা এটি অন্যদের সাথে প্রচার করতে পারবে৷ এটি একটি তিন-প্রজন্মের সংখ্যাবৃদ্ধি৷ আমরা পেয়েছি যে যদি আমরা নেতাদের বর্ধমান প্রজন্মগুলির দিকে মনোযোগ প্রদান করি, তাহলে আমরা আন্দোলনগুলির সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারি৷ আমাদের নেতৃত্বের প্রশিক্ষণ জ্ঞান নয়, বাধ্যতার উপর ভিত্তি করে৷ আমি আপনাদের একটি উদাহরণ দিবো৷ বেশ কয়েক বছর আগে, আমরা এক বড় শহরে একটি নতুন পরিচর্যা কার্য শুরু করেছিলাম, এবং আত্মীক বিষয়গুলিতে আগ্রহী একজনের সন্ধান পেয়েছি৷ আমাদের কর্মীদের মধ্যে একজন তাদের সাথে কথোপকথন শুরু করলেন, এবং শীঘ্রই তারা প্রভূ যীশু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছিল৷ কিন্তু রাজ্যের গভীরতা সম্পর্কে বিশ্লেষণ করার আগে, আমরা সেই ব্যক্তিকে গিয়ে পাঁচজন বন্ধুদের সন্ধান করতে বলেছিলাম৷ 

এই পাঁচজন বন্ধুকে একসাথে একটি গৃহ মণ্ডলীর সভাতে নিয়ে আসাই লক্ষ্য নয়, বরং, তাদের মধ্যে প্রত্যেক জন এই “কর্ণেলীয়” দ্বারা পরামর্শ প্রাপ্ত হওয়া উচিত৷ এই পাঁচজন বন্ধু তৎক্ষনাৎ তাদের পাঁচজন বন্ধুদের সাথে প্রচার করবে, এবং সেই পাঁচজন বন্ধুরা তাদের পাঁচজন বন্ধুদের সন্ধান করবে৷ সুতরাং প্রথম থেকেই, সংখ্যাবার্দ্ধকতা সম্পূর্ণ পরিচর্যার মধ্যে অনুবিদ্ধ হয়েছিল৷

এই তিনটি বিষয় দ্বারা – উদ্ধার, ক্ষমতায়ণ, এবং সংখ্যাবৃদ্ধি – আমরা বুঝতে পেরেছি যে যারা সবেমাত্র খ্রীষ্টে এসেছিল সেই ব্যক্তিদের থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি৷ সুতরাং তাদের ঘোষনাত্মক কথনগুলির সাথে শিক্ষা দেওয়ার পরিবর্তে, আমরা শক্তিশালী প্রশ্নগুলি জিজ্ঞেস করার দ্বারা শুরু করি৷ এখানে তিনটি প্রশ্ন আছে যা আমরা জিজ্ঞেস করে থাকি৷ আমরা জিজ্ঞেস করি, “কে আত্মিকভাবে ক্ষুধার্ত? কখন তারা আত্মিকভাবে খোঁজ করে? এবং কোথায় তারা আত্মিকভাবে সচেতন থাকে?” আমরা যাদের সাথে পরিচর্যা করেছি তাদের সাংস্কৃতিক এবং আত্মীক ছন্দগুলি সন্ধান করার চেষ্টা করি৷ 

দৃষ্টান্তস্বরূপ, ইস্টার সপ্তাহান্তিক কাল মুসলমানদের জন্য কোন অতি পবিত্র দিন হবে না কারণ তারা প্রভূ যীশুকে এখনও জানেনা৷ আমরা পেয়েছি, আসলে, মুসলমানদের সাথে সুসমাচারটি প্রচার করার জন্য রমজান হলো ক্যালেন্ডারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্ত৷ কেন? কারণ সেই মাসেই তারা ঈশ্বরের খোঁজ করে৷ নিশ্চয়ই এটি একই ঈশ্বর নয়৷ তারা ঈশ্বরের পুত্র প্রভূ যীশুর অনুসরণ করছে না; তারা কেবলমাত্র যথেষ্ট পরিমাণ কৃতিত্ব অর্জনের জন্য একটি পথ সন্ধানের চেষ্টা করছে যা দ্বারা হয়তো ঈশ্বর তাদের গ্রহণ করবেন৷ সুতরাং প্রথমে তাদের আমাদের পবিত্র দিনগুলির সাথে পরিচয় করানোর পরিবর্তে, আমরা তাদের পাশাপাশি আসার নির্ণয় করেছি, তাদের আত্মীক ছন্দগুলি বোঝা, এবং যারা আত্মিকভাবে ক্ষুধার্ত তাদের জন্য প্রার্থনা করা৷ তারা কোন ক্ষেত্রে ক্ষুধার্ত এবং কিসের প্রতি তারা সচেতন আমরা তা খুঁজে পাই৷ তারপর আত্মীক কথোপকথনের মাধ্যমে, আমরা একজন কর্ণেলীয়-কে খুঁজে পাই৷ আমরা তাকে তার বন্ধুদের সন্ধান করার জন্য অনুরোধ করি এবং সংখ্যাবৃদ্ধির প্রক্রিয়া আরম্ভ হয়৷ 

আমরা আমাদের নেতাদের ঈশ্বরের বাক্য এবং মূল পদগুলির অনুবাদের সাথে সুসজ্জিত করেছি৷ আমরা প্রায়শই তাদের জন্য ওয়াই-ফাই বাক্স সরবরাহ করি, যাতে একটি বোতামের চাপ দিয়ে কমপক্ষে বাণিজ্যিক ভাষায়, তারা প্রভূ যীশুর চলচ্চিত্র বা নতুন নিয়মের অংশগুলি ছড়িয়ে দিতে পারে৷ যদি জনগোষ্ঠীটি অসংযুক্ত হয়, তাহলে আমরা আমাদের দলগুলিকে মোবাইল ব্যাকপ্যাক সরবরাহ করি, যাতে যদি তারা গ্রামে থাকে তবে তারা প্রায় ৩০০ জনকে প্রভূ যীশুর চলচ্চিত্র দেখাতে পারবে৷ এবং আমরা তাদের লোকেদের সাথে কিভাবে আত্মীক কথোপকথন শুরু করতে হয় তার প্রচুর প্রশিক্ষণ দিয়েছি – যাতে লোকেরা সেই ঈশ্বরকে জানতে চায় যিনি তাদের উদ্ধার, তাদের শক্তিশালী এবং তাদের প্রভাবের সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারেন৷ তারা ঈশ্বর, প্রভূ যীশু, যিনি তাদের পাপগুলি ক্ষমা করেছেন তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতে পারে৷

এই সমস্ত কিছুর মাঝে, আমরা দেখতে পেলাম যে যদি আমরা একত্র হয়ে প্রার্থনা করি, যদি আমরা মধ্যস্থতা করার জন্য দলগুলি নির্মাণ করি, তাহলে এই মুহুর্তগুলিতে প্রচুর সুযোগ রয়েছে৷ রমজানের শেষের দিকে (আসলে ২৭তম দিনটি), একটি বিশেষ দিন থাকে, যাকে শক্তির রাত বলা হয়৷ বিশ্বজুড়ে বহু মুসলমানেরা বিশ্বাস করে যে এই এক রাতে, তাদের প্রার্থনাগুলি অন্যান্য দিনগুলির তুলনার হাজার গুণ বেশী ভার বহন করে৷ এবং সেই রাতেই, তারা ঈশ্বরকে তিনি কে হন তার প্রকাশনের জন্য অনুরোধ করে৷ তারা ঈশ্বরকে তাদের পাপের জন্য ক্ষমা চায়, এবং তারা স্বপ্ন ও দর্শণের জন্যও অনুরোধ করে৷ সুতরাং আমরা আমাদের লোকেদের পাঠাই, সেই অচেনাদের সাথে মিশতে যারা এক ঈশ্বরের সন্ধান করছে, যাতে আমরা সেই ঈশ্বর সম্পর্কে প্রচার করতে পারি যাকে আমরা জানি৷ 

১৯শে মে, ২০২০ সালে, একশো কোটিরও বেশী মুসলমানেরা উপবাস ও প্রার্থনার জন্য গৃহমধ্যে একত্রিত হয়েছিল৷ ৬২২ খ্রীষ্টাব্দের পর প্রথমবার, করোনা-ভাইরাসের কারণে, মসজিদগুলি বন্ধ ছিল৷ তারা এই “শক্তির রাতে” “আল্লাহ”-এর কাছ থেকে বিশেষ প্রকাশনের জন্য এবং তাদের পাপের ক্ষমাপ্রাপ্তির জন্য প্রার্থনা করছিল৷ ঠিক সেই সময়েই, ১৫৭টি দেশ থেকে ৩৮০ লক্ষের বেশী খ্রীষ্ট অনুসারীরা – সমস্ত প্রাক্তন মুসলমানেরা – তাদের কন্ঠস্বর তুলে ধরে একমাত্র সত্য এবং জীবিত ঈশ্বরকে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের কাছে চিহ্ন, চমৎকার, স্বপ্ন এবং দর্শনগুলির মাধ্যমে স্বয়ং-কে প্রকট করার জন্য অনুরোধ করে প্রার্থনা করছিলেন৷ তারা প্রার্থনা করছিলেন যে প্রথমবার, পবিত্র আত্মার শক্তির মাধ্যমে, মুসলমানেরা যাতে বুঝতে পারে যে দয়া, প্রেম, এবং ক্ষমা কেবলমাত্র প্রভূ যীশু খ্রীষ্টতেই পাওয়া যায়৷ এবং এই “এক অলৌকিক রাতে” ঈশ্বর আমাদের প্রার্থনা শুনেছেন৷

যখন আমরা প্রার্থনায় একসাথে একমত হই এবং স্বর্গের সিংহাসন গৃহে যাই, আমরা প্রভূ যীশুকে আমাদের হয়ে মধ্যস্থ করার জন্য অনুরোধ করি – সুতরাং আমরা সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে আত্মীক কথোপকথন করতে পারি৷ আমরা অলৌকিক বস্তু ঘটার আকাঙ্খা করতে পারি৷ আমি আপনাদের একটি কাহিনী বলতে চাই যা এই বছর রমজান মাস চলাকালীন ঘটেছিল৷ এই সময়ে আমরা দলগুলিকে গ্রাম থেকে গ্রামে পাঠাচ্ছিলাম, খোলা দ্বার এবং উন্মুক্ত হৃদয় দেওয়ার জন্য প্রভূর কাছে অনুরোধ করছিলাম৷ এক দল একটি দেশে গিয়েছিল (আমি ক্ষমা চাইছি যে সুরক্ষার কারণে আমি সেই দেশের বিবরণগুলি দিতে পারছি না), কিন্তু তারা এমন একটি গ্রামে গিয়েছিল যেখানে কেউ তাদের গ্রহন করেনি৷ কেউ তাদের আতিথেয়তা দেখায়নি, কেউ তাদের জন্য দ্বার খোলেনি৷

দিনের শেষে, দলটি অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েছিল৷ তারা গ্রামের বাইরে গিয়ে সকলেই একটি গাছের তলায় বসে এবং একটি ক্যাম্পফায়ার তৈরী করে যাতে তারা সেই রাতের জন্য গরম থাকতে পারে৷ তারা প্রার্থনা করছিলেন এবং কি করতে হবে তার জন্য প্রভূকে জিজ্ঞেস করতে শুরু করে দিয়েছিল, এই গ্রামের মধ্যে সাফল্যতা অর্জনের উপায়ের জন্য প্রভূকে অনুরোধ করেছিলেন৷ রাত গভীর হতে থাকলে তারা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন৷ শীঘ্রই তাদের ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং নেতাদের মধ্যে একজন তাদের দিকে একটি জলন্ত আগুনকে আসতে দেখেন৷ এটি তাদের দিকে চলে আসা, আগুনের মশাল হাতে ২৭৪ জনের ভিড়ে রূপান্তরিত হয়ে গেল৷ দলটি প্রাথমিকভাবে ভয়ে ভীত হয়ে গিয়েছিল যতক্ষণ না তাদের একজন বলেছিলেন, “ওহে, আমরা এই গ্রামে যাওয়ার এবং প্রভূ যীশুর প্রচার করার জন্য একটি সুযোগের জন্য প্রার্থনা করছিলাম৷ এখন গ্রামটিই আমাদের কাছে আসছে!”

