Categories
আন্দোলন সম্পর্কে

ইতিহাসের কাহিনীসূত্র — অন্তিম অধিস্থাপনের সমাপ্তি

ইতিহাসের কাহিনীসূত্র — অন্তিম অধিস্থাপনের সমাপ্তি

– স্টিভ স্মিথ দ্বারা লিখিত 

প্রায়শই আমরা ভুল প্রশ্ন দিয়ে শুরু করে থাকিঃ “আমার জীবনের জন্য ঈশ্বরের ইচ্ছা কী?” এই প্রশ্নটি অতি স্ব-কেন্দ্রিক হতে পারে৷ এটি আপনি এবং আপনার জীবন সম্পর্কিত৷ 

সঠিক প্রশ্নটি হলো “ঈশ্বরের ইচ্ছা কি?” পর্ব৷ তারপর আমরা জিজ্ঞেস করি, “আমার জীবন কিভাবে তার সর্বোত্তম পরিচর্যা করতে পারে?” 

ঈশ্বরের নামকে মহিমান্বিত করতে, আপনাদের বুঝতে হবে ঈশ্বর আমাদের প্রজন্মে কি করছেন—তাঁর উদ্দেশ্য৷ সেটি জানার জন্য ঈশ্বর ইতিহাসে কি করেছেন তা আপনাদের জানতে হবেঃ আদিপুস্তক ১ অধ্যায়ে যেই কাহিনীটি শুরু হয়েছিল এবং প্রকাশিতবাক্য ২২ অধ্যায়ে যা শেষ হবে৷

তখন আপনি ঐতিহাসিক চিত্রপটে নিজেকে খুঁজে পাবেন৷ উদাহরণস্বরূপ, রাজা দাউদ তাঁর নিজস্ব প্রজন্মের মধ্যে অনন্যভাবে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের পরিচর্যা করেছিলেন (প্রেরিত ১৩:৩৬) স্পষ্টভাবে কারণ তিনি ঈশ্বরের মনের মতো ব্যক্তি ছিলেন (প্রেরিত ১৩:২২)৷ তিনি পিতার কাহিনীর প্রতি তার প্রচেষ্টার অবদান রাখতে চেয়েছিলেন৷ আব্রাহামের প্রতিশ্রুতিটি (ভূমির উত্তরাধিকারী এবং জাতিগুলির প্রতি আশির্বাদ হবে) এগিয়ে একটি বিরাট ঝাঁপ নেয় যখন ঈশ্বর তাঁর মনের মতো এবং তাঁর উদ্দেশ্যের পরিচর্যা করার ব্যক্তিকে খুঁজে পান৷ ২ শমুয়েল ৭:১ পদ অনুসারে, ইস্রায়েলীয়দের জয় করার কোনও স্থান অবশিষ্ট না থাকাতে তাঁর সেই দেশ উত্তরাধিকারের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছিলেন৷ 

আমাদের পিতার হৃদয় হলো ইতিহাসের কাহিনীসূত্র৷ যখন তিনি তাঁর হৃদয়ের মতো নায়কদের খুঁজে পান তখন তিনি চিত্রপটের গতি বাড়িয়ে দেন৷ ঈশ্বর এক নতুন প্রজন্মকে আহ্বান করছেন যা শুধুমাত্র চিত্রপটের মধ্যে থাকবে তা নয় কিন্তু চিত্রপটটি সমাপ্ত করে, কাহিনীসূত্রকে তার চূড়ায় পৌঁছে দেবে৷ তিনি একটি প্রজন্মকে আহ্বান করছেন যে একদিন বলবে, “ঈশ্বরের রাজ্য সম্প্রসারণের জন্য আর কোনও স্থান অবশিষ্ট নেই” (যেমন পৌল রোমীয় ১৫:২৩ পদে একটি বৃহৎ অঞ্চল সম্পর্কে লিখেছেন৷)

কাহিনীসূত্রকে জানা হলো ঈশ্বরের ইচ্ছাকে জানা

একবার আপনি কাহিনীসূত্রকে জানলে, আপনি এতে নিজের স্থানটি নিতে পারবেন, কোনও পার্শ্ব চরিত্র হিসাবে নয় কিন্তু লেখকের শক্তি দ্বারা চালিত এক নায়ক হিসাবে৷