এই ব্যক্তিদের সাথে সাক্ষাৎ হওয়ার ঠিক আগেই, ২৭৪ জন পুরুষের মধ্যে একজন এক পা এগিয়ে আসে এবং বলেছিল, “আপনারা কে আমরা জানি না, আপনারা কোথায় থেকে এসেছেন আমরা জানি না, এবং আজকে আপনারা যখন আমাদের গ্রামে এসেছিলেন আমরা আপনাদের জন্য আমাদের গৃহের দ্বার খুলে দেইনি৷ কিন্তু আজ রাতে, আমাদের মধ্যে প্রত্যেক জনই হুবহু একই স্বপ্ন দেখেছি৷ এবং সেই স্বপ্নে এক স্বর্গদূত এসে আমাদের কাছে উপস্থিত হয়ে বললেন, “এই ব্যক্তিরা যারা তোমাদের গ্রামে এসেছে তাদের কাছে সত্যটি আছে৷ তোমাদের যাওয়া এবং অনুরোধ করা, এবং তারা যা বলবে তার অনুসরণ করা উচিত৷”

সেই মুহুর্তেইঃ সঠিক স্থানে, সঠিক সময়ে, সঠিক ব্যক্তির সাথে আত্মীক কথোপকথন ঘটেছিল৷ এবং রাত শেষ হবার আগে, গৃহের ২৭৪ জন নেতারা সকলেই পেশাদার বিশ্বাসী তৈরী হয়েছিলেন এবং তাদের ধর্ম ত্যাগ করে প্রভূ যীশুর সাথে সম্পর্কে চলেছিলেন৷ সেটাই প্রার্থনার ক্ষমতা এবং সঠিক স্থানে আত্মীক কথোপকথন করা৷

আমি মুসলমান জনগনের মধ্যে আন্দোলনের উদ্বোধন করার বিষয়ে একে অপরের কাহিনী ছেড়ে যেতে চাই৷ এটি এই ধারণা থেকে আসে না যে কর্মী বা ধর্মপ্রচারকেরাই এই কার্যটি করবে৷ এই বিষয়টি হলো নেতাদের সুসজ্জিত ও গঠন করা, কর্ণেলীয়-কে, যে কার্যটির সংখ্যাবৃদ্ধি করবে৷ কয়েক মাস আগে, নেতারা আমাদের কাছে এসে বলেছিলেন, “আপনি জানেন, আমরা নির্দিষ্ট কয়েকটি গ্রামে পৌঁছাতে পারিনি এবং নিয়মিত উপায়গুলি ব্যবহার করে তাদের কাছে পৌঁছানোর কোনো উপায়ও নেই৷ সুতরাং আমরা প্রার্থনা করেছি, এবং আমরা অনুভব করেছি যে পবিত্র আত্মা আমাদের লোকেদের দলগুলিকে আলাদা করতে বলছেন যারা মরুভূমির ওপারে যায় এবং নিশ্চিত করে যে সমস্ত অসংযুক্ত ব্যক্তি, সেই সমস্ত যারা সুসমাচার অপ্রাপ্ত এবং অস্পৃশ্য, সকলে ঈশ্বরের সুসমাচারটি শুনতে পায়৷” 

আপনার এবং আমার কাছে মুসলমান জনগনের মধ্যে আন্দোলনগুলির উদ্বোধনের একটি সুযোগ রয়েছে৷ এটি শুরু হয় যখন আমরা আশেপাশে বাসকারী এবং কাছাকাছি সংস্কৃতির স্থানীয় লোকেদের প্রশিক্ষণ প্রদান করি৷ আমরা একজন কর্ণেলীয়-কে পেয়েছি, আমরা সেই ব্যক্তির ওপর ব্যয় করি, এবং তিনি আমাদের কিভাবে তার বন্ধুদের সাথে পরিচালনা করতে হবে যাতে তারা তাদের বন্ধুবান্ধবদের বলে তা বুঝতে সাহায্য করেছিলেন৷ এটি উটে করে মধ্য প্রাচ্যের মরুভূমির মতো বহুদূরে হতে পারে৷ আমরা যদি স্থানীয় মণ্ডলীগুলিকে আমাদের অগ্রে থাকার পরিবর্তে তাদেরকে ঈশ্বরের দেওয়া দায়িত্বগুলি নিতে ক্ষমতায়ণ করি, তাহলে আমরা বার্ণবা হবো যারা এই প্রেরিতদের এবং যারা প্রেরণ করছে তাদের সমর্থন করে৷ তাই আমি বলবো যে আমাদের দায়িত্ব হলো ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ এবং সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করা এবং বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করা৷ তারা নেতাদের নিযুক্ত করে এবং তারা মণ্ডলী স্থাপকদের প্রেরণ করে অন্যান্য ব্যক্তিদের সংখ্যাবৃদ্ধি করার জন্য যারা এরপরে সুসমাচার প্রচার করবে৷

সংক্ষেপে, আমি মনে করি আমরা মুসলমান জনগনের মধ্যে এইভাবে আন্দোলনগুলির উদ্বোধন করার দিকে নজর দিতে পারি৷ প্রথমত, প্রেরিতের পুস্তকের সংস্কৃতি প্রেরিতের পুস্তকের মতো যুগান্তকরণ তৈরী করতে পারে৷ দ্বিতীয়ত, আমরা আমাদের কথোপকথনগুলির সামঞ্জস্য করে মুসলমান জনগনের মধ্যে আন্দোলনগুলির উদ্বোধন করি, যাতে কথোপকথনগুলি সঠিক স্থানে, সঠিক সময়ে, সঠিক ব্যক্তির সাথে আত্মীকভাবে পরিচালিত হয়৷

আমরা লোকদের প্রভূ যীশুতে বাপ্তিস্ম নিতে অনুরোধ করি, তারপর লোকেদের আমাদের মণ্ডলীর সংস্কৃতি অনুযায়ী তাদের উপায় খুঁজতে বলার পরিবর্তে, তাদের মণ্ডলীটি কেমন দেখতে তা আবিষ্কার করতে সাহায্য করি৷ আমাদেরকে ঈশ্বরের কাছে একজন কর্ণেলীয়ও চাইতে হবে, একজন প্রভাবশালী স্ত্রী বা পুরুষ, যিনি ইতিমধ্যেই সম্পর্ক স্থাপিতদের মধ্যে তাদের প্রভাবকে রাজ্যের বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করবেন৷ আপনি মুসলমান জনগনের মধ্যে আন্দোলনগুলির উদ্বোধন, সরঞ্জামগুলির সন্ধান, গুণমান প্রশিক্ষণ, এবং বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করার বিবেচনা করার সাথে সাথে আমি আপনাদের উৎসাহিত করতে চাই৷ একটি মণ্ডলী, নিকটবর্তী এবং নিকটবর্তী সংস্কৃতির মণ্ডলীর সাথে সংযোগ স্থাপিত করছে, যাতে আপনারা একসাথে অসংযুক্ত, সুসমাচার অপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছে যেতে পারেন এবং কোন কর্ণেলীয়কে আপনার সাথে অংশীদারী করে রাজ্যের সংখ্যাবৃদ্ধি করতে দেখতে পারেন৷ ঈশ্বর আপনাকে আশীর্বাদ করুক৷

Categories
আন্দোলন সম্পর্কে

মহামারীর সময়েও ঈশ্বর কার্যরত

মহামারীর সময়েও ঈশ্বর কার্যরত

– জন রল্স দ্বারা লিখিত 

মহামারী এবং অনিশ্চয়তার মধ্যেও, ঈশ্বর এখনও কার্যরত৷ বিশ্বজুড়ে তাঁর আত্মা মানুষের জীবনের মধ্যে চলাফেরা করছে৷

যেহেতু লোকেরা নিজেদের ঘরে, একাকীত্বের সময়ে, এবং বিভিন্ন প্রশ্নগুলির সাথে নিজেদের পেয়েছেন, অনেকে যেই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন এবং আবেগের অনুভুতি করেছেন তারা তার উত্তর খুঁজছেন৷ লোকেরা উত্তরের জন্য যেই স্থানগুলি ঘুরে দেখছেন তাদের মধ্যে একটি হচ্ছে ইন্টারনেট৷ অনলাইন লোকেদের সংখ্যা – গুগলে অনুসন্ধান করা, ইউটিউবে ভিডিও দেখা, ফেসবুকে মন্তব্য করা, এবং আরও অনেক বেশী – বৃদ্ধি অব্যাহত৷

দুইশো কোটির উপরে ফেসবুকের উপভোক্তা রয়েছে, এবং গুগলের পর ইউটিউব (যা ইউটিউবের মালিক) দ্বিতীয় বৃহত্তর অনুসন্ধানী ইঞ্জিন৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের (সোশ্যাল মিডিয়া) উপভোক্তাদের এই বৃদ্ধি সামাজিক পরিচর্যামূলক যোগাযোগ মাধ্যম এবং শিষ্যত্বের সুযোগগুলিকে বাড়িয়ে তুলছে৷ 

বহু লোকেরা যারা সন্ধানী ঈশ্বর তাদের জন্য সুসমাচারের জন্য দ্বার খুলে দিচ্ছেন৷

এক থেকে বহু আসে 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে একটি সুসমাচার প্রচারের বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে ঈশ্বর আজ্জিবিদীন-এর জন্য সুসমাচারের দ্বার খুলে দেন৷ তিনি বিজ্ঞাপনটির প্রতি প্রতিক্রিয়া জানান এবং বিশারা নামক এক স্থানীয় শিষ্য নির্মাণকারীর সাথে যুক্ত হন৷ বিশারা এক বছর আগে বিশ্বাসে এসেছিলেন এবং যে কেউ শুনতে প্রস্তুত হত তার সাথে উৎসাহের সহিত তার বিশ্বাসকে প্রচার করতেন৷ ফলস্বরূপ, বিশ্বাসের ৩০টি অনন্য সম্প্রদায়্গুলিকে প্রতিনিধিত্বকারী, ৩০০-৪০০ জন বিশ্বাসে এসেছে৷ বিশারা তার বিশ্বাসের জন্য ভীষনভাবে নির্যাতিত হয়েছেন কিন্তু তিনি লাঙ্গলের মধ্যে তার হাত রেখেছিলেন এবং বর্তমানে আজ্জিবিদীনকে পরিচর্যার জন্য শিষ্য করেছেন ও প্রস্তুত করছেন৷

আপনি একা নন

একটি এশীয় অঞ্চলে, ঈশ্বর একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচারে ব্যবহৃত প্রভূ যীশুর সিনেমার একটি ছোট ভিডিও ক্লীপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য সুসমাচারের জন্য একটি দ্বার খুলে দেন৷ একজন শিক্ষার্থী একটি বার্তার সাথে একটি বিজ্ঞাপনে এই বলে প্রতিক্রিয়া জানান, “আমি ভেবেছিলাম যে এই মহামারীর সময়ে আমিই একমাত্র একা, তবুও আমি আপনাদের মতো খ্রীষ্টানদের এবং আমাদের প্রতি আপনাদের প্রেমের কথা শুনেছি৷” এই শিক্ষার্থী খ্রীষ্টের প্রেমের কথা শুনে আর একা ছিলেন না৷ কমপক্ষে তিনজন ব্যক্তি এই বিজ্ঞাপনে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে খ্রীষ্টকে গ্রহণ করেছিল৷ 

এক বিজ্ঞাপন প্রচারণা জিজ্ঞেস করেছিল, “আপনি ঈশ্বরের কাছ থেকে কোন ধরনের প্রার্থনার উত্তর চান? শত শত শিক্ষার্থী এই ধরনের বিবৃতিতে উত্তর দিয়েছিল, “ঈশ্বর, অনুগ্রহ করে আমায় ক্ষমা করুন৷” “ঈশ্বর, অনুগ্রহ করে সেই বিষয়গুলিতে সাহায্য করুন যা আমাকে ভয়ভীত করে৷” “ঈশ্বর, অনুগ্রহ করে আমার কাছে এমন কাউকে নিয়ে আসুন যে আমাকে বোঝে এবং ভালোবাসে৷” “ঈশ্বর, অনুগ্রহ করে আমাকে কি বেছে নিতে হবে তা দেখান৷”

সুসমাচার অপ্রাপ্তদের কাছে পৌঁছনো হচ্ছে

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সুসমাচার অপ্রাপ্ত এলাকার বহুজনকে যারা সুসমাচার প্রচার করতে পারে তাদের সাথে যোগাযোগ করার অনুমতি দিচ্ছে৷ উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এক সুসমাচার অপ্রাপ্ত গোষ্ঠী থেকে একটি ফেসবুক পরিচর্যা পেজ ১,৮০০ জনের চেয়ে বেশী অনুসারীবৃন্দ অর্জন করেছে৷ স্থানীয় খ্রীষ্টানরা সেই সুসমাচারে আগ্রহীদের সাথে যোগাযোগ করেন, এবং কমপক্ষে একজন ব্যক্তি ইতিমধ্যে বাপ্তিস্মা নিয়েছে৷ 

কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়

লক্ষ্যযুক্ত বিজ্ঞাপন এবং জৈব (মূল্য বিহীন) সামগ্রী ব্যবহারের মাধ্যমে, লোকেরা যীশুর বিষয়ে শুনছে৷ ৯৯.৯% মুসলিম জনসংখ্যা বিশিষ্ট একটি দেশে, এই বার্তাটি গণমাধ্যমের দ্বারা সন্ধানীদের খুঁজে পাওয়ার জন্য একটি দলের কাছে পৌঁছেছিলঃ “ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এবং ইউটিউবের সর্বত্রই আমি সবসময় প্রভূ যীশু সম্পর্কিত বিষয়গুলি দেখতে পাই এবং আরো৷ আমি মনে করি না যে এটি কোন কাকতালীয় ঘটনা৷ আমি ভাবছি যদি … আমি প্রভূ যীশুতে বিশ্বাস করি৷ আমি ভাবছি যদি আমি কোন আশ্চর্য়কার্য দেখতে পাই৷”

অসাধারণ সময় এবং সরঞ্জাম

মণ্ডলীর আরম্ভ থেকেই, লোকেরা সুসমাচার প্রচার করছে৷ যখন সারাদিন আমাদের চাকরীতে, বিদ্যালয়ে, এবং অন্য কোথাও লোকেদের সাথে আমরা যোগাযোগ করি আমাদের মধ্যে থাকা আশাটিকে আমরা তাদের বলি৷ ইন্টারনেটের শক্তি এবং পর্দার দ্বারা, এখন আমাদের কাছে সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তি রয়েছে যা আমাদের প্রতিদিন ২৪ ঘন্টার দূরবর্তী স্থানেও পৌঁছে দেয়৷ এমনকি যখন আমরা ঘুমিয়ে থাকি, ঈশ্বরের আত্মা যারা তাঁর পুত্র, প্রভূ যীশু খ্রীষ্টের বিষয়ে প্রচার করতে পারে তাদের কাছে সন্ধানীদের টেনে আনার কার্যে লিপ্ত থাকেন৷

ডিজিটাল প্রচার মাধ্যম আমাদের ব্যক্তিগতভাবে একটি মিশনাল জীবনযাপনে প্রতিস্থাপন করে না, তবে সন্ধানীরা খ্রীষ্টীয় কর্মীদের কাছে পৌঁছানোর সাথে সাথে এটি একেবারে ভিন্ন পরিচর্যামূলক দৃষ্টান্ত তৈরী করতে সাহায্য করে৷ এই সন্ধানীরা সেই ব্যক্তিদের যোগাযোগ করে যারা তাদের সাথে কথোপকথন শুরু করতে পারে (অনলাইন এবং অফলাইন উভয়ভাবেই), যা শেষ পর্যন্ত এমন শিষ্যতে পরিচালিত করে যে শিষ্য তৈরী করতে পারে৷

কোন জাদুর বুলেট নয়

ডিজিটাল সুসমাচার প্রচার কোন জাদুর বুলেট নয়৷ আমরা কেবল মূল্য দিয়ে কোন বিজ্ঞাপন চালিয়ে এবং হাজার হাজার জনের পরিত্রাণের আকাঙ্খা করতে পারি না৷ এই ডিজিটাল সুযোগগুলির সর্বোত্তম ভাবে উপভোগ করার জন্য যথেষ্ট কৌশল, প্রশিক্ষণ, এবং চিন্তাভাবনার প্রয়োজন৷ কিন্তু সেই স্থানের মধ্যে, এই শক্তিশালী সরঞ্জামটি ঈশ্বরের গৌরব এবং তাঁর রাজ্যের অগ্রগতির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে৷

আপনি যদি কৌতূহলী হন বা গণমাধ্যমের মাধ্যমে সন্ধানীদের খোঁজ শুরু করতে চান, তাহলে এমন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী খ্রীষ্টিয় কর্মীদের জন্য বেশ কয়েকটি পরিচর্যাগুলি অনুশিক্ষণের প্রস্তাব এবং সংস্থান সরবরাহ করছে৷ কয়েকটি হ’লঃ

মাধ্যম থেকে আন্দোলন — মাধ্যম থেকে আন্দোলন দলটি শিষ্য নির্মাণকারীদের এমন আত্মীক সন্ধানীদের সনাক্ত এবং যুক্ত করার জন্য সামাজিক মাধ্যমের কৌশলে সজ্জিত করে যারা শিষ্যদের পুনরুৎপাদনের আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করে৷ তারা চলমান প্রচারের মাধ্যমে প্রথম পদক্ষেপগুলি থেকে অনুশিক্ষণ এবং পরামর্শদাতা সরবরাহ করে৷ www.Mediamovements.org 

রাজ্যের প্রশিক্ষণ — এই গোষ্ঠীটি কয়েক বছর ধরে ডিজিটাল প্রচার করে আসছে এবং লোকেদের আরম্ভ করতে সাহায্য করার জন্য তাদের কাছে বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত কোর্সগুলিও রয়েছে৷ www.Kingdom.training 

মিশন সামাজিক মাধ্যম ইউ — এমএমইউ হল একটি পরামর্শদাতা, অনলাইন প্রশিক্ষণ মাধ্যম যা খ্রীষ্ট-অনুসারীদের সামাজিক মাধ্যম, কাহিনী, এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিষ্যদের নির্মাণ এবং মণ্ডলী স্থাপনে আরো বেশী কার্যকর হতে সাহায্য করার জন্য তৈরী করা হয়েছে৷ www.missionmediau.org/foundations-of-media-stategy 

কাভানাহ সামাজিক মাধ্যম — মিশন দল এবং মণ্ডলীগুলির তাদের প্রসঙ্গের মধ্যে সন্ধানীদের খুঁজে পেতে সহায়তা করার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ৷ প্রশিক্ষণ, সামাজিক মাধ্যম তৈরী, প্রচারের পরিচালনা, এবং অনুশিক্ষণে বিশেষজ্ঞ, তাদের বিজ্ঞাপনের সর্বাধিক বাজেটের জন্য তারা পরিচর্যার সাথে কার্য করে৷ সাথেই তারা একটি সাপ্তাহিক সামাজিক মাধ্যমের পডকাস্ট পরিচালিত করেনঃ “খ্রীষ্টান মিডিয়া মার্কেটিং৷” www.Kavanahmedia.com 

সামাজিক মাধ্যম থেকে আন্দোলন, রাজ্যের প্রশিক্ষণ, এবং মিশন সামাজিক মাধ্যম ইউ –এর একটি জোট এই দলগুলি কোন পথে কার্য করছে তা প্রতিফলিত করে একত্রে একটি দুর্দান্ত ভিডিও রেখেছিল৷ সহযোগিতার একটি মহান উদাহরণ দেখতে ওয়াট্ ইজ্ মিডিয়া আউটরিচ্? ভিডিওটি দেখুন৷

উপরুক্ত গোষ্ঠীগুলি যেই কৌশলটি ব্যবহার করেছে তা মনের সমাপ্তির সাথে শুরু হয়ঃ পুনরুৎপাদনকারী শিষ্য৷ গবেষণা-অবহিত, সৃজনশীল, এবং সাংস্কৃতিকভাবে সংবেদনশীল সামাজিক মাধ্যমের সামগ্রী—ভিডিও এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টগুলি, কৌশলগত বিপণনের সাথে মিশ্রিত করে, লোকেদের বাক্যের প্রতি অন্বেষণ এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে৷ আমি প্রার্থনা করি যে আমরা যেন এই সময়ের দিকে নজর দিতে পারি এবং ইষাখরের (১ বংশাবলী) মতো ব্যক্তিদের সময়গুলিকে বুঝতে পারি এবং সমস্ত সম্ভাব্য উপায়গুলি ব্যবহার করে সকলেই যেন খ্রীষ্টের প্রেম, ত্যাগ, এবং ক্ষমাকে জানতে পারে তা দেখতে পারি৷

Categories
আন্দোলন সম্পর্কে

কেন আমাদের ভালো কর্ম করা বন্ধ করতে হবে?

কেন আমাদের ভালো কর্ম করা বন্ধ করতে হবে?

– সি. অ্যান্ডার্সন দ্বারা লিখিত .

এই ব্লগটি মূলত সি. অ্যান্ডার্সন-এর ব্লগ, Pursing Disciple Making Movements in the Frontiers –এ প্রকাশিত হয়েছিল৷ 

ছাঁটাই বস্তুগুলিকে কুৎসিত করে তোলে৷ প্রথমে সেটি যেমন দেখায় আমরা তা পছন্দ করি না৷ থাইল্যান্ডে আমার বাড়ির সামনে, আমাদের ফুলের গুল্ম রয়েছে৷ তাদের সুস্থ থাকতে ছাঁটাই করতে হবে৷ প্রতি কয়েক মাসে, আমি বাইরে গিয়ে শাখাগুলি ছাঁটাই করি৷ বিশেষ করে যেগুলির মধ্যে এখনও ফুল ফুটে রয়েছে তাদের কেঁটে ফেলা খুব কষ্টকর৷ যদি আমরা একটি শিষ্য নির্মাণকারী আন্দোলনকে দেখতে চাই তাহলে নিষ্ফল ক্রিয়াকলাপকে ছাঁটাই এবং ফলপ্রসূতার কর্মে বিনিয়োগ আবশ্যক৷ সর্বশেষ কিছু প্রবন্ধগুলিতে, আমি আন্দোলনগুলির সাথে ঈশ্বরে বিশ্বাসী নেতাদের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে লিখেছি৷ আরও একটি যুক্ত করা যাক৷

ঈশ্বরের ব্যবহৃত আন্দোলনের নেতারা নিষ্ফল ক্রিয়াকলাপকে বন্ধ করতে ইচ্ছুক৷ তারা রাজ্যের ফল উৎপাদনকারী কার্যগুলি করতে মনোযোগী৷ শিষ্যের সংখ্যাবৃদ্ধির দ্বারা খ্রীষ্টের বাধ্য হতে ঈশ্বর প্রদত্ত আমাদের হৃদয়ে থাকা দর্শনের প্রকাশে আমরা যা কিছু করি তার মূল্যায়ণ করতে হবে৷ 

নেতারা যারা ছেড়ে দিতে অস্বীকার করেন, বা নিষ্ফল ক্রিয়াকলাপগুলি এবং প্রচেষ্টাগুলির প্রয়োজনীয় সমাপ্তীগুলি তৈরী করেন৷ তারা সংখ্যাবৃদ্ধি দেখতে পারেন না৷ উদার নেতারা তাদের কর্মের মূল্যায়ণ করেন৷ তারা ভালোকে ছাঁটাই করে উত্তমের প্রতি সময় দিতে ইচ্ছুক৷

আপনি কি ভালো কর্ম বন্ধ করতে ইচ্ছুক?