প্রধান কাহিনীসূত্রটি সৃষ্টিতে শুরু হয়েছিল (আদিপুস্তক ১ অধ্যায়ে) এবং পূর্ণতায় সমাপ্ত হয় (প্রভূ যীশুর পুনরাগমণ — প্রকাশিতবাক্য ২২)৷ এটি একটি মহান দৌড়ের কাহিনী৷ প্রত্যেক প্রজন্ম রিলে দৌড়ে একটি অধিস্থাপন চালায়৷ একটি চূড়ান্ত প্রজন্ম থাকবে যা সর্বশেষ অধিস্থাপনটি চালায় — একটি প্রজন্ম যে রাজাকে তাঁর ইতিহাস-দীর্ঘ প্রচেষ্টার পুরস্কার গ্রহণ করতে দেখে৷ সেখানে একটি অন্তিম-অধিস্থাপন থাকবেআমরা কেন নয়?

ইতিহাসের উদ্দেশ্য

এই কেন্দ্রীয় কাহিনীসূত্রটি সম্পূর্ণ বাইবেল জুড়ে চলে, প্রতি ৬৬টি পুস্তকের মাধ্যমে তার পথ বুনছে৷ তবুও কাহিনীসূত্রটি ভুলে যাওয়া বা উপেক্ষা করা সহজ, এবং এই ধরনের চিন্তায় অনেকেই উপহাস করে৷

শেষের দিনগুলিতে স্বেচ্ছাচারী উচ্ছৃঙ্খল ধর্মনিন্দুকদের আবির্ভাব হবে। তারা বলবে, “তাঁর আগমনের প্রতিশ্রুতির কি হল?” আমাদের পিতৃপুরুষেরা তো গত হয়েছেন, কিন্তু সৃষ্টির আদি থেকে যেমন ছিল এখনও সব কিছুই তেমনি চলছে। (২ পিতর ৩:৩-৪)

এই বাস্তবতা আমাদের প্রজন্মের পাশাপাশি পিতরের বর্ণনা দেয়৷

ইতিহাসের কাহিনীসূত্রটি কি?

  • সৃষ্টিঃ আদিপুস্তক ১-২ অধ্যায়ে, একটি উদ্দেশ্যের জন্য ঈশ্বর মনুষ্য জাতিকে সৃষ্টি করেছেনঃ তাঁর পুত্রের নববধূ (সঙ্গী) হবার জন্য, প্রেমময় উপাসনার মধ্যে সদা তাঁর সাথে বাস করার জন্য
  • পতনঃ আদিপুস্তক ৩ অধ্যায়ে, পাপের মাধ্যমে, ঈশ্বরের আকৃতি থেকে মানুষের পতন ঘটেসৃষ্টিকর্তার সাথে আর সম্পর্ক নেই
  • বিভাজনঃ আদিপুস্তক ১১ অধ্যায়ে, ভাষাগুলি বিভ্রান্ত হয়েছিল এবং পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত মানবতাকে ছড়িয়ে দিয়েছিল—ঈশ্বরের মুক্তির সংস্পর্শের বাইরে৷
  • প্রতিশ্রুতিঃ আদিপুস্তক ১২ অধ্যায়ে শুরু করে, ঈশ্বরের লোকেদের (আব্রাহামের বংশধরদের) শুভ-সমাচার-প্রচারের প্রচেষ্টার দ্বারা ঘোষিত একজন মুক্তিদাতার রক্ত-মূল্যের মাধ্যমে ঈশ্বর পৃথিবীর লোকেদের আবার তাঁর কাছে ফিরিয়ে আনার জন্য আহ্বান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন
  • মুক্তিঃ সুসমাচারগুলিতে, প্রভূ যীশু পাপের ঋণ শোধ করার জন্য, ঈশ্বরের লোকেদের ফেরত কেনার জন্য মূল্য প্রদান করেছিলেন — সমস্ত এথনোস (জনগোষ্ঠী) থেকে লোকেদের৷
  • আদেশঃ তাঁর জীবনের অন্তে, প্রভূ যীশু ঈশ্বরের লোকেদের ঈশ্বরের মিশন সমাপ্ত করার জন্য উদ্বোধন করেছিলেনঃ মহান কাহিনীসূত্রটি৷ এবং তিনি তাঁর ক্ষমতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷
  • শিষ্য-নির্মাণঃ প্রেরিতের পুস্তক থেকে আজ পর্যন্ত, ঈশ্বরের লোকেরা মহান আদেশ সম্পাদনের দ্বারা আশির্বাদিত হয়েছেন৷ “সারা জগতে যাও” এবং এই মুক্তিটি পরিপূরণ করোঃ সমস্ত এথনে শিষ্য নির্মাণ করো, খ্রীষ্টের সম্পূর্ণ নববধূ হবার জন্য৷
  • পরিসমাপ্তিঃ পরিসমাপ্তিতে, প্রভূ যীশু তাঁর নববধূকে নিয়ে যেতে ফিরে আসবেন—যখন সে সম্পূর্ণ এবং তৈরী থাকবে৷ আদিপুস্তক ৩ অধ্যায় থেকে প্রকাশিতবাক্য ২২ অধ্যায় সমস্তই জাতিগুলির মধ্য থেকে প্রভূ যীশুর নববধূকে ফেরত আহ্বানের বিষয়ে৷ নববধূ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত, মণ্ডলীর মিশন অসমাপ্ত৷ 