আমার দ্বারা প্রশিক্ষিত একজন নেতা তার কর্মকান্ডের পদক্ষেপগুলি সম্পাদন করতে ক্রমাগত সংঘর্ষ করেছিলেন৷ তিনি তার আন্দোলনের দর্শনে সামান্য অগ্রগতি করেছিলেন৷ আমরা যখন ফোনে সাক্ষাৎ করি, অথবা তিনি প্রশিক্ষণে উপস্থিত হন, তখন এই যুবক এশিয়ান ব্যক্তিটি আগ্রহী ছিলেন৷ আবেগপ্রবণ প্রার্থনা, তার গালগুলি হয়ে প্রবাহিত অশ্রুধারা, মধ্যস্থতার সময় প্রবাহিত তার মুখের বাক্য৷ আমি দেখতে পাচ্ছিলাম যে তিনি কি ভীষণভাবে দেখতে চেয়েছিলেন যে তার লোকেরা যাতে ঈশ্বরকে জানতে পারে৷ প্রেরিতের পুস্তকটি পড়ে তিনি আন্দোলনের নীতিগুলিকে গ্রহণ করেছিলেন, তাদের সত্য বলে বিশ্বাস করেছিলেন৷

এই ভাইয়ের সাথে কয়েক বছর কাজ করার পর, সমস্যাটি স্পষ্ট হয়েছিল৷ পিতার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি, খ্রীষ্টিয় সম্প্রদায়ের মাতৃমণ্ডলীটি, তাকে বিরত করেছিল৷ তিনি ফলপ্রসূ শিষ্য নির্মাণকারী কার্যক্রমের প্রতি মনোযোগ দিতে পারছিলেন না৷

একটি অনুশিক্ষণ অধিবেশনের পর, তিনি তার ঐকসের হারানো ব্যক্তিদের সাক্ষাতের একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেন এবং একটি বাইবেলের গল্প বলেন৷ কয়েক সপ্তাহের পর তিনি কথা বলেন৷ তিনি বলেছিলেন সেই সপ্তাহে তিনি একটি যাজক সম্মেলনে, তার এক জ্ঞাতিভাইয়ের বিবাহে, এবং একটি বড় মণ্ডলীর পাষ্টার, তার পিতার জন্য ভারার্পিত কার্যগুলি চালাতে ব্যস্ত ছিলেন৷ 

প্রতিবার আমরা সাক্ষাৎ করতাম, বিভিন্ন ধরনের বিষয় থাকত যেগুলির সাথে তার ব্যস্ততা ছিল৷ ধরনটি একই ছিল৷ শিষ্য নির্মাণের উপর মনোনিবেশ করে অন্যদের প্রতি তার আনুগত্যের ভিত্তিতে, তার জীবনের কিছু বিষয়গুলি বন্ধ করতে তিনি ইচ্ছুক ছিলেন না৷ 

এই ভাইয়ের একজন আন্দোলনের নেতা হিসাবে সম্ভাবনা ছিল৷ আজকে, বহু বছর পরেও,তার কেবলমাত্র একটি ছোট মণ্ডলী রয়েছে৷ তার ভালো বিষয়গুলি ছেড়ে দেওয়া, এবং পরিবর্তে ফলপ্রসূ বিষয়গুলি বেছে নেওয়া উচিৎ ছিল৷ এটি তার ইচ্ছামত করতে পারার কোন পছন্দ ছিল না৷

আমিই প্রকৃত দ্রাক্ষালতা এবং আমার পিতা ক্ষেত্রপাল। 2আমার সঙ্গে যুক্ত কোন শাখায় যদি ফল না ধরে তিনি সে শাখা কেটে ফেলে দেন আর প্রত্যেকটি ফলবন্ত শাখা তিনি ছেঁটে দেন যেন তাতে আরও বেশি ফল ধরে। যোহন ১৫:১-২

নিষ্ফল অনুশীলনগুলির ছাঁটাই

ছাঁটাই মানে কেটে ফেলা৷ আমরা আমাদের ছাঁটাই যন্ত্রগুলিকে শাখায় নিয়ে যাই এবং ছিন্ন করি৷ এটি ভূমিতে পড়ে এবং শুকিয়ে যায়৷ আমরা এটিকে মাঠে কিংবা জঞ্জালপাত্রে ফেলে দিয়ে থাকি৷ 

একজন শিষ্য নির্মাণকারী হিসাবে আপনাকে কী ছাঁটাই করতে ইচ্ছুক হতে হবে? ঈশ্বরের জিজ্ঞাস্যের প্রতি এটি একটি প্রশ্নটি ৷ আপনার আরম্ভের জন্য, আমার নিজস্ব জীবন থেকে কিছু উদাহরণ দেখা যাক৷ প্রার্থনার জন্য শূণ্যস্থান তৈরী করতে, প্রতিবেশীদের শিষ্য করতে, আন্দোলনের আগত নেতাদের প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ, এবং হারানোদের জন্য সময় দেওয়ার জন্য আমাকে এই সমস্ত বিষয়গুলি “ছাঁটাই” করে বাদ দিতে হয়েছিল৷ 

  • প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানগুলি আজ্ঞাবহ শিষ্যদের ফলাফল দেয়নি যারা অন্যদের প্রশিক্ষিত কররে পারে
  • আমি যেই নেতৃত্বের সমূহের অংশীদার ছিলাম তা অনেকটা সময় নিয়েছিল কিন্তু আমার ডিএমএম দর্শনকে এগিয়ে নিয়ে যায়নি
  • বিষয়গুলি শিষ্য নির্মাণের সাথে সম্পর্কিত না হলে বিদ্যালয়গুলিতে কথা বলা
  • সম্মেলনে অংশ নেওয়া যেহেতু আমি সেখানে উপস্থিত হতে “অনুমিত” ছিলাম
  • নিষ্কাশিত ক্রিয়াকলাপ এবং বৈঠকগুলি যা জীবনদায়ী নয়
  • প্রতিটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা

নিঃসন্দেহে, এইগুলি কঠিন নির্ণয় ছিল৷ যখন আপনি সেগুলি করেন সবাই বুঝতে পারে না৷ আপনি কিভাবে সেই বিষয়গুলি করেন তার প্রতিও সাবধান থাকবেন৷ উদাহরনস্বরূপ! লোকেদের বলবেন না, “আপনার জন্য আমার কাছে সময় নেই কারণ আমি আরো ফলপ্রসূ বস্তুর প্রতি মনোযোগ দিয়েছি”৷ বুদ্ধিমান হন কিন্তু ঈশ্বর আপনাকে কি করবার জন্য আহ্বান করেছেন তার উপর মনোযোগ দিয়ে নির্ণয় নেবেন৷

ফলপ্রসূ ক্রিয়াকলাপগুলির বৃদ্ধি

অন্যান্য বস্তুগুলি কেটে বাদ দিয়ে দিলে, আপনি আপনার জীবনে ফলপ্রসূ অথবা উদ্ভাবনী ক্রিয়াকলাপগুলির জন্য স্থান তৈরী করেন৷ আমরা সবসময় জানতে পারি না যে কে ফল ফলাবে৷ বিশেষত এই ধরনের সময়ে, আমাদের ঈশ্বর দ্বারা প্রদত্ত সৃজনশীল নতুন ধারণাগুলির চেষ্টা করতে হবে৷ তারা ফলপ্রসূ হতেও পারে বা নাও পারে, কিন্তু আমাদের পরীক্ষা করতে এবং যাঁচাই করতে হবে৷ 

আপনার জীবনে সুসমাচার প্রচারের নতুন পদ্ধতির সৃষ্টি বা পরীক্ষা করার জন্য স্থান আছে কী?

সম্ভবতঃ আরো গুরুত্বপূর্ণ যে কোনটি ফলপ্রসূ তা পর্যবেক্ষণ করা এবং তাতে নিবেশ করা৷ সেই বস্তুগুলির জন্য আরও বেশী সময়, আরও অর্থ, আরও মানুষিক-শক্তি যা অনুরূপ পরিস্থিতিতে আপনার বা অন্যদের জন্য ভালোভাবে কাজ করছে৷ সেজন্যই শিষ্য নির্মাণকারী আন্দোলনগুলি অনুসরণকারীদের সম্প্রদায়ের অংশ হওয়া এতটা গুরুত্বপূর্ণ৷ আমরা একে অপরের থেকে এবং সাথে শিখতে পারি৷

কিছু ফলপ্রসূ অনুশীলনগুলি রয়েছে যেগুলির আমি আমার জীবনে স্থান তৈরী করার জন্য কঠোরভাবে পরিশ্রম করি৷

  • হারানোদের জন্য অসাধারণ প্রার্থনা (উপবাস এবং প্রার্থনার জন্য আমার দিন থেকে ঘন্টাগুলি, এবং মাস থেকে দিনগুলি আলাদা করে রাখা)
  • আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক কথোপকথন যাদের সাথে আমি অনুশিক্ষণ করি 
  • আমার পাড়ায় প্রার্থনার চলন, যাদের সাথে আমার দেখা হয় শুভেচ্ছা জানাতে থেমে যাওয়া এবং কথা বলা
  • অনলাইনে এবং ব্যক্তিগতভাবে আবিষ্কারী বাইবেল অধ্যয়ন 
  • আমার দলের জন্য নেতৃত্ব বিকাশের প্রশিক্ষণ
  • আমার নিজস্ব আত্মীক উন্নয়ণ এবং একজন ডিএমএম প্রশিক্ষক হিসাবে বৃদ্ধির জন্য চলমান শিক্ষা

এটি প্রয়োগের সময়৷

যেই ক্রিয়াকলাপগুলি আপনাকে আন্দোলনগুলির উদ্বোধনে এগিয়ে নিয়ে যাবে তার জন্য স্থান তৈরী করতে আপনাকে কী বন্ধ করতে হবে?

আপনার মনে যা কিছু আসছে লিখুন৷ পরবর্তী দু’এক দিনে, সেটি ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনায় ঈশ্বরের সাথে প্রক্রিয়ার জন্য সময় দিন৷ DMMs Frontier Missions Facebook Group-টিতে, অথবা নীচের মন্তব্যে, এই প্রবন্ধে আপনি যা শিখেছেন তা প্রয়োগ করতে আপনি যেই পদক্ষেপ নেবেন তা পোস্ট করুন৷

Categories
আন্দোলন সম্পর্কে

ভোজপুরী সিপিএম কিভাবে অন্যান্য আন্দোলনগুলি শুরু করেছিল

ভোজপুরী সিপিএম কিভাবে অন্যান্য আন্দোলনগুলি শুরু করেছিল

– ভিক্টর জন দ্বারা লিখিত –

ঈশ্বর উত্তর ভারতের ভোজপুরী বক্তাদের মধ্যে, এক কোটিরও বেশী বাপ্তিস্মাপ্রাপ্ত প্রভূ যীশুর শিষ্যদের এক সিপিএমের সাথে আশ্চর্যজনক কার্য করছেন৷ এই আন্দোলনে ঈশ্বরের গৌরব এই এলাকার ঐতিহাসিক পটভূমির বিরুদ্ধে আরও উজ্জ্বলভাবে প্রকাশিত হয়৷ ভারতের ভোজপুরী এলাকাটি বিভিন্ন দিক থেকে উর্বর – কেবলমাত্র মাটিতেই নয়৷ এখানে অনেক মহান ধর্মীয় নেতারা জন্ম গ্রহণ করেছেন৷ এই অঞ্চলেই গৌতম বুদ্ধ তাঁর জ্ঞানার্জন করেছিলেন এবং তাঁর প্রথম ধর্মোপদেশ দিয়েছিলেন৷ যোগ এবং জৈন ধর্মের সূত্রপাতও এখানেই হয়েছিল৷ 

ভোজপুরী এলাকাটিকে অন্ধকারের স্থান হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে – শুধুমাত্র খ্রীষ্টিয়দের জন্য নয়, কিন্তু অ-খ্রীষ্টিয়দের জন্যও৷ নোবেল বিজয়ী ভি.এস. নাইপল, পূর্ব উত্তর প্রদেশ ভ্রমণের পরে, এক অন্ধকার এলাকা নামক একটি বই লেখেন, যা এই অঞ্চলটির উচ্ছ্বাস এবং ভ্রষ্টাচারকে ভালোভাবে ব্যক্ত করেছে৷ 

অতীতে, এই অঞ্চলটি খুবই, সুসমাচারের জন্য অতিশয় প্রতিকূল ছিল, যা বিদেশ হিসাবে দেখা হয়েছিল৷ এটি “আধুনিক মিশনের কবরস্থান” হিসাবে পরিচিত ছিল৷ যখন বৈদেশিক প্রশ্রয় সরে যায়, লোকেরা সুসমাচার গ্রহণ করতে শুরু করে৷

কিন্তু ঈশ্বর কেবলমাত্র ভোজপুরী বক্তাদের কাছেই পৌঁছাতে চান না৷ ঈশ্বর যখন আমাদের ভোজপুরী গোষ্ঠীর বাইরেও ব্যবহার করতে শুরু করেন, কিছু লোকেরা জিজ্ঞেস করেছিল, “আপনারা ভোজপুরীদের সাথে পৌঁছানোতেই সীমিত থাকেন না কেন? সেখানে তাদের মতো আরো অনেক আছে! ১৫ কোটি মানুষের এক বিপুল সংখ্যা! সেই কার্যটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনি সেখানেই থাকছেন না কেন?”

আমার প্রথম প্রতিক্রিয়াটি হ’ল সুসমাচারের কার্যের অগ্রণী প্রকৃতি৷ প্রেরিত/অগ্রণী কার্য সবসময় সেই স্থানগুলির সন্ধানে জড়িত থাকে যেখানে সুসমাচারটির এখনও শিকড় গজায়নিঃ যেখানে খ্রীষ্ট এখনও অপরিচিত সেই স্থানে খ্রীষ্টের পরিচয় করানোর সুযোগ সন্ধান করা৷ সেটি ছিল আমাদের অন্যান্য ভাষার গোষ্ঠীগুলিতে প্রসারিত হওয়ার একটি কারণ৷ 

দ্বিতীয়ত, এই বিভিন্ন ভাষাগুলি একে অপরের সাথে, তাদের প্রয়োগে সমপাতীত হয়৷ কোনও স্পষ্ট রেখা নেই যেখানে একটি ভাষার ব্যবহার সমাপ্ত এবং অন্যটির শুরু হয়৷ এছাড়াও, বিশ্বাসীরা প্রায়শই তাদের সম্পর্কগুলির জন্য স্থানান্তরিত করে, যেমন বিয়ে করা বা অন্য কোথাও কোন চাকরীর প্রস্তাব পাওয়া৷  আন্দোলনের ব্যক্তিরা যেমন ভ্রমণ করে বা স্থানান্তরিত করে, তাদের সাথে সুসমাচারও গিয়েছে৷ 

কিছু ব্যক্তিরা ফিরে এসে বলেছিল, “আমরা ঈশ্বরকে এই অন্য স্থানটিতে কার্য করতে দেখেছি৷ আমরা এই এলাকাটিতে একটি কার্য শুরু করতে চাই৷” আমরা তাদের বলেছিলাম, “এগিয়ে যাও !”

সুতরাং তারা এক বছর পরে ফিরে এসে বলেছিল, “আমরা সেখানে ১৫টি মণ্ডলী স্থাপণ করেছি৷” আমরা আশ্চর্য এবং আশির্বাদিত হয়েছিলাম, কারণ এটি জৈবিকভাবে ঘটেছিল৷ কোনও আলোচ্যসূচী ছিল না, কোনও প্রস্তুতি ছিল না, এবং কোনও তহবিলও ছিল না৷ তারা যখন জিজ্ঞেস করেছিল যে এরপরে কী, আমরা বিশ্বাসীদের ঈশ্বরের বাক্যের মধ্যে ভিত্তি করে এবং দ্রুত পরিপক্ক হতে সাহায্য করার জন্য তাদের সাথে কার্য শুরু করে৷ 

তৃতীয়ত, আমরা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি আরম্ভ করেছিলাম, যা ইচ্ছাকৃত এবং অজান্তে (আমাদের চেয়ে ঈশ্বরের পরিকল্পনা) উভয় ভাবেই কার্যটিকে প্রসারিত করেছিল৷ কখনও কখনও আশেপাশের ভাষাগোষ্ঠীর ব্যক্তিরাও প্রশিক্ষণে আসতো এবং তারপরে বাড়ি ফিরে গিয়ে তাদের নিজস্ব লোকেদের মাঝে কার্য করতো৷

সম্প্রসারণের চতুর্থ কারণটিঃ অনেক সময় লোকেরা আমাদের কাছে আসতো এবং বলতো, “আমাদের সাহায্য চাই৷ আপনারা কী আমাদের সাহায্য করতে আসতে পারেন?” আমরা যথাসাধ্য তাদের সহায়তা এবং উৎসাহিত করতাম৷ এগুলিই ছিল ভোজপুরী এলাকা ছাড়িয়ে প্রতিবেশী অঞ্চলে যাওয়ার মূল কারণ৷

১৯৯৪ সালে ভোজপুরীদের মধ্যে কার্য শুরু হয়, তারপর এইক্রমে অন্যান্য ভাষা এবং এলাকায় ছড়িয়ে পড়েঃ আধি (১৯৯৯), জ্ঞাতিভাই (২০০২), বাংলা (২০০৪), মাগাহী (২০০৬), পাঞ্জাবি, সিন্ধি, হিন্দি, ইংরেজি (শহুরে সম্প্রদায়্গুলিতে) এবং হারিয়ানভি (২০০৮), অঙ্গীকা (২০০৮), মৈথিলি (২০১০), এবং রাজস্থানী (২০১৫)৷

আমরা ঈশ্বরের প্রশংসা করি যে আন্দোলনটি বিভিন্ন ভাষাগোষ্ঠী, বিভিন্ন ভৌগলিক অঞ্চল, একাধিক বর্ণগোষ্ঠী (সেই সমস্ত ভাষা এবং ভৌগলিক অঞ্চলের মধ্যে), এবং বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে বিভিন্ন উপায়ে ছড়িয়ে পড়ছে৷ সুসমাচারের শক্তি সমস্ত ধরনের সীমানাকে ভাঙ্গতে থাকে৷

মৈথিলি জনগনের মধ্যে কার্যটি অংশীদারিত্বের খুব ভালো উদাহরণ হিসাবে পরিচর্যা করে৷ একজন মূল নেতার সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব আন্দোলনকে প্রসারিত করার একটি পরীক্ষা ছিল৷ আমাদের নিজস্ব কর্মচারীদের সাথে আমাদের নিজস্ব কার্যালয় খোলার পরিবর্তে, আমরা একই লক্ষ্যকে আরো বেশী পুনরুৎপাদনযোগ্য উপায়ে অর্জন করেছি৷

যদিও এই আন্দোলনগুলি দেশীয়ভাবে পরিচালিত হয়, আমরা একত্রে অংশীদারিত্ব অবিরত করি৷ সম্প্রতি আমরা পূর্ব বিহারের ১৫উর্দ্ধে অঙ্গীকা নেতাদের সর্বজনীন (সংহত) পরিচর্যার প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছি৷ আসন্ন বছরে আমরা তিনটি পৃথক সর্বজনীন পরিচর্যা কেন্দ্রগুলি শুরু করতে এবং আরো স্থানীয় অঙ্গীকা নেতাদের উত্থাপনে সহায়তা করার পরিকল্পনা করেছি৷ মৈথিলির মধ্যে কার্যরত আমাদের মূল অংশীদারও অঙ্গীকা এলাকায় কার্য প্রসারিত করছে৷

ভিক্টর জন, উত্তর ভারতের একজন স্থানীয় বাসিন্দা, ভোজপুরী জনগেণর মধ্যে একটি আন্দোলনের লক্ষ্যে এক সর্বজনীন কৌশল স্থানান্তরণের পূর্বে ১৫ বছর একজন পাষ্টার হিসাবে পরিচর্যা করেছিলেন৷ ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে সূচনা থেকে তিনি বৃহত্তর এবং ক্রমবর্ধমান ভোজপুরী আন্দোলনের এক অনুঘটকের ভুমিকা পালন করেছেন৷

এই পোস্টটি ভোজপুরী ব্রেকথ্রু পুস্তকের অনুমতি নিয়ে উদ্ধৃত হয়েছে৷ (স্মৃতিসৌধ, সিওঃ উইগটেক রিসোর্সেস, ২০১৯), পৃষ্ঠা ৪, ১২১-১২৩, ১৩৭, ১৪২-১৪৩, এবং ২৪:১৪ বই-এর ১৮৫-১৮৮ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়েছে – সমস্ত লোকদের পক্ষে একটি সাক্ষ্য, ২৪:১৪ থেকে বা অ্যামাজন-এ উপলব্ধ৷

Categories
আন্দোলন সম্পর্কে

ইউইউপিজি অন্তর্ভুক্ত পরিচর্যা

ইউইউপিজি অন্তর্ভুক্ত পরিচর্যা

– লিপক লেমতুর দ্বারা লিখিত 

Global Assembly of Pastors for Finishing the Task-এর জন্য এক ভিডিও থেকে সম্পাদিত – 

 

 

আমি ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশের একটি ছোট রাজ্য, নাগাল্যান্ড থেকে এসেছি৷ আমি গত ১৭ বছর ধরে মণ্ডলী স্থাপণের মধ্যে আছি৷ আজ আমি এক বিপুল সংখ্যক নেতাদের প্রতিনিধিত্ব করছি যারা [মথি] ২৪:১৪ দর্শনে একমত হয়ে একত্রিত হয়েছেন৷ আমাদের বর্ণবাদী পটভূমি বা মিশন সংস্থাগুলি নির্বিশেষে, আমরা একত্রে এসেছি, এবং একমত হয়ে বলেছি, “আসুন কাজটি শেষ করি৷”

আজকে আমার দেশের মধ্যে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যক্ষেত্রে রয়েছেঃ ১ কোটি ৫ লক্ষ জনসংখ্যা এবং প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ আমাদের কাছে ৬১৫,০০০টি গ্রাম ১,৭৫৭ জনগোষ্ঠী এখন পর্যন্ত যাদের সনাক্ত করা হয়েছে৷ ১,৭৫৭ জনের মধ্যে ১,৫১৭ জন সুসমাচার অপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর তালিকায় রয়েছে৷ অসংযুক্ত সুসমাচার অপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর ভারত ৬৮৮টি তালিকা রয়েছে৷ সুতরাং, আমাদের সন্মুখে অপ্রতিরোধ্য কার্যটি সহ, আমরা ভারতের ২৪:১৪ পরিবার প্রার্থনা সহকারে একমত হয়েছিঃ আমরা প্রতিটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সুসমাচার পৌঁছানোর কার্যটি শেষ করবো, যাতে ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৫ সাল পর্যন্ত সেখানে কোন অসংযুক্ত জনগোষ্ঠী না থাকে৷ সুতরাং আমাদের কাছে তাৎক্ষনিকতা এবং অপ্রতিরোধ্য কার্যের একটি বোধ আছে৷