পিতর তাঁর দ্বিতীয় পত্রের শেষ অধ্যায়ে এই কাহিনীসূত্রের উল্লেখ করেছেন

কিন্তু বন্ধুগণ, এ কথা ভুলে যেও না যে, প্রভুর দৃষ্টিতে একটি দিন সহস্র বছরের মত এবং সহস্র বছর একটি দিনের সমান। প্রভু তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণে বিলম্ব করেন না, যদিও কেউ কেউ এ কথা মনে করে। তোমাদের প্রতি অসীম তাঁর ধৈর্য। তাঁর ইচ্ছা নয় যে কেউ ধ্বংস হোক। তিনি চান, সকলেই যেন হৃদয় পরিবর্তন করে। মনে রেখো, প্রভুর দিন চোরের মত আসবে। সেদিন আকাশমণ্ডল প্রচণ্ড শব্দে লুপ্ত হবে। মৌলিক পদার্থগুলি আগুনের তাপে বিলীন হবে এবং পৃথিবী সমেত সবকিছুই হবে ধ্বংস। (২ পিতর ৩:৮-১০, উদ্ব্যক্তি যুক্ত)

ঈশ্বর ধৈর্যশীল। যতক্ষণ না কাহিনী সম্পূর্ণ হচ্ছে তিনি তাঁর পুত্রকে পুনরায় পাঠাবেন না। ঈশ্বর ধীর নন; কোনও জনগোষ্ঠী (এথনোস) বিনষ্ট হোক তা তিনি চান না। তিনি চান যে আদিপুস্তক ১১ অধ্যায়ের সমস্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জাতিগুলি প্রচুর সংখ্যায় খ্রীষ্টের নববধূ অংশ হয়। মথি ২৪:১৪ পদে প্রভূ যীশু এইসকল এথনে’র উল্লেখ করেছিলেন। মহান আদেশের মধ্যে তিনি এই এথনে’র কথাই বলেছিলেন (সমগ্র এথনে-কে শিষ্য করো”)। এই এথনে’ই প্রকাশিতবাক্য ৭:৯ পদে চিত্রিত হয়েছে।

ইতিহাসের কাহিনীসূত্রের চূড়ান্ত পর্বটি পুত্রের কাছে এক সম্পূর্ণ নববধূকে একটি দুর্দান্ত বিবাহ উদযাপনের জন্য উপস্থাপিত করেছে। পিতরের শেষ অধ্যায়ে, তিনি এই নববধূর সমাবেশের এবং পৌলের লেখার বিষয়ে উল্লেখ করেছেনঃ

প্রিয় বন্ধুগণ, যেহেতু তোমরা এরই প্রতীক্ষায় রয়েছ সেইজন্য বিশেষ চেষ্টা কর, যাতে তোমরা নিষ্কলঙ্ক ও নিখুঁতভাবে শান্তিতে তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হতে পার। মনে রেখো, আমাদের প্রভুর অপার সহিষ্ণুতার জন্যই আমরা পরিত্রাণ পেয়েছি। আমাদের প্রিয় ভ্রাতা পৌল যে প্রজ্ঞা লাভ করেছেন তদনুযায়ী তিনি তোমাদের কাছে এই কথাই লিখেছেন। তাঁর সমস্ত পত্রে… (২ পিতর ৩:১৪-১৬, উদ্ব্যক্তি যুক্ত)