আমরা আমাদের সন্মুখে এক বিপুল সংখ্যকের সাথে ধরা হতে পারি৷ কিন্তু আমরা সাধারণ সরঞ্জামগুলির কাছে ফিরে যেতে চাইঃ আমাদের যে কার্যভার অর্পণ করা হয়েছে তার জন্য বাইবেল আমাদের সহজ পথটি দেখিয়েছে৷ মহান আদেশ প্রত্যেক বিশ্বাসীকে দেওয়া হয়েছেঃ সমস্ত জাতির কাছে গিয়ে সুসমাচার প্রচার করো, পিতা, পুত্র, পবিত্র আত্মার নাম বাপ্তিস্ম দেও, এবং প্রভূ যীশু যেসকল আদেশ করেছেন তা পালন করতে শেখাও৷ এই মহান আদেশটি সকল বিশ্বাসীদের দেওয়া হয়েছিল, সুতরাং আমরা সমস্ত বিশ্বাসীদের যাজকত্বে বিশ্বাস করি৷ ১ পিতর ২:৯ পদে, পিতর লিখেছেনঃ “তোমরা মনোনীত বংশ, রাজকীয় যাজক শ্রেণী” আমরা সম্মত হই, একটি কাগজের টুকরোতে নয়; আমরা অনুশীলনে একমত৷

এটি যোহন ৪ অধ্যায়ের মতো, যেখানে প্রভূ যীশু কুয়োর পাড়ে সেই শমরিয় স্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং সে কে ছিল তা প্রকাশ করেছিলেন৷ এই স্ত্রীটি এক অন্ধকার অতীতে বাস করেছিলঃ তার পাঁচজন স্বামী ছিল, এবং ষষ্ঠ যার সঙ্গে সে ছিল সেও তার স্বামী ছিল না৷ কিন্তু সে প্রভূ যীশু খ্রীষ্টকে গ্রহণ এবং বিশ্বাস করে, তারপর সে তার কলসী ফেলে রাখে ও তার গ্রামে ফিরে যায় এবং বলেঃ “একজনকে দেখবে এস, আমি যা কিছু করেছি, সব তিনি বলে দিয়েছেন। বোধহয় ইনিই সেই মশীহ?” এবং সারা গ্রাম বিশ্বাসে এসেছিল। অতএব এই স্ত্রীটি, যে সবেই বিশ্বাস করেছিল, একজন ঈশ্বরের সন্তান হয়েছিল। সে একজন যাজকের পরিচয় গ্রহণ করে এবং অবিলম্বে তার যাজকত্বের অনুশীলনে ইচ্ছুক ছিল।

আমরা আমাদের সমস্ত বিশ্বাসীদের একত্রিত করতে চাই, যাতে তারা প্রতিটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সুসমাচারের পৌঁছানোর কর্মসৈন্য হয়ে ওঠে। একটি নতুন গ্রামে প্রবেশ করার জন্য আমরা তাদের একটি সাধারণ পরিকল্পনার সাথে প্রশিক্ষণ, একটি সাধারণ সরঞ্জাম দিতে চাই। সেটি লুক ১০ অধ্যায় থেকে, যেখানে প্রভূ যীশু ৭০ জনকে প্রেরণ করেন, দুজন দুজন করে। এর অর্থাৎ ৩৫ জোড়া ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেঃ ঈশ্বর তাদের শান্তির ব্যক্তি দেওয়ার জন্য প্রার্থনা করা। আমরা তাদের সাধারণ সরঞ্জামে সুসজ্জিত করিঃ তাদের কাহিনী এবং ঈশ্বরের কাহিনী বলতে পারা। এবং প্রত্যেক বিশ্বাসীদের সাধারণ শিষ্যত্ব এবং কিভাবে একটি মণ্ডলী গঠিত হয় তার প্রশিক্ষণ দিই। 

তার জন্য, আমরা প্রেরিত ২:৪১-৪৭ পদ দেখছি। একটি মণ্ডলী হিসাবে প্রথম বিশ্বাসীরা কি করেছিল? এটি সহজ ছিল। তারা কোথায় দেখা করতো? তারা তাদের গৃহে দেখা করতো। আমরা পুরো নতুন নিয়ম জুড়ে এর উদাহরণগুলি দেখি। কলসীয় ৪:১৫ অধ্যায়ে পৌল লিখেছেনঃ “তোমারা গৃহে সমবেত মণ্ডলীকে আমার অভিবাদন জানিও।” ফিলেমন-কেওঃ “তোমারা গৃহে সমবেত মণ্ডলীকে আমার অভিবাদন জানিও।” এবং রোমীয় ১৬ এবং ১ করিন্থীয় ১৬ অধ্যায়েও বিশ্বাসীরা তাদের গৃহে সমবেত হওয়ার বিষয়ে আমরা পড়ি। সমবেত হওয়ার স্বাভাবিক স্থানটি ছিল তাদের গৃহ।

সুতরাং আমরা বিশ্বাসীদের সাধারণ পথ এবং সাধরণ সরঞ্জামে সজ্জিত করি। আমরা চাই যে তারা কিভাবে একটি মণ্ডলী গঠিত হয় এবং একটি হিসাবে কি করনীয় তা জানুক। তারপর তারা তাদের মধ্য থেকেই একজন নেতা বেছে নেয়। সুতরাং তাদের কাছে পাঁচ-পদক্ষেপের একটি পরিকল্পনা রয়েছেঃ প্রবেশ, সুসমাচার, শিষ্যত্ব, মণ্ডলী গঠন, এবং নেতৃত্বের বিকাশ। আমরা সমস্ত বিশ্বাসীদের একত্রিত করতে এবং তাদের ফসলের জন্য প্রেরণ করতে চাই। আমরা চাই প্রত্যেক বিশ্বাসী সুসমাচারের মালিকানা নিতে শুরু করবে, এবং তাদের কাহিনী এবং ঈশ্বরের কাহিনী বলবে। আমরা তাদের বন্ধু এবং আত্মীয়দের একটি তালিকা তৈরী করেছি যাদের তারা চেনে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বহুল পরিমানে এই জনগোষ্ঠীগুলিকে স্পর্শ করা যারা কখনো সুসমাচার শোনেনি। এই ব্যক্তিগুলি হলো যাদের আমরা প্রতিদিন বাজারে এবং ব্যবসাগুলিতে দেখা হয়। এমনকি আমরা যখন সামাজিকীকরণ করি তখন আমরা রদের মধ্যে অনেকের সাথে দেখা করি।

সুতরাং আমরা প্রত্যেক বিশ্বাসীদের সুসমাচারের মালিকানা নিতে এবং তাদের পরিবার ও বন্ধুদের একটি তালিকা তৈরী করার জন্য সজ্জিত করি — মার্ক ৫ অধ্যায়ের অশুচি আত্মার সমান। প্রভূ যীশু সবেমাত্র লোকটিকে উদ্ধার করেছিলেন, যে তার জীবনের অর্ধেক সময় কবরে ঘুমিয়ে ছিল। যখন গ্রামবাসী প্রভূ যীশুকে এলাকা ছাড়তে বলে, এই সবে নতুন বিশ্বাসী (বর্তমানে পোশাক পড়ে এবং সুমানসিক স্থিতিতে) প্রভূ যীশুকে অনুরোধ করেছিলঃ “আমাকে আপনার সাথে নিয়ে যান!” কিন্তু প্রভূ যীশু বিপরীতটি করলেনঃ তাকে তাঁর সাথে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে, প্রভূ যীশু তাকে ছেড়ে দেন এবং তাকে এক নতুন বিশ্বাসীর দায়িত্ব প্রদান করেন। তার কাছে কর শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল না এবং কোনো খ্রীষ্টিয় পটভূমি ছিল না। কিন্তু প্রভূ যীশু কেবল তাকে শস্যক্ষেত্রের মধ্যে ছেড়ে দেন এবং বলেনঃ “তুমি তোমার বাড়িতে আপনজনদের কাছে ফিরে যাও এবং প্রভু তোমার জন্য কি করেছেন, কিভাবে তোমার প্রতি কৃপা করেছেন সেকথা তাদের বল।” 

তাহলে যদি আমরা সকল বিশ্বাসীদের একত্রিত করি এবং প্রশিক্ষণ দিই, আমরা কার্যটি অর্জন করতে সক্ষম হব। আমরা এই জনগোষ্ঠীগলিকে সংযুক্ত করতে গেলে, অনেকেই জিজ্ঞেস করতে পারে, “আমরা কিভাবে সংযুক্তি পরিমাপ করতে পারি?” ভারতের ২৪:১৪ পরিবার হিসাবে আমরা বলেছি যে আমরা সংযুক্তির পরিমাপ করতে চাই। যখন একটি আন্দোলন শুরু হয় তখন জড়িত একটি জনগোষ্ঠীকে বিবেচনা করিঃ চারটি প্রজন্মের মণ্ডলীর স্থাপণ করা হচ্ছে।যেখানে মণ্ডলীগুলি অভ্যান্তরীনের দ্বারা চালিত হয় — এক স্থানীয় ব্যক্তি। যেখানে মন্ডলীগুলি অন্য মণ্ডলীগুলির স্থাপন করে। এর অর্থ স্থানীয় প্রেরণ — পরবর্তী গ্রামে আরেকটি প্রজন্মের মণ্ডলী স্থাপণের জন্য প্রেরণ। যখন আমরা চারটি প্রজন্ম দেখি, এটি দেখায় যে মণ্ডলীগুলি এখন নিজের টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে; সেই স্থানে একটি স্থানীয় মালিকানা এবং একটি স্থানীয় নেতৃত্ব রয়েছে। এর অর্থ নতুন বিশ্বাসীরা নিজেরাই অন্যদের কাছে সুসমাচার নিয়ে যাচ্ছে। মণ্ডলীগুলি সুস্থ, স্ব-শাসিত, স্বাবলম্বী, তাদের নিজস্ব নেতা বাছাই করে, এবং অন্য গ্রামে যেখানে সুসমাচার প্রচার করা হয়নি শ্রমিক প্রেরণ। তারা স্ব-সংশোধন এবং স্ব-ভোজন করে। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তাদের কোন বহিরাগতের প্রয়োজন নেই৷ যখন চার প্রজন্মের মণ্ডলীগুলি আরম্ভ হয়, আমরা বলি একটি জনগোষ্ঠী সংযুক্ত হয়েছে।

একটি আন্দোলনকে স্বাবলম্বী হতে হবে। আমরা যদি কোনো ক্ষেত্র থেকে খুব শীঘ্রই বেরিয়ে যাই, বা কেবল একজন বা দুজন শ্রমিককে প্রার্থনা এবং সুসমাচার প্রচারের জন্য প্রেরণ করি, আমরা বলি না যে জনগোষ্ঠী সংযুক্ত হয়েছে। মনে যেই শব্দটি আসে তা হল খ্রীষ্টিয় কার্যাধ্যক্ষত্ব। আমরা কি ভালো কার্যাধ্যক্ষ? আমরা কি শীঘ্রই ক্ষেত্র থেকে বেরিয়ে এসেছি? যদি সুসমাচার নিজেকে ধরে রাখতে সক্ষম না হয়, আমরা শীঘ্রই ক্ষেত্র থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমরা একজন বা দুজন শ্রমিককে প্রেরণ করেছি বলে তারা সুসমাচার প্রাপ্ত হয়েছে বিবেচনা করলে, আমরা কিছু জনগোষ্ঠীকে পিছনে ছেড়ে বিপদে পড়তে পারি। তবে আমাদের চারটি প্রজন্মের মণ্ডলীর সিপিএম অনুশীলন অনুসারে লক্ষ্য নির্ধারণ এবং পরিমাপ করা দরকার, যেখানে এটি স্ব-স্বাবলম্বী। আমরা এই জনগোষ্ঠীর জন্য ভালো কার্যাধ্যক্ষ হতে চাই। আমরা এই জনগোষ্ঠীর সাথে স্বর্গে সাক্ষাৎ করতে চাই। প্রকাশিতবাক্য ৭:৯ পদে বিভিন্ন ভাষার জনগোষ্ঠী যীশু খ্রীষ্টের আরাধনার জন্য একত্রিত হওয়ার বর্ণনা দেয়। তাই আমরা কোনও জনগোষ্ঠীকে পিছনে ছেড়ে যেতে চাই না। ভারতের ২৪:১৪ পরিবারের অনুরোধ হিসাবে, আমরা আপনাদের সকলকে ভারতীয় মণ্ডলীর জন্য প্রার্থনার নিবেদন জানাই। প্রার্থনা করুন যাতে আমরা সুসমাচারের মালিকানা নিতে এবং কার্যটি সম্পূর্ণ করতে পারি। আমাদের সময়সীমার তৎপরতা মনে রাখবেনঃ ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে। সুতরাং আমাদের প্রার্থনায় যোগ দিন যাতে আমরা প্রত্যেক বিশ্বাসীদের একত্রিত এবং প্রশিক্ষিত করতে পারি, অসংযুক্ত সুসমাচার অপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীগুলির কাছে সুসমাচার পৌঁছে দিতে পারি। এবং এই বিষয়ে আমরা যাতে ভালো কার্যাধ্যক্ষ হতে পারি; যাতে আমরা শীঘ্রই ক্ষেত্র থেকে বেরিয়ে না আসি এবং কার্যটি অসমাপ্ত না ছাড়ি। প্রার্থনা করুন যেন ঈশ্বর এই গতিবেগটি নির্মাণের জন্য সর্বত্র আমাদের সংস্থানও সরবরাহ করেন।