পৌল একই শব্দ ব্যবহার করে একই কাহিনীসূত্রের উল্লেখ করেছেনঃ

খ্রীষ্ট যেমন মণ্ডলীকে ভালবেসেছেন এবং তার জন্য আত্মদান করেছেন, স্বামীরা, তোমরাও সেইভাবে স্ত্রীকে ভালবাস। 26-27তিনি মণ্ডলীকে পবিত্র ও নিষ্কলঙ্ক করার রজন্য বাণী উচ্চারণ করে অবগাহন দ্বারা তাকে শুচিশুদ্ধ করে পবিত্র করেছেন, যাতে সর্বপ্রকার কলঙ্ক, বিকৃতি ও কলুষমুক্ত মণ্ডলীকে গৌরবান্বিত করে আপন করে নিতে পারেন… এই শাস্ত্রবচনে নিহিত আছে অতি গভীর নিগূঢ়তত্ত্ব, আমি এই তত্ত্ব খ্রীষ্ট ও তাঁর মণ্ডলী সম্পর্কে প্রয়োগ করছি। (ইফিসীয় ৫:২৫-২৭,৩২, উদ্ব্যক্তি যুক্ত)

ইফিসীয় ১ অধ্যায়েও একই পরিকল্পনার উল্লেখ করেছেনঃ

ঈশ্বরই তাঁর পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনার নিগূঢ়তত্ত্ব আমাদের কাছে ব্যক্ত করেছেন, যা তিনি খ্রীষ্টের মাধ্যমে পূর্ণ করবেন। ১০ এই পরিকল্পনা সমগ্র বিশ্ব, স্বর্গ ও মর্ত্যের সব কিছুই খ্রীষ্টের মাঝে সম্মিলিত করার সঙ্কল্প যা কাল পূর্ণ হলে খ্রীষ্টেরই মাঝে তিনি রূপায়িত করবেন(ইফিসীয় ১:৯-১০, উদ্ব্যক্তি যুক্ত)

সৃষ্টি থেকে পরিসমাপ্তি পর্যন্ত ঈশ্বরের পরিকল্পনা হলো প্রত্যেক ভাষা এবং সংস্কৃতির ব্যক্তিদের খ্রীষ্টে তাঁর সদাকালের নববধূ হিসাবে, তাঁর জীবনে ফিরিয়ে সম্মিলিত করা। কিন্তু এই সময়ে, সেই নববধূ অসম্পূর্ণ। তার এখনও একটি বাহু, একটি চোখ এবং একটি পা অনুপস্থিত। তার পোশাক এখনও কলঙ্কিত এবং কুঁচকানো। বর যখন নিজের বাহুর মধ্যে নববধূকে জড়িয়ে রাখতে প্রস্তুত হয়ে বেদিতে দাঁড়িয়ে আছেন, তখন মনে হয় নববধূ বিয়ের দিনটির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য খুব তাড়াহুড়ো করছে। কিন্তু নববধূর ভঙ্গিমা বদলে যাচ্ছে। এটি আমাদের প্রজন্মের অন্যতম দুর্দান্ত বৈশিষ্ট্য, এবং এটি ইতিহাসের দৌড়ে আমাদের অধিস্থাপনের স্বতন্ত্রতাকে ইঙ্গিত করে। গত দুই দশক ধরে বিশ্বব্যাপী মণ্ডলী বিশ্বের অবশিষ্ট ৮০০০ জনের উর্দ্ধে সুসমাচার অপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীগুলিকে সম্পৃক্ত করার প্রতি গতি বাড়িয়েছে—বিশ্বের অংশগুলি এখনও নববধূতে ভালোভাবে প্রতিনিধিত্ব করেনি।

এটি একটি ভালো প্রথম পদক্ষেপ, কিন্তু প্রবৃত্তিই শেষ লক্ষ্য ছিলা না। বিশ্বের দুইশো কোটির উর্দ্ধে ব্যক্তিরা এখনও পর্যন্ত সুসমাচারের প্রবেশাধিকার পায় নি, তাদেরকে সংযুক্ত করার আমাদের প্রচেষ্টার অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। তাদের কেবল সম্পৃক্ত নয়, তাদের কাছে পৌঁছাতেও হবে। প্রভূ যীশু আমাদের ঈশ্বরের রাজ্য যেমন স্বর্গে এই পৃথিবীতেও তেমনি পালিত হবার প্রার্থনা করতে বলেছেন (মথি ৬:৯-১০)। যখন সুসমাচার একটি সুসমাচার অপ্রাপ্ত স্থানকে সম্পৃক্ত করে, ঈশ্বরের রাজ্য অবশ্যই বলপূর্বক মুক্ত হয়। প্রভূ যীশু সর্বদা তাঁর শিষ্যদের শিষ্য নির্মানকারী যারা শিষ্য নির্মাণ এবং মণ্ডলী স্থাপণের মণ্ডলী যারা মণ্ডলী স্থাপণ করতে পারে এমন দর্শনে লিপ্ত করেছেন। এইটি যা হয়েছিল প্রেরিতের পুস্তকে। প্রারম্ভিক শিষ্যত্বের ডিএনএ-টি ছিল যে প্রত্যেক শিষ্য উভয়ই প্রভূ যীশুর এক অনুসারী এবং এক মৎসধারী হবে (মার্ক ১:১৭)।

প্রভূ যীশু একটি ছোট বা অসম্পূর্ণ নববধূর দ্বারা সন্তুষ্ট হবেন না। তিনি এমন নববধূ চান যাকে সমগ্র এথনে থেকে কেউ গণনা করতে পারবে না। তাদের প্রত্যেকের মধ্যে রাজ্যের সংখ্যাবৃদ্ধির মাধ্যমে এটি করার একমাত্র উপায়। ঈশ্বরের আন্দোলনগুলিকে আবার প্রচলিত করার জন্য গতিবেগ নির্মাণ করা হচ্ছে। গত ২৫ বছরর ধরে বিশ্বে এই মণ্ডলী স্থাপণের আন্দোলনগুলির সংখ্যা ১০ থেকে ১,০০০-এর উপরের চেয়ে কিছুটা মাত্র বৃদ্ধি পেয়েছে! ঈশ্বর ইতিহাসের সময়রেখাকে ত্বরান্বিত করছেন!

তবুও এখনও পর্যন্ত হাজার হাজার সুসমাচার অপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী এবং স্থানের মধ্যে কোনো সংখ্যাবৃদ্ধিকারী মণ্ডলী নেই। পিতরের সাথে, আমাদেরও অবশ্যই চিত্রপটের রেখাটির সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ঈশ্বরের সাথে যোগ দিতে হবে। 

কাহিনীর নায়ক হয়ে উঠুন—কোনো পার্শ্ব চরিত্র নয়। প্রত্যেক সুসমাচার অপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং স্থানে পৌঁছানোর দিকে মনোযোগ দিন, এবং এটি সংখ্যাবর্দ্ধক শিষ্য, মণ্ডলী এবং নেতাদের প্রেরিত-মতো আন্দোলনের মাধ্যমে করুন।

“ঈশ্বরের ইচ্ছা কি” জিজ্ঞেস করুন এবং “আমার জীবন কিভাবে এই প্রজন্মের মধ্যে সেই উদ্দেশ্যের সর্বোত্তম পরিচর্যা করতে পারে?” প্রভূ যীশু সেই প্রচেষ্টায় যোগদানকারী সকলকে তাঁর শক্তিশালী উপস্থিতির প্রতিশ্রুতি করেছিলেন (মথি ২৮:২০)।

কিছু প্রজন্ম সেই অন্তিম অধিস্থাপনটি সমাপ্ত করবে। আমরা কেন নয়?

স্টিভ স্মিথ, টিএইচ.ডি. (১৯৬২-২০১৯) ২৪:১৪ জোটের সহকারী এবং একাধিক পুস্তকের লেখক ছিলেন (টি৪টি সহঃ অ্য ডিসাইপল রে-রেভোলিউসন)। তিনি প্রায় দুই দশক ধরে সাড়া বিশ্বের সিপিএমকে অনুঘটক বা প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।

এই উপাদানটি মিশন ফ্রন্টিয়ার্স-এর  নভেম্বর ২০১৭ সালের প্রকাশনায়, “কিংডম কর্নেলসঃ ইতিহাসের কাহিনীসূত্র — অন্তিম অধিস্থাপনের সমাপ্তি” থেকে সংকলিত, http://www.missionfrontiers.org৷ ২৪:১৪ বই-এর ৪০-৪৩, ১৭-২৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখিত হয় – সমস্ত লোকদের পক্ষে একটি সাক্ষ্য ২৪:১৪ থেকে বা অ্যামাজন-এ উপলব্ধ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।