আমরা দেখেছি যে যখন কোনো আম্দলন শুরু হয় তখন অন্যান্য আন্দোলণগুলিও শুরু হয়। সুতরাং একজন আন্দোলনের নেতা হিসাবে, আমরা মণ্ডলীর গুণক হওয়ার জন্য আরও বেশী শ্রমিকের প্রশিক্ষণ চাই। তারপর আমরা তাদের শস্যক্ষেত্রে প্রেরণ করতে চাই। এই অপ্রতিরোধ্য এবং তাৎক্ষনিকতার কার্য, এবং ভারতীয় মণ্ডলীগুলি একতায় চলার জন্য প্রার্থনায় আমাদের সাথে যোগ দিন। প্রার্থনা করুন যেন এই এক সময়ের মতো, আমরা ২৪:১৪ দর্শনের সাথেও একমত হওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে পারি এবং বলতে পারি, “আসুন আমরা একত্রে কার্যটি শেষ করি!”

অনেক ভারতীয় সিপিএম নেটওয়ার্কগুলিতে (এবং পাশাপাশি কিছু অন্যান্য দেশ), তারা যথেষ্ট প্রগতি দেখেছে যে তাদের লক্ষ্য চারটি প্রজন্মের মণ্ডলীগুলির তাদের সংযুক্তির মানদণ্ডে — অন্য কোথায়, যখন কোন আন্দোলন শুরু হয় একটি গোষ্ঠী কার্যকরভাবে জড়িত হয়। অন্যান্য অবস্থানের নেটওয়ার্কগুলি একটি গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী অনুঘটককে এবং চার প্রজন্মের মণ্ডলীর একাধিক প্রবাহকে আন্দোলন সংযুক্তির চিহ্নস্বরূপ বিবেচনা করা হয়।

Categories
আন্দোলন সম্পর্কে

ইতিহাসের কাহিনীসূত্র — অন্তিম অধিস্থাপনের সমাপ্তি

ইতিহাসের কাহিনীসূত্র — অন্তিম অধিস্থাপনের সমাপ্তি

– স্টিভ স্মিথ দ্বারা লিখিত 

প্রায়শই আমরা ভুল প্রশ্ন দিয়ে শুরু করে থাকিঃ “আমার জীবনের জন্য ঈশ্বরের ইচ্ছা কী?” এই প্রশ্নটি অতি স্ব-কেন্দ্রিক হতে পারে৷ এটি আপনি এবং আপনার জীবন সম্পর্কিত৷ 

সঠিক প্রশ্নটি হলো “ঈশ্বরের ইচ্ছা কি?” পর্ব৷ তারপর আমরা জিজ্ঞেস করি, “আমার জীবন কিভাবে তার সর্বোত্তম পরিচর্যা করতে পারে?” 

ঈশ্বরের নামকে মহিমান্বিত করতে, আপনাদের বুঝতে হবে ঈশ্বর আমাদের প্রজন্মে কি করছেন—তাঁর উদ্দেশ্য৷ সেটি জানার জন্য ঈশ্বর ইতিহাসে কি করেছেন তা আপনাদের জানতে হবেঃ আদিপুস্তক ১ অধ্যায়ে যেই কাহিনীটি শুরু হয়েছিল এবং প্রকাশিতবাক্য ২২ অধ্যায়ে যা শেষ হবে৷

তখন আপনি ঐতিহাসিক চিত্রপটে নিজেকে খুঁজে পাবেন৷ উদাহরণস্বরূপ, রাজা দাউদ তাঁর নিজস্ব প্রজন্মের মধ্যে অনন্যভাবে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের পরিচর্যা করেছিলেন (প্রেরিত ১৩:৩৬) স্পষ্টভাবে কারণ তিনি ঈশ্বরের মনের মতো ব্যক্তি ছিলেন (প্রেরিত ১৩:২২)৷ তিনি পিতার কাহিনীর প্রতি তার প্রচেষ্টার অবদান রাখতে চেয়েছিলেন৷ আব্রাহামের প্রতিশ্রুতিটি (ভূমির উত্তরাধিকারী এবং জাতিগুলির প্রতি আশির্বাদ হবে) এগিয়ে একটি বিরাট ঝাঁপ নেয় যখন ঈশ্বর তাঁর মনের মতো এবং তাঁর উদ্দেশ্যের পরিচর্যা করার ব্যক্তিকে খুঁজে পান৷ ২ শমুয়েল ৭:১ পদ অনুসারে, ইস্রায়েলীয়দের জয় করার কোনও স্থান অবশিষ্ট না থাকাতে তাঁর সেই দেশ উত্তরাধিকারের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছিলেন৷ 

আমাদের পিতার হৃদয় হলো ইতিহাসের কাহিনীসূত্র৷ যখন তিনি তাঁর হৃদয়ের মতো নায়কদের খুঁজে পান তখন তিনি চিত্রপটের গতি বাড়িয়ে দেন৷ ঈশ্বর এক নতুন প্রজন্মকে আহ্বান করছেন যা শুধুমাত্র চিত্রপটের মধ্যে থাকবে তা নয় কিন্তু চিত্রপটটি সমাপ্ত করে, কাহিনীসূত্রকে তার চূড়ায় পৌঁছে দেবে৷ তিনি একটি প্রজন্মকে আহ্বান করছেন যে একদিন বলবে, “ঈশ্বরের রাজ্য সম্প্রসারণের জন্য আর কোনও স্থান অবশিষ্ট নেই” (যেমন পৌল রোমীয় ১৫:২৩ পদে একটি বৃহৎ অঞ্চল সম্পর্কে লিখেছেন৷)

কাহিনীসূত্রকে জানা হলো ঈশ্বরের ইচ্ছাকে জানা

একবার আপনি কাহিনীসূত্রকে জানলে, আপনি এতে নিজের স্থানটি নিতে পারবেন, কোনও পার্শ্ব চরিত্র হিসাবে নয় কিন্তু লেখকের শক্তি দ্বারা চালিত এক নায়ক হিসাবে৷

প্রধান কাহিনীসূত্রটি সৃষ্টিতে শুরু হয়েছিল (আদিপুস্তক ১ অধ্যায়ে) এবং পূর্ণতায় সমাপ্ত হয় (প্রভূ যীশুর পুনরাগমণ — প্রকাশিতবাক্য ২২)৷ এটি একটি মহান দৌড়ের কাহিনী৷ প্রত্যেক প্রজন্ম রিলে দৌড়ে একটি অধিস্থাপন চালায়৷ একটি চূড়ান্ত প্রজন্ম থাকবে যা সর্বশেষ অধিস্থাপনটি চালায় — একটি প্রজন্ম যে রাজাকে তাঁর ইতিহাস-দীর্ঘ প্রচেষ্টার পুরস্কার গ্রহণ করতে দেখে৷ সেখানে একটি অন্তিম-অধিস্থাপন থাকবেআমরা কেন নয়?

ইতিহাসের উদ্দেশ্য

এই কেন্দ্রীয় কাহিনীসূত্রটি সম্পূর্ণ বাইবেল জুড়ে চলে, প্রতি ৬৬টি পুস্তকের মাধ্যমে তার পথ বুনছে৷ তবুও কাহিনীসূত্রটি ভুলে যাওয়া বা উপেক্ষা করা সহজ, এবং এই ধরনের চিন্তায় অনেকেই উপহাস করে৷

শেষের দিনগুলিতে স্বেচ্ছাচারী উচ্ছৃঙ্খল ধর্মনিন্দুকদের আবির্ভাব হবে। তারা বলবে, “তাঁর আগমনের প্রতিশ্রুতির কি হল?” আমাদের পিতৃপুরুষেরা তো গত হয়েছেন, কিন্তু সৃষ্টির আদি থেকে যেমন ছিল এখনও সব কিছুই তেমনি চলছে। (২ পিতর ৩:৩-৪)

এই বাস্তবতা আমাদের প্রজন্মের পাশাপাশি পিতরের বর্ণনা দেয়৷

ইতিহাসের কাহিনীসূত্রটি কি?

  • সৃষ্টিঃ আদিপুস্তক ১-২ অধ্যায়ে, একটি উদ্দেশ্যের জন্য ঈশ্বর মনুষ্য জাতিকে সৃষ্টি করেছেনঃ তাঁর পুত্রের নববধূ (সঙ্গী) হবার জন্য, প্রেমময় উপাসনার মধ্যে সদা তাঁর সাথে বাস করার জন্য
  • পতনঃ আদিপুস্তক ৩ অধ্যায়ে, পাপের মাধ্যমে, ঈশ্বরের আকৃতি থেকে মানুষের পতন ঘটেসৃষ্টিকর্তার সাথে আর সম্পর্ক নেই
  • বিভাজনঃ আদিপুস্তক ১১ অধ্যায়ে, ভাষাগুলি বিভ্রান্ত হয়েছিল এবং পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত মানবতাকে ছড়িয়ে দিয়েছিল—ঈশ্বরের মুক্তির সংস্পর্শের বাইরে৷
  • প্রতিশ্রুতিঃ আদিপুস্তক ১২ অধ্যায়ে শুরু করে, ঈশ্বরের লোকেদের (আব্রাহামের বংশধরদের) শুভ-সমাচার-প্রচারের প্রচেষ্টার দ্বারা ঘোষিত একজন মুক্তিদাতার রক্ত-মূল্যের মাধ্যমে ঈশ্বর পৃথিবীর লোকেদের আবার তাঁর কাছে ফিরিয়ে আনার জন্য আহ্বান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন
  • মুক্তিঃ সুসমাচারগুলিতে, প্রভূ যীশু পাপের ঋণ শোধ করার জন্য, ঈশ্বরের লোকেদের ফেরত কেনার জন্য মূল্য প্রদান করেছিলেন — সমস্ত এথনোস (জনগোষ্ঠী) থেকে লোকেদের৷
  • আদেশঃ তাঁর জীবনের অন্তে, প্রভূ যীশু ঈশ্বরের লোকেদের ঈশ্বরের মিশন সমাপ্ত করার জন্য উদ্বোধন করেছিলেনঃ মহান কাহিনীসূত্রটি৷ এবং তিনি তাঁর ক্ষমতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷
  • শিষ্য-নির্মাণঃ প্রেরিতের পুস্তক থেকে আজ পর্যন্ত, ঈশ্বরের লোকেরা মহান আদেশ সম্পাদনের দ্বারা আশির্বাদিত হয়েছেন৷ “সারা জগতে যাও” এবং এই মুক্তিটি পরিপূরণ করোঃ সমস্ত এথনে শিষ্য নির্মাণ করো, খ্রীষ্টের সম্পূর্ণ নববধূ হবার জন্য৷
  • পরিসমাপ্তিঃ পরিসমাপ্তিতে, প্রভূ যীশু তাঁর নববধূকে নিয়ে যেতে ফিরে আসবেন—যখন সে সম্পূর্ণ এবং তৈরী থাকবে৷ আদিপুস্তক ৩ অধ্যায় থেকে প্রকাশিতবাক্য ২২ অধ্যায় সমস্তই জাতিগুলির মধ্য থেকে প্রভূ যীশুর নববধূকে ফেরত আহ্বানের বিষয়ে৷ নববধূ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত, মণ্ডলীর মিশন অসমাপ্ত৷ 

পিতর তাঁর দ্বিতীয় পত্রের শেষ অধ্যায়ে এই কাহিনীসূত্রের উল্লেখ করেছেন

কিন্তু বন্ধুগণ, এ কথা ভুলে যেও না যে, প্রভুর দৃষ্টিতে একটি দিন সহস্র বছরের মত এবং সহস্র বছর একটি দিনের সমান। প্রভু তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণে বিলম্ব করেন না, যদিও কেউ কেউ এ কথা মনে করে। তোমাদের প্রতি অসীম তাঁর ধৈর্য। তাঁর ইচ্ছা নয় যে কেউ ধ্বংস হোক। তিনি চান, সকলেই যেন হৃদয় পরিবর্তন করে। মনে রেখো, প্রভুর দিন চোরের মত আসবে। সেদিন আকাশমণ্ডল প্রচণ্ড শব্দে লুপ্ত হবে। মৌলিক পদার্থগুলি আগুনের তাপে বিলীন হবে এবং পৃথিবী সমেত সবকিছুই হবে ধ্বংস। (২ পিতর ৩:৮-১০, উদ্ব্যক্তি যুক্ত)

ঈশ্বর ধৈর্যশীল। যতক্ষণ না কাহিনী সম্পূর্ণ হচ্ছে তিনি তাঁর পুত্রকে পুনরায় পাঠাবেন না। ঈশ্বর ধীর নন; কোনও জনগোষ্ঠী (এথনোস) বিনষ্ট হোক তা তিনি চান না। তিনি চান যে আদিপুস্তক ১১ অধ্যায়ের সমস্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জাতিগুলি প্রচুর সংখ্যায় খ্রীষ্টের নববধূ অংশ হয়। মথি ২৪:১৪ পদে প্রভূ যীশু এইসকল এথনে’র উল্লেখ করেছিলেন। মহান আদেশের মধ্যে তিনি এই এথনে’র কথাই বলেছিলেন (সমগ্র এথনে-কে শিষ্য করো”)। এই এথনে’ই প্রকাশিতবাক্য ৭:৯ পদে চিত্রিত হয়েছে।

ইতিহাসের কাহিনীসূত্রের চূড়ান্ত পর্বটি পুত্রের কাছে এক সম্পূর্ণ নববধূকে একটি দুর্দান্ত বিবাহ উদযাপনের জন্য উপস্থাপিত করেছে। পিতরের শেষ অধ্যায়ে, তিনি এই নববধূর সমাবেশের এবং পৌলের লেখার বিষয়ে উল্লেখ করেছেনঃ

প্রিয় বন্ধুগণ, যেহেতু তোমরা এরই প্রতীক্ষায় রয়েছ সেইজন্য বিশেষ চেষ্টা কর, যাতে তোমরা নিষ্কলঙ্ক ও নিখুঁতভাবে শান্তিতে তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হতে পার। মনে রেখো, আমাদের প্রভুর অপার সহিষ্ণুতার জন্যই আমরা পরিত্রাণ পেয়েছি। আমাদের প্রিয় ভ্রাতা পৌল যে প্রজ্ঞা লাভ করেছেন তদনুযায়ী তিনি তোমাদের কাছে এই কথাই লিখেছেন। তাঁর সমস্ত পত্রে… (২ পিতর ৩:১৪-১৬, উদ্ব্যক্তি যুক্ত)

পৌল একই শব্দ ব্যবহার করে একই কাহিনীসূত্রের উল্লেখ করেছেনঃ

খ্রীষ্ট যেমন মণ্ডলীকে ভালবেসেছেন এবং তার জন্য আত্মদান করেছেন, স্বামীরা, তোমরাও সেইভাবে স্ত্রীকে ভালবাস। 26-27তিনি মণ্ডলীকে পবিত্র ও নিষ্কলঙ্ক করার রজন্য বাণী উচ্চারণ করে অবগাহন দ্বারা তাকে শুচিশুদ্ধ করে পবিত্র করেছেন, যাতে সর্বপ্রকার কলঙ্ক, বিকৃতি ও কলুষমুক্ত মণ্ডলীকে গৌরবান্বিত করে আপন করে নিতে পারেন… এই শাস্ত্রবচনে নিহিত আছে অতি গভীর নিগূঢ়তত্ত্ব, আমি এই তত্ত্ব খ্রীষ্ট ও তাঁর মণ্ডলী সম্পর্কে প্রয়োগ করছি। (ইফিসীয় ৫:২৫-২৭,৩২, উদ্ব্যক্তি যুক্ত)

ইফিসীয় ১ অধ্যায়েও একই পরিকল্পনার উল্লেখ করেছেনঃ

ঈশ্বরই তাঁর পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনার নিগূঢ়তত্ত্ব আমাদের কাছে ব্যক্ত করেছেন, যা তিনি খ্রীষ্টের মাধ্যমে পূর্ণ করবেন। ১০ এই পরিকল্পনা সমগ্র বিশ্ব, স্বর্গ ও মর্ত্যের সব কিছুই খ্রীষ্টের মাঝে সম্মিলিত করার সঙ্কল্প যা কাল পূর্ণ হলে খ্রীষ্টেরই মাঝে তিনি রূপায়িত করবেন(ইফিসীয় ১:৯-১০, উদ্ব্যক্তি যুক্ত)

সৃষ্টি থেকে পরিসমাপ্তি পর্যন্ত ঈশ্বরের পরিকল্পনা হলো প্রত্যেক ভাষা এবং সংস্কৃতির ব্যক্তিদের খ্রীষ্টে তাঁর সদাকালের নববধূ হিসাবে, তাঁর জীবনে ফিরিয়ে সম্মিলিত করা। কিন্তু এই সময়ে, সেই নববধূ অসম্পূর্ণ। তার এখনও একটি বাহু, একটি চোখ এবং একটি পা অনুপস্থিত। তার পোশাক এখনও কলঙ্কিত এবং কুঁচকানো। বর যখন নিজের বাহুর মধ্যে নববধূকে জড়িয়ে রাখতে প্রস্তুত হয়ে বেদিতে দাঁড়িয়ে আছেন, তখন মনে হয় নববধূ বিয়ের দিনটির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য খুব তাড়াহুড়ো করছে। কিন্তু নববধূর ভঙ্গিমা বদলে যাচ্ছে। এটি আমাদের প্রজন্মের অন্যতম দুর্দান্ত বৈশিষ্ট্য, এবং এটি ইতিহাসের দৌড়ে আমাদের অধিস্থাপনের স্বতন্ত্রতাকে ইঙ্গিত করে। গত দুই দশক ধরে বিশ্বব্যাপী মণ্ডলী বিশ্বের অবশিষ্ট ৮০০০ জনের উর্দ্ধে সুসমাচার অপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীগুলিকে সম্পৃক্ত করার প্রতি গতি বাড়িয়েছে—বিশ্বের অংশগুলি এখনও নববধূতে ভালোভাবে প্রতিনিধিত্ব করেনি।

এটি একটি ভালো প্রথম পদক্ষেপ, কিন্তু প্রবৃত্তিই শেষ লক্ষ্য ছিলা না। বিশ্বের দুইশো কোটির উর্দ্ধে ব্যক্তিরা এখনও পর্যন্ত সুসমাচারের প্রবেশাধিকার পায় নি, তাদেরকে সংযুক্ত করার আমাদের প্রচেষ্টার অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। তাদের কেবল সম্পৃক্ত নয়, তাদের কাছে পৌঁছাতেও হবে। প্রভূ যীশু আমাদের ঈশ্বরের রাজ্য যেমন স্বর্গে এই পৃথিবীতেও তেমনি পালিত হবার প্রার্থনা করতে বলেছেন (মথি ৬:৯-১০)। যখন সুসমাচার একটি সুসমাচার অপ্রাপ্ত স্থানকে সম্পৃক্ত করে, ঈশ্বরের রাজ্য অবশ্যই বলপূর্বক মুক্ত হয়। প্রভূ যীশু সর্বদা তাঁর শিষ্যদের শিষ্য নির্মানকারী যারা শিষ্য নির্মাণ এবং মণ্ডলী স্থাপণের মণ্ডলী যারা মণ্ডলী স্থাপণ করতে পারে এমন দর্শনে লিপ্ত করেছেন। এইটি যা হয়েছিল প্রেরিতের পুস্তকে। প্রারম্ভিক শিষ্যত্বের ডিএনএ-টি ছিল যে প্রত্যেক শিষ্য উভয়ই প্রভূ যীশুর এক অনুসারী এবং এক মৎসধারী হবে (মার্ক ১:১৭)।

প্রভূ যীশু একটি ছোট বা অসম্পূর্ণ নববধূর দ্বারা সন্তুষ্ট হবেন না। তিনি এমন নববধূ চান যাকে সমগ্র এথনে থেকে কেউ গণনা করতে পারবে না। তাদের প্রত্যেকের মধ্যে রাজ্যের সংখ্যাবৃদ্ধির মাধ্যমে এটি করার একমাত্র উপায়। ঈশ্বরের আন্দোলনগুলিকে আবার প্রচলিত করার জন্য গতিবেগ নির্মাণ করা হচ্ছে। গত ২৫ বছরর ধরে বিশ্বে এই মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলনগুলির সংখ্যা ১০ থেকে ১,০০০-এর উপরের চেয়ে কিছুটা মাত্র বৃদ্ধি পেয়েছে! ঈশ্বর ইতিহাসের সময়রেখাকে ত্বরান্বিত করছেন!

তবুও এখনও পর্যন্ত হাজার হাজার সুসমাচার অপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী এবং স্থানের মধ্যে কোনো সংখ্যাবৃদ্ধিকারী মণ্ডলী নেই। পিতরের সাথে, আমাদেরও অবশ্যই চিত্রপটের রেখাটির সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ঈশ্বরের সাথে যোগ দিতে হবে। 

কাহিনীর নায়ক হয়ে উঠুন—কোনো পার্শ্ব চরিত্র নয়। প্রত্যেক সুসমাচার অপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং স্থানে পৌঁছানোর দিকে মনোযোগ দিন, এবং এটি সংখ্যাবর্দ্ধক শিষ্য, মণ্ডলী এবং নেতাদের প্রেরিত-মতো আন্দোলনের মাধ্যমে করুন।

“ঈশ্বরের ইচ্ছা কি” জিজ্ঞেস করুন এবং “আমার জীবন কিভাবে এই প্রজন্মের মধ্যে সেই উদ্দেশ্যের সর্বোত্তম পরিচর্যা করতে পারে?” প্রভূ যীশু সেই প্রচেষ্টায় যোগদানকারী সকলকে তাঁর শক্তিশালী উপস্থিতির প্রতিশ্রুতি করেছিলেন (মথি ২৮:২০)।

কিছু প্রজন্ম সেই অন্তিম অধিস্থাপনটি সমাপ্ত করবে। আমরা কেন নয়?

স্টিভ স্মিথ, টিএইচ.ডি. (১৯৬২-২০১৯) ২৪:১৪ জোটের সহকারী এবং একাধিক পুস্তকের লেখক ছিলেন (টি৪টি সহঃ অ্য ডিসাইপল রে-রেভোলিউসন)। তিনি প্রায় দুই দশক ধরে সাড়া বিশ্বের সিপিএমকে অনুঘটক বা প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।

এই উপাদানটি মিশন ফ্রন্টিয়ার্স-এর  নভেম্বর ২০১৭ সালের প্রকাশনায়, “কিংডম কর্নেলসঃ ইতিহাসের কাহিনীসূত্র — অন্তিম অধিস্থাপনের সমাপ্তি” থেকে সংকলিত, http://www.missionfrontiers.org৷ ২৪:১৪ বই-এর ৪০-৪৩, ১৭-২৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখিত হয় – সমস্ত লোকদের পক্ষে একটি সাক্ষ্য ২৪:১৪ থেকে বা অ্যামাজন-এ উপলব্ধ